জ্বলদর্চি

অ্যাঁতেলেকত্যুয়েল বনাম আঁতেল -১২


অ্যাঁতেলেকত্যুয়েল বনাম আঁতেল -১২
 
স ন্দী প  কা ঞ্জি লা ল    

বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞ 

১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তখন দার্শনিক 'নোয়াম চমস্কি' বুদ্ধিজীবীর দায়বদ্ধতা শিরোনামে  একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তিনি লেখেন, "বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হলো ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্য প্রকাশ করে দেওয়া এবং তাদের মিথ্যাচারকে উন্মোচন করা। আর তা করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীরা বিতর্কের পথ তৈরি করেন আর বিভিন্ন নীতির পথ গড়ে দেন"।অর্থাৎ  যে মানুষ ক্ষমতাসীনদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেবেন, সত্যকে প্রকাশ করবেন না, ক্ষমতাসীনদের মিথ্যাচারকে সামনে আনবেন না, উপরন্তু সেই মিথ্যাচারকে সত্য বলে প্রমান করতে চাইবেন, তাকে আমরা বুদ্ধিজীবী বলবো না। বুদ্ধিজীবী হলেন সমবেত মানুষের কন্ঠস্বর। এক সর্বজনীন মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি যখন যে বিষয় নিয়ে কথা বলেন, তিনি সমস্ত মানুষের, মানবসমাজের কথা বলেন। তিনি হচ্ছেন স্বঘোষিত সত্য ন্যায়ের মাষ্টার। বুদ্ধিজীবী হচ্ছেন সকলের চেতনা ও বিবেক। সব সমস্যার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য প্রয়োজন। কোথাও প্রতিবাদপত্র পাঠানো হলে, আগে তাদের নাম থাকবে। প্রতিবাদ মিছিলের আগে আগে তারা হাঁটবেন। এটা আমরা পড়েছি বা শুনেছি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়। তখন ঔপনিবেশিক ক্ষমতা ছিল দমনমূলক ও স্বেচ্ছাচারী। তাই তাদের মোকাবিলার জন্য এরকম ফিগার হয়তো প্রয়োজন ছিল। আজকের দিনে তা অচল। 
দার্শনিক "ফুকো" এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি কোনো বুদ্ধিজীবী দেখিনি। আমি সেই মানুষকে দেখেছি যাঁরা শিক্ষক, যারা ছবি আঁকেন, কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের কোনদিন না। অন্যদিকে আরও অনেক মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে, যারা বুদ্ধিজীবীদের কথা বলেন। আমার কাছে বুদ্ধিজীবীদের কোনো অস্তিত্ব নেই"।
"ফুকো" র এই কথার যদি সরলীকরণ করি, তা হল বুদ্ধিজীবীদের সচরাচর তিনি চিনতে পারেন না।সত্যি বলতে কি বুদ্ধিজীবীদের চেনাও মুশকিল, কাকে ঠিক বুদ্ধিজীবী বলবো বুঝতেও পারিনা। অনেক মানুষ দেখেছি যারা কবিতা উপন্যাস লেখেন, কেউ ছবি আঁকেন, চিকিৎসা করেন, কেউ বা আবার ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, সম্পাদক কেউ কেউ, টেলিভিশন, খবরের কাগজে কাজ করেন  এবং অনেক মানুষের মুখে অবশ্যই শুনেছি এই বুদ্ধিজীবী শব্দটি। কিন্তু অন্যভাবে বিচার করলে যাদের আমরা বুদ্ধিজীবী ভেবে বসে আছি, এরা অপরাধী। তিনি অপরাধী