জ্বলদর্চি

বিমল মণ্ডল


বি ম ল  ম ণ্ড ল


তর্ক

প্রসন্ন হৃদয়ে  কয়েকটি তর্ককথা
নিঃসঙ্গ আলোযাপনের  পথ
কয়েকটি মাথার অহেতুক দৃশ্যের ছাঁচে
গড়ে ওঠে   রামকথার  আয়ণ  
সমগ্র বাতাস তাও জানে  চোখ ফেরির ইতিহাস

সেখানেই তর্কালাভ প্রশ্নাতীত সুরে
তবুও বেঁধে বেঁধে কয়েকটি সময় ঘিরে। 

চিরায়ত

কয়েকটি সেলফির আয়োজন  ভীড়ে
এভাবেই মৃত্যু, এভাবেই নতুন ইতিহাস
আমি দেখি কখনো আমার মতো করে, কখনো বা অন্যের ইচ্ছের
আসলে কয়েকটি সোজাকথা অন্যভাবে মোড় নেয় বলে
মোট কথা  খোলা আকাশের রঙিন  পোশাক
চেনা শকুনের গায়ে জড়ানো  কাহিনিতে
চিরায়ত সুরকথা  বাজে... 


বলিরেখা

কিংকর্তব্যবিমূঢ়  জন্মকথা
মিশ্র বা সংকর শব্দের এলার্ম 
একটা আদিচিহ্ন সংখ্যাবাচক ধরে 
উজ্জ্বলতা  রাঘব-বোয়াল ঘিরে

সামান্য কতোটুকু ফাঁকা নেই
যেখানে পৃথক পৃথক ব্যাকরণ  আছে
তোমার কথাসাগরে অশ্লীলতা স্বল্পবসনা
স্থূলকায়া  যাত্রাপথ শূন্যতা
পরামর্শ  দেখে যাওয়া

এভাবেই তোমার মুখ জুড়ে,  চোখ জুড়ে
ঠোঁটের হাসি জুড়ে স্পষ্ট ইচ্ছার বলিরেখা। 


আবেদন

কতবার তোমার  ঘেরাবাগানে 
ঘুরে দেখেছি কারুকার্যময় খতিয়ান
পাহাড় থেকে জঙ্গল প্রায়ই সমস্ত সমতলে
চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস দাঁড়িয়ে

তোমার বাগানমালীদের ছয়ঋতুর উজ্জ্বল চোখকথা 
তবুও ভিন্ন স্বাদের উপহার হাতে 
জনে জনে তুলে দাও

আমি তখনও দাঁড়িয়ে তোমার ঠিক পেছনে
একটা আবেদন হাতে... 
নীরব আয়োজন

সন্ধ্যার মুখে  একটা  অভিমান জোয়ারে ভেসে যায়
কে বুঝবে তার সংবাদ? চুপিচুপি  আলোকরেখার গায়ে
নির্জনতার সামান্য জলকথা 
উড়িয়ে নেয় জলহাওয়া
গুটিকয়েক ভিন্ন পাখি দূরে দূরে 
কয়েকটি আবেগের খোলস 
ইতিমধ্যে  গোপন আড্ডায় 

নীরব আয়োজনে  অভিমান ছুঁয়ে যায়

------

Post a Comment

0 Comments