জ্বলদর্চি

বানপ্রস্থের বাঁশি : তিমির হননের সুর /অংশুমান খাঁন

বানপ্রস্থের বাঁশি : তিমির হননের সুর

অংশুমান খাঁন

শূন্য দশক থেকে ভারতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে বদল ঘটেছিল তা আমাদের নাগরিক জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছিল। তার সঙ্গে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত পরিবর্তন যুক্ত হয়ে এই সময়টাকে অপসৃয়মাণ কালের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। এই বিচিত্র সময়কে কবি যখন তাঁর কাব্যের একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে নির্বাচন করতে চান তখন তাঁকে যে বিশেষ সতর্কতা ও সাহসিকতা দেখাতে হয় তা আমরা দেখতে পাই কবি সালেহা খাতুনের বানপ্রস্থের বাঁশি (২০২৫) কাব্যে। জ্বলদর্চি থেকে প্রকাশিত এই কাব্যে ষাটটি কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতাগুলি এক নিগূঢ় বন্ধনে আবদ্ধ। দীক্ষিত পাঠকমাত্রেই সেই বন্ধন উপলব্ধি করতে পারবেন। ‘ভাতের স্বপ্ন’ দিয়ে এই কাব্যের সূচনা। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ ‘ভাত’-এর অধিকার আজও পায়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই পৃথিবী এখনও মানুষের ভাতের স্বপ্নটুকু নিশ্চিত করতে পারেনি। অথচ এই সমাজেই আমরা এমন একদল মানুষের দেখা পাই যাদের গৃহে সঞ্চিত রয়েছে অন্নপূর্ণার বিপুল ভাণ্ডার। অন্নপূর্ণা সাধারণ মানুষের কাছেই অন্নরিক্তা। শোনা যায় দুর্ভিক্ষের সময় ফরাসি চাষিরা যখন রুটি না পেয়ে খিদেয় মরছিল তখন ফ্রান্সের রানি মেরি আঁতোয়াঁনেৎ নাকি বলেছিলেন ‘রুটি নেই তো কেক খাও’, যদিও ‘কিল মঁজেঁ দ্য লা ব্রিওখ’ কথাটি ফরাসি বিপ্লবের অনেক আগেই ব্যবহৃত হয়েছিল। এখানে কবি সেই বাণীই যেন শুনতে পান সমাজের নীতি নির্ধারক এইসব মানুষদের কাছ থেকে। যুগ যুগ ধরে অনেক পরিবর্তনের পরেও শাসকের চরিত্র যে আসলে একই আছে তা আমাদের কাছে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে এই কবিতায়।
🍂
ad

এই কাব্যের নামকবিতা ‘বানপ্রস্থের বাঁশি’ প্রকাশিত হয়েছিল ময়ূখ পত্রিকায়। ঝাড়খণ্ডের ডিমনা লেকে এই কবিতার সূচনা হলেও তা অচিরেই ভৌগোলিক সীমাকে অতিক্রম করে, কবিতার নায়িকা পৌঁছে যান মধ্যযুগের জার্মানিতে। হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালার সুরের মূর্ছনায় যেমন ইঁদুরেরা ও পরে শিশুরা বশীভূত হয়ে তার বাঁশিকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি, তেমন কবিও বানপ্রস্থের বাঁশির সুরে ভেসে চলেছেন। এই যাত্রা আমাদের জীবনানন্দের নায়কের হাজার বছর ব্যাপী যাত্রাকে মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানে দিশাহারা নাবিকের দারুচিনি-দ্বীপ খুঁজে পাওয়ার আনন্দ আছে, এখানে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত এখনও অধরা। তাই এখানে নায়িকা গহন অরণ্যে হৃদয় পেতে দিয়েছেন। আশা আছে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে এই বাঁশির মূর্ছনাই। ‘চতুরাশ্রম’ কবিতায় এই ব্যক্তিগত অনুভূতি আরও ঘনপিনদ্ধ হয়েছে। গার্হস্থ্য জীবনের শেষে যে তৃতীয় আশ্রম অর্থাৎ বানপ্রস্থ অপেক্ষা করে থাকে এখানে কবি তার ডাক শুনতে পাচ্ছেন। কিন্তু কবি চতুরাশ্রমের এই গতানুগতিক নিয়মের পরিবর্তে ব্রহ্মচর্যে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তিনি আশাবাদী আগামীর কাছে। আগামী প্রজন্ম নিশ্চয় পেশি শক্তির পরিবর্তে মনুষ্যত্বকেই বড়ো করে দেখতে শিখবে। তিনি সেই সুদিনের শরিক হতে চান। তাই ‘সন্ন্যাস’ তাঁর কাঙ্ক্ষিত নয়। তাঁর ‘প্রতিবেশ’ জুড়ে রয়েছে নানক, কবীরের উদারতা। রক্তকরবী-র নন্দিনীর মতো কবিও লোভ, শোষণের বিরুদ্ধে যেন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চান। কিন্তু এই প্রতিরোধ তিনি গড়তে চেয়েছেন জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে।