নিরপেক্ষ কথা না বলার জন্য, চুপ করে থাকার জন্য। এক পক্ষের হয়ে প্রতিবাদ করার জন্য। প্রতিবাদের সময় বাড়িতে বসে থাকার জন্য। কিছু লোকের সাথে মেলামেশার জন্য আবার না মেশার জন্য। যেটা অতীব দুঃখের কথা হল আমরা এখনও এমন সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি, যেখানে বুদ্ধিজীবীদের ধান খেতে চাষবাস করতে পাঠানো যায় না। মোদ্দা কথা দার্শনিক "মিশেল ফুকো" র বক্তব্য ছিল এটাই। 
কারণটা মূলত আধুনিক ক্ষমতা যেভাবে কাজ করে তার জন্য। ডাক্তার তাঁর রোগীকে বাইরে থেকে অবজেক্টিভলি পরীক্ষা করতে পারেন, কিন্তু যাঁর কাজ সমাজ-রাজনীতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা তার কাছে এরকম কোনো 'বাইরের' অবস্থান থাকে না। যে রোগকে তিনি সারাতে চান তিনি নিজেও সেই রোগ দ্বারা আক্রান্ত। ক্ষমতার এই স্বরূপের জন্য আজকের বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে পুরোনো দিনের দার্শনিক বা বুদ্ধিজীবীর কোনো তুলনা হয় না। সুতরাং আজকের বুদ্ধিজীবীকে তার সর্বজনীন প্রফেটিক কণ্ঠস্বর পরিত্যাগ করতে হবে, বর্জন করতে হবে। সত্যি বলতে কি, আজকে বুদ্ধিজীবী সেই প্রথাগত ভূমিকা -- যেখানে তিনি সকলের জন্য  ন্যায় ও সত্যের কথা বলতেন -- তার কোনো আবশ্যকতা আছে বলে মনে হয় না৷ আজকে নানাবিধ নতুন পেশা, জীবিকা, জীবনোপায় এবং তার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলির বিকাশের ফলে প্রতিটি পেশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান ও যুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, একইসঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে এক নতুন ধরনের বৌদ্ধিক প্রক্রিয়া এবং এক বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, যাঁরা সর্বজনীন নন, বরং তাদের বলতে পারি বিশেষ বুদ্ধিজীবী বা 'স্পেসিফিক ইনটেলেকচুয়াল'। এই বুদ্ধিজীবীর উত্থানের অন্য কারণ হল প্রশাসন, উৎপাদন, যুদ্ধবিগ্রহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। এই বুদ্ধিজীবীরা সর্বজনীনতা, অনুকরণযোগ্যতা, সকলের জন্য সত্য-ন্যায় এই কাঠামোর মধ্যে কাজ করেন না, বরং তাদের কাজ নিজের নিজের বিশেষ ক্ষেত্রে (বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাগার, আইন ও বিচার ব্যবস্থা, পরমাণুবিজ্ঞান, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) এবং সেই বিন্দুগুলিতে যেখানে তাদের জীবন তাদেরকে অবস্থিত করিয়েছে। এখানে তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হন তা হল বিশেষ, অ-সর্বজনীন, তাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত এবং এখানে তাদের রাষ্ট্র, শাসনতন্ত্র, কর্পোরেট ক্ষমতার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এঁরাই হলেন সর্বজনীন বুদ্ধিজীবীর বিপরীত বিন্দুতে অবস্থিত বিশেষ বুদ্ধিজীবী।
নোয়াম চমস্কি

