জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --২১ তম পর্ব। চিত্রা ভট্টাচার্য্য

অবশেষে হরিণের দল কে ক্যামেরা বন্দী করা গেল।


বার্লিনের ডায়েরি --২১ তম পর্ব।   চিত্রা ভট্টাচার্য্য 
(টিয়ার গারটেন পার্ক এর পরবর্তী অংশ )

রোদ ঝলমলে দিন তবু ও শীতবুড়ি জাঁকিয়ে বসেছে।  হিম শীতল বাতাস চোখে মুখে রীতিমত চাপড় মারে। এমনিতেই নভেম্বরের আকাশ মেঘাবৃত ছায়া ঘন আলো আঁধারিতে ঢাকা শীত কাতুরে ,চরম আলসে সূর্য দেবের সহজে কিছুতেই নিদ্রা ভাঙে না। আজ আকস্মিক এমন উজ্জ্বল প্রকাশে শ্রীর বেড়ানোর উৎসাহ প্রবল। সমুদ্র,নদী,পাহাড় পর্বত থেকে মরুভূমিতে বা অরণ্যাচারি পশু পাখিদের সব একসাথে জড়ো করে চিড়িয়াখানার নির্দিষ্ট ঠিকানায় অতি সহজেই দেখতে পাওয়া যায়। 

 ঋষভের মতে  পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত ও দেশ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা এই বৃহত্তর প্রাণী জগৎ কে তাদের শরীরের অনুকুল আবহাওয়ায় সংরক্ষিত করে রাখা, তাদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা প্রতিপালন  এবং প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধি করানোর একমাত্র এমন সুস্থ পরিবেশ এই পশুরালয় বা চিড়িয়াখানাতেই সম্ভব।  

 Zoo garden এর রোড ম্যাপের ডিরেকশন অনুযায়ী কোন পথ ,কোন ট্রেল ধরে হাঁটলে সর্ব প্রথমে কোথায় কোন প্রাণী মহল ? কোথায় দেখবে উভচর ,কোথায় জলজ,কোথায় বিদেশী পাখিদের বাসস্থান ,কোথায় সরীসৃপ কোথায় বা প্রজাপতি, মৌমাছির বাগান বা পিঁপড়ের ঠিকানা। শ্রীর ভীষণ ইচ্ছে পাখিদের আস্তানায় প্রথম যাবে কিন্তু ঋষভের আগে চাই প্রাণী কুল দেখা । দুজনের মধ্যে গলা নামিয়ে তুমুল বাক্যালাপের জেদ ও খুনসুটি চলে।   
লম্বা গলার জিরাফ।

 চলার পথে তর্কের মীমাংসায় হেড টেল হবে ঠিক হলো এবং টেল পড়লে ঋষভের কথা মত প্রাণীকুল আগে দেখা হবে। পার্স থেকে euro coin  টি বার করে শ্রী ওপরে ছুড়লে সে গড়িয়ে টেল পড়ায় ঋষভের     অন্তহীন খুশি।

 সামনেই পথের মাঝ বরাবর দুটো গাছের ডালপালা মাথা ঠেকিয়ে আছে ,তারই ডালে হলদে কালো ওরিয়েল আর মাথায় ঝুঁটি লাল কার্ডিনালের লাফা লাফিতে বেশ উত্তেজিত পাখির  কলকাকলিতে মুগ্ধ ঋষভ গুনগুনিয়ে মনের সুখে গাইতে শুরু করে '' পিয়াল শাখে বৌ কথা কও ডাকে। ''    
                                                    শ্রী উষ্ণ রাগ দেখিয়ে হেসে ফেলে বলে, এই তো বুড়ো এঞ্জেল ওকের পাশে সারিবদ্ধ অসংখ্য লিন্ডেন গাছ-- যার ছায়াতল দিয়ে যুবরাজ পশুরালয় দর্শনে যেতেন। শুনেছি ,সাড়ে তিন শতাব্দীর বেশী আগে এই গাছ গুলো রোপন করা হয়েছিল। এখানে ' পিয়াল শাখে ' কোথায় দেখলে ?সারা উদ্যানময় সব থেকে বেশী দেখা যাচ্ছে এই গাছের ছায়া। ঋষভ হেসে বলে 'সে যাইহোক ঐ হলদে কালো মেশানো পাখিটা তো আমাদের দেশের সেই চেনা বৌ কথা কও'।                                                                                   
সবুজ বন ভূমি