‘বাণী’ কবিতার শুরু হয়েছে ফজরের আজান দিয়ে। কিন্তু যার জীবন সদা তপস্যাময় তার জীবনে এই বাণীর আর কী প্রয়োজন! ধর্ম অপেক্ষা কর্মকেই এখানে প্রাধান্য দিয়েছেন কবি। ধর্মপালন আসলে যে জীবনচর্যার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে, সেই সত্যকে তিনি আমাদের সামনে উদ্ভাসিত করতে চেয়েছেন। ধর্মকে হাতিয়ার করে কীভাবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নারীদের ওপর নানান নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তাদের গৃহবন্দি করে রাখতে চায় তা-ই প্রকাশিত হয়েছে ‘নিষিদ্ধ’ কবিতায়।


‘ডিসেম্বরের দিনগুলি’, ‘হ্যালুসিনেশন ও অন্যান্য’ এবং ‘শ্রী শ্রীর ওয়ালটেয়ারে’ প্রকাশিত হয়েছিল জ্বলদর্চি ওয়েব ম্যাগাজিনে। ‘ডিসেম্বরের দিনগুলি’ উঠে এসেছে কবির জীবনযাপন থেকে। পেশাগত জীবন কীভাবে ব্যক্তিজীবনের ক্যালেন্ডারকে নিয়ন্ত্রিত করে তার ছবি ফুটে উঠেছে এই কবিতায়। সাহিত্যের অধ্যাপনা করার সুবাদে কবির দিনযাপনের সঙ্গে কীভাবে দেশ-বিদেশের সাহিত্য-সাহিত্যিক একাকার হয়ে গেছে তা আমরা এই কবিতায় দেখতে পাই। ‘হ্যালুসিনেশন ও অন্যান্য’ কবিতায় একটি ‘কাল্পনিক’ দিনযাপনের চিত্র পাই। মনের গভীরতর অংশে পৌঁছে যায় যে সকল বিশ্বাস তা কীভাবে আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এই দ্বন্দ্বই এখানে ফুটে উঠেছে। মধ্যযুগীয় আবহ নির্মাণের জন্য এসেছে জিন-পরিদের কথা। যা হ্যালুসিনেশনকে আরও প্রগাঢ় করে তুলেছে। জীবনানন্দ দাশ যে ‘বোধ’-এর ছবি এঁকেছিলেন তাঁর কবিতায় এখানে যেন তারই পুনর্নির্মাণ দেখতে পাই। অন্ধ্রপ্রদেশ ভ্রমণ থেকে জাত ‘শ্রী শ্রীর ওয়ালটেয়ারে’ কবিতাটি। তেলেগু ভাষার বিখ্যাত কবি শ্রীরঙ্গম শ্রীনিবাস রাও (১৯১০—১৯৮৩) যিনি ‘শ্রী শ্রী’ নামেই অধিক পরিচিত তাঁর স্মৃতিতে এই কবিতাটি রচিত। ভ্রমণকাহিনি হলেও এখানে ভৌগোলিক সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে প্রকাশিত হয়েছে কবির বিবিধ অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির ছবি। নতুন ভাষা নতুন স্থান আমাদের মনের অনেকগুলি বন্ধ জানালা যেমন উন্মুক্ত করে দেয় তেমনই আবহমানকাল ধরে লালন করে চলা আমাদের অনেক ভাবনাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। নতুন প্রকৃতি আমাদের নতুন করে শেখায় সব। এই ভ্রমণ শুধু শরীরের নয়, আধ্যাত্মিক এক জগতে কবির মানসিক ভ্রমণ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। মানুষের নিজেকে জানার যে যাত্রা তা এই ভ্রমণের সঙ্গে মিশে গেছে।


