জ্বলদর্চি

সিংহপুরের সুসীমা/ পর্ব-৫ /গৌতম বাড়ই

সিংহপুরের সুসীমা 
পর্ব-৫
গৌতম বাড়ই 

(১)

সাতদিন প্রায় অতিক্রান্ত, সুসীমা এখন অন্তঃপুরে আপন ঘরের ভেতরেই আছে স্বেচ্ছায় নিজেকে বন্দী করে রেখে। নিজেকে নিজে অন্তরীণ করে রাখা যাকে বলে। এই ভেতর মহলায় সুসীমার হাঁটাচলা ঘুরে বেড়ানোয় কোনো নিষেধ নেই, তবে তার ভিতরের সেই উদ্দীপনা, চঞ্চলতা যেন অনেক স্তিমিত হয়ে পড়েছে এ কয়দিনে। সুসীমা জানে তার প্রয়োজনে,  অপ্রয়োজনে যে সমস্ত দাস-দাসী তার আশপাশে ঘুরঘুর করছে সবসময়, তাদের বেশিরভাগই পিতৃদেবের নিয়োজিত চর, রাজার কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে অল্প সত্যি আর বেশিরভাগটাই বানানো গল্পকথা তুলে ধরবে। এ ভালোমতন বোঝে সে, তারা সুসীমার সারাদিননামা, ওঠা-বসা, খাওয়া, আচার আচরণের সব খবর রাজার কানে পৌঁছে দিচ্ছে দিনভর। বঙ্গরাজ কিন্তু এরমধ্যে একদিনও মেয়ের সাথে সামান্য কথাটুকু বলতে বা দেখা করতেও আসেননি। রাজহৃদয় চিরকাল পাষাণ হয়, এই বুঝি ধ্রুব সত্য। রাজ আচরণ চিরকাল কপট, লোক দেখানো মাত্র। একেই বলে রাজনীতি। বাইরে মধু আর অন্তরে বিষ- এই বুঝি প্রকৃত রাজধর্ম। নদীর শীতল বাতাসে সুসীমার শয়নকক্ষ এক পবনমন্দিরে পরিণত হয়েছে। এই মনোরম বাতাস, এই জলবায়ু মানুষকে বড় বিবাগী করে তোলে, মানুষকে পরিশ্রম বিমুখ আর  আয়েসীও বানায়। তাই বুঝি বঙ্গদেশের বেশিরভাগ মানুষ কাছারিঘরে বসে গল্পগুজব করে, তামাক- হুঁকো, তাস-পাশা, ইয়ারবক্সী নিয়ে মশগুল হয়েই সময় অতিবাহিত করে। যা অধুনা ক্লাব সংস্কৃতি। বঙ্গরাজের সাতমহলা প্রাসাদ এই বড় নদীটির পাড়েই। 

রাণীমা আসেন প্রতিদিনই একবার দুইবার নিয়ম করে, মেয়ের কাছে। তবে স্নেহের লেশমাত্র নেই মায়েরও চোখে- মুখে, ব্যাবহারে। জনক ও জননী সুসীমার কাছে আজ যেন পাষাণের মতন জড়বৎ। এ কী করে সম্ভব! আসলে এ বিবাদ তার সাথে পিতা- মাতার বেশ কিছু মাস ধরে। সুসীমা মনে- প্রাণে, আচার-আচরণে এই প্রতিষ্ঠানের উপর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন আর তার বাবা-মা স্নেহের পাল্লায় ওজন ক্রমশ কমিয়ে এনেছে। কিছু দূরে, নদীর থেকে ভেসে আসছিল মাঝি- মাল্লাদের গান গেয়ে- গেয়ে নৌকো ভাসিয়ে চলা। রাজমহলের অন্দরে কী ঘটেছে? সে তো তাদের জানবার কথা নয়, এ তো রাজার একান্ত ব্যক্তিগত পারিবারিক ব্যাপার। তবে তাদের গানের ভাষা অমন কেন- " বন্দিনী তুই চির দুঃখীনি তুই, তোর অন্তর গলে যতই হোক না সোনার জল-----" নাকি জলমাটি ছুঁয়ে থাকা , এ প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা মানুষের অন্তরে , এই পৃথিবীর মানুষের ব্যাথা বেদনা আশা হতাশা অদৃশ্য বন্ধনে জড়িত? তাদের বুকে গিয়ে ধাক্কা মারে! রাজমহলের পুব দিকের জানালার গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে রাজকুমারী সুসীমা নদীতে ভেসে চলা নৌকোর ঝাঁকের দিকে তাকিয়ে থাকে। নৌকো নজরে এলেও, বড় বড় পাল, ছই হালকা বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু তার ওপরের মানুষগুলি স্পষ্ট নয়। তার কাছে দূর থেকে কালো- কালো আকৃতির কাক- পানকৌড়ির মতন লাগছে। নদীর যেটুকু চোখে ধরা পড়ে কাছাকাছি, সেটুকু পরিষ্কার দেখা গেলেও, আরও দূরে ক্রমে- ক্রমে তা অস্পষ্ট। আর ওপারের কিছুই তো দেখাই যায় না। ঝাপসা বিস্ময় লুকিয়ে আছে ওপারে। রাজকুমারী এতদিনের মধ্যে আজ প্রথম কানপেতে মাঝি- মাল্লাদের গান শুনলেন। জানালায় দাঁড়ালেন। এতে মরে যাওয়া মনে একটু হলেও খুশির ঝলক দেখা দিল, একটু প্রাণ ফিরে পেল। মানুষের মন তাহলে মরেও যায়?  আবার বেঁচেও ওঠে? শুধু বেঁচে ওঠে না আমাদের এই নশ্বর দেহ। একবার মরে গেলে তা পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। 

