জ্বলদর্চি

রম্য কবিতা - ৩৪ / শুভশ্রী রায়

রম্য কবিতা - ৩৪ / শুভশ্রী রায়



সোজা-বোঝা

যত পারি আমি লিখবই লিখবই লিখবই ছোটখাটো ছড়া,
তোমাদের ভেতরেই তোমরা রেখে দাও শত ভাব হামবড়া!
পৃথিবীর ঝরঝরে তরতরে হাসিখুশি ভাবটুকু আমি খুঁজি,
যতটুকু পেয়ে যাই ছড়ার ভেতরে ছড়িয়ে দিই সোজাসুজি।
বড় বড় ঘটনা এ দুনিয়ায় অবিরত ঘটছে তা নিশ্চয় মানি,
ভুল হবে যদি বলি, সব বড় কান্ডের কার্য ও কারণ জানি।
কেন সব নিয়ে কথা বলা, সমস্ত ব্যাপারে ভারি ভারি হাঁক,
ও দিকে সহজ ভাবের নদী বয়ে যায়, সেই দিকটায় ফাঁক?
তা চাই না, জীবন এমনি কঠিন, তাকে বানাতে জটিলতর,
সহজকে দূরে ঠেলে শুধু কেন কঠিনেরই জয়গান করো? 



স্বস্তি ও পংক্তি 


বেঁচে থাকা নিয়ে এত বেশি ভাববেন না মশাই,
অত দুশ্চিন্তা করে হ'বে আপনার বিশ্রী দশাই,
মরণ নিয়েও অতি চিন্তা করে হবেন না বিষণ্ণ
বরঞ্চ স্বস্তিতেই বাঁচুন যা জোটে দু' মুঠো অন্ন।
যতটুকু যা পেয়েছেন সেটাও মোটেই নয় মন্দ,
সাধ্য কি আপনার যে সমাধান করেন সব ধন্দ!

বাস্তবকে মেনে কম বানান খেয়ালি পোলাও,
সত্যিই জীবন জুড়ে বাস্তবেরই বোলবোলাও;
তবে সব সময় হিসেব নয়, কেন বা ক্ষণে ক্ষণে
টাকা এবং বিষয়ের কথাই নিয়ে আসেন মনে?
এমন করলে না থাকে শান্তিস্বস্তি, না থাকে সুখ;
বাধার সঙ্গে টানা লড়াই করেও রাখুন হাসিমুখ।

🍂

উদ্ভট ছড়াকার

ভাবছি আজ লিখেই ফেলব কয়েকখানা উদ্ভট ছড়া,
হাওয়ায় লিখব ডটকলমে, মুখে ভরে পানপাতার বড়া,
আমাদের বই ও চিত্রপূর্ণ ভবন হাওয়ার ইঁট দিয়ে গড়া;
কে পারবে মুছে দিতে অবাক-বাড়ি খেয়ালের হাত ধরা?
সেখানে ভোর থেকে রাত আমাদের যত সহজিয়া পড়া,
রোদ অথবা বৃষ্টি, টলটলে ইচ্ছার জলে নেমে স্নান করা!


উদ্ভট নেবে গো?

উদ্ভট ছড়া, উদ্ভট ছড়া কার চাই?
লিখতে চেষ্টা করছি তাও তো ঠিক,
কিন্তু হ'চ্ছে না, কি করে খোঁজ পাই!

সব কিছুই দেখছি বড্ড ঠিকঠাক,
তাহলে আমার কেন উদ্ভট খোঁজা?
বেঠিক নাহয় আমারই মাথায় থাক!



টবিতা

হায় কত যত্ন নিয়েই না লিখতে বসেটসে কবিতা,
মনটন দিয়ে লিখলেও সবই যে হয়ে গেছে টবিতা,
এত যত্নটত্ন করেও আর কিছু হয়ে গেল সবই তা;
দেখি অক্ষরে আঁকাটাঁকা দুর্বল কাব্যিক ছবি তা!

Post a Comment

0 Comments