শ ঙ্খ শু ভ্র পা ত্র
সময়, সীবন
ফেসবুকে বেশ সুখে থাকা দায় ৷ কেন না ইমেল
কবিতা আহ্বান করে ৷ ছাপা হলে দিতে অপারগ
প্রিয় সৌজন্যসংখ্যাটি ৷ এমন হিসেবী সম্পাদক
আমি ভূ-ভারতে দেখি নাই, প্রভু ৷ ফলত হিমেল,
এই হেমন্ত-হাওয়ায় ''মা ফলেষু কদাচন" স্থির।
প্ররোচনা ভুলে আমি রচনাকে করজোড়ে ডাকি :
সে কি আসে ? নিজের ভিতরে এক আচাভূয়া পাখি
সম্পাদনা-বেদনায় হয়ে ওঠে আলোকিত তীর ৷
তিরবিদ্ধ হলে মন —সৌজন্য-শ্রীসুজনেষু, খাঁটি ৷
লেখাটি পাঠাই আর একা-একা হিমকুয়াশায়
শিশিরপাতের মতো — কোনও এক অচিন আশায়
বসে থাকি নিঝ্ ঝুম... যেমন আঁধার জুড়ে মাটি ৷
ফেসবুকে বেশ সুখে থাকা দায় — কেন না জীবন
নকশি কাঁথার মতো — দাবি করে সময়, সীবন...
অপারগ
সৌজন্যের দিকে তাকিয়ে থাকি আজকাল ৷
সে কেমন কুণ্ঠিত ! ধূল্যবলুণ্ঠিত জানে না ৷
বেলা যায় ৷ লণ্ঠনের দিকে আমাদের সম্মোহন
ফুরোয় না ৷ স্মৃতি-ভারাতুর... নামহীন সতত
প্রস্তুত এই মন —একটি প্রণামের দিকে ঝুঁকে থাকে
আজীবন কায়মনোবাক্যসংশ্লেষে ৷ রগ-ছেঁড়া
যন্ত্রণার কথা তুমি বুঝবে না অপারগ মেয়ে ?
লিখিত আকারে
লিখিত আকারে সব রেখে যাব মধুবাক্যগুলি ৷
অসূয়া কখনও নয় — বালখিল্য স্বভাবের দিকে
লালবর্ণ জবাগুলি ফুটেছে বিস্তর ৷ চাপা হাসি,
গুঞ্জরনে পুঞ্জ-পুঞ্জ ভ্রমরাদি আজও আছে টিকে ৷
তুরন্ত তরিকা গড়ে কাহিনি ভাসাতে নদীজলে
এক-পা পিছিয়ে নেই — পিপীলিকা মধু-প্রত্যাশায়
ছয়টি চরণদাঁড় সতত প্রস্তুত আছে ৷ ফলে,
না চিনিলে চিন্তামণি — তুমি থাক আপন ভাষায় ৷
লিখিত বেদন, চাপা — চাঁপা হবে কোনও একদিন
মুদ্রিত -সুবাসে গৃহ, ভরে যাবে আনাচকানাচ...
হয়তো কথার তীরে কেউ-কেউ হাসির খাতির
ছদ্মরাগে রেখে যাবে দু'একটা কল্পনার গাছ।
লিখিত অাকারে সত্য — শিখিপাখা, সে তোমার ঠাঁই
মহাভাবে, বলিব কী — মন আজ চৈতন্যগোঁসাই...
বর্ষাদুপুর
বর্ষাভেজা দুপুরে লেপটে আছে কবেকার
হলুদ পোস্টকার্ড ৷ কীট-দংশ, অস্পষ্ট
অক্ষরের দিকে ঝুঁকে আসে ঘূর্ণমান
দ্বিচক্রযান ৷ দিগন্তে দেবোত্তর বৃক্ষসারি ৷
কাদাজলে সাদাকালো সত্যজিৎ ঘোর...
কবেকার পোস্টকার্ড — হরিতাভ মায়া নিয়ে
ভিজে-একশা বর্ষাদুপুর...
কবিতা
একটি আশ্চর্য পঙ্ ক্তি তোমাকে কখনও
উপহার দিতে পারিনি বলে হর্তুকি গাছের ডালে
কুমড়াফালির মতো ঝুলে আছে চাঁদ ৷
অথচ বাক্যবলে বলীয়ান এই যে আমি
ছন্দের বশে একান্ত দূর্বা তা তুমি পূর্বাকাশের
ইশারায় জেনেছ তাৎক্ষণিক ৷
কিন্তু কথা হল ভাবগম্ভীর, মূর্ছনা, একটা এসরাজ
যা বেজেই চলেছে অশ্রুত...
এইবার তাকাও ৷ গাছের গুঁড়িতে কাঠঠোকরার
মুহুর্মুহু চঞ্চু-আঘাত ৷
'ছোকরা ! কবিতা এক আশ্চর্যপতন...'
এই বলে দূরান্তে উড়ে গেল ধনেশচতুর ৷
------
4 Comments
কবির ভাষা এবং বক্তব্য খুব স্পষ্ট। সময়ের দাবি মেনে চলেছে প্রায় প্রতিটি কবিতা। সুন্দর।
ReplyDeleteসুন্দর,,,,, নিশীথ ষড়ংগী,,,
ReplyDeleteসন্দীপ কাঞ্জীলাল
ReplyDeleteকবিতা পড়ে আনন্দ সাহস স্বচ্ছতা পেলাম।।
সুন্দর কবিতা
ReplyDelete