জ্বলদর্চি

মনখারাপ ও ভালোবাসার পোস্টকার্ড


ঋ ত্বি ক  ত্রি পা ঠী

মনখারাপ ও  ভালোবাসার পোস্টকার্ড


তখন কিশােরবালক কাটিয়ে ওঠা এক আশ্চর্য, কচিপাতায় সকালের রােদ এসে পড়া জীবন। ছাত্রাবাসের তিন হাত দূরে পােস্ট অফিসের টালির ছাদের লাল আভা। পনের পয়সার পােস্টকার্ড কেনো, ইচ্ছাখুশি লেখাে আর ধাতব বাক্সের পেটে পুরে দাও। লেখকের আর দায়িত্ব নেই। এরপর যত দায়িত্ব চিঠি প্রাপকের, পাঠকের। প্রাপকের হাতে পৌঁছে দেবার জন্য গুরুদায়িত্ব নেবে এই যে বাক্স, তার অন্তরে প্রতিদিন কত না জমে রাগ দুঃখ অভিমান হিংসা ও অহিংসার বাণী! সে সব গূঢ়তত্ত্বের কথা মাথায় আসে না তখন। জংপড়া লােহার রেলিং-এর ভিতর হাত গলিয়ে পােস্টকার্ড কেনা। যত বেশি কেনা তত যেন ব্যক্তিত্বে আলাে এসে পড়ে। প্রমাণ হয় আমারও এক জগৎ আছে, প্রয়ােজন অপ্রয়ােজনের কথা লেনদেন আছে, তথ্য ও তত্ত্বের আদান প্রদান আছে। মােদ্দা কথা আমারও এক পৃথিবী আছে। সেই পৃথিবীর প্রাণের সঙ্গে জড়ের সঙ্গে শ্বাস প্রশ্বাসের মতো নিয়মিত যােগাযােগের জন্য যা অফুরান ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে ছুটে যাচ্ছে, প্রয়ােজনে উড়েও বেড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে অসীমে, তার একমাত্র নাম: পােস্টকার্ড।

পােস্টকার্ডের সঙ্গে পােস্টাফিসের যােগ। "তোর পােস্টাফিস খোলা" - এমন রঙ্গযুক্ত সচেতনতায় সংকোচে একশ আশি ডিগ্রি ঘুরে নিজেকে সামাজিক করা, মুচকি হাসি ও গম্ভীর হওয়া - প্রায় সব কিশােরবেলার স্বভাব চরিত্র। পোস্ট অফিস শব্দের তুলনায় বাংলায় 'ডাকঘর' শব্দটি চমৎকার। ডাকঘর মানে অমল, রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু পােস্টকার্ডের বিকল্প বাংলা শব্দ? সরকার কর্তৃক মুদ্রিত চিঠি লেখার শক্ত কাগজ বিশেষ! এতো শব্দ নয়, বাক্য! সুতরাং 'পােস্টকার্ড' শব্দটিই একমাত্র।
পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষের বাস। তাদের সব আলাদা আলাদা ভাবনা। সব ভাবনা সবাইকে জানতে হবে। তার থেকেও বড় কথা : জানাতে হবে। না জানালে হাঁফিয়ে ওঠা। পৃথিবী ছােট হয়ে যায়। জানাতে পারলে ঈশ্বর অনুভব। আর যদি উত্তর আসে - আরেক পােস্টকার্ড-এ, তবে  ঈশ্বর খুঁজে পায় ঈশ্বরকে, ঈশ্বরীকে। তবেই তাে সহৃদয় হৃদয়সংবাদী। তবেই তাে ভাবমােক্ষণ, ক্যাথারসিস। নইলে কিসের আমি, কিসের তুমি! তােমাতে আমাতে যােগফল গুণফল! তবেই তাে আমার আমিকে খুঁজে পাওয়া! খুঁজে পাওয়ার জন্য নিয়ত যে যুদ্ধ – তার বিশ্বস্ত সৈনিক পোস্টকার্ড। অকারণ মনখারাপের সে এক বিরল সময়। বয়ঃসন্ধিক্ষণ। ছিন্নপত্রাবলী পড়া হয়নি তখনও। নামও শুনিনি। দিনশেষে একান্তে গােপনে নির্জনতায় মুখােমুখি হই নিজের। সেখানে কেউ নেই। ঠিকানা লেখাই থাকে আগে থেকে। বিভিন্ন ঠিকানায় বিভিন্ন মনখারাপ। বড় সে একলা চলার সময়। আত্মীয় পরিজন পরিবার সব শূন্য। শুধু দু'এক বন্ধু। হােক দূরত্ব। পােস্টকার্ড আছে। পােস্টকার্ড আসে। দুটো কালাে গােল সিল। একটি স্পষ্ট, অন্যটি আবছা। বন্ধুর একাকীত্ব মনখারাপ আমাকে ছায়া দেয়। বুঝতে পারি আমি আছি। দূরে আমার মতো আর কেউ আছে। আমাদের মাঝে পােস্টকার্ড আছে।
 
