জ্বলদর্চি

নেশা থেকে ভালোবাসা – পঞ্চাশ বছর সিনেমাতেই মগ্ন শিবাংশু বসু

নেশা থেকে ভালোবাসা – পঞ্চাশ বছর সিনেমাতেই মগ্ন শিবাংশু বসু


সি দ্ধা র্থ  সাঁ ত রা


শহিদ ক্ষুদিরাম বসু বংশের উত্তরপুরুষ, পেশায় অধ্যাপক, তিন ডাক্তার ছেলের বাবা, নানা সামাজিক সংস্থার গুরুদায়িত্ব সত্ত্বেও জীবনের বেশিটাই জুড়ে আছে সিনেমা, সিনেমা আর সিনেমা। মেদিনীপুর শহরের এক শিক্ষক পরিবারে ১৯৪৩ সালে জন্ম। পিতা দেবীপ্রসন্ন বসু ছিলেন মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ইংরেজির নামি শিক্ষক। সুতরাং মনের মধ্যে ছোট থেকেই সযত্নে লালিত ইচ্ছেটি ছিল ভবিষ্যতে সুযোগ্য শিক্ষক হয়ে ওঠা। ছেলেবেলা কাটে মেদিনীপুর শহরের কর্ণেলগোলার বাড়িতে। বাড়ির কাছেই মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। সেখান থেকেই ১৯৫৭ সালে স্কুল ফাইনাল উত্তীর্ণ। স্কুলের শেষ দিক থেকেই খুলে যায় মনের আর এক জানালা – সিনেমার প্রতি আকর্ষণ। বাড়ির কাছেই অরোরা সিনেমা আর একটু দুরেই হরি সিনেমা। ১৫ আগস্টের সরকারি সিনেমা স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে দেখা দিয়ে সিনেমার সঙ্গে পরিচয় হলেও অচিরেই সিনেমার অমোঘ আকর্ষণে প্রতি শনি ও রবিবার শুরু হলো সিনেমা দেখা। তারপর খড়গপুর কলেজে পড়াকালীন সিনেমা দেখা বেড়ে গেল হাতের কাছে খড়গপুরের অরোরা, বোম্বে, সাউথ ইনস্টিটিউট ও নর্থ ইনস্টিটিউটে ছবি দেখার সুযোগ পেয়ে । ১৯৬১ পর্যন্ত খড়গপুর কলেজে পড়ার সুযোগে সিনেমা দেখার টান নেশায় পরিণত হলো। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম কম পড়ার সময় বিদেশী ছবি দেখার সুযোগে ছবি নিয়ে নানা ভাবনার সূচনা হলো মনে। ১৯৬৩ পর্যন্ত কলকাতায় থাকার কারণে ছবি দেখা বেড়ে গেল। মেট্রো, এলিট, গ্লোব, লিবার্টি সহ অন্যান্য হলে সিনেমা দেখার সুযোগে মনের মধ্যে সিনেমার জন্য আলাদা জায়গা তৈরি হয়ে গেল। কলকাতার নানা অনুষঙ্গ মনে একটা জায়গা  করে দিল বহুমাত্রিক সিনেমার। কলকাতার পড়া শেষে মেদিনীপুর ফিরে আসা ১৯৬৪ তে।
    ১৯৬৩ তে মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ পি এন ঘোষ মহাশয় কলেজ ক্যাম্পাসে চালু করলেন সতন্ত্র কলেজ অফ কমার্স। উদ্দেশ্য ছিল সদ্য স্বাধীন দেশে অফিসের কাজ চালাবার উপজুক্ত ছেলে – মেয়ে তৈরি করা। ১৯৬৪ তে মেদিনীপুরে ফিরে শিবাংশু বাবু অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিলেন মেদিনীপুরের কলেজ অফ কমার্সে। ওখানেই আলাপ অধ্যাপক শ্যামাপদ পালের সঙ্গে। দেশি ও বিদেশী সিনেমা দেখার অদম্য ইচ্ছের কথা জেনে শ্যামাপদবাবু সদ্য গড়ে ওঠা মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সদস্য হওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর হাত ধরেই মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সদস্যপদ গ্রহণ ১৯৬৫ তে। বাৎসরিক চাঁদা ছিল ১৫ টাকা।
