বার্লিনের ডায়েরি ৭১পর্ব চিত্রা ভট্টাচার্য্য
(সমাধি নগরী পম্পেই এর পম্পেই)
শ্রীময়ী অবাক ! শুধুই মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখছে , মুখে কথাটি নেই। হারকুলেনিয়াম ,পম্পেইয়ের রহস্যময় জীবন যন্ত্রনার পরিসমাপ্তিতে স্তদ্ধতায় ঢাকা পরিবেশের চারদিকে ছড়ানো পাথরের দিনলিপি। খুব ধৈর্য্য ও নিপুণতায় মনের ক্যামেরায় ছবি তুলে রেখে রাস্তায় বিছানো পাথর গুলোর ওপর সাবধানে পা ফেলে চলতে গিয়ে ভাবছিল সেই প্রাচীন যুগে নগরীর সর্বত্র জুড়ে ছিল কত খাবারের দোকান ''টার্বেনা ''। মিস ব্রানটা যথারীতি সেই আগের মতই ওর অনিন্দ্য সুন্দর হাত টি প্রসারিত করে আঙ্গুল ঘুরিয়ে বলে ঐ যে দেখছো সারিসারি লাইন দিয়ে খাবারের ঘর , সম্ভবতঃ এ দেশে আগত সেই বণিক সম্প্রদায়ের অতিথি অভ্যাগত দের আপ্যায়ন সুখ বিলাস আহার বিহারের জন্য এই রাস্তাটি তে এতো অসংখ্য উনুন সমেত খাবার ঘর শহর জুড়ে সাজানো রয়েছে ।
ইরিনা হেসে বলে হাই অদ্রিজা ! বুঝলে না আরে ! এই টাৰ্বানো গুলো ছিল সেকালের ফাস্টফুডের দোকান। এড্রিক ইরিনার দিকে তাকিয়ে বলে জানিনা কেমন ছিল সে কালের ফাস্টফুডের টেস্ট। শ্রী ঋষভের কানের কাছে মৃদুস্বরে গুনগুন করে ,এখানে ফাস্টফুড মানে কিন্তু আমাদের দেশের মত চপ কাটলেট ফিশফ্রাই মোগলাই, এগরোল চাওমিন নয়। ঋষভ হো হো করে হেসে ওঠে ,ভাগ্যিস তুমি সিঙ্গাড়া ,কচুড়ি ,ঘুগনীর চিন্তা মাথায় আনো নি ! হঠাৎ যদি মাটি খুঁড়ে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ভাবতে পারো কী সাঙ্ঘাতিক হবে ? উঃকী দারুণ মজার ! চলতি পথে ঋষভের এমন মজা হাসি ঠাট্টায় শ্রী বেশ অভ্যস্ত। ও কিছুই বলে না বরং অদ্রিজা রাগত স্বরে স্বগতোক্তি করে ; বাবাঃ রে তোমরা এত খাবারের নাম করছো ওদিকে ক্ষীদের জ্বালায় পেট জ্বলছে । হায়রে ! তবু যদি এখানে খাবারের কোনো রেস্তোরাঁ থাকতো । নিশ্চয়ই সেকালের ফাস্টফুড আইটেম ছিল পিজ্জা ,পাস্তা ,স্প্যাগেটি , ষাঁড়ের জিভ ভাজা ,অক্টপাসের পা ,জিরাফের কান বা জীব জন্তুর চর্বি দিয়ে ভাজা মাংসের রেসিপি ? নয়তো ঝলসানো বা পোড়ানো,আরো কত কি ? সব খাবারের নাম মনে পড়ে না। রোড ম্যাপ দেখাচ্ছে এই নগরের এক্সিট ধরে মাইল খানেক গেলে বেশ কয়েকটি ফুডহাব পাওয়া যাবে।
মৃত নগরী
কিন্তু সব স্পট দেখা হয়নি। অদ্রিজা ও ইরিনা দুজনেই আলোচনা করে তখনকার মানুষগুলো ছিল ভারী ভোজন বিলাসী কারণ এ শহরে সবচেয়ে বেশী ওরা দেখেছে রান্নাঘর। যেখানে বেশ চমৎকার মন মুগ্ধকর মোজাইকের কাজ করা রান্নার পাত্র রাখার জন্য গোলাকার ছিদ্র সর্বত্র রয়েছে রান্নার টেবিলের ওপর। আসলে দিনে রাতে ব্যস্ততায় ভরা রমরমা বাজার এলাকায় এমনই তো প্রাণচঞ্চল হওয়া স্বাভাবিক।
