রোশেনারা খান
পর্ব ৯৫
সাহবাজের মা ইয়াসমিনের সুগার বেড়ে ৫০০ তে পৌঁছেছে। তাই ওরা মাকে কলকাতা নিয়ে গিয়ে আর এন টেগোরে এডমিট করেছে। বড় ছেলে বউমা কলকাতায় আছে। বাড়িতে একটাও কাজের লোক নেই, একজন ডেলি লেবার ও ম্যানেজার আছে, আমাদের বাড়ি থেকে ওরাই দুবেলা খাবার নিয়ে যায়। সাহবাজ মায়ের চিন্তায় কেমন যেন হয়ে গেছে।
জন্মেঞ্জয়দা (খান সাহেবের সহকর্মী ও পারিবারিক বন্ধু) ফোন করে জানালেন পেনশনের টাকা আমার একাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু আমার ফোনে মেসেজ আসেনি শুনে বললেন, অনেক সময় এরকম হয়। আগামিকাল অফিস টাইমে একবার কোনো স্টাফকে ফোন করে জেনে নিতে বললেন, কত টাকা দিচ্ছে, ফেব্রুয়ারি থেকে এরিয়ারটা দিয়েছে কিনা। পরের দিন ব্যাঙ্কে ফোন করে জানলাম, খান সাহেব যে পেনশনটা পেতেন, আমাকে তার অর্ধেকেরও কম দিয়েছে। তবে ৮ মাসের এরিয়ারটা দিয়েছে। কী আর করা যাবে? যেমন চাদর, তেমনই পা ছড়াতে হবে।
দুর্গাপুজো এসে গেল, আজ চন্দ্রিমা আর ওর মায়ের জন্য সাড়ি কিনে আনলাম। বাজারে যাইনি, চাইনার বাড়ি থেকে কিনে আনলাম। আজ সাহবাজের মা, দাদা, বৌদি কলকাতা থেকে ফিরেছে। অনেকটা চিন্তা মুক্ত হলাম। তবে সাহবাজকে নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না। কাজপাগল ছেলে, বাড়িতে থাকতেই চায়না।
নানা কারণে আমার মন একদম ভাল নেই। নানারকম অশান্তি ঘিরে রেখেছে। চিরকালই দেখে আসেছি, আমি যে কাজ করিনি, তার জন্য আমাকে দায়ি করা হয়েছে। আজও সেইরকমটাই ঘটছে। উনি চলে যাওয়ার পর আমাকে একা পেয়ে ২/১ জন যা খুশি বলে বেড়াচ্ছে। তবে সেটা আমার আড়ালে। আমি যে কাজ করি তাতে অনেকেই ঈর্ষান্বিত।আমি বাইরে বের হচ্ছি, গাড়ি নিতে আসছে। আমি বিধবা মানুষ(?), আমার কেন বাইরে বেরনো ?
