জ্বলদর্চি

প্রনব রুদ্র


প্র ন ব  রু দ্র


উনুন বাড়ির বাসিন্দা

নানা পাখি ডাকছে হাঁটু জলের তলে
 গরু খাচ্ছে কাদা পচা গন্ধঘাস
 নাকেরতলায় লকডাউন লকডাউন খেলা
বাড়ছে জন্ম-মৃত্যু সংখ্যার ঘুপাচুপ
পরিণত হচ্ছে বিশ্বরূপ হৈ চৈ

প্রেমিকের স্বাদ বদল বাসনায়
নাভিমূলে রাষ্ট্রের যুদ্ধ যুদ্ধ প্র্যাকটিস

রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে এভাবেই পুতুল বিয়ে হোক

ইতিহাস

কতটা কেচ্ছা রক্তে মিশলে
প্রেমিকার বৃষ্টি সুখের স্বেদবিন্দু
গায়ে গন্ধ হয়ে ভাসে

কতটা দু'হাতে চাপলে বুকের সাথে বুক
ঠোঁটে ঠোঁটে চোখ বন্ধ থাকে

গড়িয়ে যে ঘামগন্ধ হৃদপিন্ডে মেশে
তাকে দূরত্বই জাগিয়ে রাখে

ভালোবাসা কি জানি না
দর্শন তত্ত্ব কাব্যতা গুলি মারাক

এ গন্ধের পাদমূলে আমার সাগর শুকিয়ে
চিক্ চিক্ বালুতট দাঁড়িয়ে থাকে
কোনারক খাজুরাহোর মতো


অমূল্য 

কিছু উষ্ণতা বিলীন হয় না
লেগে থাকে
চেনা অচেনা অতিথি স্মৃতি
অদৃশ্য নিয়তির মতো মিশে যায়

আমি মেঘ-বৃষ্টি-চুমু ছূঁয়ে
অনুভূতির স্বাদ সাজাই
অতলস্পর্শী ভালোবাসা মাখি… …

নেপথ্যের সুখ কতো দূরে জানি না

কী আশ্চর্য!
প্রেম পেলেই আসে তোর মুখ
পুড়ে বুক হৃদয় ঘরে অসুখ 

বড়ো বিচিত্র!
বছর আশি পরও
আমার ভিতর আজো
শুধু তুই শুধুই যে তুই… …


সঙ্কোচ

ফুরিয়ে আসা জীবনের পানপত্রে
অনুরোধের আসরে গলাভেজায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব

বনফুল বেড়ে ওঠে এমনি দারুণ
কয়েকটি নীলপদ্মে ও তৃণঘাসে লালশালুর শর্টসার্কিট

ধীর পায়ে চোখের ক্লান্ত তারা
শহর শোনায় অতীত ভেড়াযাপন
কী ভীষণ অনিশ্চিতভাবে বাঁচে মানুষ!
সেলাই করে জুড়ে রাখা সুখগুলো
নড়বড়ে ব্রীজের মতো
বর্ষা বৃষ্টিকালে কাঁপতে থাকে

অভ্যস্থ দৃষ্টিস্পর্শে তিনটি নারকেল গাছ
কেরালার কোন গ্রামে অথবা তামিলনাড়ুর কোন উপকূলে
অথবা আন্দামান বা লাক্ষাদ্বীপে বা আমার জানালা পাশে
কাক বক চিলকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
স্থায়ী ঠোঁটের চুম্বন

অনুভূতি বুকে খোলস পাল্টায় প্রতিনিয়ত
কালো মুহুর্ত সব আগাছার মতো
বড়ো হতেই দু'হাতে তুলছি অবিরত

চোখে ডোরাকাটা অভিমানী অপেক্ষা

বেশি দূরত্বের আলিঙ্গন কুয়াশার মতো
এই বুঝি পেলাম পথ
আবার হারালো ঘুড়ির সুতো

পালাবো কোথায় কতদূর
শরীর মৌচাকে চৌরাসিয়া সুর

থেকে যাবো ঠোঁটের ঝোল ঝালে
ঘরে টিকটিকির খসে পড়া লেজের বাড়ন্ত ভাগে
সংসারে বালিশে নালিশে মাকড়সার কালি ঝুল জালে
---------

Post a Comment

0 Comments