জ্বলদর্চি

সুদর্শন নন্দী ও সন্দীপ দত্ত-র অণুগল্প

সুদর্শন  নন্দী ও সন্দীপ দত্ত-র অণুগল্প 

সন্দীপ দত্ত

হেরে যাওয়ার আগে ও পরে


মেয়েটাকে নিয়ে ইদানিং দুশ্চিন্তা হচ্ছে খুব, যবে থেকে কলিগের খোলস ছেড়ে কট্টর প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে। কোম্পানির বস মিস্টার করণ মালহোত্রার চোখদুটো এখনও পড়তে পারেনি রজত। ও চোখে কি মাৎসর্যের কোনও ইঙ্গিত আছে? থাকলে মেঘনা যে তার ফায়দা লুটতে মরিয়া হবে, সেটা নিশ্চিতভাবেই জানে রজত। ক্ষমতা পাবার আশায় মেয়েটা নিচে নামতে পারে। কলকাতার কোম্পানির ব্রাঞ্চের এমডি'র পদটার সামনে এখন দাঁড়িয়ে সে আর মেঘনা। আর এই সময়গুলোকেই মেয়েরা কাজে লাগায়। পৃথিবীটাকে হাতের পুতুল করে ফেলে। পুরুষদের হেরে যাওয়ার প্রথম ও একমাত্র কারণ বোধহয় এটাই।

🍂


সুদর্শন  নন্দী

দায়িত্ব 
                    
“খোকা বলছিস?”
“হ্যাঁ মা বলো। ”
“বলছি, তোর বাবার পেটের ব্যথাটা বাড়ছে। একবার ব্যাঙ্গালোরে তোর ঘরে থেকে চেক আপ করালে হত না?”
“দেখছি মা কখন ছুটি পাই। কলকাতায় কোন ডাক্তারকে আপাতত দেখিয়ে নাও।”
"দেখিয়ে কোন লাভ হয় নি রে!"

                                 (২)
“কে ফোন করেছিল?” স্ত্রী সুপর্ণার জিজ্ঞাসা। 
“মা বলছিল বাবার পেটের ব্যথাটা কমেনি।  এখানে থেকে ডাক্তার দেখাবে”। 
“কেন কলকাতায় কোন ডাক্তার নেই না কি? আমি এতো ঝামেলা নিতে পারব না তা আগেই বলে দিলাম।" 
এমন সময় সুপর্ণার ফোনে রিং বাজল। শোনা গেল, "হ্যাঁ মা, কলকাতা থেকে বাবাকে নিয়ে চলে এস। হেল্থ চেক আপ করিয়ে দেব।  জামাইয়ের ছুটি নিয়ে তুমি ভেবো না। ওতো সেদিন বলেইছে চেক আপের জন্য তোমাদের আসতে। কোন অসুবিধাই নেই।"

Post a Comment

0 Comments