জ্বলদর্চি

জঙ্গলমহলের লোকগল্প :দরিদ্র ধোপার ভাগ্য/সংগ্ৰাহক- পূর্ণিমা দাস /কথক- চন্দ্রিমা দাস, গ্ৰাম- যুগীশোল,থানা- নয়াগ্ৰাম, জেলা- ঝাড়গ্ৰাম

জঙ্গলমহলের লোকগল্প
 
দরিদ্র ধোপার ভাগ্য

সংগ্ৰাহক- পূর্ণিমা দাস 

কথক- চন্দ্রিমা দাস, গ্ৰাম- যুগীশোল,
থানা- নয়াগ্ৰাম, জেলা- ঝাড়গ্ৰাম 

 গগনেশ্বর নামে একটি গ্ৰামে রতন নামে এক ধোপা তার বৃদ্ধা মায়ের সাথে এক কুঁড়েঘরে বাস করত। রতন মানুষের জামাকাপড় কাচত। সেই জামাকাপড় কেচে যা রোজগার হত তাই দিয়ে তাদের দুজনের দিন কাটত।

একদিন রতনের মা রতনকে বলে-“বাবা রতন, বর্ষাকাল তো চলে এল। কিন্তু তুই এখনো আমাদের ঘরের চালাটা ঠিক করিসনি।”

তখন রতন বলে-“মা, তুমি এসব নিয়ে চিন্তা করো না তো। টাকা হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রথমেই আমাদের ঘরের চালাটা ঠিক করব। আচ্ছা মা, এখন আমি তাহলে কাপড়গুলো নিয়ে নদীতে গেলাম।”

এই বলে রতন কাপড় ভর্তি ভারী বোঝা  মাথায় নিয়ে নদীর দিকে যায়। আর সেখানে জামাকাপড়গুলো ভালো করে কেচে সেগুলো শুকনো করতে দেয়। 

কাপড়গুলো শুকনো করতে দিয়ে রতন বলে-“যাক্ বাবা, কাপড়গুলো কেচে শুকনো করতে দেওয়া হয়ে গেল। এরপর শুধু অপেক্ষা কখন কাপড়গুলো শুকনো হবে। আর কাপড়গুলো শুকনো হলেই আমি এগুলো তাদের মালিকের কাছে দিয়ে আসব।”

রতন যখন এই কথা বলছিল ঠিক তখনই গ্ৰামের জমিদারের ছেলে রাজু সেখানে আসে। 

সে রতনকে বলে-“এই রতন, তোমার মতো এত বাজে লোক আমি কোনোদিনও দেখিনি। তুমি সবসময় মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাও কেন?”

তখন রতন বলে-“কী হয়েছে কী ছোটোবাবু, আমি কী ভুল করলাম?”

রাজু তখন বলে-“না না তোমার ভুল নয়, ভুলটা আমার বাবার। তিনি যে তোমার বাবাকে টাকা ধার দিয়েছিলেন সেটাই সব থেকে বড় ভুল। কিন্তু তোমরা বাবা তা শোধ না করেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। এখন আমাদের টাকাটা কে শোধ করবে শুনি? তিনি কী স্বর্গ থেকে নেমে এসে টাকা শোধ করবেন হ্যাঁ?”

তখন রতন বলে-“আজ্ঞে ছোটো বাবু, আমি তোমার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি ধীরে ধীরে আমার বাবার সব ঋণ সুদে আসলে শোধ করে দেব। তুমি কী আমাকে বিশ্বাস করো না?”

রাজু বলে-“তোমার উপর কী ভরসা করা যায়? তোমার বাবা টাকা নিয়ে তো পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। আর তুমি যদি এই গ্ৰাম ছেড়ে চলে যাও, তাহলে ঋণ কে শোধ করবে শুনি?”
🍂

রতন তখন বলে-“কী বলছ কী ছোটোবাবু, এই গ্ৰাম ছেড়ে আমি এবং আমার বৃদ্ধা মা যাবটা কোথায়? তুমি আর কয়েক মাস আমাকে সময় দাও আমি সব ঋণ শোধ করে দেব।”

রাজু বলে-“আরে না না, বাবা আমাকে স্বষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে সুদে আসলে তোমাকে সব ঋণ শোধ করতে হবে। আর তার যদি না করো তাহলে আমরা তোমার বাড়িটি কেড়ে নেব।”

এই কথা বলে রাজু সেখান থেকে চলে যায়।

আর এদিকে রতন কোনো উপায় না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি আসতেই তার মা তাকে বলে-“ও রতন কী হয়েছে বাবা।  এভাবে মুখ শুকনো করে বসে আছিস কেন? যখন গেলি তখন তো খুশি মনেই গেলি। আর এখন আবার কী হল?”

