গুচ্ছ কবিতা
মধুপর্ণা বসু
যূথবদ্ধ
কেউ কথা দিয়েছিল দিন বদল-
অনবদমিত মনস্তাপ কর গুনে গুনে
অব্দ পার হয়ে গেছে অসহায়,
জুড়িয়ে যায় কবিতা পত্রে অক্ষম ইস্তেহার। তবুও কোথাও যেন অস্ফুট বেজেছে
পরজের সুর রাত্রির নিগার বন্ধন ছিঁড়ে
বিচ্ছুরণ কানে বাজে যন্ত্রণা অনুসঙ্গে
তীব্র হাহাকার ঠেলে..
এসব বৃত্তান্ত বায়োগ্রাফির সোনার পাতা,
এসব যুদ্ধরত দিন, অনাবাসী রাত,
তুমুল নিজের সাথে মতান্তর সৃষ্টি করে
অতএব ব্যতিক্রমী ক্যানভাস,
তাতে তোমার স্বপ্ন ভঙ্গুর সময়, জোরালো
আর্তনাদ শব্দে এসব খোদাই থাক।
বোলোনা অপ্রিয়
অসামান্য তোমার কল্পনা, অথবা ভ্রান্তি,
এই কল্পিতাই তোমাকে প্রেমে এগিয়ে দেয় নারী।
এই মহা মরণ সহস্র প্রাত্যহিক দিনগত পাপক্ষয়ের থেকে মুক্তি, হাউ হাউ কেঁদে
নিরন্তর পাগলিনী তুমিও শক্তিরূপা,
সব গোপন অস্ত্র এখন নির্লজ্জ ভাবে উন্মুক্ত-
তবুও দুদণ্ড জিরোনো যায়না,
হেঁট মুণ্ড হয়ে জীবনকে চালাক জাগলারের মতো মরা বাঁচার খেলা খেলতে গিয়ে বেঘোর!
চোরাবালি জীবন নয়তো কৃপণের হাত থেকেও ফসকে যায়...
জীবনের মজা গন্ধ সরিয়ে মুখ গুঁজেছে তোমার ভেতরে উটপাখি।
কিশোরীকাল, চোখের ভেতর আঁকা গহীন ঝিল ধীরে আস্তে অতল কৃষ্ণ গহ্বরে
তলিয়ে গেছে, তুমি তোমার পোড়া মাংসের গন্ধে টেরাকোটা এঁকেছো একমাত্র।
🍂
একান্ত স্বকীয়
কথারা দোভাষী হয় জানো, দ্ব্যর্থতা লোভনীয় কথারা নিস্তব্ধতা খুঁজে ফেরে, শ্রান্তির,
বুক থেকে নেমে যায় সরীসৃপ অতর্কিত লেহন।
তোমাকে সহস্রবার ছুঁড়ে দিয়েছি লজ্জা বস্ত্র
বিপনি ভেবে দরকষাকষি শুনে মাটি মুখী হই,
আশা ভেঙে গেলে মন শীতার্ত!
কোথায় বাসা বাঁধে এক চিলতে স্নেহ চুম্বন?
হিমযুগের স্থবিরতা তোমার আকাল প্রিয় প্রেমে,
শুধুই কল্পাশ্রিত এসব বৃষ্টি স্নাত নিশীথ!
মন মন! কেউ ডাকে সাড়া দেয়নি,
আত্মরতির প্রকারান্তর তুমিই তোমার আশ্রয়।
নিঃশব্দ প্রিয়
ইচ্ছে করেই ফুলের উৎসব থেকে সরে আসি,
এখন গন্ধে বিভোর সাদা ফুলে
সবুজ মন খুঁজি।
ইচ্ছে-মন প্রগলভতা ছিন্ন মূক মায়া-গাছ বুকে
উচ্চরবে বড় কাতর ,
লাবডুপ মুহূর্তে ছন্দ বদল করে,
ঝড়ের শব্দে তটস্থ,
ঘন হয়ে বসে থাকি উষ্ণতা মাপার যন্ত্রে,
বিপন্নতা ছিঁড়ে একে একে খসে পড়ে
ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা, চিন্তা সূত্রতা,
ভীষণ অভাবী এখন তোমার আমার তাত্ত্বিকতা
মন নীরবতা আগ্রহী সবুজের,
আকাশের মতো অচল,
0 Comments