‘দুই নারী’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল এপার ওপার ইছামতী পত্রিকায় (সম্পাদক – চৈতালী ব্রহ্ম)। প্রেমিকাসত্তা ও মাতৃসত্তা— প্রধানত এই দুই সত্তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় একজন নারীর জীবন। কিন্তু নারীর মাতৃসত্তাকে নিয়ে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ উদ্‌বেলিত হলেও তার প্রেমিকাসত্তাকে সে উদ্‌যাপন করে না। ‘পৃথিবীতে কে কাহার’ কবিতায় তাই দেখি একের পর এক রবীন্দ্র-নায়িকার হাহাকার। দীর্ঘদিনের উপেক্ষা পুঞ্জীভূত হয়ে ক্ষোভের জন্ম দেয়। আবার সেই ক্ষোভ অবদমিত হয়ে কখনও কখনও নির্লিপ্ত করে তোলে প্রেমিকার মন। তাই ‘নির্লিপ্তি’ কবিতায় দেখি এই তত্ত্বের কচকচিতে বিষিয়ে উঠেছে যেন কবির মন। হাজার তত্ত্বের ভিড়ে যেন হারিয়ে যেতে বসেছে মানুষের সহজ সরল দৈনন্দিন জীবন। জীবনানন্দ তাঁর ‘সমারূঢ়’ কবিতায় যেমন অধ্যাপকদের ছবি এঁকেছিলেন, এখানে কবিও যেন তেমনই নীরস জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন। ‘রূপক’ কবিতায় রয়েছে এর বিপরীত চিত্র। কবিতাটি ময়ূখ পত্রিকার ‘গ্রীষ্ম-বর্ষা’ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে শরতের আগমনে প্রকৃতির মতো মানুষের জীবনও কেমন রঙিন হয়ে ওঠে তার বর্ণনা রয়েছে। ‘পঁচিশে বৈশাখ’ (প্রত্যুষা পত্রিকায় প্রকাশিত) কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের প্রতি একালের কবির শ্রদ্ধার্ঘ্য। তবে এ যেন গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো। রবীন্দ্রনাথের বিরাট উদ্যান থেকেই ফুল সংগ্রহ করে মালা গেঁথে তাঁকে অর্পণ করেছেন কবি। ‘কবি হে’ (তারার পত্রিকায় প্রকাশিত) কবিতায় আমাদের রবীন্দ্রনাথকে ‘সখা’ হিসেবে পাওয়ার যে চির আকাঙ্ক্ষা তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জীবনের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল। দীর্ঘদিন রবীন্দ্রচর্চার ফলে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবির যে সখ্যতা তৈরি হয়েছে তা-ই যেন বাস্তবে তাঁর সৃষ্টির পাথেয় হয়ে উঠেছে। এই কাব্যে বারে বারে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের একটি যোগাযোগ দেখানো হয়েছে। কখনও অতীতের বিনির্মাণ হয়েছে কখনও আবার অতীত এসেছে ইতিহাসের পর্যায়ক্রম বোঝাতে। ‘উলঙ্গ’ কবিতায় সেভাবেই মহাকাব্যের কাহিনি আধুনিক সংকটের প্রকাশক হয়ে উঠেছে। ‘অস্বাভাবিক’ কবিতায় তিনি রবীন্দ্রনাথ ও একালের কবিদের চারিত্রিক তফাত তুলে ধরেছেন। ‘তফাত যাও’ কবিতায় ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এর মেহের আলিকে কবি একালের লোভী, পাষাণহৃদয় মানুষের সম্মুখে দাঁড় করিয়েছেন।


জ্বলদর্চি পত্রিকার উৎসব সংখ্যায় প্রকশিত হয় ‘কবি জন্ম’ কবিতাটি। কবির মুখোমুখি দাঁড়ায় দেবোপমা। সে কবির প্রতিস্পর্ধী হতে চায়। প্রেয়সী বা জীবনদেবতার বন্দনায় সে খুশি নয়। সে চায় তার নতুন পরিচয়। কবিতার জন্ম দেবে সে একা একা। এই উচ্চারণ একজন আধুনিক নারীর। সে পুরুষের পরিচয়ে পরিচিত হতে চায় না। সে আত্মপ্রতিষ্ঠা চায়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠা হবে স্বোপার্জিত। ‘মানুষ’ কবিতায় ডায়োজিনিস যে মানুষের সন্ধান করেন তা হল চিরন্তন মানব। সহজ, সত্য সেই মানবই আজ এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে পারে আমাদের। ‘মানবাধিকার’ কবিতায় এই মানবেরই এক রূপ দেখি। সভ্যতার সংকটে একের পর এক মহামানব তাঁদের কর্ম দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনার বিস্তার করতে চেয়েছে। জাগাতে চেয়েছে এই চিরঘুমন্ত জাতিকে। 


