জ্বলদর্চি

বালিযাত্রা /ভাস্করব্রত পতি

পশ্চিমবঙ্গের লৌকিক উৎসব, পর্ব -- ১০১

বালিযাত্রা

ভাস্করব্রত পতি

'সুবর্ণরেখার পরে বালিযাত্রা মেলা।
বহু পুরাতন ইহা পাণ্ডবের লীলা।।
পবিত্র তীর্থে স্নান করে যেই জন।
অন্তে মোক্ষ হয়ে যায় বৈকুণ্ঠ ভূবন'।।
লোককবি সুরেশচন্দ্র সাউয়ের লেখা পয়ার ছন্দের এই কবিতাটি সুবর্ণরেখার পাড়ের বালিযাত্রা স্মরণেই লিখেছিলেন কোনও এক সময়ে। সেই উৎসব আজ সীমান্ত বাংলার মানুষজনের একান্ত নিজস্ব লৌকিক উপচারসমৃদ্ধ উৎসব হয়ে টিকে রয়েছে। 

সুবর্ণরেখার পাড়ের বালিযাত্রা এবং মহানদীর পাড়ের বালিযাত্রা দুটি ভিন্নতর উৎসব। নামের ক্ষেত্রে মিল থাকলেও উপচার পালনের নিয়মকানুন ও তিথির ক্ষেত্রে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের মতো ওড়িশার বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকাতেও বালিযাত্রার আয়োজন করা হয়। ভিন্নতর কাহিনী এবং ঘটনাকে সামনে রেখে এই উৎসব পালিত হয়। আজ থেকে ২০০০ বছর আগের গৌরবময় নৌবানিজ্যের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হয় বালিযাত্রা উৎসব বা বহিত্র বন্দনা বা বৈঠা বন্দনা। কার্তিকী পূর্ণিমায় কটক শহরের মহানদীর পাড়ে দেশের সর্ববৃহৎ বালিযাত্রা আয়োজিত হয়। সাত দিনের এই লৌকিক উৎসবটি ওড়িশা তো বটেই, এশিয়ার বৃহত্তম বানিজ্যিক মেলা হিসেবেই কথিত এখন। পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষও অংশগ্রহণ করে এই বিরল উৎসবে। বালিযাত্রা তথা বালুকা পূজা বঙ্গের মহিলারা পঞ্চক ব্রতের শেষ দিনে পালন করেন। কার্তিকী পূর্ণিমাতে নিজেদের মনস্কামনা পূরণের জন্য নদীতে বা জলাশয়ে প্রদীপ সহ নৌকা ভাসায় পঞ্চক ব্রতে। 
তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় বালিযাত্রার পালন প্রক্রিয়া বেশ আলাদা। এখানকার করবনিয়া গ্রামের কাছে সুবর্ণরেখা নদী দুই রাজ্যের সীমানা ধরে এগিয়ে গিয়েছে গোপীবল্লভপুরের দিকে। এর বামদিকে ঝাড়খণ্ডের কাশীপাল, পাঁচাণ্ডো, রাঙুনিয়া এবং ডান দিকে করবনিয়া আর মড়কো গ্রাম। এই গ্রামগুলিতেই প্রতি বছর চৈত্রসংক্রান্তিতে সুবর্ণরেখা তীরবর্তী মানুষজন পালন করেন 'বালিযাত' বা 'বালিযাত্রা'। তেমনি দাঁতন ১ নং ব্লক এলাকার সুবর্ণরেখার সীমান্ত গ্রামগুলিতেও এই সময়ে বালিযাত্রার আসর বসে। ভবানীপুর পঞ্চায়েতের বেলমুলা থেকে সোনাকানিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় তিন স্থানে মেলা বসে। পাটনা এলাকাতেও তিনটি মেলা হয়। পিতৃশ্রাদ্ধ করাই মেলার মুখ্য উপজীব্য বিষয়। বালিযাত্রার মেলায় মানুষজন সুবর্ণরেখার জলে স্নান করে বালির ওপর বসে পরলোকগত পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধকৃত্য করতে পিন্ডদান করেন এদিন। গঙ্গার ঘাটে তর্পণ প্রক্রিয়ার সময় যেভাবে পুরোহিতেরা তর্পণকারীদের সহায়তা করেন, ঠিক সেভাবে এখানেও শ্রাদ্ধকৃত্য সারতে সহায়তা করেন। এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানই হল 'বালিযাত্রা'। সেই উপলক্ষে বালির ওপরে বসে মেলা। বিকোয় হাঁড়িয়া সহ আরও নানা লৌকিক সামগ্রী। এক অনাস্বাদিত লোক উৎসব তথাকথিত শহুরে শিক্ষিত মানুষের লোকচক্ষুর আড়ালে বছরের পর বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে। 