🍂
সময় চলছে সময়ের মত, আমি চলছি আমার মত। মনটাকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি না। পুরনো কথা মনে পড়লেই বুক ভেঙ্গে কান্না আসছে। এর মধ্যে একদিন চন্দ্রিমাদের বাড়ি গিয়ে আমি রানী পুজোর জামাকাপড় দিয়ে এসেছি। রানী আলাদা দিয়েছে। আজ গোপাকে একটা কবিতা পাঠালাম ভিডিও করার জন্য। জানিনা কেমন হবে? ‘আজ লাভজেহাদ’ এর ওপর একটি লেখা শুভাশিষকে পাঠিয়েছি। কাল দেওয়ার চেষ্টা করবে বলেছে।
আজ প্রায় ৮ বছর পুজোর সময় মঙ্গলাপোতা যাইনি। যাওয়ার কোনও উৎসাহ পাইনা। রানী সাহবাজ একদিন যাবে বলছে, গেলে আমিও যাব ভাবছি।। শুনছি্, দুপুর ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত প্রতিমা দর্শনের ছাড় দেওয়া হবে। বাকি সময় কারফিউ জারি থাকবে।
আজ দুর্গাপুজোর ওপর একটা লেখা শুরু করেছি, পুজোর আগে শেষ করে কোথাও না কোথাও পাঠিয়ে দেব। আসলে লেখার সময় পাওয়াটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি, তখন আর লিখতে ইচ্ছে করে না। কাজের লোক একটা পেয়েছি। একটু বেশিই টাকা নিচ্ছে, কিন্তু উপায় নেই। অনেকেই ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন, কেমন আছি? প্রয়োজন হলে যেন তাঁদের জানাই। আজ রেখাদি ফোন করেছিলেন। অনেকক্ষণ কথা হল। এই যোগাযোগ মাধ্যম না থাকলে লকডাউনে মানুষ পাগল হয়ে উঠত।
কথায় আছে, সাপের বিষ নামানো যায়, কিন্তু মানুষের মনে যে বিষ আছে, তাকে কখনোই নামানো যায় না। ওই টপ ডিগ্রিধারী মহিলা ঈশানকে এমন কিছু বলেছে যে ওর আচরণ কেমন যেন বদলে গেছে। যাক, তাতে আমার কিছু এসে যায় না। সকালটাই একটু ভাল থাকি। তারপর শরীর আর চলে না। কী যে হয়েছে, বুঝতে পারছি না। সন্ধ্যাবেলা ছবি ফোন করে বলল, এক আত্মীয় খুবই অসুস্থ, কিছু টাকা চেয়েছে। মনি খড়গপুরে আছে জেনে বাড়ি ফেরার সময় দেখা করতে বললাম। ওর হাতেই কিছু টাকা পাঠিয়ে দেব।
কোমরের ব্যথাটা কিছুতেই যাচ্ছে না। ব্যায়াম করলে বাড়ছে। আজ মহা সপ্তমী, ছোটবেলায় বাড়িতে বসেই দেখতাম ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নতুন জামা পরে হাতে পাঁপড়ভাজা বেলুন নিয়ে ঘরে ফিরছে। এখন আর ওসব মন টানে না। আমার ‘কোন এক গাঁয়ের বধু’ কবিতাটির ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। কিছু শব্দ ভুল উচ্চারণের জন্য অর্থ বদলে গেছে। আসলে এগুলো হয় কমনসেন্সের অভাবে। ‘কান্না হাসির ‘কলতান’কে ‘করতাল’ বলে কেউ? এই রকমই কয়েকটি ভুল থেকে গেছে, ওটা বাদ দিলে খুবসুন্দর হয়েছে।
