জ্বলদর্চি

সুব্রত মাইতি


সু ব্র ত  মা ই তি 


আমি ও পথ

মোরাম বিছানো পথও  স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন 
মনের ভেতর আগামীর ইঙ্গিত।
মেঠোপথের দুর্বা কিংবা শ্যামা ঘাসগুলো 
নীরবে চাকার দাগ, প্রতিবাদের স্লোগান সভ্যতার নগ্নতা সব দেখে ছানি পড়া চোখে 
মাথা তোলার সুযোগ নেই। 
আমি ও পথ হয়ে যাই অবলীলায়।

ছায়া 

প্রতিশ্রুতি আগুন কথা এমন  কখনও ভাবিনি।  পাতা ঝরা শীত কাটিয়ে পলাশ দুপুর
কিসের অভিশাপে রাঙা প্রাণ ফ্যাকাশে 
পেছন পেছন এক ছায়া মানুষ। চোখের জলে আয়ু মাপতে থাকি, ইচ্ছে ডানায় পোঁতা বীজগুলো উষ্ণতার অভাবে মৃতপ্রায়। 
ঘোলাটে সময় ইতিহাসের কাছে প্রশ্ন করি
কয়েকটা রক্ত চোখ কপালে টোকা দেয় 
হাঁপিয়ে উঠি ছায়ার পেছন। প্রতিটি জ্যোৎস্না রাত একাকী করেছে আমাকে। ছারপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে বিবেক বোধ। 


আবাদ 

জলকাদা গায়ে লাঙল হাতে হাঁটছেন দাদু
জমির উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিম 
জলের তরঙ্গ বইছে সমান্তরাল।
মাটির বুক থেকে উঠে আসছে গার্হস্থ্য জীবন। 
কপাল জুড়ে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম গড়িয়ে লবণ
একবুক প্রত্যাশা নিয়ে মাটি শিহরণ চাতক চোখ জলের নিমন্ত্রণ। 


নীরবতা 

স্রোতের নীরবতা ভাঙলে জমে থাকা পলি চোখ মেলে। বাতাসে নোনা গন্ধ রাতের গভীরতায় পলি ভাঙে। চাঁদ ক্ষয়ে ভোর জমে থাকা জীবাশ্ম গুলো অতল শরীর।আবার জোয়ার ভাটা জোনাকির মতো স্বপ্ন মরে আকাতরে....

সুবর্ণ ঢেউ 

আমি বর্ণে বর্ণে দেখি নারী পুরুষের জোৎস্না পাঠ। শিবের মতো গচ্ছিত নেই ভালোবাসা 
অগোছালো কথারা বাসা বাঁধে কৃষ্ণ প্রেম-
সীমা ভেঙে রজনীগন্ধা নিশিযাপন... 
কী মায়ায় ইচ্ছে বৃষ্টি কুসুম-কথা, দিনের আলো ফুটলে ছায়া খোঁজে দৃশ্যপট একাকার সুবর্ণ ঢেউ।

-----

Post a Comment

0 Comments