'যাত' অর্থে পলায়িত। প্রস্থিত। অতীত বা অতিক্রান্ত বা ভূত। 'বৃহৎসংহিতা'তে পাই, 'সামুদ্রবিদ্ বদতি যাতমনাগতঞ্চ'। 'যাত' অর্থে নাশপ্রাপ্ত বা তিরোহিত বা গতও বোঝায়। 'ভামিনীবিলাস'তে রয়েছে, 'কাশ্যপি যাতস্তবাপি বিবেকঃ'। শাস্ত্রার্থানুসারে চলিত বা কৃতানুষ্ঠান হল 'যাত'। 'মনুসংহিতা'তে পাই, 'যেনাস্য পিতরো যাতা যেন যাতাঃ পিতামহাঃ'। 
        যাত > যাত্রা
'যাত্রা' অর্থে গমন বা প্রস্থান বা প্রয়াণ বোঝায়। দেশান্তরগমন। 
ড. মধুপ দে 'বালিযাত্' এর অর্থ করেছেন 'বালির উপরে অনুষ্ঠিত যাত্ বা মেলা। শিষ্ট রীতি প্রদান করার স্বাভাবিক প্রবণতায় বালিযাত্ হয়েছে বালিযাত্রা। আবার নদীর বালিয়াড়ির দিকে যাত্রা বোঝাতে বালিযাত্রা কথার প্রচলন হতেও পারে'।  
মহাভারতের অনুষঙ্গ বিরাজমান এই বালিযাত্রা শুরুর সাথে। লোকজন বিশ্বাস করেন মহাভারতীয় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত এই উৎসব। সেই প্রাচীন মিথ, ইতিহাস আর লুক্কায়িত মৌখিক সংস্কৃতি কালে ও কালোত্তীর্ণ হয়ে এখনও লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী হয়েই টিকে আছে। সেই কাহিনীর দেহসৌষ্ঠব এতই প্রাঞ্জল এবং জীবন্ত যে তা আজও মানুষের মনে ও প্রাণে সমানভাবে দৃষ্ট হয়। গবেষক ড. মধুপ দে জানান, 'মহাভারতের যুগে পাণ্ডবেরা পাশাখেলায় কৌরবদের কাছে পরাজিত হয়ে বার বছর বনবাস ও এক বছর অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হন। বনবাস পর্ব শেষ করে পাণ্ডবেরা অজ্ঞাতবাসের জন্য আসেন 'সোনারেখা' বা সুবর্ণরেখা নদীর তীরে সিংভূম মল্লভূম ময়ূরভঞ্জ এর গভীর অরণ্যভূমিতে। অরণ্যের শ্যামলিমা, নদীর স্নিগ্ধ সুশীতল বারি আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে মুগ্ধ দ্রৌপদী সহ পঞ্চপাণ্ডব। নদীর তীরে কুটির বাঁধেন তাঁরা, গড়ে উঠল গ্রাম পাঁড়া (পাণ্ডবরা)। হাতিবাড়িতে এখন নদীর জলে যে সমস্ত বড় বড় পাথর পড়ে আছে, সেগুলো ভীম খেলার ছলে ছুঁড়েছেন, তার কোনো কোনো পাথরে ভীমের হাঁটুর চিহ্ন (গর্ত) আছে। এখানে পাণ্ডবেরা যে শিব লিঙ্গ পূজা করতেন, তার নাম হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর শিব। অরণ্যের ফলমূল, সুবর্ণরেখার কাকচক্ষু জল, পাতার কুটির, আর অনার্য মানুষজন নিয়ে ভালভাবে ছিলেন। কিন্তু, অজ্ঞাতবাসে বেশিদিন এক স্থানে থাকা চলেনা। তাই সেখান থেকে সরে এসে তাঁরা অন্যত্র কুটির নির্মাণ করলেন। এবার যেখানে ভাত রান্না করে দ্রৌপদী ভাতের হাঁড়ি রাখতেন সেই স্থানের নাম হল ভাতহাণ্ডিয়া। এ ভাতের হাঁড়ি ত আর যে সে হাঁড়ি নয়, ভীমের খাবার থাকার মত সেই বিশাল হাঁড়ি যেখানে রাখা হত, সেই স্থান লোকমানসের বিশ্বাসময়তায় বিশেষ নাম গ্রহণ করতেই পারে। কিন্তু, এখানে অসুরদের উপদ্রবে তাঁদের ঘুম ছুটে গেল। ভীম শতশত অসুরকে মেরে একস্থানে মৃতের পাহাড় করে দিলেন। সেই টিলা পাহাড়ের নাম অসুরহুড়ি। অবশেষে সেখান থেকে এসে পাঁচাণ্ডো (পাঁচ পাণ্ডবের বাসস্থান পাঁচাণ্ডো) নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন এবং ভীম এখানে হিড়িম্বাকে বিয়ে করে অসুরদের সঙ্গে মিত্রতা রচনা করেন। জাতিচ্যুত হওয়ার ভয় না করে অন্য জাতিতে বিবাহের দ্বারা আর্য এবং অনার্য সংমিশ্রণ ও সহাবস্থানের ঘটনা স্থানীয় লোকবিশ্বাসের ভেতরেই কাহিনির আকারে বেঁচে আছে'।
সুরেশচন্দ্র সাউ সুবর্ণরেখার পাড়ের বালিযাত্রা উৎসবের শুরু কিভাবে হয়েছে বলতে গিয়ে লিখেছেন --
'আজি হতে পাঁচ হাজার আশি সংবৎসর।
বর্তমান গত ইহা কলির বৎসর ।।
অজ্ঞাতবাসের কালে দ্বাপরের শেষে।
যুধিষ্ঠির বালিযাত্রা করেন হরষে'। 

