জ্বলদর্চি

বিপ্লব ভূঞা


বি প্ল ব  ভূ ঞ্যা


আমাদের আগুনের রং এক

একটা সকালের নাম অভিমুন্য লিখে দেখি
সে আমার ছোটবেলার স্যান্ডো গেঞ্জিতে
চোর পুলিশ লেখার আদপে লিখে দিচ্ছে
মহাভারতের বাবা, মা...
আর সমস্ত কৃপণতা
যে বারন্দার নিচে দাঁড়িয়ে সকাল বর্ণনা করছি
তার একছাদ ওপরে
হাটখোলা মধ্যবয়সী উত্তরা
বন্ধ সিন্দুকের একগোছা চাবি..

একটা সকালের নাম অভিমুন্য রাখা হলে
বারান্দার উত্তরা সমস্ত অসমাপ্ত ভাঁজ করে রাখে
তার ভারতভাগ্যের সিন্দুকে...

বসন্ত পঞ্চমী

পরিণত সকালের হাসিতে ফুরিয়ে যায় রং
মিটিং হলের টেবিলে একটা শালপাতায় 
বাড়া ভাতে আমরা তাহের-সনাতন শীট 
ভবতোষ মুর্মু একসাথে 
তোমার বসানো বেড়াতার ডিঙিয়ে গেছি অনায়াসে
বসন্ত পঞ্চমী ফুল তুলে মালাও গেঁথেছি
আমরা ক'জন স্পর্শ মন্ত্রপাঠে অঞ্জলি
পরিণত সকালের হাসিতে ফুরোয় রং
মিছরির সভ্যতা পড়াতে পড়াতে
তুমিও সবুজ পাড় 
এখনও কি বসন্ত পঞ্চমী এলে 
নবম শ্রেণি হয়ে যায়...


শরণার্থী চাঁদ

গাছেদের সাথে তাঁহার নিবেদন দেখি
পথ ও চাকা কথা বলে 
সে কথা আরো স্পষ্ট হলে 
সমস্ত ফুটপাত চায়ের দোকান
চা ওয়ালা লোকটা ঘুঁটছে রাত
রাতের শরণার্থী চাঁদে ভেসে যাও 
রাজার অসুখ...


জোকার পুরুষ

কুমিল্লার চারুকর
পালন করছো রাত 
পালিত বড় হলে
আমি এক অভিনব গর্ত হয়ে যাই
তুমিও তেমন সরীসৃপ
অদৃশ্য টর্চ হাতে একটা ভোর
এই গলিপথে হেঁটে যেতে যেতে
দেখে নেয় সরীসৃপ শেকড় জোকার পুরুষ

জড়িয়ে আছে অলৌকিক পথ
নদীতে ভাসে চোখ
পরিব্রাজক হাওয়া

পরিব্রাজক হাওয়া পেরোলেই
ওড়নাহীন কৃষ্ণচূড়া অনুরাগ -আবীর উড়িয়ে
ফিরে আসছো সবুজ
আমি তখন একলা বসে
ঈশ্বরের সাথে কথায় মাতোয়ারা
হঠাৎ ঝনঝন শব্দ উপুড় হয়ে পড়ে 
তোমার উপঢৌকন মুদ্রা
ঈশ্বরের কোলেও পশ্চাতে...

আমার সঙ্গে কথা বন্ধ রেখে তিনি হাসেন

মাঝে মাঝে তিনি কাঁদেনও
কাঁদেন তোমার নির্মাণ কৌশল
পরিব্রাজক হাওয়া বদলে গেলে বিকেল হয়

সেই বিকেল থেকে আমিও ঈশ্বর কেঁদে চলেছি...

---------

Post a Comment

0 Comments