তনুশ্রী ভট্টাচার্য
(ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশ্যাল)
Heard melodies are sweet,but those unheard
Are sweeter,,,,,,,,,,,
মেয়েটির নাম ফ্যানি ব্রাউন । উচ্ছ্বল তরুণী ।অষ্টাদশী। মাথা ভর্তি সোনালী চুলের মেয়েটি হৃদয় জিতে নিয়েছিল উনবিংশ শতকের ইংরেজ রোম্যান্টিক কবি জন কীটসের। কীটসের প্রেমিকা হিসাবেই তার পরিচিতি রয়ে গেছে ইংরেজী সাহিত্যের অন্দরে। তাকে লেখা চিঠি গুলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পত্রসাহিত্য। কিন্তু না , সে প্রেমের পরিণতি বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছায় নি। রুগ্ন ,অসচ্ছ্বল সে সময়ে প্রায় অস্বীকৃত কবিখ্যাতির কবি জন কীটস মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সেই তারাদের দেশে ঠাঁই নেন। কিন্তু অমর তাঁর প্রেমপত্র।
ভ্যালেন্টাইন রা শুনছেন কি? আজ চিঠি লেখার দিন হলে লিখুন সেই চিঠি।
সেই সঙ্গে আসুন চোখ রাখি ফ্যানিকে লেখা সেই সব চিঠির একটি দুটি লাইনে।
প্রিয়তমা মেয়েটি,
তুমি হয়তো বলবে এটা পাগলামি।শুনেছি তুমি এ ও না কি বলেছো যে কয়েক বছর প্রতীক্ষা করা যেতেই পারে। হ্যা স্বীকার করি। তোমার নিজস্ব আমোদ আহ্লাদ আছে।কিন্তু একবার ভেবে দেখো তুমি কতটা আকাঙ্খিত এবং ঈপ্সিত আমার কাছে।যে ঘরে তুমি নেই সে ঘরের বাতাস আমাকে সুখ দেয় না,।তুমি বুঝতে চেষ্টা করো যে ঐ মজলিশী জীবন আমাদের জন্য নয়, তুমি মেতে যাও, কিন্তু আমি পারি না।
একটু মন দিয়ে শোনো। ভালোবাসা কোনো খেলার জিনিস নয়। কাঁচের মতো স্বচ্ছ্ব এবং পরিস্কার বিবেক যদি না থাকে আমাকে আর চিঠি লিখো না।
🍂
আরও পড়ুন 👇
সমস্ত দোষ গুণ নিয়েই তোমাকে ভালোবাসি। সূর্য ওঠে , অস্ত যায় ।দিন পার হয় এক এক করে। আমার যক্ষ্মা রোগ কমে না, বাড়ে। তোমার সাহচর্য আমার বিষাদ কাটায়। হয়তো এবার চিরকালের মতোই সব মায়া কাটিয়ে চলে যাবো।
তোমার অভাবে আমি মরতেও রাজি,,,,,,
চিরদিনের
জন কীটস্ ।
Ode to Nightingle ,Ode on a Gracian Urn, Ode To Autumn, Endymion,Hyperion এর মতো কালজয়ী কবিতার স্রষ্টার প্রেমটিও কালজয়ী।
Beauty is Truth,Truth Beauty,, বা A thing of beauty is a joy forever এর মতো অনবদ্য পংক্তি যে কবির কলমে জেগে ওঠে , চিরকালীন সুন্দরের সাধনায় যিনি অবগাহন করতে পারেন তাঁর প্রেমের স্বরূপ বোঝা সত্যিই ফ্যানির মতো চপল মেয়ের পক্ষে পুরোটা সম্ভব ছিল না।
তাই ওদের প্রেম একটি অসার্থক প্রেমের
বিশ্বজনীন উদাহরণ হয়েই রয়ে গেছে।
কে মাথার দিব্যি দিয়েছে সব প্রেমকেই সার্থকতার শংসা পত্র পেতে হবে???????
( চলবে )
0 Comments