তৈমুর খান

তৈ মু র খা ন বিশ্বাসের ক্রম সন্ধ্যায় যন্ত্রণার কার্নিশে জ্যোৎস্না গড়ায় চাঁদ আমি কল্পনাদের উহ্য রাখি না বাজুক আজ তাদের হাতের চুড়ি ক্ষুধার্ত আত্মা জ্যোৎস্নার আমানি চেয়ে চেয়ে মধ্যযুগের কোনো অস্পষ্ট কাঠবেড়ালি যার শব্দে কোনো শস্য নেই নিষ্ফল মন্বন্তরে নিরুচ্চার কাতরানি কোন্ আলো আর কোন্ ধর্মোৎসবে যাবে সে? সবই নষ্ট ঈশ্বরের পদাবলী, ঘৃণিত আবেগ ঝড়ের দাপট সহ্য করে ঘনঘোর বর্ষণ ক্লেশে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে অটুট সংবেদনায় ভিখিরি যুগের সংকটে আবিল ছায়ার দহন পাক খায় নিষিক্ত জ্বরের ঘামে ক্লান্ত উল্লাস কোথাও পৌরুষ নেই শুধু বিহ্বলতা কাঁপে মানুষের কাছে চূর্ণ মানব, ক্ষয়িষ্ণু বীর্য অযোগ্য আদিম প্রশ্রয় পড়ে আছে — এক তস্তরি উত্তরণ অথবা চুমুকে চুমুকে নিগূঢ় আত্মজোশ আজ বিশ্বাসের ক্রম সন্ধ্যায় যদি নামে ! বিদ্যুতের দেশ সে একটি বিদ্যুতের দেশ বিস্ময় চিহ্নের পরে আর কী চিহ্ন হতে পারে ভাবতে ভাবতে একটি বিশ্বস্ত হ্রদ পেরিয়ে যাই পুরোনো যুগের কোনো আয়নায় নিজেকে দেখি চেনা যায় না যদিও তবু পূর্ণচ্ছেদ বসিয়ে রাখি পূর্ণচ্ছেদের ইহজাগতিক করুণা বিলাস বিস্ময় চিহ্নের বিন্দুটি ঠিক স