শ্রীময়ী নিজের বাড়ির ছাদে বসে,রোদ টুকুকে বড়ো আপন করে নিয়ে আবার ডায়েরির পাতা ওল্টায়। আনমনে ভাবে সুখের স্মৃতিরা হারিয়ে যায় না ,পিছু ও হাঁটে না,আর মধুর মধুর স্মৃতি গুলো কিছুতেই মন ও ভোলে না। যতই ঝগড়া করুক ওরা সেদিন মহানন্দে প্রথম পশুদের রাজত্বেই প্রবেশ করেছিল।   
                                                                                          পায়ে চলার পথের দুই ধারে মোটা মজবুত উঁচু তারের জাল বা বেড়া দিয়ে চারিদিক ঘিরে পশুদের সুরক্ষিত করা রয়েছে ,ওরা খাঁচায় বন্দী নয়। উন্মুক্ত প্রান্তরে  মুক্ত প্রাণীর মত সবুজ দূর্বা ঘাসের জমিতে কত হরিণ ,একটু দূরের দিকে স্পটেড ডিয়ার ও  দল বেঁধে ঘুরছে । শ্রী উত্তেজিত হয়ে ওঠে . সবুজ লম্বা ঘাসের বনে ঢেউ তুলে বেশ কয়েকটি সোনার বরণ হরিণ শাবক চঞ্চল পায়ে লাফিয়ে মায়ের পিছুপিছু  ঘুরছে।  এদিক ওদিক কালো গভীর সন্ত্রস্ত চোখে চেয়ে ছুটে  পালায়।-ওদের ঠোঁটের দুধারের কষ বেয়ে সদ্য চিবানো ঘাস পাতার রস গড়িয়ে পরে। অপূর্ব সে দৃশ্য ! মুগ্ধ চোখে শ্রী ও তাকিয়ে ছিল। ঋষভ  ক্যামেরা ফোকাস  করতে না করতেই ;চঞ্চল চকিত চাহনি দিয়ে তারা তড়িৎ গতিতে ছুটে পালালো। শুধু গাছপালা ঝাপসা আকাশ ক্যামেরায় ধরা পড়লো। 

🍂

আবার পায়ে চলার পথ ধরে চলতে শুরু করে দু দিকেই মহান পশু কুলের সদস্য দের স্বগর্বে বিচরণ দেখে মোহিত হয়ে গিয়েছিল। মাঝে মাঝে তাদের সরোষে গর্জন,উল্লাসের ধ্বনি বা কাতর ডাক বিচিত্র সুরে কানে এসে বাজছে। 

ঋষভ বলে , টিয়ার গার্টেন পার্ক --বার্লিনের এই জিওলজিক্যাল উদ্যান টির প্রাণীর সংখ্যা ও প্রাণী বৈচিত্র্যের দিক থেকে এখোনো পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। ও অতুলনীয় এর ব্যবস্থাপনা। এখানে  বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এখনো সংরক্ষিত আছে যা প্রায় সারা পৃথিবী থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হতে চলেছে। প্রায় ১৫০০  প্রজাতির প্রাণী রয়েছে আর ,২০ , ৫০০ প্রাণীর বিশাল সংগ্রহ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী প্রাণী বিশিষ্ট চিড়িয়াখানা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ঝোপ জঙ্গলের মাঝে পরিখায় ঘেরা বেষ্টনীতে খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির ক্রোড়ে তাদের অবাধ গতি।,                                        

 এরই মাঝে সাদা ধবধবে খরগোশ কান উঁচু করে ছুটে পালায় ,কোথাও মেটে বা ধূসর রঙের কাঁটাওয়ালা শজারুর দল দৌড়ে নিজের মাটির কৃত্রিম বাসস্থানে ঢুকছে। ছুঁচো,ইঁদুর,বেড়াল,বন বেড়াল,হৃষ্ট পুষ্ঠ  কাঠবেড়ালি, বিভার, বেজী খটাশ, বিভিন্ন প্রজাতির বুনো কুকুর ইত্যাদি কত রকমের ছোটো ছোটো প্রাণী থেকে শুরু করে গৃহপালিত নানান  প্রজাতির বিপুলাকার গরু ,তাগড়াই ঘোড়া, গাধা, বলদ, বিরাট দেহী মোষ, নীলগাই, সম্বর হরিণ, ছাগল, ভেড়া থেকে হানিবেজার, শুয়োর,বুনো শুয়োর আরো কত চেনা অচেনা পশুর দল তো আছেই।