হােস্টেলে ঢুকেই যে বিষণ্ণতায় ডুবে গেল, দু চার দিন বাদে পালিয়ে গেল অন্য স্কুলের হােস্টেলে কিংবা বাড়িতে, তাকে পাঠাই তার নতুন ঠিকানায় আমার না পালাতে পারা হলুদ জীবনের উপকথা। জীবনের প্রায় পুরােটা জুড়েই রং হালকা হলুদ। এক আধবার হালকা সবুজ পােস্টকার্ডের আবির্ভাব ঘটেছে, তবে সে বড় ক্ষণস্থায়ী। যন্ত্রণা ও আর্তির মধ্যে ছিল আক্ষেপ।

অন্যের কাছে নিজের সমস্যাকে না বুঝিয়ে তুলতে পারার ব্যর্থতা। সেই ব্যর্থতা কালাে অক্ষরের রূপ নিয়ে পােস্টকার্ডের এপিঠ ওপিঠ চিত্রিত হয়। আর চিঠিটা পৌঁছবে তাে! আর পৌঁছলে, তার উত্তরটাই বা হাতে ঠিক পাবাে তাে-- এসব নিয়ে যে দ্বন্দ্ব, তার জন্য তিন চার লাইন -- প্রতি পােস্টকার্ডেই, অর্থাৎ পােস্টকার্ড শুধু যে ভারবহনকারী ছিল তা নয়-- সেও এক সত্তা, তার জন্যেও কিছু কথা জমে থাকে। তার দেরিতে আসা, দু হাত ঘুরে আসা, অন্য বাড়িতে কিছুকাল পড়ে থেকে শেষমেষ বিধ্বস্ত রূপ নিয়ে অপরাধী মুখ নিয়ে অভিমানের সুর নিয়ে উপস্থিত হওয়া -- সাক্ষাৎযমের মতো সাক্ষাৎফোঁসফাস ফণা তুলে, যেন তার সব চুরি গেছে, তার হাজারাে অভিযােগ। আশ্রয়দাতা তার থেকেও বেশি অসহায়।