তখন রতন তার মাকে সব কথা বলে।

সব শুনে রতনের মা রতনকে বলে-“জমিদার এত বড়লোক হওয়া সত্ত্বেও তার মন পাথরের মতো। ওই লোকটির মধ্যে কোনো দয়া মায়া নেই। তোর বাবা ওই জমিদারের কাছে সামান্য কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। তার বদলে ওই জমিদার আমাদের সমস্ত জমি কেড়ে নিয়েছিল। আর এখন ওর নজর পড়েছে আমাদের বাড়িটার উপর।”

তখন রতন বলে-“মা, এখন তাহলে আমরা কী করব? আমার তো মাথায় কিছুই আসছে না।”

তার মা তখন বলে-“আর কী করবি বাবা, কপালে যা আছে তাই হবে।”

এরপর রতন আর কিছু বলে না।

 পরের দিন সকালে রতন রোজকারের মতো কাপড় ভর্তি বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে কাপড় কাচতে চলে যায় এবং সমস্ত কাপড় চটপট ধুয়ে নেয়।

 কাপড় ধোয়া হয়ে যাওয়ার পর রতন বলে-“অবশেষে আজ আমি সময়মতো সব কাপড় ধুয়ে ফেলেছি। এখন শুধু কাপড়গুলো শুকনো হওয়ার অপেক্ষা। আর কাপড়গুলো শুকনো হলেই আমি এগুলো তাদের মালিকের কাছে দিয়ে আসব। এখন যাই যতক্ষণ না কাপড়গুলো শুকনো হচ্ছে ততক্ষণ ওই গাছের নিচে গিয়ে একটু বিশ্রাম নি। আজকে আমার উপর দিয়ে খুব ধকল গেছে।”

এই বলে রতন গাছের নিচে গিয়ে বসে। আর গাছের ছায়ায় বসতেই কখন যে ওর চোখ জুড়িয়ে যায় ও বুঝতে পারেনা। হঠাৎ তখনই দমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। যায়ফলে রতন যে কাপড়গুলো শুকনো করতে দিয়েছিল সেগুলো এদিক ওদিক উড়ে চলে যায়। জোরে বাতাস দিতেই রতনের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভাঙতেই সে দেখে শুকনো করতে দেওয়া কাপড়গুলো ওখানে নেই। তারপর সে সেগুলো খুঁজতে শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সে কিছু কাপড় খুঁজে পায়। কিন্তু বাকি কাপড়গুলো সে খুঁজে পায় না। দমকা বাতাসে সেগুলো জঙ্গলের অনেক ভেতরে চলে গেছে। যেখান থেকে নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।

এরপর রতন সব কথা তার মালিকদের বলে। কিন্তু যাদের কাপড় সে ফেরত দিতে পারেনি তারা রতনকে বলে রতন যেন আগামী একমাস বিনামূল্যে তাদের জামাকাপড় কেচে দেবে। কারণ জামাকাপড়ের মূল্য দেওয়ার মতো টাকা তার কাছে নেই। ফলে রতন তাদের কথায় রাজি হয়ে যায়। 

এদিকে রতন বাড়ি ফিরতেই তার মা তাকে বলে-“বাবা রতন, ঘরে চাল, ডাল কিছু নেই। আজকের মতো আমি যে করে চালিয়ে নেব। কিন্তু কাল থেকে কী হবে বাবা?”

রতন বলে-“চিন্তা করো না মা, একটা না একটা ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে।”

এর পরের দিন প্রতিদিনের মতো রতন নদীতে কাপড় কাচতে যায়। 

কাপড় কাচতে কাচতে সে ভাবে-“হে ভগবান, এখন আমি কী করব? ওদিকে মা ভাবছে আমি চাল, ডাল নিয়ে যাব। আর এদিকে আমার কাছে একটা কানাকড়িও নেই। এখন আমি কী করব ভগবান কী করব?”