এই সুবর্ণরেখার পাশে পাণ্ডবরা একসময় অজ্ঞাতবাসে ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন যুধিষ্ঠিরকে তাঁর বাবার বাৎসরিক শ্রাদ্ধ করতে হয়েছিল। কিন্তু যেখানে উত্তরবাহিনী গঙ্গা থাকবে, সেখানেই শ্রাদ্ধকৃত্য সম্ভব। কিন্তু এখানে তো গঙ্গা নেই। রয়েছে সুবর্ণরেখা। তাও সেটি দক্ষিণবাহিনী। অগত্যা অর্জুন মাটিতে তীর ছুঁড়ে সুবর্ণরেখার মাটির গভীর থেকে জলের ধারা তৈরি করে সুবর্ণরেখাকে উত্তরবাহিনী করলেন। একমাত্র এখানেই সুবর্ণরেখা কিন্তু উত্তরবাহিনী হয়ে আছে। এবার যুধিষ্ঠির উত্তরবাহিনী গঙ্গা তথা সুবর্ণরেখার বালিভূমিতে বসে  সমাপ্ত করলেন বাৎসরিক পিতৃশ্রাদ্ধ। সেই ঘটনার পর থেকে এই বালিয়াড়িতে চলে আসছে পিণ্ডদানের মাধ্যমে পিতৃশ্রাদ্ধ করার রেওয়াজ এবং রীতি। 
এখানে পিন্ডদান দুই রকমের হয়। যাঁরা মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য গয়াধামে গিয়ে পিন্ডদান করেছেন, তাঁরা এখানে এসে শ্রাদ্ধের সময় সুবর্ণরেখার বালির ওপর পেতে দেওয়া কলাপাতায় সিদ্ধ চাল, সব্জী, ফুল ও একটি বোঁটা সুদ্ধ কাঁচা আম রাখে। কিন্তু যাঁরা পিণ্ডদান করতে গয়াধামে যেতে পারেননি, তাঁরা এখানে বালিতে পেতে রাখা কলাপাতায় আতপ চাল, মুড়ির ছাতু ও কলা ও ফুল রাখে। পিন্ডদানের কাজ শেষ হলে শ্রাদ্ধকৃত্যতে সহায়তাকারী পুরোহিতগণ গয়ায় পিন্ডদানকারীদের দেওয়া ভোজ্য এবং দক্ষিণা নিজের কাছে রেখে দেন। আর গয়াধাম যাঁরা যাননি, তাঁদের দেওয়া ভোজ্য নেন না। পিণ্ডদানকারীরা কলাপাতায় তাঁদের দেওয়া আতপ চাল, মুড়ির ছাতু ও কলার মণ্ডটি সুবর্ণরেখার জলে ভাসিয়ে দেন। সেগুলি হয়ে ওঠে সুবর্ণরেখার মাছেদের উপাদেয় খাদ্য। এ প্রসঙ্গে ড. মধুপ দে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তিসঙ্গত ভাবে। তিনি লিখেছেন, 'তথাকথিত আর্য হিন্দুরা শ্রাদ্ধ প্রদানের জন্য গয়াধামে যায় এবং অনার্য জনগোষ্ঠীর মানুষজন শ্রাদ্ধ প্রদানের জন্য যায় দামোদর বা সুবর্ণরেখা নদীর তীরে কোনো স্থানে। এখানে প্রচলিত লোকবিশ্বাসে দেখা যায় পাণ্ডবেরা সুবর্ণরেখা নদীর তীরে করবনিয়া গ্রামের নিকটস্থ বেলাভূমিতে পিতৃশ্রাদ্ধ প্রদান করছেন। এখনো এই মেলা প্রতি বৎসর হয় এবং অনার্য জনজাতি ভিন্ন কোনো আর্য হিন্দুকে এখানে পিতৃশ্রাদ্ধ দিতে দেখা যায় না। আর্য পাণ্ডবরা কেন অনার্য জনজাতীয়দের প্রথা মেনে সুবর্ণরেখার তীরে পিতৃশ্রাদ্ধ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিলেন? এ কি কেবল সহাবস্থান রচনার জন্য? এই নৃতাত্ত্বিক জাতিতাত্ত্বিক সংকরায়নের সূত্র নির্ধারণ করা বর্তমানে অসম্ভব। কিন্তু, এই মিথকে অবলম্বন করে বহুশত বছর ধরে বালিযাত্রা মেলা যে আদিবাসী অ আদিবাসী মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে, এ কথা অস্বীকার করা যাবে না'। 