বহু বছর পর আজ সাহবাজ ও রানীর সঙ্গে মঙ্গলাপোতার পুজো দেখতে গেছলাম। প্রথমেই আমরা গাড়ি থেকে নেমে ভাঙ্গাচোরা রাজবাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করলাম। বাড়ির সামনের দিকটাতে নতুন রং করা হয়েছে। বাড়ির ভিতরে মন্দিরটি ছাড়া বাকি সবই ভেঙ্গে পড়েছে।এর ভিতরেই ২/১ জন বাস করেন। কিছু ছবি তুলে আমার শৈশবের বাড়িতে গিয়ে ঢুকলাম। আর আমি বের হইনি। অনেকেই দেখা করতে এলেন। রানীরা গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ছিল। সন্ধ্যা ৭ টায় বাড়ির পথে রওনা দিলাম। বোন আর মেজদি চাল গুড়ির রুটি ও দেশি মুরগির ঝোল বানিয়ে দিয়েছে দুই বাড়ির জন্যই, রাতে আর রান্না করতে হবে না।
মন ভাল যাচ্ছে না। তার ওপর এক বন্ধু(?)অমানবিক ব্যবহার করেছেন, যা আমি অন্তত ওনার থেকে আশা করিনি।অথচ নিজেকে ‘অকপট’ বলে প্রচার করেন। আশ্চর্যের ব্যপার উনি যাঁদের নিন্দে করেন, তাঁরা ওনার প্রশংসা করেন। আসলে খুব কাছে না গেলে বুঝতে পারতাম না উনি কতটা ভাল বা খারাপ।
রানীর কবে রেজাল্ট আউট হবে জানতে উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহাকে ফোন করেছিলাম। নানা বিষয়ে অনেক কথা হল। রাতে রেজাল্ট আউট হতে দেখা গেল রানী ৭৬% নাম্বার পেয়েছে। ও আরও বেশি আশা করেছিল। আগের পরীক্ষাগুলোতে আরও বেশি নাম্বার পেয়েছিল। যাই হোক, এখন চিন্তা B. Ed করবে কোথা থেকে? পরদিন মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ সেনকে ফোন করে জানলাম, ওঁদের অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ চলছে। মেধা বিচার করে নেবে। মাস্টার ডিগ্রি থাকলে চান্স পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে। ওরা তো এখনো রেজাল্ট হাতে পাইনি। দেখা যাক কী হয়।
নভেম্বর মাস চলছে। লাইফ সারটিফিকেট জমা দিতে হবে। কী ভাবে কী করতে হবে কিছুই জানিনা। তাই তন্ময়দাকে ফোন করলে উনি বলে দিলেন। সেইমত ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিলাম। এদিকে UBI থেকেও খান সাহেব মাসিক একটা টাকা পেতেন, আমি সেটার অর্ধেক পাব, তাই সবকিছু লিখে ম্যানেজারকে দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে গেলাম। এটা সেটা বলে লাইনে না দাঁড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। কিন্তু ম্যানেজারের কাছে পৌঁছাতে পারলাম না। মিটিং চলছিল। তবে মন্দের ভাল, এসিতে বসে আছি। মিটিং শেষ হতে ভেতরে ঢুকে আমার এক কপি বই ম্যানেজারের হাতে দিলাম, যাতে উনি আমার কাজটা ওজর আপত্তি না করে সহজে করে দেন। আমার বুদ্ধিটা কাজে লাগল। উনি বিশ্বয়ভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি বই লেখেন! আগে বলবেন তো? বললাম, কী বলব? আমি একজন লেখিকা, আমার কাজটা করে দিন? নিজের কথা নিজের মুখে এভাবে কি বলা যায়?
যাইহোক উনি সই করে দিলেন। ইতিমধ্যে দুজন কাস্টমার ম্যানেজারের চেম্বারে আমাকে দেখে একজন জিজ্ঞেস করলেন, দিদি ভাল আছেন? কিছু পরে আর একজন জিজ্ঞেস করলেন, ম্যাডাম কেমন আছেন? ম্যানেজার তখন বলে উঠলেন, আপনারা দেখছি সবাই ওনাকে চেনেন, আমিই শুধু এতদিন চিনতাম না!