    ১৯৬৩ সালের ৫ আগস্ট গোড়াপত্তন হয় মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির। শিবাংশু বাবুর সদস্য হওয়ার সময় মেদিনীপুর ফিল্ম  সোসাইটি ঠিক মতো দানা বেঁধে ওঠেনি। তবুও আইজেনস্টাইন, বার্গম্যান, ফেলিনি, কুরোসাওয়া, গোদার, সত্যজিৎ প্রমুখদের কালজয়ী ছবি দেখার সুযোগ তরুন অধ্যাপকের মনে এক পশলা ভালো লাগা ঝরিয়ে দিয়ে গেছিল। সিনেমার অমোঘ আকর্ষণ এবার যেন রূপকথার ডালি নিয়ে হাজির হলো। পরম বিষ্ময়ে একের পর এক বিশ্বখ্যাত ছবি দেখা ও ছবি দেখার পর তা নিয়ে আলোচনা, বিশ্লেষণ সিনেমার সম্পদের ভান্ডার ক্রমে উন্মুক্ত হতে লাগলো তরুণ অধ্যাপকের মনের দরোজায়। ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করলেন আধুনিক এই শিল্প মাধ্যমটি শুধুমাত্র বিনোদনমূলকই নয় সমাজ গঠনে সুদূর প্রসারী  ভূমিকা পালনের উপযুক্ত সম্পদে ঠাসা এক শক্তিশালী গণমাধ্যমও বটে। ভালাবাসা গভীর হলো মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত,পূর্ণেন্দু পত্রী, সৈকত ভট্টাচার্য সহ বহু দিকপাল চিত্র-পরিচালকদের সাহচর্যে। শুরু হয়ে গেল সিনেমা দেখার পাশাপাশি সিনেমা দেখানোর সরঞ্জামগুলির খুঁটিনাটি আয়ত্ত  করার চেষ্টা। ক্রমে তার উদ্যোগে একটি ১৬ মি.মি. এবং দুটি ৩৫ মি. মি. প্রোজেক্টার কেনা হলো এবং সেগুলি চালানোয় তিনি দক্ষ হয়ে উঠলেন অচিরেই। সিনেমাস্কোপ লেন্সের ব্যবহার, ছবির অর্থাৎ ফিল্মের সোজা-উল্টো অনায়াসে বুঝে ঠিকঠাক গুছিয়ে দিতে কিম্বা ছেঁড়া ছবির ফিল্ম জুড়ে দেওয়া সহ নানা টেকনিক্যাল কাজে শিবাংশুবাবুর সমকক্ষ তখন মেদিনীপুরে আর কেউ ছিলেন না। পরে তিনি ফিল্ম সোসাইটির শুভজিৎ  বসু রায়চৌধুরী সহ কয়েকজনকে ঐ বিষয় গুলি শিখিয়ে দিয়েছিলেন।
    নিজের কয়েক হাজার সিনেমা দেখা এবং সিনেমা দেখানোর ইচ্ছে  থেকে ক্রমে সচেষ্ট হয়েছিলেন ফিল্ম সোসাইটির সদস্যদের বাইরে যে অগণিত মানুষ আছেন বিশেষত ছাত্র-ছাত্রীরা অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সিনেমার যে সম্পদ তার ডালা উন্মুক্ত করার। এই ইচ্ছে থেকে প্রথম ১৯৭৩-৭৪ এ মেদিনীপুর ক্লাব প্রাঙ্গণে ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজন করেন চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। মূলত প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দেখানো হয়েছিল বিশ্বখ্যাত কয়েকটি ছবি। ঐসময়  অর্থাৎ ৭০ এর দশকে তার  সিনেমা দেখার এমন উন্মাদনা যে কলকাতায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে ছবি দেখার জন্য খড়গপুর থেকে ভোর চারটের ট্রেন ধরে কলকাতা গিয়ে সারাদিন ছবি দেখে রাতে মেদিনীপুর ফিরে এসেছেন। আবার পরের দিন একই ভাবে যাওয়া তাকে ক্লান্ত করেনি। কোন বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা মানুষকে বিশেষভাবে উদ্যোমী করে তোলে। ১৯৭৬-৭৭ সালে তৎকালীন জেলাশাসক শ্রী দীপক ঘোষ ও ফিল্ম সোসাইটির আপামর সদস্যদের অনুরোধে শিবাংশুবাবু প্রথমবার মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন ছবি দেখানোর জন্য নির্ভর  করতে হতো ফিল্ড পাবলিসিটি-সাউথ ও নর্থ এই দুই অফিসের উপর। শিবাংশুবাবু দায়িত্ব নিয়েই জোর দিলেন নিজস্ব প্রোজেক্টার মেশিনে ছবি দেখানোর উপর। কেনা হয়েছিল ১৬ মি.মি ও ৩৫ মি.মি. প্রোজেক্টার। তখন দেশ-বিদেশের ছবি মূলত ১৬ ও ৩৫ মি.মি ফরম্যাটেই তৈরি হতো । এর কিছু পরে কেনা হয় জেনারেটর, সিনেমাস্কোপ লেন্স আরও পরে  ডিজিটাল প্রজেক্টার, ল্যাপটপ, পর্দা সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি। ফিল্ম সোসোইটির যে বইয়ের লাইব্রেরি তা ঢেলে সাজানোয় মন দেন শিবাংশুবাবু যাতে সদস্যরা চলচ্চিত্রের তাত্ত্বিক দিকটির বিষয়ে সম্যক অবহিত থাকতে পারেন।