কটকের মহানদীর পাড়ে ১২৫ একর জায়গা জুড়ে মেলার পরিসর। কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড়ে ভিড়াক্কার। ওড়িশার নানা ধরনের হস্তশিল্প এখানে কেনাবেচা চলে। কটকের মহানদীর পাড়ের মূল বালিযাত্রা উৎসব ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য আরও অনেক জায়গায় বালিযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পারাদ্বীপে আয়োজিত কলিঙ্গ বালি যাত্রা কিংবা তিরতোলে চেলিটোলা বালি যাত্রা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পারাদ্বীপের কলিঙ্গ বালিযাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। 

এই 'বালিযাত্রা'র আভিধানিক অর্থ হল 'বালি ভ্রমণ'। এর আক্ষরিক অর্থ হল বালি দেশে যাত্রা। একসময় ইন্দোনেশিয়ার বালি, সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও এবং অন্যান্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সাথে ওড়িশার জনগণের গভীর ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। মঙ্গলকাব্যেও চাঁদসওদাগরের নৌবাণিজ্য যাত্রার কথা রয়েছে। সে সময় ওড়িশা থেকে হরেক রকম পসরা নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বানিজ্য যাত্রা চলত। বানিজ্যের মধুর সম্পর্ক ছিল। আজ হয়তো সেই গরিমা নেই। কিন্তু ওড়িশার সঙ্গে বালির আত্মিক সম্পর্ক স্মরণীয় রাখতে প্রতিবছর চলে আসছে বালিযাত্রা পালন। 
পূর্ণিমার ভোরে অসংখ্য খেলনা নৌকা জলে ভাসানো হয় পূর্বেকার সমুদ্র যাত্রাকে স্মরণ করে। এই নৌকাগুলি রঙিন কাগজ, কলাগাছের বাকল কিংবা থার্মোকল দিয়ে বানানো হয়। নৌকার মধ্যে পান, চাল, ধূপ দিয়ে কর্পুর ও তেলের বাতি জ্বালানো হয়। সাধারণত যাঁরা বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার জন্য ঘরের বাইরে থাকেন, তাঁরা এসময় বাড়িতে আসেন। তাঁদের স্বাগত জানানো হয় এদিন। সেইসাথে পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করা হয় জলে নৌকা ভাসানোর মাধ্যমে। গত ২০২০ এবং ২০২১ এ কটকের বালিযাত্রা মেলা আয়োজিত হয়নি করোনা মহামারীর জন্য। কিন্তু ২০২২ এ হয়েছে। সেবার কটকের ২২ টি বিদ্যালয়ের ২১০০ ছাত্র ছাত্রী মাত্র ৩৫ মিনিটে ২১০০০ কাগজের নৌকা বানিয়ে মহানদীর জলে ভাসিয়েছিল। যা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে। 
এটি আসলে অতীতের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে স্মরণ করে বালিযাত্রা উদযাপনের মাধ্যমে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সামুদ্রিক উত্তরাধিকারকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বালিযাত্রা উদযাপনের মাধ্যমে ওড়িশা তার সংস্কৃতি, শিল্প, মন্দির স্থাপত্য, স্মৃতিস্তম্ভ, স্থাপত্যের স্বতন্ত্র শৈলী, মার্জিত টেক্সটাইল ডিজাইন, বিশেষ রন্ধনপ্রণালী ইত্যাদির শক্তিকে তুলে ধরে। শিল্প ও সংস্কৃতির এই সংমিশ্রণ কলিঙ্গের গৌরবের স্মৃতিকে সতেজ করার পাশাপাশি পর্যটন ব্যবস্থাকেও উন্নত করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

🍂

Post a Comment

0 Comments