রানীর B.Ed পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। বিশ্বজিৎ তাই ওকে কলেজে ডেকেছিলেন। আমিও সঙ্গে গেছলাম। অধ্যক্ষর সঙ্গে আলাপ হল, উনিই সব দেখিয়ে দিলেন। ওখান থেকে সাইবার কাফেতে গিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করল। এখানে চান্স পেয়ে গেলে, বাড়ির কাছে হবে। এই সবই ভাবছিলাম, হঠাৎই ফোন এল, ‘সঙ্কল্প ফাউ ফাউণ্ডেশন থেকে রত্না ফোন করেছে, ওদের আবদার আগামিকাল আদিবাসীদের ‘বাঁধনা পরব’ উপলক্ষে ওরা এই সদর ব্লকেরই একটি গ্রামে যাবে শাড়ি কাপড় দিতে। আমাকেও নিয়ে যেতে চায়। এমনভাবে বলল, না করতে পারলাম না। তবে গিয়ে ভালই লাগল। ওরা একরকম জোর করেই সদস্য বানিয়ে নিয়ে ছিল। তবে কয়েকমাস পরে আমি বেরিয়ে এসেছিলাম সময়াভাবে।
রানীর জন্মদিন(১৬/১০), সাহবাজ রাত ১২ টাতে কেক নিয়ে এসেছিল। কোলাঘাটে একটি রেস্টুরেন্টে পার্টি রেখে ছিল। পার্টিতে কিছু বন্ধু আর দুই পরিবারের সদস্যরা ছিলাম। এলাহি খাবারের আয়োজন ছিল। আমি ওখানে থেকেও ছিলাম না। বাড়ি ফিরতে রাত ১২টা বেজে গিয়েছিল। জন্মদিনের পার্টি তো হল। চিন্তা তো B.Ed কলেজে অ্যাডমিশন নিয়ে। গতকাল মঙ্গলাপোতা এসেছি। আসলে কিছুই ভাল লাগছে না।একটু স্বস্তির জন্য ছুটে আসা।২/১ দিনের মধ্যেই ফিরে যেতে হবে। বিশ্বজিতের ফোন পেয়ে রানী মেদিনীপুর গেছে। ওর দুটো পেপারস নাকি জমা দেওয়া হয়নি। ফিরবে বলে গিয়েছিল, কিন্তু ফেরেনি। দুপুরে শাশুড়ির কাছে খেয়ে কলেজ গিয়েছিল। রাতে খাবার অর্ডার দেবে। আমাকেও ফিরে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে। তাই তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। বাবলি রোজ ফোন করে খবর নিচ্ছে।
শেষপর্যন্ত সরকারি B.Ed কলেজে অ্যাডমিশন হয়ে গেল। কলেজ খুবই সহযোগিতা করেছে। এরকমটা হওয়ার কথা নয়। প্রচুর পরিমাণে ফর্ম জমা পড়ায় সমস্যা হয়েছে। এর আগে কখনো এমন হয়নি। অনেকদিন পর আজ বৃষ্টি ফোন করেছিল। ও ভাল সঞ্চালিকা ও বাচিক শিল্পী। ও বলল, তোমার শর্টফিল্মটা দেখেছি, তোমার অভিনয় খুব ভাল লেগেছে। ‘আমি একটি কবিতার ভিডিও করব। মা বৃদ্ধাবাসে থাকেন, ছেলে খোঁজ নেয় না। এই মায়ের রোলটা তুমি যদি করে দাও’।আমি রাজি হয়েছি।
এই করোনা কালে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে আজ(৭/১২) বিশাল জন সমাবেশ হয়েছিল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তাই নিজের জনপ্রিয়তা বোঝানর জন্যই এই জনসভার প্রয়োজন হয়েছে। এগুলোকে সেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কী বলা যায়? আসলে এই সমস্ত মানুষ ওঁদের কাছে দাবা খেলর ‘বোড়ে’ ছাড়া কিছুই না।
আজ ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ের জন্মদিন ও মৃত্যুদিন। জন্মদিনটা নিশ্চিত নয়। তখন ছেলে মেয়েদের জন্ম তারিখ লিখে রাখার রেওয়াজ ছিল না বললেই হয়। সে যাই হোক, ওনাকে নিয়ে একটি লেখা আজ জ্বলদর্চি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদক ঋত্বিকই লিখতে বলেছিলেন।
