গুচ্ছ কবিতা
সমীরণ আচার্য
চিত্র দেহ
ভাসমান… কিভাবে যেন নেই ওড়ার ধকল: ভাবনা, পক্ষপাত শূন্য এমন ঘর
তুমি কেন নিতে চাও না, আর ---
গান ফুটে, মোম গলে সারারাত আঁধার
রেললাইন পেতে শুয়ে থাকি ঘরে কখন রাত আসবে কখন বাতাস আমাকে পতাকার মতো নেড়ে যাবে
মানুষ আসলে মুছে গিয়ে কলকাঠি নুড়িতারা---
তুমি মেঘ পালক অমন চিত্রদেহ মোছালে
কিভাবে আর অবয়ব জাগাতে পারি…
স্বতন্তর
কেউ কেউ ভাবনাতে বেজে ওঠে
শরীর ময় ধারণার জগৎ উড়ে গিয়ে ওই গাছে গিয়ে বসে
কেউ কেউ শুনতে পায় ঘন্টার ধ্বনি নিয়ে সকালে উড়ে আসে বারান্দায় একটি নতুন স্বতন্তর
অক্ষর জগতের জল গড়িয়ে গড়িয়ে বক্ষঃস্থলে নামে
ওর যে আর কোথাও উপচে পড়ার উপায় নেই ---
পরাবর্ত
কি চাও লুকিয়ে লুকিয়ে বুকের গন্ধ
কি চাও আড়িপাতা; বিষুব উচাটন…
এই মে মাস ত্রয়োদশ আনন্দ…
কি পাও আমাকে জুড়ে ---কে বলে আমি বিচ্ছিন্ন
গোটা গায়ে কুর্চি ফুলের ফাগ ভূমণ্ডলে টের পাওয়া বহির্বিভাগ
আর কোথায় আলো রাখি লেখার জন্য
কোথাও জারুল ফুল পরাবর্ত চায়
একা একা ঝরে পড়ে কানায় কানায়...
মনে হয়
অল্প গন্ধ ফুটিয়ে আলো-বাতাসে দিন কাটে প্রিয় ফুলটির আর হয়তো কোথাও দেখা হবে না তার মানুষ জনের সঙ্গে…
নতুন দূরত্ব। নির্জনতা মনে হয় এই পৃথিবীর শুধু দীর্ঘতম পেরানো সেতু…
শরীরের অসংরক্ষিত রঙে কঠিন চাঁদ আলো হয়ে স্নায়ুতন্ত্রে ডোবে…
বিষাদে উৎপন্ন অভিকর্ষ গগনে গগনে সংগুপ্ত থাকে…
অর্কিড
এক হিম দুগ্ধে ডুবে আছি ; বুঝি কোনো গভীর প্যাডেল করে চলেছি অস্ফূট সাইকেল করে ; বুঝি না কেন
তুমি যাকে পেতে দাও দ্বিধা বর্ণছুট
কাগুজে ধূলায় ; তাকেই ফিরিয়ে দাও ছায়া ডিঙি, ঘুমের পাতায়। অবকাশে।
পিঁপড়ের বুক অবধি ক্ষত পোড়াও…
সন্ধে হলে চৈতন্য অর্কিড হয়ে ভাসে…
বেগুনি অবক্ষেপ…
1 Comments
সমীরণ,
ReplyDeleteতোমার কবিতা র কথা জানতাম না। খুব ভালো লাগলো জেনো।