পথের একপাশে রয়েছে অসংখ্য শুঁড়িখানা ও দূরদেশ থেকে আগত পথশ্রমে ক্লান্ত পথিকদের ভোজনালয় ও বিশ্রামাগার। ওয়াইন শপের অজস্র দোকান। দেশ বিদেশ থেকে সুরাপানে রসিক নাগরিক ও ব্যাবসায়ী শ্রেণীর বহুমানুষের সমাগম হতো এই শৌখীন বিলাসী নগরে। সেইসময়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও ছিল ইতালীয়ান ওয়াইনের। শুধু ভিসুভিয়াস বা পম্পেই নয় সারা ইউরোপ জুড়ে অজস্র আঙ্গুরের ক্ষেতের বিশাল ব্যবসা বিস্তৃত ছিল এবং প্রস্তুত করা হতো নানা রকমের ওয়াইন। প্রকৃষ্ট উপাদেয় সেই পানীয় ক্রয় বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা চলতো বিশ্বজুড়ে দেশ বিদেশের বাণিজ্যিক বাজারে। এড্রিক ইরিনাকে দেখায় দূরের ছায়াছন্ন কালচে নীলমেঘে ঢাকা পাহাড়ের দিক নির্দেশ করে বলে, দেখ সেই আততায়ী পাহাড় এখন কেমন ঘুমিয়ে আছে ,কেমন শান্ত সমাহিত ধ্যান মগ্ন । পাহাড়ের কোলজুড়ে জড়িয়ে আছে শ্যামল সবুজ আঙুরের ক্ষেত । আজো বাহারে আঙ্গুর লতার সবুজে ঢাকা আছে পাহাড়ি প্রান্তর। সেই পুরাকালের মত এখনো সেখানে চাষ চলেছে নানা প্রকার আঙুরের। ঘরে ঘরে ওয়াইন প্রস্তুতের প্রতিযোগিতা ও চলছে । এর পাশেই শ্রী দেখেছিল একটি বেকারী রুটি তৈরীর কারখানা। যেখানে নানা রকম আলাদা ওভেনে নানা ধরণের রুটি তৈরী হতো ও তার সংরক্ষণের ও ব্যবস্থা ছিল। তৎকালীন সময়ের একটি বেকারি থেকে প্রায় ৮৫ টির মতো তৈরী পাউরুটি ছাইয়ের আবরণে প্রস্তুরী ভূত হয়ে সংরক্ষিত থেকে একদম অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। বাজারের সামনে রয়েছে আধাপ্যাকিং অবস্থায় কাঁচা সব্জি কিছু খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী। এই রুটির কারখানাটির ভিতরে প্রবেশ করে অদ্রিজা দুই প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কর্মরত ব্যক্তির মরদেহ দেখে ভয়েভীত হয়ে আঁতকে উঠেছিল। ওদের খোলা চোখের মণিটি যেন ঠিকরে বাইরে বেরিয়ে এসেছে ,অবর্ণনীয় এক বীভৎস দৃশ্য। গম ভাঙানোর মেশিনের সামনে রয়েছে গাধার কঙ্কাল। মিস ব্রানটা বলে গাধায় ঘোরানো মেশিনে গম ভেঙে আটা তৈরী হতো হয়তো সে সময় কারখানাটি তে কাজ চলছিল।
🍂
পম্পেইয়ের ধ্বংসাবশেষ থেকে সেই সময়ের রেস্তোরাঁর ভগ্নস্তূপের নর্দমা, শৌচাগারের জমে যাওয়া মানববর্জ্য থেকেপাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের নিদর্শন ও জিরাফের পায়ের হাড়। গবেষকরা মনে করেন সাধারণ মানুষের খাদ্যাভাসে অলিভ ও বিভিন্ন রকম বাদাম মাছ মাংসের প্রাধান্য থাকলেও ধনবান অভিজাত শ্রেণীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছিল বিভিন্ন সমুদ্রিক জীব এবং জিরাফের মাংস। অভিজাত সম্প্রদায়ের ব্যক্তির রসনার তৃপ্তির জন্য অন্যান্য মুল্যবান খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ হতো বিভিন্ন বন্দর থেকে যা অতি যত্নে এবং বিশেষ সুরক্ষিত হয়ে আসতো জলপথে। ইন্দোনেশিয়া এবং জাভা বালি থেকে আসতো নানা ধরণের সুগন্ধি মশলা। পম্পেইয়ের খুব কাছের বন্দর শহর নেপোলি এবং স্তাবিয়ে ছাড়া ও অন্যান্য নিকটের বন্দর দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এলিটশ্রেণীর রসনার তৃপ্তির জন্য জিরাফের মাংস সহ অন্যান্য মুল্যবান খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ হতো পম্পেইয়ের রেস্তোরাঁয়। আধুনিক নগর জীবনের সব বৈভব উপকরণ মজুত ছিল এদের প্রাত্যহিক জীবন ধারায়। সেখানে শ্রেণী বিভাজনের পরিচয় ও বেশ সুস্পষ্ট।