    সমাজের নানা স্তরের মানুষের কাছে সিনেমার নানা দিক তুলে ধরার লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে ফিল্ম সোসাইটি মেদিনীপুর শহরে অনেক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চার্লি চ্যাপলিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (১৯৮৯), আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (১৯৯০) ভিয়েতনাম চলচ্চিত্র উৎসব (১৯৯০), কিউবান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (১৯৯৩), শিশু চলচ্চিত্র উৎসব (১৯৯৩) হাঙ্গেরিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (১৯৯৩), বুলগেরিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (২০০০), ইরানিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (২০০১), স্প্যানিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (২০০৯), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব (২০১৩), মহিলা চিত্র-পরিচালকদের তৈরি ছবির উৎসব (২০১৭), টিউনিসিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (২০১৯) ইত্যাদি ।
    সিনেমা দেখা, সিনেমা দেখানো, সিনেমা নিয়ে লেখালিখি, সিনেমার টেকনিক ও টেকনোলজি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে চলচ্চিত্র বিষয়ে তিনি যে ধারণাটি দীর্ঘদিন সযত্নে লালন করে চলেছেন তা হলো সিনেমা এক শক্তিশালী সংস্কৃতি ও শিক্ষার মাধ্যম। চলচিত্রে যেমন ভালো আছে তেমন খারাপও আছে। বেশি বেশি ভালো ছবি দেখানোটাই হচ্ছে সিনেমার খারাপের বিরুদ্ধে সক্রিয় এক লড়াই। তাই তিনি সিনেমা বুঝবার যে আন্দোলন তাতেই সামিল আছেন আজও।
    পরিবর্তিত সামাজিক পরিস্থিতিতে সিনেমাও পরিবর্তিত হতে হতে ব্যাক্তি পরিসরে ঢুকে পড়া এক ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সাংস্কৃতিক মাধ্যম হিসেবে যখন জায়গা করে নিচ্ছে তখন মনে পড়ে নব্বইয়ের দশকে শিবাংশুবাবু সিনেমার গতি-প্রকৃতি আঁচ করে বহু বাধা বিপত্তি কাটিয়ে শহরের কেন্দ্রস্থলে গড়ে তুলেছিলেন ফিল্ম সোসাইটির নিজস্ব অডিটোরিয়াম। উদ্দেশ্য ছিল মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির প্রয়োজন ছাড়াও শহরের অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলির  প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৩৫০ আসনের এই প্রেক্ষাগৃহ একদিন অনেক কাজে আসবে এবং যদি কোনদিন একসাথে বসে সিনেমা দেখার সময় মানুষের না থাকে তখন অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠঙ্গুলির সঙ্গে একত্রে চলচ্চিত্র চর্চার সুযোগ তৈরি হবে।