আগের বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন লেখক, এক সর্বজনীন চেতনা, স্বাধীন ব্যক্তিত্ব এবং এর বিপরীতে অবস্থান করতেন সেই সব বুদ্ধিজীবী যাঁরা রাষ্ট্র বা পুঁজির অধীনে কাজ করতেন, যেমন প্রযুক্তিবিদ, ম্যাজিস্ট্রেট, শিক্ষক। যখন থেকে ব্যক্তির বিশেষ কাজকর্মই তার রাজনীতিকরণের ভিত্তি হয়ে উঠেছে, জ্ঞানের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে যোগাযোগের সম্ভাবনাও বেড়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ও মনস্তত্ত্ববিদ, ডাক্তার ও সমাজকর্মী, সমাজতান্ত্রিক ও আইনজ্ঞ, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে এক সার্বিক রাজনৈতিক চেতনার অংশ হয়ে উঠেছেন। লেখক-বুদ্ধিজীবী চরিত্রটি ক্রমশই দৃশ্য থেকে অপসারিত হচ্ছেন। আমরা অনুমান করতে পারি যে, সর্বজনীন বুদ্ধিজীবীরা উদ্ভব হয়েছিল এক বিশেষ ঐতিহাসিক "ফিগার"-এর মাধ্যমে - যিনি ন্যায়বিচারের পুরোধা, আইনের সমর্থক, ক্ষমতার বিরোধী, স্বৈরাচারের দুশমন, ধনসম্পদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, ন্যায় ও সাম্যের আদর্শ সমর্থক। বস্তুত পুরোনো দিনে বুদ্ধিজীবীর একটা সংজ্ঞা ছিল- যিনি তার জ্ঞান রাজনৈতিক সংগ্রামে ব্যবহার করেন। উনিশ শতকে রাজনৈতিক সংগ্রামের মূল বিষয়গুলি ছিল আইন, ন্যায়বিচার, অধিকার। এই ছিল সর্বজনীন বুদ্ধিজীবীর মূল বৃত্ত, সর্বজনীন বুদ্ধিজীবী ছিলেন মূলত আইন-বিশারদ যিনি অধিকার, ন্যায়, সাম্য নিয়ে লড়াই করতেন এবং যার পূর্ণ বিকাশ হল লেখকের মাধ্যমে। লেখক ছিলেন সেই মূল্যবোধের ধারক ও বাহক যার মধ্যে সকলে নিজেকে দেখতে পেতেন। অন্যদিকে বিশেষ বুদ্ধিজীবীর উদ্ভব হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা 'ফিগার' থেকে, এই 'ফিগার' হল একজন বিশেষজ্ঞের। এই প্রসঙ্গে বলি, আমাদের এই অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজ্যে, যেখানে বহু বছর আগে সামান্য জ্ঞান ও যুক্তির আলো যেটুকু প্রবেশ করেছিল এবং আজ যা অন্তর্হিত হয়েছে, যেখানে এক মধ্যযুগীয় হিংসা ও হানাহানি আজ সবসময় প্রত্যক্ষ হচ্ছে, যেখানে সকলেই কোনো না কোনো দলভুক্ত, দল ছাড়া  কারও কোনো আলাদা অস্তিত্ব নেই, সেখানে বুদ্ধিজীবীরাও এক দলভুক্ত জীব। ফলে এই বুদ্ধিজীবীরা নিরপেক্ষ, সর্বজনীন বুদ্ধিজীবীও হয়ে উঠতে পারেননি। এই বুদ্ধিজীবী স্বাধীনও নন, সমদর্শী ও নন। নিজের দল ক্ষমতায় থাকলে আজকের এই দলদাস বুদ্ধিজীবী চোখ বন্ধ করে থাকবেন, বিরোধী দল ক্ষমতায় এলে ন্যায় ও সত্যের জন্য লড়াই করতে বিবৃতি দেবেন। অবশ্য সাধারণভাবে বাঙালি বুদ্ধিজীবীর কোনোদিনই খুব একটা গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল না। সামান্য অর্থ, পদ, ক্ষমতালোভী এবং সর্বোপরি ভীতু, এই বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় তাই কোনোদিনই জনসাধারণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি। 
যে বিশেষ বুদ্ধিজীবীদের কথা 'ফুকো' বলছেন তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো সমস্যা নেই এমন নয়। যে পরিবেশবিদ নদ-নদীর অপরিকল্পিত ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদ করেন, আন্দোলন করেন, যে পরমাণুবিজ্ঞানী তাঁর বিষয়ের অপপ্রয়োগ নিয়ে সতর্ক করেন, যে সমাজকর্মী 'হোম' এর নির্মম অত্যাচারের সত্য তুলে ধরেন, তাদের দাবি, আন্দোলন, অনেকসময়ই নিজ নিজ ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, অনেকসময়ই হয়তো তাঁরা শাসনতন্ত্র বা রাজনৈতিক দল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন বা প্রভাবিত হন। এরকম সম্ভাবনা বা ঝুঁকি সবসময়ই রয়েছে। যতই আমাদের সর্বজনীন বুদ্ধিজীবীদের প্রতি নস্টালজিয়া থাকুক না কেন।'