সুব্রত মাইতি
আমি বা আপনি স্রোতের বাইরে দু একটি কথা উচ্চারণ করলেই, আপনার কথাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে লোকে উপহাস করবে।আর সদর্পে বলে "আপনি সবজান্তা "।এলাকায় আপনাকে বিশেষ কিছু মানুষের রোষানলে পড়তে হবেই। কী অদ্ভুত সময় বয়ে চলেছে।
এর মাঝে কিছু আলোর মানুষ পাশদিয়ে পাশকাটিয়ে চলে যাচ্ছেন তিনি জানেন তাঁর পেছনে অন্ধকার ধীরে ধীরে ঘিরে আসছে তবুও তাঁর মুখে কোন কথা নেই বিন্দু মাত্র হেলদোল নেই। প্রতিটি এলাকায় একজন করে বীরপুরুষ আছেন,তিনি যা বিধান দেবেন তাঁর এলাকার প্রজাদের তা মাথা পেতে মানিয়ে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। আর তা যদি না করেন আপনি এলাকার সমাজ বিরোধী হিসেবে বিবেচ্য হবেন। এলাকা থেকে সমাজ মাধ্যমে ও নানা তামাশা দেখতে পাবেন আপনাকে নিয়ে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সকলে দেখছে প্রতিদিন হোঁচট খেতে খেতে নিজের কাজে যেতে হয়, রাস্তা পেরোতে হয়। কতগুলো সমস্যা এসে আপনার দুয়ারে হাজির। কারো কোন হেলদোল নেই সবাই নির্বাক নিশ্চুপ। এলাকার বীরপুরুষ কতগুলো আপত্তিকর বিধান আপনাকে চাপিয়ে কি উচ্ছাস। আবার কারণে-অকারণে আপনাকে নানা ফাই ফার্মাসের অংশীদার হতে হবে। এটাই নাকি মেরুদন্ড ভালো রাখার কৃৎকৌশল। শুনলে আপনি আশ্চর্য হবেন এলাকায় সব জায়গাতেই তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র।আর সবাই গ্রহ কিংবা উপগ্রহ। আপনাকে নিচে বসে হাততালি ও অভিনন্দন জানিয়ে সভাকে প্রাণ দিতে হবে,এটাই স্থির সিদ্ধান্ত।
হয়তো আপনি আপনার এলাকার কোন সমস্যার কথা সমাজ মাধ্যমে বললেন। আর রক্ষে নেই সেখানেও আক্রমণ নেমে আসছে সামান্য সময়ের ব্যবধানে। এর মাধ্যমে নাকি আপনি সমাজের স্বাভাবিক গতিকে ক্ষুন্ন করছেন,সামাজিক পরিস্থিতিকে কালিমা লিপ্ত করছেন তাই আপনাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হবেই। শেষ পর্যন্ত সেই বিচার বীরপুরুষের কাছ পর্যন্ত পৌঁছবে। একই সঙ্গে আপনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ।
এতো গেল নিজের মতো করে কথা আপনার সীমানার কথা। বাড়িতে সংবাদের চতুর্থ স্তম্ভের দিকে তাকালে সমাজের বেয়াব্রু চেহারা চোখে পড়বে প্রতিদিন। আলোচনা সমালোচনা যুক্তি তর্ক পাল্টা যুক্তি বিতর্কও। এই বেয়াব্রু কথাগুলো শোনার পরও কারো মনে এই অবক্ষয়ের বিন্দুমাত্র ছাপ নেই। আসলে অসংলগ্ন কথা বেআব্রু নিয়ম গুলো নিয়ম হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে। অন্যায়টাই প্রতিষ্ঠা পেয়ে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক প্রতিষ্ঠানে।কত সহজে সবাই অনায়াসে এই কালো সময়টাকে অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছে।সেই সঙ্গে মানিয়ে দিব্যি চালিয়ে নিচ্ছে। প্রতি মুহুর্তে দেখলাম উপলব্ধি করলাম সময় কতটা নিরুপায়, নেহাৎ ঘড়ির কাঁটা স্থির নেই তাই চলছে অবিরাম। নাহলে নিজে নিজেই থেমে যেত এই মৃত সময়ের কাছে। আসলে এত বীর আর বীরত্বধারী চারপাশে সময় দাঁড়াবে ভাবতে সেও ভয় পায়।শতশত কালো হাতে হাত রাখতে রাখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে সকলে, জল উপরের দিকে যায় সব পারিষদ বর্গ মাথা নেড়ে বলেন হুম যায় তবে।
আসলে শীত লাগার ভয়ে কানচাপা টুপি দিয়ে ভাঙা রাস্তায় সবাই দিব্যি পায়চারি দিচ্ছি। পাশাপাশি কত মানুষের জীবন ঝরে পড়ার উপক্রম। ভালো নেই এ কথা বলা নাকি অন্যায়।কালো সাপ দিনের আলোয় ও গভীর অন্ধকারে গর্জন করে।
1 Comments
সঠিক কথা বলেছেন
ReplyDelete