জন্মদিনে
আবীর ভট্টাচার্য্য চক্রবর্তী
উজাগর
অবিরল কোন শুভক্ষণে, অকস্মাৎ কলাপ-আকাঙ্খায়
নিত্য জন্মে অজরার ভ্রম। মনে মনে কোরক-উদ্গম।
রাত্রির জঠরে জাগে রৌদ্রপায়ী প্রত্যুষের ভ্রুণ
অকালবন্যায় ভাসে নদী, বৈতরণী-তৃণ…
জীর্ণমন্দিরে দোলে কার অশরীরী ছায়া, দেবতা বিভ্রম;
জন্ম মানে ঘরে ফেরা, জন্ম মানে প্রকাশ নির্ঘোষ
স্ব-প্রকাশী উচ্ছাসের আলো, মায়াময় প্রবাহ সংকোশ।
অনিচ্ছুক মৃত্যু যদি আসে, ভালোবেসে পুনর্জন্ম ডোর
চিরায়ত আসা-যাওয়া, জন্ম তাই মৃত্যুর দোসর।
তবুও যখন কোন নিরাসক্ত মনে,
অন্তরে উন্মনা উজাগর
জীবনে কাঁদায় আর যাপনে জাগায়...
তার স্পর্শে প্রেম নয়, ক্রমাগত জাগেন ঈশ্বর,
সার্থক করেন ব্রত, জন্মভ’র আয়ুশ অবর,
ডানা মুড়ে বসে পাখি, খোলে তার বৈশ্বানর দ্বার
তুচ্ছ জন্ম ধন্য করে প্রেম,নৈঋতের ঋত অহঙ্কার।
জন্মদিনে
একটি সকাল আনন্দময় হলে
আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে সুর
একটি গান সৃষ্টিমুখর ব’লে
যাপন সুধায় অনন্ত রোদ্দুর…
একটি জন্ম ভালোবাসায় ভ’রে
আরও অনেক আদরপায়ী প্রাণ
একটি জন্ম জন্ম-জন্ম ধরে
উত্তরায়ণে মাধুরী করে দান।
একটি জীবন প্রণয়ে নত হলে
ধুলোয় গড়ে অমরা সুখপুর
আশীষটুকু কুড়িয়ে অঞ্চলে
মাটিকে ছোঁয় অতল সমুদ্দুর…
আয়ুশ অবর
আজন্মের মগ্ন অন্বেষণ সুখাবগাহী মন্দ্র তর্পণে,
আপন শৈশব-রোমন্থন,পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব বরণে।
প্রস্তরের বুকে জাগে স্বচ্ছতোয়া নদী-অঙ্গীকার
নিরন্তর বহমান ঘাতসহ জীবনের অপূর্ব ঝঙ্কার।
অর্গলশূন্য ঘরে, জমে যদি বিস্মৃতির ধুলি
বৃন্তচ্যূত পুষ্পগন্ধে আকুলিত মনের দেহলী
সুপ্রাচীন আভিজাত্যে মিলে যাক ধুলাকীর্ণ হেলা
নবীন আহ্বান গানে উচ্ছ্বসিত আনন্দের মেলা
দিন যায়, দিন আসে চক্রবৎ আবর্তন স্বাধিকারে
জন্মদিন ধন্য হয় কল্যাণের দৃপ্ত-অঙ্গীকারে।
স্মৃতিরূপ আগমনী বন্দিসের আরোহে-অবরোহে,
অমৃত-প্রত্যাশী-স্নেহ অমলিন সময়প্রবাহে।
🍂
1 Comments
ভালো লাগলো
ReplyDelete