রাত বাড়ছে ,সব কাজের শেষে পম্পেই সমাধি নগরীর অর্দ্ধসমাপ্ত যে লেখা টি শুরু করেছিল শেষ করতে পড়ার টেবিলে ল্যাপটপের কী বোর্ডে আলতো ভাবে আঙ্গুল নাড়ানোর সময় জানলার বাইরের আকাশে জোৎস্না ভেজা রাতের মায়াময় আবেশে শ্রীর মন পড়ে রইলো। টেবিলের ওপর দুই হাত ভাজ করে তার ওপর মাথা রেখে নিবিষ্ট চিত্তে দেখছিল খোলা মাঠের শেষ প্রান্তে হোলিকা জ্বলছে। তারই ফুল্কি সমেত কুন্ডলী পাকানো ধোঁয়া আকাশ ছুঁয়ে ফুলঝুরির মত ঝরছে। ওদের ছোটবেলার সেই বুড়ির ঘর মানে ন্যাড়া পোড়ার দৃশ্য ! কাল যে রঙ দোল। ঋতুরাজ মহাসমারোহে ধরায় এসে গেছে ,বাতাসে রঙের নেশা। রাত ফুরোলেই হলদে আলোয় সোহাগ ভরা নতুন দিনের খুশির স্রোতে ফাগুন হাওয়ায় মাতবে ওর বাস্তবের নগরী। চোখের পলকে হারিয়ে যাওয়া অতীত সামনে এসে দাঁড়ালো। ল্যাপটপ খোলাই বৃথা।
চেয়ারে বসেই মোম জোৎস্নায় ভেজা আকাশের ডাকে সাড়া দিয়ে গভীর ঘুমে অচেতন শ্রী তখন তরতরিয়ে চলেছিল ভিসুভিয়াসের গায়ে দড়ির মত পাকানো পথ ধরে। ওই জ্বালামুখীর বিশাল হা মুখ দেখতে। তপ্ত আগুনের বহ্নিশিখায় আকাশ লাল। কী আশ্চর্য ! সুদূরে মুক্ত বাতাসে ডানা মেলে ওড়া সমুদ্র পাখিরঝাঁক আগুনে ঝলসে ঝুপঝুপ করে পড়ছে ওর বক্স জানলায়। সব বিরাটাকারের ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে যাওয়া পাখির মৃতদেহ। পাহাড়ের গায়ে কোথাও কোনো সবুজের চিহ্নমাত্র নেই রুক্ষ তামাটে পাহাড় সব সবুজ পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে । অত দূরে র পাহাড় থেকে দেখেছে সারণ নদীর তীরে সাদা বালি গায়ে মেখে পাভলো ,স্যামি দুজনে নুড়ি কুড়িয়ে খেলতে খেলতে জলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে --- শ্রী এক সর্বনাশের আশঙ্কায় নদীর তীরের দিকে ক্রমাগত দৌড়োয় । কিন্তু লম্বা পথের শেষ কোথায় ?.ও চেঁচিয়ে ডাকছে ---কেউ শুনতে পায় না --কেউ আসেনা। জানালায় বুলবুলি আর দোয়েল তখন নিত্যকার বরাদ্দ বিস্কুটের টুকরোর আশায় কিচিরমিচির শুরু করেছে --বাগানে আমের গাছে কোকিলের মিষ্টি তানে কুহু রব -- শ্রীর ঘুম ভেঙে গিয়েছে। হলদে আলো ছুঁয়েছে ওর কপালের উড়ো চুল। হায়রে সারারাত চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে ভিসুভিয়াসের স্বপ্ন দেখছিল। সেখানে পাভলো স্যামি ,ওর প্রিয় ছোট ওস্তাদেরা ও যে আমেরিকা থেকে একবারে ইউরোপে সারণ নদীর ধারে। আহা !স্বপ্ন বড়ো মধুর ! সেখানে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
শ্রী আবার বাস্তবে ওর অসমাপ্ত গল্পে ফিরলো। সেইদিন তিতিরের সাথে পম্পেইয়ের চলার পথে নজরে পড়লো বহু ব্যাবহারিক জিনিস পত্র তৈরীর দোকান। এক কুমোরের দোকানের সামনে এসে ইরিনা হাক দিয়ে এন্ড্রিক কে ডেকে বলে দেখ এটা পট বানানোর শপ। দোকানি ঠিক তেমনি করেই তার পসরা সাজিয়ে বসে আছে যেমন টি সেই সময়ে বসে ছিল। আশে পাশের দোকান গুলোতে দেখেছিল ইতালী ভাষায় বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া