সুসীমা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে আজকের বেঁচে ওঠা মনে সবুজ প্রাণের ছোঁয়া পেয়ে দৌড়ে ছুটে তার মহলের বাইরে আসে। আজ রাজপ্রাসাদের এদিকটাও তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ যেন অচেনা মনে হয়। অথচ সব চেনা-জানা। সামনে দন্ডায়মান দ্বারী চোখের ইশারায় আর তর্জনীর মাধ্যমে তাকে আবার অন্দরমহলের তার কক্ষে প্রবেশ করতে বললেন। ভ্রূক্ষেপ করে না সুসীমা, তার অন্তরে যে মাঝিদের মতন মুক্ত সঙ্গীতের সুর আজ বেজে চলেছে। তারপর, এবারে যার সাথে চোখাচোখি হলো,  সুসীমা হতচকিত হয়ে দাঁড়িয়ে গেল সেই স্থানে। তারামৈত্রী তো আগেই হয়েছিল, সেই বলিষ্ঠ শ্মশ্রমণ্ডিত পরাক্রমশালী পুরুষ, তার এ কদিনের স্বপ্ন আরাধ্য পুরুষ- ও, যাকে কায়মনোবাক্যে হৃদয়ের গভীরে স্থান দিয়েছে, এই মুহূর্তে সেই সেনাপতি অনুর সামনে দাঁড়িয়ে। এক মুগ্ধ জোৎস্না থমকে দাঁড়াল রাতের চরাচরের ক্যানভাসে। যার চোখ তাকে মহাপ্রলয়ে যোগদান করবার জন্য আহ্বান করছে যেন। 

" রাজকন্যা, আপনি আপনার অন্তঃপুরে পুনরায় ফিরে চলুন। আপনার জন্য রাজন যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন, তা অমান্য করলে চলবে না। আর আমার উপরে একজন  রাজকর্মচারী হিসেবে যে ভার ন্যাস্ত করেছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে আমায়। অনুরোধ করছি,আপনি ফিরে চলুন আপনার মহলে। না হলে, এতে এখন আপনার ক্ষতি হবে। " - সেনাপতি অনুর রাজকন্যা সুসীমাকে রাজ আদেশ শুনিয়ে দিলেন।

সুসীমা সেনাপতির উদ্দেশ্যে বললেন- " কী ক্ষতি, সেনাপতি মহাশয়? আমার গর্দান নেবেন তো? আইন অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড? এর চেয়ে বেশি আর কিছু তো হতে পারে না? 

সুসীমা দেখলেন, তার কথার পরে, সেনাপতি অনুর মাথানত করে আছেন। তবে যখন মাথা উঁচু করলেন আর রাজকন্যা সুসীমার দিকে তাকালেন, সেই চাওয়াতে এক অন্য গূঢ়তত্ত্ব লুকিয়ে ছিল। এ যেন ইশারা, গভীর কোনও আগামীর ইঙ্গিত। সুসীমাও অনুরের চোখে চোখ রেখে , চোখের ভাষায় কিছু বললেন। চোখের তারায় - তারায় সেতু বন্ধন। তারায়, তারা খোঁজে বন্ধুত্ব, তারামৈত্রী একেই বলে। সুসীমা চোখ সরিয়ে তার অন্দরমহলে ফিরে যেতে উদ্যত হলেন। ‍থমকানো সেই জোছনা আলো যেন ফিরে চলল এ চরাচর ছেড়ে।
🍂

