জ্বলদর্চি

লেক টেকাপো বেড়ানোর গল্প/কথাকলি সেনগুপ্ত

লেক টেকাপো বেড়ানোর গল্প

কথাকলি সেনগুপ্ত 


আমাদের এদিককার অর্থাত নিউজিল্যান্ডের সাউথ আয়লানডের একটি অতি জনপ্রিয় দর্শনীয় জায়গা হোল এই হিমবাহ পুষ্ট লেক টি। গত নভেম্বর মাসের 19 তারিখে অনেক দিন বাদে আবার আমরা লেক টেকাপো ঘুরে আসতে চলে গিয়ে ছিলাম। 

সাউথ আয়লানড এর ক্রাইস্টচার্চ এর থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রাইস্টচার্চ থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা গেলে পর এই নয়নাভিরাম হিমবাহের জলে পুষ্ট লেকটি দেখতে পাওয়া যায়।

তবে এটি নিজে যেমন পৃথিবীর একটি বিরল সুন্দর শোভা, এটির কাছে যেতে হলেও যে মোটরওয়ে বা সীনিক রুট আদি দিয়ে যেতে হয়, সেগুলোর সৌন্দর্য ও কিছু কম নয়! বিশাল উঁচু পাহাড় যা কিনা সাদার্ন আলপস' বলে অভিহিত করা হয়, যার বেশ কিছু জায়গায় এই সময়ে ও বরফ জমে রয়েছে; হরিণ আলপাকা ভেড়া ইত্যাদির হাজার হেক্টর ব্যাপী খামার, রাকাইয়া আর রঙ্গিটাটা নামের সাউথ আয়লানড এর দুটি বিখ্যাত নদী  - দুটিতেই মাছ ধরা জেট বোটিং রিভার রাফটিং আদি করতে দেশ বিদেশের পর্যটক আসেন; রাকাইয়া নদীর স্যামন মাছ খুব নামকরা। 

পথে ক্যানটারবেরি সেলউইন এই দুটি জেলা পার হতে হয়।  প্রথম টির বড় শহর এশবারটন, যাকে 'আশ  - ভেগাস' বলা হয়ে থাকে। তারপর আসে জেরাল্ডিন; সবশেষে ফেয়ারলি  - যেটি তার পাই শপ এর জন্য প্রসিদ্ধ। এটি পার হলে পরে ম্যাকেঞ্জি জেলার শুরু, যাতে ঐ লেকটির অবস্থান। লেক টেকাপো আসতে তখন বড়জোর আর আধা ঘণ্টা। পথের আর লেকের বিষয়ে যত ই বলি, কম বলা হয়। ফুল বরফে ঢাকা পাহাড়, নয়নাভিরাম নীল রঙের জলের আর আকাশের হাত ছানি। এ বলে আমায় দ্যাখ, ও বলে আমায়।

সঙ্গে ছবি দিয়েছি; আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে! 

 এর একেক ঋতুর প্রেক্ষাপটে এর একেক রকম চেহারা! এদিকের বসন্তের এই শেষে তথা বলতে গেলে গরম কালের একেবারে শুরুতে এর এই রূপ, ফুলে বরফে কিছু কম মোহনীয় নয়। সেজন্যই এই প্রতিবেদন টি। সব কয়টি ছবিই 19 শে নভেম্বরে তোলা।
🍂

Post a Comment

0 Comments