জ্বলদর্চি

এ কোন আঁধার/বাসুদেব গুপ্ত

এ কোন আঁধার 

বাসুদেব গুপ্ত

১। 
কত হাজার ফেললে বোমা গণহত্যা বলা যায়
কত মানুষ জ্বালালে তাকে বলা যায় হলোকাউস্ট
কতটা লজ্জা থাকলে তবে দেশের লোকও মানুষ ?
উত্তরটা পুড়ছে সাদা ফসফরাসের আলোয় দেখো  শ্বেত পতাকায় ..

২। 
মিথ্যে কথার প্রচারে তুমি নিরীহ দেশবাসী
ভাবছো বুঝি যুদ্ধ হচ্ছে হাজার মরছে মানুষ 
দেখোনি শ্যামা পোকারা কেমন আগুনে হয় ধোঁয়া
দিওয়ালী হচ্ছে একটু আগে লাড্ডু বাঁটো ভায়া    

৩। 
দেখো দেখো সব ভুল খবর দুষ্টু ছেলের দল
দিব্যি বেঁচে, ভাঙা বাড়ির স্তূপের নীচে শুয়ে
লুকোচুরি খেলছে আর ট্যংকে চড়ে স্যার
হন্যে হয়ে খুঁজছে যাবে শাস্তি ঘরে নিয়ে। 
যেমন ঘরে আউসউইৎস যেমন ঘরে ধোঁয়া
স্যারেরা সব দেশ বিদেশের খায় বারুদের মোয়া
ঐ দেখো না টুকরো টুকরো হাত পা মুন্ডু জুড়ে
বাচ্চা গুলো খিলখিলিয়ে যাচ্ছে স্বর্গপুরে। 

ধড়িবাজ। 
সব মিথ্যে। ধড়িবাজ। 
একবার নামটা শোনো, দেখ কি পরেছে কি খায়
বুঝতে কি দেরী ওদের কাছে
আমরা, হ্যাঁ আমরা কি ভীষণ অসহায়

আকারে কিছু হয় না, কাঁচুমাচু মত
চোখে  টলটল টলটল জল দু এক ফোঁটা
ওরা শেখে, ওদের ইস্কুল আছে, বদশিক্ষা পায়
ওরা রোজ প্রার্থনা করে আমরা নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাই,

আকারে  কিছু হয় না। 
মশা কি আকারে বড়? আরশোলা ?
আরও যত বিদেঘুটো পোকা ওদের ভাষাটা শুনো
যেন পোকার বিরক্তিকর শব্দ কি বলে অদ্ভুত ভাষায় 

ওরা মিথ্যে। ওরা কখনও ছিল না আজও নেই
কোয়ান্টামের মত হঠাৎ আবির্ভূত হবে তাই 
বোমা রাখি সাজাই উড়ুক্কু প্লেন ডবকা কামান
ভাত রুটি না হোক যুদ্ধের জন্য ঠিক তৈরী থাকা চাই
ওরা বেরোলেই, মাটির নীচে থেকে উঠলেই
ঠ্যাক ঠ্যাক ঠ্যাক টারারারারা। 
আহা যেন বাজে হাজার হাজার হোলি ঘণ্টা 
জাপান ভিয়েতনাম ইরাক আর আজ এই ফুটবল মাঠে
ঘণ্টা বেজে যায়। কার?

সব মিথ্যে। বানিয়ে বানিয়ে বলবে বাড়িয়ে বাড়িয়ে  বলবে 
আহারে বাচ্চা মরে যায় আহারে অশ্রুজল বন্যা হয়ে যায়
কেঊ আর বিশ্বাস করে না
কেউ না। তুমি আমি যদু মধু নয় রাষ্ট্রগুরুরাই আর 
বিশ্বাস করেন না
কারণ ওরা তো ছিলোই না। ঐ যারা নিজেদের মানুষ মানুষ 
বলে কাঁদে।  এখানে ওখানে পথ ভাসায়। 
ওরা নেই। যারা আছে
ভয় নেই শেষ হয়ে যাবে। 

তারপর শান্ত হলে সব 
দেখো কোথাও কোথাও নেই শব
পাখি হয়ে মিথ্যুক বাচ্চাগুলো অজানা আকাশে উড়ে গেছে।

🍂

Post a Comment

0 Comments