বাংলা প্যারোডি কবিতা, পর্ব -- ১৬
ছাঁট
ভাস্করব্রত পতি
বাবার দেওয়া দামী গাড়ি,
রক্ত ঘাম আর শ্রমের হাঁড়ি।
গাড়ি চালায় অরূপ রতন,
প্রশ্ন তোলে চোর্কুবদন।
ঘাট হয়েছে বলার পরে,
এই বঙ্গের গঙ্গা পাড়ে।
প্রমাণ পত্র জুটিয়ে এনে,
টিভির সামনে নিউজ হানে।
সর্বহারার কিসের নুলো?
বাইশ লাখের গাড়ির ধুলো!
কৌটা নেড়েই কেনে আটা,
শ্রমিকের তবু বুকের পাটা?
যন্ত্রগুলো আজ হারিয়ে হাতা,
শহর গ্রামে সত্যিই যা তা!
কৌটো গুলো খুচরো ভরে,
পঁদি বিড়ির ধোঁয়াই উড়ে।
ময়লা ধুতি বাগিয়ে নিয়ে,
চেঁচায় স্লোগান মিছিলে গিয়ে।
শ্রমিক কৃষক থাকলো পড়ে,
অরূপ রতন গাড়িই চড়ে।
আবাল যত পথে ঘাটে,
রোয়াকে বসে টিপনি কাটে।
হাট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি,
বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি।
গাড়ি চালায় বংশীবদন,
সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন।
হাট বসেছে শুক্রবারে,
বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে।
জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে,
গ্রামের মানুষ বেচে কেনে।
উচ্ছে বেগুন পটল মুলো,
বেতের বোনা ধামা কুলো,
সর্ষে ছোলা ময়দা আটা,
শীতের র্যাপার নক্সাকাটা।
ঝাঁঝরি করা বেড়ি হাতা,
শহর থেকে সস্তা ছাতা।
কলসি ভরা এখো গুড়ে
মাছি যত বেড়ায় উড়ে।
খড়ের আঁটি নৌকো বেয়ে,
আনলো ঘাটে চাষির মেয়ে।
অন্ধ কানাই পথের পরে,
গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে।
পাড়ার ছেলে স্নানের ঘাটে,
জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটে।
2 Comments
চমৎকার ছাঁট! এই তো চলছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDelete