জ্বলদর্চি

সন্দেহ, বিবাহ ও মন-দেহ /শুভশ্রী রায়


সন্দেহ, বিবাহ ও মন-দেহ

শুভশ্রী রায়

শোনা যায়, দু'টি খুঁতখুঁতুনি বা বাইয়ের চিকিৎসা হয় না। একটা ছুঁচিবাই, অন্যটা বৌ-কে সন্দেহ করার বাই। ছুঁচিবাই এর প্রসঙ্গে ঢুকছি না। সরাসরি দাম্পত্যে সন্দেহ ও তার বিধ্বংসী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু কথা বলব। প্রসঙ্গক্রমে দাম্পত্য বিশ্বাসভঙ্গের কথাও একটু এসে যাবে। যে সব ঘটনার কথা বলব সবই আমার দেখাশোনার মধ্যে এবং বিশ্বাসযোগ্য ও চেনা মানুষের মুখ থেকে শোনা। 

       আজ থেকে বহু দিন আগে, আমার বন্ধু চন্দনারা গৌরীবাড়ি লেনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। এখন ওরা অন্য জায়গায় স্থায়ী বাড়িতে সুখী জীবন কাটাচ্ছে। যাই হো'ক, ওদের বাড়িওয়ালা ভদ্রলোকের স্ত্রীর ছিল স্বামীকে সন্দেহ করার বাতিক। একেক দিন স্বামীর অফিস থেকে ফিরতে দেরী হত। ভদ্রমহিলা সন্দেহ করতেন স্বামী কোনো মহিলার সঙ্গে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বেচারা স্বামীর আপত্তি শুনতেন না তিনি, তাঁর শার্ট ও ট্রাউজার্সের পকেটটকেট ঝেড়ে দেখতেন কোনো মেয়ের লম্বা চুল আছে কী না।
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇
         এবার অন্য ধরণের একটা ঘটনা বলব। না-সন্দেহ থেকে যার শুরু এবং অদ্ভুত এক আপতনে বিশ্বাসভঙ্গের অকাট্য প্রমাণ মিলে দাম্পত্য শেষ। দক্ষিণ কলকাতার ভাড়া বাড়ীতে বসবাসকারী পরিশ্রমী মধ্যবিত্ত পরিবার। বাবা-মা ও দুই ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার। পরিবারটিতে গান-বাজনার ভালোই চর্চা ছিল। মায়ের কঠোর শাসনে দুই ছেলেই সংযত ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। তাদের বাবা সাদামাটা পোষাক পরা নিরীহ 'ধুতিপাঞ্জাবী ভদ্রলোক'। কখনো তাঁকে শার্ট প্যান্ট পরতে দেখিনি আমি। যাই হো'ক, দুই ছেলেই বড় হল। বড় ছেলে বান্টি পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক সহ স্নাতক হয়ে সরকারী চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। সে খুব পরিশ্রমী ও একাগ্র স্বভাবের ছেলে এবং শান্ত। স্নাতক হওয়ার বছর দুয়েকের মধ্যেই সে রাজ্য সরকারের একটি মাঝারি মাপের চাকরি পেয়ে গেল কিন্তু সেখানেই থেমে গেল না। ওই চাকরি করতে করতেই সে কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। কৃতকার্য হল। কেন্দ্রের মাশুল সংগ্রহ দপ্তরে ভালো চাকরি পেয়ে গেল সে। মুম্বাইতে পোস্টিং। তখন অবশ্য আমরা বোম্বে বলতাম। 

       মুম্বাই যাওয়ার কিছু দিন পরেই আত্মীয় স্বজন বান্টির বাবা-মাকে বলতে লাগলেন, "ছেলের বিয়ে দাও।" কেউ কেউ এমন কথাও বলছিলেন, "তোমরা দেখে না দিলে ছেলে নিজেই পছন্দ করে কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলবে।" যেন নিজে পছন্দ করে বিয়ে করা ভারী অন্যায়! বাবা-মা হন্যে হয়ে বান্টির জন্য মেয়ে খুঁজতে শুরু করলেন। এক দিন অবাক কান্ড! বান্টির বাবা স্থানীয় ডাকঘরে গেছেন, সেখানে দুই ভদ্রলোকের কথাবার্তা কানে এল। বোঝা গেল, এক বাবা তাঁর ছোটো মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন। কিছু ক্ষণ কথাবার্তা শুনে বান্টির বাবা 'মেয়ের বাবার' সঙ্গে আলাপ করলেন। জানালেন তিনিও বড় ছেলের জন্য মেয়ে খুঁজছেন। দু' পক্ষই ব্রাহ্মণ তাও পরিষ্কার হয়ে গেল। ঠিকানা চেয়ে নিয়ে পরস্পরের বাড়ি যাওয়া হল। মেয়ে দেখে বান্টির বাবা-মায়ের পছন্দও হয়ে গেল। মিষ্টি চেহারা, রং ফর্সা, স্নাতক পাত্রী। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। নিজেদের বাড়ি। পাত্রের বাবা-মা ভারী খুশী হয়ে ছেলেকে চিঠি লিখলেন, "সময় করে এসে মেয়ে দেখে যা। তোর পছন্দ না হলে পাকা কথা দিতে পারছি না।" 

      তারপরে সব ঠিকঠাক এগিয়ে গেল। শুভ লগ্নে বান্টির সঙ্গে রেবশ্রী বা রেবীর বিয়েও হয়ে গেল। আনন্দ করে পাহাড়ী শহরে মধুচন্দ্রিমা করে এল নবদম্পতি। মুম্বাইতে সুখে সংসার করতে লাগল। বছর দুয়েক পরে একটি ছেলে হল তাদের। আরো সুখ! শিশুটি বাবা-মা, ঠাকুর্দা-ঠাকুমা, কাকা সবার প্রাণ। ঘটা করে তার মুখেভাত দেওয়া হ'ল। আনন্দ, প্রাচুর্য, সৌভাগ্য সব কিছুর সহাবস্থান। 
       কিন্তু নিয়তির আজব খেলায় এক লহমায় সেই সুখের দাম্পত্য ভেঙেও গেল। ছেলে তখন বছর দুয়েক। মুম্বাইতে এক ছুটির বিকেল। ছেলেকে বান্টির কাছে রেখে রেবী একটু বেরিয়েছে। বান্টি কোলে ছেলে নিয়ে বারান্দা থেকে বৌকে টা-টা করে শোওয়ার ঘরে ঢুকল। ছেলে বাবার কোল থেকে নেমে পড়েছে। খেলনা নিয়ে খেলছে। বান্টি আর কাজ খুঁজে পায় না! সময়টা কী করে কাটায়? পড়াটড়ার অভ্যেস বিশেষ নেই। সময় পায় না। রেবী অনেক বাংলা পত্রপত্রিকা পড়ে। সেই সব পত্রিকার স্তূপ থেকে একটা জনপ্রিয় পত্রিকা টেনে নিল সে। বিনোদনের পত্রিকা হলেও অনেক তথ্য থাকে। উল্টেপাল্টে দেখা যাক। সময়টাতো কেটে যাবে।

         হাল্কা হাতে পত্রিকার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে একটা নীল রঙের ইনল্যান্ড লেটার দেখতে পেল বান্টি। রেবীর হাতের লেখা দেখে কৌতূহলী হয়ে সেটা খুলে ফেলল। ছিঁড়তেও হল না কারণ মুখ খোলা ছিল। চিঠিতে কী লেখা ছিল? সাংঘাতিক কিছু কথা। রেবী তার কলকাতার প্রেমিককে সম্বোধন করে চিঠি লিখেছে। এক জায়গায় স্পষ্ট লেখা, "তোমার আমার সন্তান অন্য এক জনকে বাবা বলে ডাকছে। কী দুঃখের ব্যাপার বলো! আমার বুক ফেটে যায় কিন্তু কিছু করার নেই। সারা জীবন আমাকে এই নাটক করে যেতে হ'বে। তোমার জন্যও খুব কষ্ট হয়।" লাইনগুলো পড়ে  বান্টির চোখের সামনে পৃথিবীটা ঘুরতে লাগল। প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল সে। প্রিয়তমা নারীর এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা! হুঁশ ফিরল 'ছেলের' আব্দারে। "বাবা, ও বাবা, হামি খাও।" বান্টির দু' চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়তে লাগল।
ধীরে ধীরে তার বাস্তববোধ ফিরে এল। প্রাণপণ চেষ্টায় নিজেকে শান্ত করে বাচ্চাটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। চিঠিটা সাবধানে লুকিয়ে রাখল। রেবীর মুখোমুখি হ'তে হ'বে। 

        ব্যভিচার-এর অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এনেছিল বান্টি। Adultery বা ব্যভিচারের প্রমাণ হিসেবে চিঠিটা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত ডিভোর্সের ডিক্রি দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি। তবে রেবীকে ঘেন্না করলেও বাচ্চাটার প্রতি ভীষণ মায়া পড়ে গিয়েছিল তার। বিবাহবিচ্ছেদের কিছু দিন পরে বাচ্চাটার অসুখের খবর কানে আসায় কলকাতায় এসে বাবা-মা-কে লুকিয়ে শিশুটিকে দেখেও এসেছিল সে। বাচ্চাটা অবশ্য বাঁচেনি। এই ব্যাপারটি দুঃখজনক। লক্ষ্যণীয় হল, বান্টি-রেবীর বিয়ের কথাবার্তার সূচনা হয়েছিল ডাকঘরে যেখান থেকে চিঠি বিলি হয়। আর বিয়েটা ভাঙল একটা চিঠির সূত্র ধরে। রেবী পত্রিকার ভেতর চিঠিটা রেখে ভুলে গিয়েছিল। অদ্ভুত আপতন!

      আরেকটি ঘটনা বলি। স্বামী ও স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের প্রতিহিংসাপরায়ণতা কী করে একটা দম্পতির চরম সর্বনাশ করতে পারে তার ভয়াবহ উদাহরণ হতে পারে এই ঘটনা যার একটা বর্ণও মিথ্যে নয়। ধরা যাক ভদ্রলোকের নাম মি. সেন। তিনি একটি বিরাট বেসরকারি সংস্থায় ভালো চাকরি করতেন। সম্বন্ধ করে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। একটি ছেলের জন্মের পর সব মিলিয়ে সুখের সংসার। ইতিমধ্যে সেনবাবুর ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শালীর জমজমাট প্রেমও শুরু হয়ে গেছে। এই রোমান্স অনেক দিন চলেছিল কিন্তু তাদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। সেনবাবুর শ্যালিকাই বেঁকে বসে।

      সেনবাবুর স্ত্রী চাকরি করতেন না। পূর্ব কলকাতায় তাঁদের সুখী সংসার। ছেলের বয়স যথন তিন সাড়ে তিন সেই সময় থেকে একটা অদ্ভুত উৎপাত শুরু হল। মোবাইল আসার অনেক দিন আগেকার ঘটনা এ সব। স্বামী অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ফিরে আসার সাত আট ঘন্টা সময়ের মধ্যে রোজ একটা রহস্যময় ফোন আসত। কোনো কোনো দিন একাধিকবারও আসত। সেনগৃহিণী ফোনটা ধরে হ্যালো বলা মাত্রই অচেনা পুরুষকন্ঠ তাঁকে জানাত, তাঁর স্বামী অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। রোজ এই উৎপাত। সংসারে অশান্তি শুরু হ'ল। সেনবাবু স্ত্রীকে অনেক বোঝালেন। বললেন এই কথা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁদের সংসার ছারখার করে দেওয়ার জন্য কেউ বদমাইশি করছে। কিন্তু স্ত্রীর মন থেকে সন্দেহ যায় না। তাঁর মনে হতে শুরু করেছিল , লোকটা হয়তো সত্যি কথা বলছে। তাঁর স্বামী আর তাঁর নেই। 

         টানা অন্তত এক বছর এই উপদ্রব চলেছিল। এক দিনের জন্যও বেনামী ফোন বন্ধ হয়নি। ভদ্রমহিলা ভয়ানক মানসিক চাপে ছিলেন। তাঁর স্নায়ুগুলো আর নিতে পারছিল না। অথচ তাঁর চিকিৎসা করানো হয়নি। অন্য দিকে পুলিসকেও কিছু জানানো হয়নি। জানি না কেন সেনবাবু পুলিসের কাছে যাননি। গেলে হয়তো ট্র্যাজেডি এড়ানো যেত।

        ছেলের বয়স প্রায় পাঁচ। মা ছেলেকে আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন। স্বামীর ওপর থেকে বিশ্বাস চলে গেছে। প্রতি দিন সেই ফোন আসছে। তিনি ফোন ধরছেন। লোকটার কথা শুনছেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন স্বামী ভাবছেন বিষয়টা কারুর বেয়ারা রসিকতা। স্ত্রীর অসহ্য কষ্ট তাঁর চোখে পড়ে না। তাই তিনি চুপচাপ সব দেখে যাচ্ছেন। একবারও মনে হ'চ্ছে না কোনো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 

       এই সময়ে এল রথের দিন। বাড়ির কাছেই বড় মেলা হয়। ছেলে মেলায় যাওয়ার বায়না ধরেছে। মা যেতে দেবেন না। ব্যাপার দেখে এক প্রতিবেশিনী বললেন, "আমরা ওকে নিয়ে যাচ্ছি।" মা ঘোর অনিচ্ছার সঙ্গে রাজী হ'লেন। বিকেল বিকেল প্রতিবেশী পরিবার বাচ্চাটাকে নিয়ে মেলায় চলে গেল। ছেলে আনন্দ করে মেলা দেখে ফিরে এসে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে, "মা, ও মা, দরজা খোলো। দেখো, কত কী এনেছি!" মা আর দরজা খোলেন না। সবাই মিলে ধাক্কা দেওয়া হল। ভেতর থেকে কেমন একটা সন্দেহজনক গন্ধও আসছে। পুলিসে খবর দেওয়া হ'ল। পুলিস এসে দরজা ভেঙ্গে সেন গৃহিণীর পোড়া শরীর বার করল। তিনি গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়ে মেরেছেন। পাশে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, "ছেলেটাকে নিয়েই গায়ে আগুন দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মেলায় যাওয়ার জন্য এত বায়না ধরল! আহা ছেলেমানুষ, বেঁচে থাক।" 

      এই ঘটনা হৃদয়বিদারক এবং রহস্যময়। শয়তানসুলভ এই ফোনটা কেন আসত? কে করত? স্ত্রীর আত্মহত্যার কিছু দিন পরে সেনবাবু এক প্রতিবেশীর কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। সেই প্রতিবেশীর মুখ থেকে আমি পরে শুনেছি। সেনবাবু'র শ্যালিকা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেও সরে গিয়েছিল। সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল শ্যালিকার নিজেরই। কিন্তু তাঁর ভাই মনে করেছিল বৌদি'র পরামর্শে বৌদির বোন তাকে বিয়ে করল না। ফলে বৌদির ওপরে তার ভীষণ রাগ ছিল। বৌদির জীবন বিষময় করে দেওয়ার জন্যই সে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুকে দিয়ে ফোনটা করাত।

       সেনবাবু কী করে এই রহস্য ভেদ করতে পেরেছিলেন তা প্রতিবেশীকে বলেননি। এমন কী স্ত্রীর আত্মহত্যার আগেই তিনি এটা জানতেন না কী পরে টের পেয়েছিলেন তাও বলেননি। পরে টের পেয়ে থাকলে ভদ্রলোকের কোনো দোষ নেই। কিন্তু আগে টের পেলে তাঁর অনেক দোষ। বুঝিয়েসুঝিয়ে ভাইকে নিবৃত্ত করা উচিৎ ছিল। হয়তো পারিবারিক অশান্তি প্রকাশ্যে এসে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে পুলিসের কাছে যেতে চাননি। কিন্তু পুলিসকে বাদ দিয়ে শুধু ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেই শয়তানি-ফোনকল থামানো যেত বলে আমি মনে করি। সেই সঙ্গে স্ত্রীর মানসিক চিকিৎসা করানো উচিৎ ছিল। তাও তিনি করেননি। ভদ্রলোকের
আচরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

         খুব কাছের লোক এমন কী আত্মীয়রাও যে কত বড় শত্রু হয়ে উঠতে পারে, এই ভয়াবহ ঘটনা তার এক মারাত্মক উদাহরণ। 'আত্মীয়' মানে যিনি আত্মার কাছাকাছি থাকেন। রক্তের সম্পর্ক নেই এমন যে কেউ আমার আত্মার কাছাকাছি থাকতে পারেন। আবার রক্তের সম্পর্ক থাকলেই তার সঙ্গে আত্মিক নৈকট্য নাও থাকতে পারে।

        সন্দেহ বাতিক ভালো জিনিস নয়। বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারে। কারুর মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। তা সত্বেও যুক্তিবুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে যে কোনো ব্যাপারে আমরা মাঝে মাঝেই প্রিয় জনকে
সন্দেহ করে ফেলি। সীমা ছাড়িয়ে গেলে নিজেরাই কিন্তু সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাই।

Post a Comment

0 Comments