বিশাল আকারের ভয়ঙ্কর হিংস্র জন্তু জানোয়ার দের বাসভূমি আবার অন্য দিকের ঠিকানায়। এদের ,সবার সুন্দর পোষাকি নাম ,জার্মান দেশ টির আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া। প্রতিটি প্রাণীর জন্য বিভিন্ন আকারের বাসস্থান ও বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যর তালিকা। এখন পশুদের লাঞ্চ টাইম। ঠিক নির্দিষ্ট সময়ে বারোটা থেকে খাদ্য দ্রব্য সরবরাহের ব্যবস্থাপনা শুরু হলো।ছোট বড়ো ট্রাক ভরা খাদ্য দ্রব্য পশু শালায় সরোবরাহ করা হচ্ছে এবং অগুনিত কর্মচারী সে কাজে ব্যস্ত। 

সদ্য জন্মানো পশু শাবক দের জন্য ঘরে উপযুক্ত তাপমাত্রার ব্যাবস্থা ,স্নান করানো  মেশিনে দুধ ও  ওষুধ খাওয়ানো।গায়ের লোম পোকা মাকড় পরিষ্কার সব মেশিনের সাহায্যে হচ্ছে। প্রতিপালনের নিখুঁত সুন্দর ব্যবস্থা দেখে আশ্চর্য্য লাগে। বোধহয় মানব শিশু কে ও এত যত্ন করে পালন করা হয় না। 

 এতো চকচকে তেজী স্বাস্থ্যবান বলশালী পশুদের রাজত্বে ঢুকে শ্রীময়ী ভাবে এখানে না এলে জানতে ও পারতাম না এই বিশাল প্রাণী দের কি করে মানুষ এতো সযত্নে লালন করতে সক্ষম হয়। যেখানে ওদের বিশাল চেহারা শক্তি প্রতিপত্তির কাছে মানুষ এক অতি ক্ষুদ্র প্রাণী লিলিপুট  ছাড়া আর বিশেষ কিছুই নয়। ঋষভ বলে ওদের ঐযে ঘর গুলো দেখছো ওখানে তাপমাত্রা নির্দিষ্ট করা আছে.যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরমে কিছু কষ্ট না হয়। এদের নানাবিধ স্বাচ্ছন্দ ও আহার বিহারের উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিয়ে সবসময় গবেষণা চলে। দেখতে দেখতে বুনো পথ ধরে এগিয়ে অনেক ভিতরের দিকে ওরা চলে গিয়েছিল । 

  এবার দূরের দিকে তাকাতেই  নজরে এল জিরাফের বাসগৃহ। যেমন লম্বা ঠ্যাঙ তেমনি বিরাট লম্বা গলা। বেশ উঁচু তে পর পর ছটা বালতি খাবার সমেত তাদের উচ্চতা অনুযায়ী টাঙানো। লম্বা গলা বাড়িয়ে বালতি থেকে তাদের অদ্ভুত দক্ষতায় খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখে শ্রী অবাক।  পাশেই সাদা কালো দাগের অপূর্ব ডোরা কাটা জেব্রার ঘর। সাত আটজন সদ্য যৌবন প্রাপ্ত তাগড়াই সদস্য মিলে বেশ একটা বড় জায়গায় মৈত্রী চুক্তি নিয়ে রয়েছে। বিধাতার অপূর্ব সৃষ্টি ভীষণ মায়াবী এক নিরীহ প্রাণী। বিরাটাকার  কয়েকটি গামলা ভরা ওদের খাবার ,সেখানে মুখ ডুবিয়ে খুব তৃপ্তি করে ভোজন পর্ব চলছে। ঝগড়া ঝাঁটি নেই , বরঞ্চ প্রবল মিত্রতার সহবস্থান। বাচ্চা জেব্রা দুটি যেমন তৃপ্তিতে স্তন্য পান রত ,মা জেব্রাটি তেমনি পরম স্নেহে জিভ দিয়ে চেটে তাদের আদরের সাথে অভ্যস্থ ভঙ্গিতে লালন করছে। মাতৃত্বের বাৎসল্য রস এতো মায়ার এত সৌন্দর্যের  দাবি রাখে যা পশুকুলে ও সমান মনোমুগ্ধ কর। 