মাধ্যমিক পাশের পর বুদ্ধদেব গুহ-র 'চানঘরে গান' পড়া। লেখক পাঠক (কিংবা পাঠিকা) সম্পর্ক তখনও অজানা। তবে পত্রও যে চমৎকার সাহিত্য এবং পত্রের পাশে যদি সামান্য অলংকরণ থাকে তবে শব্দ আরও আস্বাদনীয় হয় তা প্রথম জেনেছিলাম চানঘরে। আর জেনেছিলাম অনন্ত পােস্টকার্ডের প্রেক্ষাপট হিসাবে কাজ করে প্রেম। সেই প্রেমের আবেগেই অনন্ত ভাষার আগমন। বন্ধুর পাশাপাশি ইচ্ছে হচ্ছে বান্ধবীদেরও জন্য কিছু লিখি। কিন্তু বান্ধবী কোথায়! পাত্রপাত্রীর ঠিকানা দেখে নকল অভিভাবক হয়ে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে পাঠাই চিঠি। উত্তর এলে মহারাজ। না এলে ভাষার ব্যর্থতা। তবে কি পােস্টকার্ডের মূল শরীরী আকর্ষণ ওই ভাষা! ঠিক তাই। ভাষার চাই বৈচিত্র‍্য। একই কথাকে কতোভাবে বলা যায়! বারবার বলা চলে। জীবনের মতো। তাকে পুরনাে বলা চলে না। অবশ্য তার জন্য চাই ব্যক্তিত্বের বিকাশ। চাই আব্রাহাম নােয়াম চমস্কীর  'Syntactic Structures' (1957) এবং 'Aspects of the Theory of Syntax' (1965) -- দুটি বই, যার মধ্য দিয়ে আমরা জেনে নিই : সঞ্জননী রূপান্তর ব্যাকরণ। সৃজনশীল বলেই না মানুষ সীমিত শব্দের উপাদান নিয়ে অনন্ত বাক্য নির্মাণ করতে পারে! বাস্তবিকই, ভাষা মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ যা তাকে অন্যান্য প্রাণী থেকে পৃথক করেছে। তার থেকেও বড় সুখের কথা এই যে ব্যক্তিত্বের কারণে, জ্ঞান ও জীবনচর্চার কারণে ভাষা ব্যবহারে সমস্ত মানুষ ভিন্ন, আলাদা, পৃথক এবং একা। একা থাকার আনন্দ সাময়িক। একাকীত্ব কাটানোর জন্য ভাষা সাধনা চাই। চাই চিত্রকল্প, অলংকরণ। চাই প্রয়ােগের জন্য পােস্টকার্ডের বিশ্বস্ত ক্ষেত্র। 

  চিত্রকল্প ও অলংকরণ রেখানির্ভর হতে পারে। কেবল শব্দনির্ভর হয়েও অলংকৃত ও চিত্রময় হতে পারে বিষয়। অন্যতম, নির্ভরযোগ্য উদাহরণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছিন্নপত্রগুলি। তা সেসব পত্রকে ছিন্ন করতে হল কেন! ব্যক্তিগত প্রসঙ্গকে পাঠকদের থেকে আড়াল করতে হল! অথচ সেই প্রসঙ্গযুক্ত (ব্যক্তিগত) অর্থাৎ পূর্ণ চিঠি রবীন্দ্রনাথ যা লিখেছিলেন ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দ্রিরাদেবীকে তা কি অন্যের হাতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না! এই সম্ভাব্য ভয়ের কথা আনলাম কেন! কারণ পরবর্তী সময়ে গ্রন্থ প্রকাশযােগ্য করে তুলতে গিয়ে লেখককে নিজের হাতে ছিন্ন (সংক্ষেপন ও সম্পাদন) করতে হল কোন সংকোচে! না কি এককে যে ভরসা, বহুতে তা থাকে না! ১৮৯৪, ৭ অক্টোবর ইন্দিরাদেবীকে রবীন্দ্রনাথ জানাচ্ছেন : “যদি কোনাে লেখকের সবচেয়ে ভালাে লেখা তার চিঠিতেই দেখা দেয় তা হলে এই বুঝতে হবে যে, যাকে চিঠি লেখা হচ্ছে তারও একটি চিঠি লেখাবার ক্ষমতা আছে।”

