জ্বলদর্চি

দীর্ঘ কবিতা / অনির্বাণ দাশ

ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


ঠিক গল্পের মতো নয়

 অ নি র্বা ণ  দা শ  

পথ ছিল আমাজনের মতো বাঁকা
গাছে পাকা ফল নদীভরা জল 
সন্ধ্যে হলে চাঁদ সকালে সূর্য
সধবারা কেউ বন্ধ্যা নয়
তাদের দুধেল স্তনে শিশুরা তৃপ্ত
          পুরুষেরাও 
তারা সুঠাম পেশী ভেঙে মাঠে শস্য ফলায়
ঘরে ফিরে একথালা ভাত
আর
বালক ও বালিকারা অ আ পড়ে জোরে জোরে     
হাতে হাত রেখে ধুলো মেখে খেলে

এক বৃদ্ধ টেলিস্কোপে চোখ রেখে
বৃহস্পতির সাতটা উপগ্রহ আবিষ্কারের পর
এইরকম দৃশ্য দেখল অন্য এক গ্রহে
তখন
অন্য এক বিজ্ঞানী খুঁজছিলেন আপেক্ষিকতাবাদ 
তখন
একজন সুরকার বাজাচ্ছিলেন নাইন্থ সিম্ফনি
তখন
একজন কবি লিখছিলেন গীতাঞ্জলি
তখন
একজন সাম্যবাদে বিভোর বাজারে ছাড়ছেন কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো

হঠাৎ

প্রচণ্ড তেজস্ক্রিয় বিকিরণ আর তাপে
অনুসন্ধিৎসা ঝলসে গেল 
শুধু
নিকষ অন্ধকার ছাড়া কিছু আর 
শুধু
গদ্যভাষা ছাড়া কিছু আর
শুধু 
প্রেমহীন যৌনতাময় যৌবনের
এক গ্রহান্তরে যখন এসে পৌঁছনো গেল
বিস্মিত বৃদ্ধ হাত পা ছুঁড়ে সদ্যোজাত

কানে শুনছেন 
এর নাম পৃথিবী এর নাম পৃথিবী
এখানে বাঁধ নদীকে বেঁধেছে
এখানে গাছের ফলে পেস্টিসাইড
সকাল সন্ধ্যেয় সকলে বেখেয়ালি
মগ্ন সিরিয়াল অথবা মুঠোফোনে

কিন্তু
 শিশুটি বড়ো হয়ে উঠছে ক্রমশ
তার হাতে উঠে আসবে আরও উন্নত 
আরও দীর্ঘ আরও স্বপ্নময় একটি টেলিস্কোপ
তাতে শুধু দেখা যাবে না 
দৃষ্ট জায়গায় চলে যাওয়া যাবে অনায়াসে                                  
      ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   
                                              

Post a Comment

3 Comments

  1. হ্যাঁ বেশ ভালো লাগলো কবিতাটি।
    এই সময়ের ভাব-ভাবনা,আশা-আশঙ্কা বড়ো সার্থক রূপ পেয়েছে এতে।
    কবি অনির্বাণ দাশ, অভিনন্দন জানাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. This comment has been removed by the author.

      Delete
    2. শুভেচ্ছা অন্তহীন।

      Delete