  প্রতিমুহূর্তে চেনা অচেনার বিস্ময়ে ভরা এই অবলা প্রাণী কুলের জগৎ পৃথিবীর বৃহত্তম চিড়িয়াখানা গুলো নানা রঙের আকারের বৈশিষ্ট্যের প্রাণীদের এমনই সুন্দর বৈচিত্র্য পূর্ণ পসরা সাজিয়ে রেখেছে। তারা প্রসারিত প্রাঙ্গনে আপন আনন্দে ঘুরে বেড়িয়ে যেন বলতে চায় তোমাদের দেখা দেবো বলে পথ চেয়ে বসে আছি। 'এই বন্দী জীবনে অভস্ত্য হয়ে সীমাবদ্ধ জায়গা টুকুর মাঝেই.ওদের শৌর্য বীর্যের অবাধ বিস্ময় কর বিচরণ। 

শ্রী ভাবছিল এই পশুশালা টি হোলো এক কথায় পশু প্রদর্শন ,বিনোদন ও গবেষণার জন্য জীবন্ত প্রাণী রাখার সরকারি বা ব্যক্তিগত এক উদ্যান।  ও বাকরুদ্ধ হয়ে ঋষভ কে বলে গভীর ঘন অরণ্যে যে প্রাণীটি এতো তেজী বিক্রম শালী যাদের ভয়ে ধরণী কাঁপে থরথর ।তাদের কে এমন করে নির্দিষ্ট গন্ডিতে বদ্ধ করে রেখে জীবনের স্বাভাবিক বিকাশ সত্ত্বা কেমন চিরতরে     রুদ্ধ করে ,অনায়াসে পঙ্গু করে রাখা হয়। এই অপ্রতিরোধ্য দুর্দমনীয় প্রাণী কুল কে ,অসম শক্তি শালী বাঘ সিংহ গন্ডার নেকড়ে বা হাতি টি কেমন পোষ মেনে অতি বাধ্য ছাত্রের মত শান্ত নির্বিরোধী আচরণ করছে। 
নিঃসঙ্গ জেব্রা।

 ঋষভ বলে ,ঠিক তা নয় বেশীর ভাগ সময় আহত পশুকে উপযুক্ত উন্নত মানের চিকিৎসার সাহায্যে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে চিড়িয়াখানায় রাখা হয়। তখন নিশ্চিন্ত নিরুপদ্রব জীবন বোধের সুখেই ওরা অভ্যস্ত হয়। ধরাবাঁধা জীবনে শিকারের পরিশ্রম নেই .অযাচিত আক্রমনের  শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ যাবে না। দীর্ঘদিন অনাহারে অপুষ্টিতে ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরবে না।  চিড়িয়াখানার যত্নে তত্বাবধানে থাকলে তাদের বয়স বাড়লে ও শিকারের চিন্তা বা বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে অকালে অনাহারে মৃত্যু মুখে পতিত হতে হয় না। হস্পিটাল ও ট্রিটমেন্ট থাকায় অতিরিক্ত সুশ্রষা ও পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা ওরা      পায়। আর অল্প বয়সী দের খাদ্য সমেত  বিশেষ     ট্রেনিং দিয়ে এদের বাধ্য শৃঙ্খলা পরায়ণ ,শক্তিশালী করে তুলে মুক্ত আনন্দে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়া হয়।                                     
 পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষিত সভ্য প্রাণী এই মানুষের দল --,  পশুরালয়ের এই ঘেরা টোপে পশুর জগত কে শুধুই নির্বোধ হিংস্র পশু না ভেবে ,এবং মজার সামগ্ৰি না ভেবে তাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করার তাগিদে, তাদের প্রতি পরম মমতায় অসীম যত্নে প্রতিপালন ও সেবায়  ভালোবাসা ও সহানুভূতি শীল হয়ে বাঁচার আনন্দে এক মর্ম স্পর্শী জীবন দিতে পেরেছে । অন্তত বার্লিনের এই টিয়ারগার্টেন পার্কে  সেই উপলদ্ধি ও অনুভবের ছোঁয়ায় ভরা রয়েছে । প্রকৃতির সৃষ্টি এই প্রাণীকুল প্রাকৃতিক ভারসাম্য সমান ভাবে সুরক্ষা করে চলে বলেই মানুষ ও যে এ পৃথিবীতে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারছে।                                                                            
হঠাৎই আকাশ জুড়ে মেঘ ছেয়ে আসে। ভয় হয় অসময়ে বৃষ্টি যদি নামে তাহলে এতো বিশাল উদ্যানের এতো দেখার সামগ্রী ,এতো আয়োজন  সব বিফল হবে ,হয়তো কিছুই দেখা হবে না। শ্রীময়ী কাতর কণ্ঠে বলে ওঠে হে ভগবান ! দোহাই তোমার,আজ যেন মোটেই বৃষ্টি দিও না।                                                    ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments