অঞ্জন দাস ও বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
ঝড় খোলা জামা
অঞ্জন দাস
১.
উত্তরা থেমে যায় ফ্রিজ খোলা দেহে
খিদে পচে সপ্তরথী আপন মানে না
জন্মপ্যাঁচ ফেরি গায়ে সমুদ্র বানালো
শামুকের মেরুদণ্ডে মুক্তি কামনা
পরিচয় ভাঙে রোজ অমেরু বাতাস
আত্মলোভ মুণ্ডুহীন দাঁড়িয়ে বসতি
হিংসা ক্রোধ সংস্কৃতি চাপলে আঙুলে
চক্রবৃদ্ধি সুদ গোনে রাধিকার পতি
২.
ক্ষতি কি জানে না কৃষ্ণ! শকুনির চাল
কর্ণ আসেনি ঘরে লুন্ঠিতা লুটায়
সারি সারি অধর্ম দিনচোরা পোষে
ধর্মপুত্র জুয়া খেলে শ্রেষ্ঠ বাঁচায়
খাঁচাও বানানো যায় জ্বলদর্চি পাখি
দেশভক্ত বহুক্রোশ সিন্নি চেঁটে খায়
চেয়েছেন লক্ষী বলে আমরা উতলা
মিথ্যা পথে যেও না, আয় ফিরে আয়
🍂
বাবা
বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনো সবকিছু ঠিকঠাক ভুলে উঠতে পারিনি
চশমার কাঁচে এখনো লেগে রয়েছে
পালক পাতার ঘাম আর নিশ্বাস...
ঘরময় গাম্ভীর্য রেখে গেছো
প্রতিটি পায়ের ছাপে
অথচ নির্বিকার...
দেওয়াল ঘড়ি...টানটান বিছানা, বইয়ের শোকেস...
আলপনা আঁকা মেঝে...
ঠিকানা বদলে আজ শুধুই শুন্যস্থান
খুঁজে ফেরে মায়াময় পুরানো ক্যালেন্ডার
এই বাড়ি, আসবাব ঐশ্বর্য...
তোমার উপুড় করা দুহাতে
লেগে আছে আমাদের সারাজীবন
জীবনের উৎসমুখ...
0 Comments