জ্বলদর্চি

বুদ্ধি আর বিদ্যা থাকলেও সবাই বুদ্ধিজীবী নয়-২


অ্যাঁতেলেকত্যুয়েল বনাম আঁতেল

 পর্ব-১৫

স ন্দী প  কা ঞ্জি লা ল


বুদ্ধি আর বিদ্যা থাকলেও সবাই বুদ্ধিজীবী নয়- ২ 

বুদ্ধি আর বিদ্যা থাকলেও সবাই বুদ্ধিজীবী নয়- আজ সেই বিষয়ের উপর ২য় পর্যায়ে আলোচনা করব। এটা নির্ভর করে কে কিভাবে এই সমাজকে, দেশকে দেখছে তাঁর নিজের মানসিকতার উপর। একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার হবে। যেমন, এক জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণের জন্য তিনজন লোক কাজ করছিল। একজন পথিক, তারা কি করছেন জানতে চাইলে, প্রথম জন উত্তর দিল, "দেখছেন না আমি মজুরীর জন্য কাজ করছি", দ্বিতীয় জন উত্তর দিল, " দেখছেন না আমি ইট গাঁথছি",  তৃতীয় জন উত্তর দিল, "দেখছেন না আমি একটি দেবালয় তৈরি করছি।" তিনজন একই কাজ করছে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন জবাব দিল। এখান থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, একই কাজ করলেও, একটি কাজের প্রতি তাদের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী। এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী সৃষ্টি হয়েছে, তাদের ভিন্ন মানসিকতার জন্য। এই মানসিকতাই একজন ব্যক্তি সমাজে কি ভূমিকা নেবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়। 
তার ফলে, আমরা দেখতে পাচ্ছি  বিগতদিনে ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসন, আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন পরিচালিত ন্যাটোর সামরিক তৎপরতা বা বিভিন্ন জাতীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক'জন বুদ্ধিজীবী তাৎপর্যপূর্ণ ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদী ভূমিকা নিয়েছে? আগের তুলনায় অনেক কম। এর কারণ কি বুদ্ধিজীবী বা শিক্ষিত শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গির ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে? ইতিহাস তৈরিতে সক্ষম বুদ্ধিজীবীরা তুলনায় নীরব বা ধ্বংসাত্মক ইতিহাস সৃষ্টির সমর্থক বুদ্ধিজীবীর সংখ্যাই কি বেড়ে যাচ্ছে না? 
জন্মসূত্রে সব মানুষই অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি সামর্থ্যসম্পন্ন গুরুমস্তিষ্কের অধিকারী। বিশিষ্ট মস্তিষ্ক-নার্ভীয় তন্ত্রের অধিকারী মানুষ  বিভিন্ন ভাষা এবং অক্ষরমালার উদ্ভাবন করেছে, অভিজ্ঞতাকে ধারণার রুপ দিয়েছে, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ সংশ্লেষণের সাহায্যে  বহির্জগত ও অন্তর্জগতের নিয়মাদি আবিস্কার করেছে, অতীত কীর্তি এবং জ্ঞানের ফলাফল বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, যা আছে তা থেকে উপাদান নিয়ে, যা নেই তাকে কল্পনা করেছে এবং রুপ দিয়েছে। এ সবই মননের কাজ। জন্মগত অসুস্থতার কথা বাদ দিলে সব মানুষের ভিতরই এই মনন বর্তমান। কিন্তু সামর্থ্য নিয়ে জন্মালেই আপনা থেকে সে সামর্থ্যের বিকাশ ঘটেনা। ভাষাও মানুষকে যত্ন করে শিখতে হয়। আবার মানুষের মধ্য থেকে কোনো মানুষকে জন্মাবধি বিচ্ছিন্ন করে রাখলে তার প্রকাশ ও ভাব বিনিময় শুধু অল্প কয়েকটি আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনের উত্তরাধিকার থেকে তখন সে বঞ্চিত এবং সে কারণে সম্ভাবনা সত্ত্বেও তার মন দরিদ্র ও বিকাশহীন৷ আজকের বর্তমান বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তাই বলে। যেমন একটি ছাত্র শুধু পড়াশোনা ছাড়া আর কোনো কিছু শেখে না। ফলে তার মনের পূর্ণ বিকাশ ঘটেনা। সে আত্মকেন্দ্রিক এবং নিজেকে নিয়ে ভাবতে বেশি ব্যস্ত।