(২) 
বঙ্গেশ্বরের কানে ঝড়ের গতিতে পৌঁছে গিয়েছিল এ বার্তা। সেনাপতি অনুর নিজেই হতবাক হলেন। মহারাজ ডেকে পাঠালেন অনুরকে। নিজের বিশ্রাম কক্ষে বঙ্গেশ্বর অস্থির পদচালনা করছিলেন। অনুর প্রবেশ করতেই পাশাপাশি দুটো কূর্সিতে বসলেন। ঘরের ভিতরে দুজনে একমাত্র মুখোমুখি বসে। রাজা ঘটনা সবিস্তারে শুনলেন সেনাপতির মুখে । রাজচোখকে ফাঁকি দেওয়া অত সোজা নয়, অনুরের কর্মকুশলতার খবর আর তার দেহসৌষ্ঠবের দূর্মর আকর্ষণ একজন অনূঢ়া নারীর, বিশেষত তার কন্যাটির যে তার প্রতি অমোঘ টান থাকবে, তা ভীষণভাবে স্বাভাবিক। কারণ, তার দুহিতাটিকে বড় হয়ে উঠতেই তিনি তার প্রমাণ পেয়েছেন হাড়ে- হাড়ে। সেদিন অনুরের, তার আদেশে প্রবেশের মুহূর্তে তিনি কন্যার চোখের ভাষা পলকেই পড়ে ফেলে ছিলেন। অনুরকে গুরু দায়িত্ব দিয়েও, বঙ্গেশ্বর সেনাপতির ওপর নজর রাখবার জন্য আরও চারজন চর ঐ ভিতর মহলে নিযুক্ত করেছিলেন। তারাই রাজার কানে পৌঁছে দিয়েছিলেন সেই বার্তা, রাজকন্যার সাধ হয়েছিল  বাহিরমহল ঘুরে দেখবার কিন্তু সেনাপতি অনুর রাজকন্যাকে সেই সাধ প্রতিহত করে আবার অন্দরমহলে পাঠিয়ে দিয়েছে। এতে বঙ্গরাজের অনুরের প্রতি এবারে আরও বিশ্বাস জন্মে গেল। রাজা স্বকর্ণে ঘটনার মূলে যিনি প্রধান , সেই সেনাপতির কাছ থেকে পুরো বিবরণ শুনে মিলিয়ে দেখলেন, তা একদম বর্ণে বর্ণে সত্যি। রাজা সেনাপতির উপর প্রচণ্ড খুশি হয়ে তাকে পাঁচটি সোনার মোহর আরও কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেন। আর নিজের মনকে ধিক্কার দিলেন তিনি, সেই চরেদের মধ্যে অতি বিশ্বস্ত ভরতভৃগুকে রেখে পরদিন  থেকে অন্যকাজে নিযুক্ত করলেন বাকি তিনজনাকে, এদের অহেতুক এখানে রাখা, মনে-মনে এই স্থির করেছিলেন। 

কর্মকুশলতার মধ্যে এক মেধার ব্যাপার জড়িত থাকে।সৈন্যদলে দক্ষ হতে গেলে, নেতৃত্বদান করতে হলে, তাকে স্বীয় মেধাতেও এগিয়ে থাকতে হবে অন্যদের চেয়ে। দেহের শক্তি আর মগজের ধী- শক্তি, সেনাদলে একজনের  সাথে আর একজনের পার্থক্য গড়ে দেয়। অনুরও তাই ছিলেন। অনুর সেনাপতির কক্ষে আপাত কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রামে এসেছিলেন। পোষাক পরিবর্তন করে , খাওয়া সেরে খানিকটা চোখবন্ধ করে আরামকেদারায় গা এলিয়ে বসেছিলেন। ভাবছিলেন, এ জগতে প্রাণীকূলের মধ্যে মানুষের জীবনটাই নাটক আর অতি নাটকীয়তায় ভরা। জীবনটা যেমন নাটক আর নাটক করে যাওয়াটাই জীবন। বঙ্গেশ্বর, রাজাধিপতি তিনি, অবশ্যই  বুদ্ধিমান কিন্তু অনুরের চেয়ে বুদ্ধিমান নয়। ভাবতে ভাবতে নিজের ভাবনাতেই  হেসে উঠলেন তিনি। রাজা ভরতভৃগুকে সঁপে দিয়েছিলেন দায়িত্ব, তার উপরে চরগিরি করা, এইটিকে মন থেকে মানতে পারছেন না তিনি। সেনাপতিরও তো রক্ষীদল আর সৈন্যদল চালনা করতে বিভিন্ন লোকজনের প্রয়োজন হয়, বঙ্গেশ্বর হয়ত সে কথা জানেন না। ভরতভৃগু তাই হয়ত জানেন , অনুর এই ব্যাপারে বিন্দুমাত্র জানেন না । অথচ অনুরের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তো আর পাঁচজনের থেকে অনেক বেশি সজাগ ও সক্রিয়। অনুরের নাকে এইসব গন্ধগুলো অনেক আগে এসে ঠেকে। তাই তার দাঁতে দাঁত চেপে এলো, স্থির করলেন এক কঠিন সিদ্ধান্ত।

অন্দরমহলে অনেকদিন পরে সুসীমার এক বাল্যসখী মন্ত্রীকন্যা সুললিতার প্রবেশ ঘটেছে। একমাত্র  মন্ত্রীকন্যারই  এখানে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। এ কারনে দুই সখী আজ গল্পে-গল্পে মেতে উঠলেন। এ ওর কানের কাছে  কী বলছেন আর খিলখিল করে হেসে উঠছেন। রাজা জানতেন , এইভাবে সময় তার দুহিতাকে সব ভুলিয়ে দেবে। এই চপলতা, এই অস্থিরতা সময়ের আর বয়সের। এই ঘেরাটোপেই  তার সমস্ত চপলতা, অস্থিরতার অবসান ঘটবে। মন্ত্রীকন্যাকে তিনি মন্ত্রীকে বলে নিয়ে এসে পাঠিয়েছিলেন তার কন্যার নিজের কক্ষে। মহারাজ বঙ্গেশ্বর এরমধ্যেই পশ্চিমের জনপদগুলির দিকে দূত পাঠিয়েছিলেন, বিশেষত মগধ- কাশী- কোশলের মতন সমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলিতে , অনূঢ়া রাজকন্যার জন্য বিবাহযোগ্য রাজকুমারের সন্ধানে। যদি কোনো উপরাষ্ট্রের ছোটো রাজার উপযুক্ত বিবাহযোগ্য রাজকুমারও থেকে থাকেন, পছন্দ হলে তিনি শুভকাজটি বা রাজকন্যার বিয়েটি সেরেই ফেলবেন। শুভস্য শীঘ্রম- বলে একটি কথা আছে। আর বিশেষ করে সেই উদ্ভূত বিশৃঙ্খল সময়ে। রাজা চিন্তামগ্ন, তিন মাসাধিক কাল উত্তীর্ণ,  এখনও দূত খবর নিয়ে ফেরেন নি। বঙ্গরাজ মনে মনে এই ধারণা পোষণ করতেন, দেরীতে হলেও রাজকন্যার জন্য সঠিক এবং ও উপযুক্ত রাজপুত্রের খবর নিয়ে দূতেরা ফিরবেন। তার রাজবংশ তো যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণশালী ,  তিনি মহাভারত যুগের বঙ্গদেশের সেই সমুদ্রসেন আর চন্দ্রসেনের বংশধর। বিলম্বের খবরে মিষ্টতা থাকেই। আর এরমধ্যেই রাজপ্রাসাদের ভিতর ঘটে গিয়েছে এইসব অনেক কিছু। বঙ্গরাজ কিন্তু কন্যার সাথে এখনও দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন।‌

রাজমহিষী পাচক ও পাচিকাদের দিয়ে, কন্যার সেদিনের মনের খুশির হাবভাব দেখে, নিজের তত্ত্বাবধানে রাজার রন্ধনশালায় তার জন্য সবিশেষ পছন্দের পদ তৈরি করালেন। অবশ্যই আছে শকুলের টক তেঁতুল দিয়ে , তেল শফরীর ব্যাঞ্জন, ওলের ঝাল তরকারি, খুব প্রিয় সুসীমার। দাসীদের দিয়ে রাজকন্যার ভোজনকক্ষে রন্ধনাদি পাঠিয়ে দিলেন। রানীমা মেয়ের সাথে আজ অনেকদিন পর সখীর মতন আচরণ করে কথা বললেন। তবে কোনো বিতর্কে গেলেন না, কোনো বিতর্কিত বিষয় টেনেও আনলেন না। এতদিন ধরে রাজকন্যা কোনো খাবার বলতে গেলে মুখেই তুলছিলেন না, আজ কন্যার খাওয়া দেখে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলেন, শান্তি পেলেন মনে। 

বলে গেলেন, আজ সায়াহ্নে আবার আসবেন রানীমা মেয়ের কাছে। সারাটা রাজপ্রাসাদ যেন আজ আলোতে ভরে উঠেছে,  সবখানে খুশির ঝিলিক। দাস- দাসীরা খুশি, খুশি সবাই । তবে রাজাধিরাজ বঙ্গেশ্বরের খুশির আমেজ টের পাওয়া যায়নি এখনও।
বঙ্গেশ্বরের কানে নিশ্চয় তার নিযুক্ত গুপ্তচরেরা অন্দরমহলের সব খাসখবর তুলে দিয়েছে!

বেলা পড়ে আসছে রাজমহলের ঘরে-ঘরে, বড় সেই  নদীর পাড়ে সাতমহলা রাজপ্রাসাদে। 

* শকুল= শোলমাছ, শফরী= পুঁটিমাছ

ক্রমশ

Post a Comment

1 Comments