বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ তথা অবসর প্রাপ্ত আধিকারিক ড. অমলকান্তি পাণ্ডের স্মরণসভা হয়ে গেল ২২শে মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত্রি ৯.৩০ পর্যন্ত কেরানিটোলা হোটেল হিন্দুস্থান এর ব্যাংকয়েট এ।
উপস্থিত ছিলেন শহরের বিদগ্ধ ও বিশিষ্ট মানুষজন এবং অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত ভারতীয় ষ্টেট ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার আধিকারীক ও কর্মী বৃন্দ। এই অনুষ্ঠান টির আয়োজক ছিলো ড. অমলকান্তি পাণ্ডের পরিবার।
আবৃত্তি ও শ্রুতি নাটক শিক্ষণ কেন্দ্র 'বাচিক' এর অনুষ্ঠানও ছিলো এই স্মরণ সভাটিতে। বাচিক এর সদস্য ও সদস্যাদের কবিতা পাঠ ও আলেখ্যর মধ্য দিয়ে তর্পণ ছিলো অনুষ্ঠানটিতে। বাচিক এর পক্ষ থেকে সুমনদীপ পাণ্ডে ড. অমলকান্তি পাণ্ডের কবিতা পাঠ এর ভিডিও সহ বিভিন্ন সময়ের ছবি, পারিবারিক ছবি ইত্যাদি নিয়ে একটি পনেরো মিনিটের ভিডিও তৈরী করে দেখিয়েছেন ড. অমলকান্তি পাণ্ডের স্মৃতি তর্পণে।
বাচিক শিল্পী স্বাগতা পাণ্ডের লেখা 'অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলো...' কবিতাটি মানপত্র আকারে তুলে দেওয়া হয় প্রয়াত ড.পাণ্ডের স্ত্রী ঝর্না পাণ্ডের হাতে। এই 'স্মৃতি তর্পণ' অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ড.পাণ্ডের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কমলকান্তি পাণ্ডের স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে। ড.পাণ্ডের কিছু হারিয়ে যাওয়া লেখা নিয়ে ওনার দৌহিত্র সুমনদীপ পাণ্ডের সম্পাদনায় 'অপ্রকাশিত অমলকান্তি...' নামে এই গদ্য ও পদ্যের সংকলনটি বই আকারে এই অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। 
বইটির মুখবন্ধ পাঠ করেন ড.পাণ্ডের ভাইঝি স্বগাতা পাণ্ডে। পরিবার ও পরিবারের বাইরে বহু মানুষ তাঁর স্মৃতি চারণা করেন। টাউন বয়েজ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা সঙ্গিত পরিবেশন করেন। বাচিক এর পক্ষ থেকে সংগীত পরিবেশন করেন ক্ষুদে শিল্পী অহনা সামন্ত। 'বাচিক' এর কর্ণধার স্বাগাতা পাণ্ডে সহ সমগ্র অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও সঞ্চালনা করেন ড. অমলকান্তি পাণ্ডের কন্যা অনন্যা পাণ্ডে।
🍂
0 Comments