    সিনেমার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকে তৈরি আগ্রহ নিয়েই নব্বইয়ের দশকে মেদিনীপুর শহরের ৫০০ বছরের যে ইতিহাস তা তথ্যচিত্রে ধরে রাখার জন্য উদ্দ্যোগী হয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব ধীমান দাশগুপ্ত, চিত্র-পরিচালক ঈশ্বর চক্রবর্তী ও ভাষা-সাহিত্যিক বীতশোক ভট্টাচার্যকে নিয়ে অনেকটা এগিয়েও ছিলেন। ১৯৯৩-৯৪ সালে সিনেমার শতবর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে ফিল্ম সোসাইটির পক্ষে  শিবাংশুবাবু উদ্যোগী হলেন সিনেমার তাত্ত্বিক বিষয়ে একটি গ্রন্থ  প্রকাশের জন্য । সংকলনটির পরিকল্পনা, বিষয় নির্বাচন ও অন্যান্য সমস্ত অপরিহার্য কাজের দ্বায়িত্ব হাসি মুখে কাঁধে তুলে নিলেন মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সদস্য বীতশোক ভট্টাচার্য ও ত্বাত্ত্বিক ধীমান দাশগুপ্ত । ১৯৯৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত হোল   “সিনেমার শিল্পরূপ” । এই বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন ডঃ অরবিন্দ পোদ্দার,  লেখক তালিকায় ছিলেন গাস্তঁ রোবেরজ, বীরেন দাশশর্মা , ধীমান দাশগুপ্ত, বীতশোক ভট্টাচার্য, ধ্রুব গুপ্ত, সোমেন ঘোষ, ঈশ্বর চক্রবর্তী, পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ।  এই বইয়ের অর্থ যুগিয়েছিলেন ফিল্ম সোসাইটির তৎকালীন সহ-সভাপতি ডাঃ বাসুদেব রায় । বইয়ের পরিবেশনার দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন কলকাতার প্রকাশনা সংস্থা বাণীশিল্প । এত মানুষকে শামিল করে মুল্যবান বই প্রকাশের এই মহৎ কাজের মূল হোতা ছিলেন শিবাংশুবাবু । পরে মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েদের হাতে কলমে চলচ্চিত্র তৈরির কলা কৌশল শেখাবার উদ্দেশ্যে মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির পরিচালনায় ইনস্টিউট অফ ফিল্ম স্টাডিজ তৈরির লক্ষ্যেও অনেকটা এগিয়েছিলেন সিনেমা-অন্ত প্রাণ মানুষটি। ছেলেবেলার কৌতুহল নিয়ে সিনেমা দেখার শুরু তারপর কখন যে সেটি ভালোবাসায় পরিণত হয়ে গেল তা নিজেও জানেন না। এই ভাললাগা নিয়ে বছরের পর বছর প্রায় পঞ্চান্ন বছর নিরন্তর সিনেমার ভিতর ঢুকতে ঢুকতে সিনেমাই তার ধ্যান – জ্ঞান হয়ে গেল। যদিও তিনি মেদিনীপুর ক্লাব, মেদিনীপুর সুইমিং ক্লাব, মেদিনীপুর শিল্পীচক্র ও বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলির নানা দায়িত্ব বিভিন্ন সময়ে সামলেছেন  ঠিকই কিন্তু মন সবসময় পড়ে থেকেছে ঐ সিনেমার জন্য। আজ এই ৭৭ বছর বয়সেও সিনেমার খবর পেলে সব অসুবিধে জয় করে সিনেমার প্রাঙ্গণে হাজির হতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না। তাইতো মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির মতো বড় ও ব্যস্ত সংস্থায় নিয়মিত হাজিরা সহ কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব আজও অনায়াসে সামলে চলেছেন হাসি মুখে।

Post a Comment

2 Comments

  1. খুব ভালো লাগল। এগুলো তো মেদিনীপুরের ইতিহাসের এক একটা পাতা যা আগামি প্রজন্মের জন্য জমা থাকবে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ। আপনার অভিমত লেখায় উৎসাহ যোগাবে...
      সিদ্ধার্থ সাঁতরা

      Delete