তম্বুরা পত্রিকার উৎসব সংখ্যায় (২০২৪) প্রকাশিত হয় ‘লিপি’ কবিতাটি। অভিমান তীব্রতর হয়ে রূপ নিয়েছে এই কবিতার। প্রেমের একটি ভিন্নচিত্র দেখতে পাই ‘বারোমাস্যা’ কবিতায়। ফুল্লরার অভাবের বারোমাস্যার সঙ্গে আজকের প্রেমের বারোমাস্যাকে মিলিয়ে দিয়েছেন কবি। ‘রক্তবীজ’ কবিতায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রেমকে বা নারীকে কীভাবে দেখা হয় তা ফুটিয়ে তুলেছেন কবি। প্রেম এই কাব্যে ফল্গুধারার মতো একটি চোরাস্রোত হয়ে এসেছে। যেমন এসেছেন জীবনানন্দ। তাঁর উপস্থিতি শুধু কবিতার অনুষঙ্গে নয়। কবিতার ভাবনায়, তার অন্তরঙ্গ সজ্জায়। কাব্যে যে নির্লিপ্তির সুর মিশে আছে অভিমানে, অনুযোগে তা জীবনানন্দের কথাসাহিত্যের একটি পরিচিত সুর। একই সঙ্গে এই কাব্যের বহিরঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সহজ অনুবর্তন লক্ষ করা যায়। কবির সহজ সরল ভঙ্গিতে রবীন্দ্রসাহিত্যের এই পুনর্নির্মাণ তাঁর কাব্যকে যেমন উপাদেয় করে তুলেছে তেমনই নানান ভাবনার উৎসমুখ খুলে দিয়েছে। কবি সমাজের কাছে, ধর্মের কাছে ‘প্রশ্ন’ রাখতে ভয় পাননি। তাঁর এই নির্ভীক অবস্থান কাব্যটিকে এই সময়ের একটি মূল্যবান দলিলে রূপান্তরিত করেছে। এই কাব্যে সময়ের চিহ্ন খুব স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে। আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে কবির অবস্থান। তিনি দুর্বলের হয়ে প্রশ্ন করতে চান। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চান। কিন্তু সেই প্রতিবাদের ভঙ্গি, সেই প্রতিরোধের শব্দচয়ন হবে তাঁর নিজস্ব। তিনি হুজুগে মেতে উঠবেন না। কিন্তু নিজের মতো করে সময়ের কাছে রেখে যাবেন তাঁর প্রতিবাদ। একই সঙ্গে এই কাব্যে স্থানে স্থানে উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তি জীবনের নানান একান্ত মুহূর্তের ছবি। যেমন ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রয়েছে পিতৃশোকের বহিঃপ্রকাশ বা ‘বইঘর’ কবিতায় কবিবন্ধু অর্পিতা কুণ্ডুর সাফল্যে খুশির অনুভূতি। তেমনই রয়েছে স্বামী, কন্যা, নিজের অধ্যাপনা জীবনের প্রসঙ্গ। এইসব বহুস্তরীয় ব্যক্তিগত অনুভূতি অতিক্রম করেও কবিতা হিসেবে এগুলি বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। কবিকে ব্যক্তিগতভাবে না জানলেও তাঁর কবিতার বিষয়টি বুঝতে পাঠকের কিছুমাত্র অসুবিধে হয় না। এইখানেই এই কাব্যের সাফল্য। কবি তাঁর উত্তর পঞ্চাশ জীবনে যে বানপ্রস্থের বাঁশি শুনেছেন তার শরিক হয়েছি আমরাও। রিলে রেসের মতো তিনি যেন তাঁর অভিজ্ঞতা, উপলব্ধির ভাগ দিচ্ছেন আমাদের। বিষণ্ণতা নয়, প্রতিরোধের সুর বেজেছে তাঁর বাঁশিতে।

Post a Comment

0 Comments