একটা খুব খারাপ খবর শুনে মনটাও খারাপ হয়ে গেল। হায়দার আলি নামে মেদিনীপুরের এক সঙ্গীত শিল্পী করোনায় মারা গেছে। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিল। ওখানেও মারা গেছে। এ পর্যন্ত চেনা জানা অনেক মানুষ মারা গেছেন। আজ মেয়ের ফোন থেকে জানলাম দীপের করোনা হয়েছিল, সোমবার কাজে জয়েন করবে। ওখানে ভ্যাক্সিন শুরু হয়ে গেছে। ডাক্তার ও অন্যান্য যারা চিকিৎসা পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত, তারা আগে ভ্যাকসিন পাবে। বাবলিকে নাম জমা দিতে বলেছে। কিন্তু ওরা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। মনি এসেছিল বাজার দিতে। জানলাম ওর পিঠে একটা টিউমার হয়েছে। থাইরয়েডেও একটা সিস্ট হয়েছে। ডাক্তার আগে পিঠের টিউমার অপারেশনের কথা বলেছেন। ওকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।
চিন্তায় আছি রানী সাহবাজের বিয়ে নিয়ে। বেশ কয়েকবার দুই বাড়ির লোকজন আলোচনায় বসেও এ বছর বা সামনের বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিয়ের ডেট করা গেলনা। অসুবিধা ও আপত্তি ওদের তরফ থেকে। ওরা ২০২২ এর অক্টোবরে চাইছে। সেই সময় বাবলিরা আসতে পারবে না। আমিও থাকব না। ইংল্যান্ড যাব। বাবলি অবশ্য বলেছে, ওরা যা বলছে তা যেন মেনেনি।
আজ ‘আওয়াজ’ এর একটি মিটিং ছিল, শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারিনি। সন্ধ্যায় ফিল্ম সোসাইটি হলে ছোটোদের একটি শর্টফিল্ম রিলিজের অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছিল। ওরা এসে নিয়ে গিয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। আমি ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধার্থ সাঁতরা, বিশ্বজিত সেন, অনন্যা মজুমদার। বহুদিন পর অনেকের সঙ্গে দেখা হয়ে ভাল লাগল।
রেহান কৌশিকের(কবি)মাধ্যমে ধীমান পালের সঙ্গে আলাপ। উনি আমার আর্টিকেলগুলি নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করতে চান। উনি জানিয়েছেন, জেরক্স লেখা বা হাতে লেখা নেবেন না। অভ্রতে লিখে ফাইল করে দিতে হবে। তাই ডেক্সটপে যে লেখাগুলো আছে সেগুলো সাইবার কাফেতে গিয়ে ফাইল করতে হবে। যে কয়েকটা নেই, সেগুলো অভ্রতে লিখতে হবে। বেশ ঝামেলার ও সময়সাপেক্ষ ব্যপার।
আজ তাপস মাইতির কবিতা উতসবে গেছলাম। ওখানেই দুপুরে খেয়েছি। আর এবছর সম্ভবত কোন অনুষ্ঠান নেই। এবার বাড়িটার প্রতি নজর দিতে হবে। অনেক জায়গা ভেঙ্গেচুরে গেছে। মনিকে বলেছি ভাল মিস্ত্রীর খোঁজ করতে। ওর বাড়ির কাজ করে আমাদের গ্রামের পরিচিত একটি ছেলে। ওর কথা মনি বলছিল। একদিন নিয়ে আসতে বলেছি।
দিনে দিনে লেখার চাপ বাড়ছে। কী ভাবে কী করব জানিনা। আজ ঋত্বিক মেসেজ করেছে, লেখা পাঠান। কী বিষয়ে লিখব? জিজ্ঞেস করাতে বলল, ভাবুন। আমার আত্মকাহিনীর প্রথম কয়েকটা পর্ব পাঠিয়েছি, পছন্দ হলে ধারাবাহিকভাবে এখানেই লিখব। আপাতত ‘বাংলার পিঠে’ শিরোনামে একটি লেখা ঋত্বিককে পাঠিয়েছি। ওর ভাল লেগেছে।
আজ বাবলি ভিডিও কল করেছিল। জারার সঙ্গেও কথা হল।ওরা ভাল আছে।বিকেলে মনি রাজমিস্ত্রী রাজুকে নিয়ে এসেছিল। কী কী করতে হবে বল্লাম,ও মনিকে জানিয়ে দেবে কত খরচ হবে।
ক্রমশ
0 Comments