ফুকো' নিজে মনে করতেন এই বিশেষ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা আরও অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে উঠবে বা তাদের আরও বেশি রাজনৈতিক দায়িত্ব নিতে হবে। এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল এটা মনে রাখা যে, সত্য কোনো স্বাধীন চেতনার পুরষ্কার নয়, সত্য কোনো সুরক্ষিত নির্জনতার সন্তানও নয়, সত্য এই জগতের এক বস্তু যা উৎপাদিত হয়েছে নানাবিধ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। সত্যের প্রভাব ক্ষমতার মতোই। প্রতিটি সমাজের নিজস্ব ক্ষমতার বিধি আছে, নিজস্ব সত্যের রাজনীতি আছে। অর্থাৎ কিছু ডিসকোর্স এই সমাজ সত্য বলে স্বীকার করে এবং সত্য হিসেবেই তাদের দিয়ে কাজ করায়। তাই বুদ্ধিজীবী কোনো "সর্বজনীন মূল্যবোধ" এর ধারকও নয়, বাহকও নয়, বরং এমন একজন যার এক বিশেষ অবস্থান আছে এবং এই বিশেষত্বের যোগ রয়েছে সেই সমাজে কার্যকরী সত্যের তন্ত্রের সঙ্গে। এই বুদ্ধিজীবীর সমস্যা হল সত্যের এক নতুন রাজনীতি তৈরি করার সমস্যা। সেই অর্থে বুদ্ধিজীবী হলেন সাবভার্সান এর এক এজেন্ট-বিশেষ।
বুদ্ধিজীবীর মনে রাখা উচিৎ অন্যের হয়ে, অন্যের মুখপাত্র হয়ে, প্রতিনিধি হয়ে কথা বলার মতো অসম্মানজনক অমর্যাদাকর আর কিছু নেই।যা যুক্তিসঙ্গত তাই বলবেন। তাতেই সমাজ দিশা পাবে।মানুষের মঙ্গল হবে। নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে শৃঙ্খলিত করার কৌশল বুদ্ধিজীবী আবিষ্কার করেছিল বলে,তার জলবিদ্যুৎ মানুষের কল্যাণে লাগছে।  বুদ্ধিজীবীর সম্মান থাকবে ততক্ষণই যতক্ষণ তিনি অন্যের হয়ে কথা বলবেন না। এই প্রসঙ্গে বলি আধুনিক ভাবনাচিন্তায় বা দর্শনে রিপ্রেজেন্টেশন বা প্রতিরুপায়নের সমালোচনা বহুদূর এগিয়ে গেছে। দর্শনেরও উচিত অন্যের প্রতিনিধি হয়ে কথা বলার প্রবণতাকে চ্যালেঞ্জ জানানো। 'দেল্যুজ' বুদ্ধিজীবীদের কথা বলতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, "যখনই আমি এই কথাগুলো শুনি এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না....' বা 'সকলেই একমত হবেন যে... আমি বেশ বুঝতে পারি কোনো মিথ্যা বা কোনো শ্লোগান উচ্চারিত হতে চলেছে স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা"। রোজ সন্ধেবেলা টিভির অনুষ্ঠানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে যে পরিমাণ বিরক্তি ও বিবমিষার উদ্রেক হয় তা লিখে ব্যক্ত করা মুশকিল। মানুষ নিজের কথা নিজে কেন বলবেন না? এবং এই উক্তি বুদ্ধিজীবীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনি নিজের কথাই বলবেন। এইখানেই সর্বজনীন ও বিশেষ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে পার্থক্য। সর্বজনীন বুদ্ধিজীবী অন্যের হয়ে কথা বলেন, বিশেষ বুদ্ধিজীবী নিজের কাজের বৃত্তের মধ্যে থেকে নিজের কথা বলেন। অন্যের হয়ে কথা বলার বদলে নিজের জন্য কথা বলার অর্থ কি? এর অর্থ এই নয় যে, প্রত্যেকে তার জীবনে এক সত্যের মূহুর্ত খুঁজে পেয়েছেন বা পাবেন, এটা প্রথম পুরুষে কথা বলার ব্যাপারও নয়। বরং নিজে কিছু করার সময় যে অ-ব্যক্তিগত, মানসিক শক্তির সম্মুখীন হন একজন মানুষ, এবং তাদের সঙ্গে লড়াই করার সময় প্রথমে হয়তো তিনি জানতে পারেন না ঠিক কী করতে চলেছেন, ক্রমশ লড়াই করতে করতে বুঝতে পারেন তার কাজের স্বরূপ। এই অর্থে নিজের কাছে ফিরে যাওয়া রাজনৈতিক ও রাজনীতিও বটে।

Post a Comment

0 Comments