সুতরাং চাই, পাত্র নির্বাচন। সুতরাং চাই, পাত্রী নির্বাচন। নইলে ভাষা পড়বে মুখ থুবড়ে। চিঠি হবে কেবল কেজো। অকাজের, অপ্রয়ােজনের সাহিত্যের, আবেগের চিঠির জন্য চাই হৃদয় সম্পর্ক। খামবন্দি চিঠিতে সন্দেহ বেশি। সেই সন্দেহ কাটাতে মুক্ত পুরুষের বেশ একরকম খুল্লামখুল্লা স্বভাব চাই। সুতরাং পোস্টকার্ড। ব্যঞ্জনা অভিধার গুণে ভাষা-চাবি থাকল দুজনের কাছে। সুতরাং পােস্টকার্ড হয়েও, শব্দ অক্ষর দৃশ্য হয়েও অদৃশ্যে রাখা গেল মূল বক্তব্যকে। প্রেমের জনের সঙ্গে সংসার বাঁধলে অন্তত একটি মস্ত বড় ক্ষতি, তা হল - দুজনের মাঝখান থেকে সতীনের মত দূরে সরে যায় পােস্টকার্ড, চিঠি। সে তাে অবশ্যম্ভাবী। সম্পাদনার কাজে দূরের গ্রহ নক্ষত্রসম লেখক লেখিকাদের বারবার তাগাদা (লেখার জন্য) দেবার উপযুক্ত মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগানোই যায় পােস্টকার্ড, পাশে সামান্য প্রাসঙ্গিক রেখাচিত্র। তাতেই প্রিয়জনেরা হােন মুগ্ধ, হােন পড়শিকাতর। মেল, এস এম এস, ফোন ইত্যাদি তো শব্দধ্বনি। মগ্নতার বিঘ্ন ঘটায়। নির্দিষ্ট সময়জ্ঞান নেই। প্রিয় লেখক হয়তোবা উপন্যাসের ক্লাইমেক্স-এ রয়েছেন। এমন সময় ফোন করে বসলাম। সে তাে চরম অনুশােচনা। অন্যদিকে সময়জ্ঞানসম্পন্ন (পিয়নের আসার সময়), স্পর্শযোগ্য, শরীরী মায়া নিয়ে পােস্টকার্ড শব্দনির্ভর। জরুরি কাজকর্ম সেরে দু'হাতের আঙুলে আঙুলে ঘােরে প্রেরকের হাতের অক্ষর, আবেগ, সৌজন্যবােধের ঐতিহ্য। সে হয়ে ওঠে সংরক্ষণযােগ্য। হয়তোবা অনেককাল বাদে বইয়ের পাতার গভীর থেকে ভেসে উঠল পুরনাে এক পােস্টকার্ড -- মােহময় স্মৃতির মতো, হু-হু করা মনখারাপের বিকেলবেলার মতো। মনে হয় সে নেই পাশে অথচ আছে দূরের কোনও পৃথিবীতে। এখানে খােলস ছেড়ে গেছে। সুতরাং শব্দ-পােস্টকার্ডের জমিতে চোখের জল এসে পড়ে। সেই জল, স্মৃতির আলাে আর নিঃশ্বাসের অংশ নিয়ে স্থির শব্দবীজ একদিন অঙ্কুরিত হবে। মহাকাশে ছড়িয়ে পড়বে ভালবাসার রূপ নিয়ে রংবেরঙের নানা আকারের পােস্টকার্ড এবং সংখ্যাবৃদ্ধিতে তারা সব হাতে হাত রেখে গড়ে তুলবে ভালবাসার আশ্চর্য স্বপ্ন শামিয়ানা। সেই শামিয়ানার লক্ষ কোটি দূরের এই পৃথিবীর আমরা অবাক হয়ে মুখ তুলে দেখব - আমাদের আগামী মনখারাপগুলাের ওপর ক্রমশ ধীরে এগিয়ে আসছে স্বপ্ন শামিয়ানার বিশাল ছায়া। জীবনে পথ চলা শুরুর জন্য সালােকসংশ্লেষের জন্য রােদের প্রয়ােজন। আর জীবনের জন্য জীবনকে পেতে ছায়াই একমাত্র। কারণ এই যে জীবন সেও তাে একমাত্র।

 