আছে সেখানে কোথায় কি পাওয়া যাবে তার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিস্তারিত বিবরণ। মিস ব্রানটার বিশেষ তত্ত্বাধানে খুব দ্রুত গতিতে ওরা চলে এসেছিল খ্রীষ্ট পূর্ব ৭০ শতকে নির্মিত নগরীর বিত্তবান মানুষের আমোদ প্রমোদ ও অবসর যাপনের জন্য নির্মিত শহরের বিশেষ বৈশিষ্ট পূর্ণ বিশাল বিনোদন কেন্দ্র এম্পিথিয়েটার ক্যাভেয়া তে। যেখানে গ্লাডিয়েটরদের লড়াই কৌশল ,বীরত্ব কিম্বা রথের প্রতিযোগিতা দেখানো হতো। যেখানে ২০ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা ছিল এবং প্রথম দিকের আসনে সমাজের এলিট শ্রেণীর --বিশিষ্ট ধনী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বসার আসন নির্দিষ্ট ছিল। গোলাকৃত থামে ঘেরা এক চাতালের পিছনে ছোট ছোট কুঠুরি মত গ্লাডিয়েটার দের থাকার ঘর। এবং যেখানে তাদের প্রতিদিন নিয়ম করে কঠিন প্রশিক্ষণ চলত। পম্পেইয়ের এই এলিট শ্রেণীর নাগরিকদের আমোদ প্রমোদের জন্য ঘৃণ্য বর্বরোচিত উল্লাসে মত্ত হয়ে এর মধ্যে নৃশংস উল্লাসের খেলা ছিল '' গ্লাডিটোরিয়াল কমব্যাট ''।
পম্পেই
এড্রিক ইরিনাকে গল্প শোনায় বলে বুঝলে ,সাধারণতঃ দুই ক্রীতদাস দের মধ্যেই নিয়মিত লড়াই চলতো। এবং দুই যোদ্ধা দানবীয় ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে লড়াই চলা কালীন যতক্ষণ না একজনের রক্তেস্রোতে জর্জরিত হয়ে মৃত্যুবরণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে ততক্ষণ এই যুদ্ধ তারা ভীষণ নির্মম নরকীয় উল্লাসে উপভোগ করতো। এক কথায় যা দানবীয় অশ্লীল ছাড়া আর কিছু নয়। মাঝেমাঝেই ভয়ানক হিংস্র ক্ষুধার্থ প্রাণীদের বিরুদ্ধে ও এই ক্রীতদাসদের লড়াই চলতো এবং এই লড়াইয়ের হারজিতে বীভৎস আকার নিয়ে একজন গ্লাডিয়েটার শোচনীয় ভাবে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে দেখে ও ধনী বিত্তবান শ্রেণীর আমোদ উল্লাস প্রমোদ নৃত্য বন্ধ হতো না। ইরিনা হতাশ হয়ে বলে কিছুতেই মানতে পারছি না এরা এলিট শ্রেণীর নাগরিক এক সুসভ্য জাতি ছিল। তিতির ও ইরিনা কে সমর্থন করে। বলে গ্লাডিটোরিয়াল কমব্যাট '', সত্যি এদের অমানবিকতার শেষ নেই ,আর যাই বলো সুসভ্য নাগরিক কিছুতেই বলা যায়না।
শ্রী বলে এই একই ঘটনা দেখেছিলাম রোমে কলোসিয়ামে।সে আরো নির্মম। মিস ব্রানটা বলে পম্পেই থেকেই অনুকরণ করে রোমের কলোসিয়াম পরে গড়ে উঠেছিল। তবে এখানকার এম্পিথিয়েটার হল প্রায় পাঁচ হাজার দর্শকের আসন বিশিষ্ট ছিল। সেখানে গান বাজনা নাটক ইত্যাদি অনুষ্ঠান ও চলতো। এ ছাড়া ও পাশেই আর একটি অপেক্ষাকৃত ছোট হল ''ওডিয়ন '' থিয়েটার ভবন ছিল যেখানে ১০০০ দর্শকের বসার আসন ছিল। সেখানে ও প্রথম দিকে সমাজের এলিট শ্রেণীর বসার ব্যবস্থা নির্দিষ্ট ছিল। সেই প্রাচীন যুগে-- কত কাল আগে ও মানুষের চিন্তাধারা প্রাত্যহিক জীবনের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে কত সুন্দর সুপরিকল্পিত ভাবে এ শহর নির্মিত হয়েছিল।
1 Comments
অসাধারণ বর্ণনা। ছবির মতো দেখতে পা-ও।
ReplyDelete