এই কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ রতন নদীর জলে কিছু একটা দেখতে পায়। সেটির উপর সূর্যের আলো পড়তেই তা চকচক করতে থাকে। রতন সেটিকে নদী থেকে তুলে নেয়, আর ভালো করে দেখে। ভালো করে দেখতেই সে দেখে সেটি হল একটি হীরে।

রতন তখন বলে-“এ কী এ তো হীরে। এত দামী জিনিস এখানে এল কী করে? নিশ্চয়ই কেউ ভুল করে ফেলে দিয়েছে।”

তখন রতন অনেক ডাকাডাকি করে। কিন্তু কারোর কোনো সাড়া শব্দ পায় না। ফলে রতন ওই হীরেটি বাড়িতে নিয়ে আসে। আর বাড়িতে এসে তার মাকে সব কথা বলে।

তার মা তখন বলে-“বাবা রতন, ভগবান আমাদের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন। এবার থেকে আমাদের আর কোনো অভাব থাকবে না। যা বাবা যা এই হীরে নিয়ে গিয়ে সোনা দোকানে বিক্রি করে আয়।”

এই শুনে রতন বলে-“কী বলছ কী মা। এ হয় না এটা আমাদের জিনিস নয়। তাই এটা আমরা বিক্রি করতে পারি না। হয়তো কেউ ভুল করে এটা ফেলে দিয়েছে। আমি কালকেই এটা যেখানে পেয়েছিলাম সেখানে রেখে দিয়ে আসব। যার জিনিস সে নিয়ে যাবে। আমরা গরীব হতে পারি মা কিন্তু লোভী নই।”

কিন্তু এদিকে রতনের মার মনে লোভ দেখা দেয়। সে সামনাসামনি রতনকে কিছু না বললেও মনে মনে বলে-“কিছুতেই না, রতন যতই বলুক এই হীরে আমি কিছুতেই ফেরত দিব না।”

এর পরের দিন সকালে রতন কাপড় কাচতে বের হয়। বের হওয়ার আগে সে তার মাকে ওই হীরেটি দিতে বলে।

তখন তার মা বলে-“বাবা রতন, আমি ওই হীরেটি তোর কাপড়ের বোঝার মধ্যেই রেখেছি।”

তখন রতন আর কিছু না বলে কাপড় কাচতে চলে যায়। কিন্তু নদীতে গিয়ে কাপড়ের বোঝার খুলতেই সে দেখে হীরে নেই। সে ভাবে হীরেটা গেল কোথায়, কোথাও পড়ে গেল না তো? এই ভেবে সে সেটিকে খুঁজতে বের হয়। আর খুঁজতে খুঁজতে সে বাড়ি পৌঁছে যায়। বাড়ির সামনে আসতেই সে শুনতে পায় তার মা কী যেন বলছে।

সে তখন ভালো করে শুনে, তার মা বলছে-“এই হীরে যে আমার কাছে আছে তা রতনকে কিছুতেই জানতে দেওয়া যাবে না। আমি এটিকে নিজে গিয়ে বিক্রি করে দিয়ে আসব। এটি বিক্রি করে যে টাকা আসবে তার দিয়ে আমাদের সব অভাব দূর হয়ে যাবে।”

এদিকে রতন বাইরে থেকে সব কথা শুনে নেয়। তখন সে উপায় খুঁজে কী করে তার মায়ের কাছ থেকে হীরেটি নেবে। অবশেষে একটা উপায় বের করে। উপায় খুঁজে সে ঘরে ঢুকে। রতনকে আসতে দেখে তার মা তাড়াতাড়ি করে হীরেটি লুকিয়ে ফেলে।

রতন ঘরে ঢুকে তার মাকে বলে-“জান মা, হীরেটি কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। তুমি বললে কাপড়ের বোঝার মধ্যে রেখেছ। কিন্তু সেখানে তো হীরে নেই। মনে হয় কোথাও পড়ে গেছে।

তার মা তখন বলে-“আর কী করবি বাবা, হয়তো কোথাও পড়ে গেছে। সে যাই হোক তা আর খুঁজে লাভ নেই।”

তখন রতন বলে-“হ্যাঁ মা, তুমি ঠিকই বলেছ। ওটা হারিয়ে গেছে একদিক থেকে ভালো হয়েছে।”

তার মা বলে-“কেন?”

রতন বলে-“কারণ আমি যখন হীরেটি খুঁজতে খুঁজতে বাড়ির দিকে আসছিলাম তখন এক সাধুবাবার সঙ্গে দেখা হল। আমি ওনাকে হীরের ব্যাপারে বললাম। তখন উনি বললেন ওই হীরে নাকি কোনো এক ডাইনির। ওই হীরে যদি কেউ নেয় তাহলে ও সবসময় নানারকম শব্দ শুনতে পাবে। ওই ডাইনি ওকে ছাড়বে না। সেদিক থেকে ভালোই হয়েছে ওই হীরেটি হারিয়ে গেছে। তা না হলে ওই ডাইনি আমাদের ছাড়ত না।”

এই শুনে রতনের মা ভয় পেয়ে যায়। তখন সে রতনকে বলে-“তুই ঠিক বলছিস বাবা?”