সংযোজন

পােস্টকার্ডের অবশ্যম্ভাবী দুটি চরিত্র। এক, পোস্টকার্ড অপ্রাপ্তির অসন্তোষ। পােস্টকার্ড ব্যবহারকারী প্রখ্যাত লেখক থেকে ঘরকুনাে গৃহস্থ-জীবন একবারের জন্য হলেও না পাওয়া পােস্টকার্ডের জন্য প্রিয়জনের কাছে হা-হুতাশ করেছেন। দুই, ঠিকানা অংশের নিচে লিখতে নিষেধাজ্ঞা। ফলে আরও দু-এক লাইন না-লেখা কথা অব্যক্তই থেকে গেল সারা জীবনের মতো। তার জন্য আমাদের জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী হতেই হবে। আসলে জীবনের মতো পােস্টকার্ডেরও সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা সর্বক্ষণ তাে জীবনকে পেতে চেয়েছি সীমার মধ্যে, সংখ্যার মধ্যে, গণ্ডির মধ্যে। স্বাভাবিক কারণেই সীমিত জীবন হয়েছে আরও সীমাবদ্ধ, খাঁচায় বন্দি, দর্শনহীন। সে আটকা পড়েছে দেশের মধ্যে, দশের মধ্যে। দেশ ছাড়িয়ে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য সে বাড়তি মূল্য দাবি করে। সুতরাং পৃথিবী ছাড়িয়ে ওঠা কল্পনাঅতীত। সীমিত জ্ঞান বােকাবােকা অহং-এর গুণে খণ্ড জীবনকেই মনে করতে বাধ্য হচ্ছি : চরম, পরম। 'ঝড়ের পাখিকে আত্মকথা' নামের বইটির চল্লিশতম পদ্য পড়া যাক।

---তিনদিন আগে চিঠি পেয়েছি 
   তার আগে ও পরে টেলিফোন, অথচ
   এমন অনেক প্রশ্ন থাকে যার উত্তর নেই।
   মনে হয় যেন সে-সব, হঠাৎ বিচ্যুত শিলাখণ্ডের মতো
   আমাদের মুখােমুখি দাঁড়ানো দুই শরীরের মাঝ দিয়ে 
   ধাক্কা খেতে খেতে নেমে আসে
   মুখ থুবড়ে পড়ে, কথা বলে না ক্ষণআয়ু 
   উল্কার মতো, অথচ বিভ্রমে এসে লাগে চমকিত আলাে

   জানিয়েছ, পােস্টকার্ডের ঠিকানা অংশের নিচে 
   কিছু লেখা যাবে না। বেয়ারিং হওয়ার ভয়
দেখিয়েছে পিয়ন।

--তাতে কী হল!

---পৃথিবীর হাজারাে অংশ পতিত থেকে যাবে
   সেখানে আগুনের ব্যবহার জানবে না মানুষ
   না ঝড়-বৃষ্টি-প্রেম না বিদ্যুৎ-উল্কা-স্মৃতি না গ্রহণ-জাগরণ
   যেখানে আমাদের প্রবেশাধিকার নেই - এই এক জন্মে
   অনন্ত কথাদের জন্য আমাদের যেমন সাত প্রজন্ম
   ফিরে ফিরে আসে, তবু মনে হয় -
   কিছুই বলা হয় না সময়াভাবে।

এ আসলে চন্দ্রাহত পুরুষের আত্মগত উচ্চারণ। বর্তমান, ওই পুরুষটি চাঁদে চাঁদে পােস্টকার্ড বিলির দায়িত্ব নিয়েছে।

তার বাঁ হাতে মনখারাপের আকাশ। ডান হাতে ভালোবাসার ঈশ্বর : পােস্টকার্ড।

Post a Comment

3 Comments

  1. অসাধারণ লাগলো।

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ লেখা,মুগ্ধ হলাম।অনেক কথা মনে পড়ে গেল।

    ReplyDelete