রতন বলে-“হ্যাঁ মা, আমি ঠিকই বলছি। আচ্ছা মা এখন তাহলে আমি যাই। ঘাটে অনেক কাপড় পড়ে আছে, ওগুলো কাচতে হবে।” 

এই বলে রতন সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে তার মা খুব ভয় পেয়ে যায়। আর তখনই রতনের মা কিছু একটা শব্দ শুনতে পায়। কেউ যেন বলছে-“দে আমার হীরে আমাকে ফিরিয়ে দে, তা নাহলে তোকে আমি শেষ করে দেব হা হা হা।” 

এই শুনে ভয়ে রতনের মা রতনের কাছে চলে যায়। আসলে ওটা কোনো ডাইনির গলা ছিল না। রতন তার মাকে ভয় দেখিয়ে ছিল। যাতে ওর মা ওই হীরে ফিরিয়ে দেয়। কারণ সে চায়নি তার মার মনে লোভ থাকুক।

এরপর রতনের মা রতনের কাছে এসে সব কথা বলে। রতন তখন ওই হীরে যেখানে পেয়েছিল সেখানে রেখে দেয়। ঠিক তখনই নদীতে একটা শব্দ শোনা যায়। নদী থেকে এক সুন্দরী কন্যা উঠে আসে। সেই কন্যা আর কেউ নন তিনি হলেন জলদেবী। 

জল দেবী রতনকে বলেন-“যাক্ অবশেষে আমি আমার হীরে খুঁজে পেলাম।”

রতন তখন বলে-“এটা আপনার হীরে?”

জলদেবী বলেন-“হ্যাঁ বাছা, এটা আমার হীরে। আর তুমি আমার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছ।”

রতন বলে-“পরীক্ষা! কী পরীক্ষা দেবী? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।”

তখন জলদেবী রতনকে বলেন-“বাছা,আমি তোমাকে সব বুঝিয়ে বলছি। আসলে আমি সবাইকে এইভাবে পরীক্ষা করি। যদি কেউ এই নদী থেকে হীরে পায় এবং হীরে পাওয়ার পর যদি তার মনে লোভ আসে তাহলে ওই হীরে পাথরে পরিণত হয়। আর যার মনে লোভ থাকে না এবং হীরেটি যদি সে ফিরিয়ে দেয় তাহলে সেই ব্যক্তি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। আমি জানি তুমি একজন সরল মনের মানুষ, তোমার মন পরিষ্কার।  তাই এত অভাবের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তুমি তোমার সততা ভুলে যাওনি।”

রতন তখন বলে-“আরে না না, আমাকে আমার মা এসব মূল্যবোধ শিখিয়েছে।”

সব শুনে রতনের মা বলে-“আমাকে ক্ষমা করবেন দেবী। লোভ আমার মনকে দখল করতে শুরু করেছিল। কিন্তু আমি আর কী করতে পারি আপনি বলুন।  আমরা খুব গরীব। কোনো কোনো দিন একবেলাও খাবার জুটে না। আমার কথা আমি ভাবি না। আমার বয়স হয়েছে আর কদিনবা থাকব। কিন্তু আমার চিন্তা আমার ছেলেকে নিয়ে, ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে। এই পরিস্থিতির কারণে আমার মনে লোভ সৃষ্টি হয়েছিল।”

তখন জলদেবী বলেন-“এটা তোমার দোষ নয় এটা তোমাদের পরিস্থিতির দোষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমার ছেলে তার সততা ভুলেনি। তাই তোমার ছেলে তার সততার জন্য পুরস্কার পাবে।”

এরপর জলদেবী রতনকে একটি কলসি দেন। যাতে ভর্তি স্বর্ণমুদ্রা আছে। যা দেখে রতন এবং তার মা অবাক হয়ে যায়। 

জলদেবী রতনকে বলেন-“রতন এটাই তোমার সততার পুরস্কার। এর সাহায্যে তোমরা তোমাদের সমস্ত অভাব দূর করতে পারবে।”

এই বলে জলদেবী অদৃশ্য হয়ে যান। 

তখন রতন তার মাকে বলে-“মা তুমি দেখেছ, আজ আমরা আমাদের সততার পুরস্কার পেলাম।”

তার মা বলে-“হ্যাঁ বাবা, তুই ঠিক বলেছিস। এই সততার পুরস্কার আমাদের নয় এটা শুধুমাত্র তোর। কারণ তুই তোর সততা ভুলে যাসনি। একজন মানুষকে কখনোই তার সততা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।”

 এই ঘটনার পর রতন এবং তার মার খুশির কোনো সীমা থাকে না।  ওই উপহারের সাহায্যে তাদের সমস্ত অভাব মিটে যায়। এরপর তারা সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করতে শুরু করে।

Post a Comment

0 Comments