মনের বিকাশ নানাভাবে ঘটে থাকে। যারা অসম্ভব প্রতিভাবান, যেমন- আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ, গোয়েট, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আরও অনেকে, ইনারা প্রতিভা নিয়ে জন্মান। কিন্তু প্রতিভা থাকলে তো হবে না। সেই প্রতিভা প্রকাশের উপযুক্ত পরিবেশ ও চাই। যেমন একটি গোলাপ গাছের চারা, তার মধ্যে ক্ষমতা আছে গোলাপ ফোটানোর। কিন্তু তাকে যদি পাথুরে রুক্ষ ভূমিতে লাগানো হয়, যদি সার জল ওষুধ এবং নিয়মিত পরিচর্যা না পায়, সে কি তবে তার ফুল ফোটাতে পারবে। যতই বলা হোক যে গুড় মিষ্টি, সে অন্ধকারে ও মিষ্টি,আবার আলোতেও মিষ্টি। কিন্তু এই গুড়ের মধ্যে মিষ্টত্ব জড় পদার্থ। তার কোনো চলন বা সরন নেই। তার মিষ্টত্ব আছে যখন তা আমরা খাই কিংবা তার থেকে প্রস্তুত দ্রব্যাদি আমরা ভোগ করি। তার আগে আমরা জানতে পারিনা। তাই কারোর মনের বিকাশে চাই উপযুক্ত সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ। তা না হলে তার স্ফূরণ ঘটবে না। পূর্বের মহামানবদের জীবন সম্পর্কে জানা এবং সেখান থেকে তাদের ভালো দিক নিয়ে নিজেকে পরিপুষ্ট করা, বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিকে নিজের অভিজ্ঞতা এবং পূর্বসূরিদের অভিজ্ঞতায় মিশিয়ে তা থেকে বোঝা। নিজের মনে বারবার প্রশ্ন করা এবং তা থেকে বেরিয়ে আসা যুক্তিকে, সাহসের সঙ্গে প্রকাশ করার ক্ষমতা অর্জন করা। পরিবর্তনে সাড়া দেওয়া এবং খোলা মনে সাহসের সঙ্গে পরিবর্তন মেনে নেওয়া ও দরকার। এসবই দীর্ঘ অনুশীলনের ব্যাপার, যা বুদ্ধিজীবীর লক্ষণ। 
সব মানুষের ভেতর বিদ্যা আর বুদ্ধি থাকলেও, সকলে সমান দায়িত্বসহকারে তাঁর অনুশীলন করে না। অনেক ক্ষেত্রে করার সুযোগ পান না। আবার মানসিক পরিশ্রমে অনীহা, জিজ্ঞাসা, কল্পনা ও প্রকাশ করার ইচ্ছাকে দমন করার জন্য কোনো সংগঠন বা অশুভ শক্তির প্রয়োগ, আবার অনেকে নতুনকে ভয়। বর্তমান পরিস্থিতিকে আঁকড়ে ধরে সেখান থেকে ব্যক্তিগত লাভের আকাঙ্খা। এসবই বুদ্ধি প্রকাশের বাধা। 
কোনো একটা সমাজে যদি এই বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা বিভিন্ন কারণে স্তব্ধ হয়ে যায়, সেই সময়কে বলা হয় অন্ধকার সময়। সে সময়ও, মুষ্টিমেয় হলেও কিছু বুদ্ধিজীবী তার জ্ঞানের শিখা জ্বালিয়ে রাখেন। সে সময় তার কেউ গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীকালে আমরা তার খবর পাই। 
কিন্তু এই অন্ধকার যুগ দীর্ঘদিন চলতে পারে না। কোন একটা সময় সেই সমাজে ব্যপকভাবে বুদ্ধিজীবীর সমাবেশ ঘটে। তখন তাকে রেনেসাঁস বলে। আর এটা মূলত ঘটান ভাবুক, মনীষী, লেখক, শিল্পী। কিন্তু তারা তখন সংখ্যায় কম হলেও, তাদের সেই উদ্যোগ সমাজ অবহেলা করতে পারে না। সেটা নির্ভর করে মূলত সেই সব বুদ্ধিজীবীদের সামর্থ্য, তাদের নিষ্ঠা ও জ্ঞানের গভীরতার উপর। 
জড় উপাদানের সমাবেশ ও জৈব বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় উদ্ভুত মানুষ জন্মগতভাবে নতুন সৃষ্টির অধিকারী হলেও, কিন্তু তার মধ্যে প্রাক্ মানবীয় প্রবণতা এবং অভ্যাস তখনও থাকে। বিশিষ্ট মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত করতে প্রচুর উদ্যোগ ও একাগ্রতা লাগে। এই পরিশ্রমকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য মানুষ নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকে এবং আরামের জীবন যাপনকে বেছে নেয়। যেমন মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে দাঁড়ানো। দাঁড়ানোর চাইতে বসা, বসার থেকে শুয়ে থাকা কম পরিশ্রমের। স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটার চাইতে, স্রোতের পক্ষে সাঁতার কাটা অনেক সহজ। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাইতে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনেক ঝুঁকি কম। নতুন রাস্তার চেয়ে চেনা পরিচিত পুরনো রাস্তায় হাঁটা অনেক নিরাপদ। মানুষের মধ্যে এই স্ববিরোধিতা বর্তমান। 
মানুষের ভিতর এমন অনেক বৃত্তি আছে মন ও বিবেকের দ্বারা পরিচালিত হলে, সেগুলি বিকাশের সহায়ক। কিন্তু সেগুলির মধ্যে যদি বৈষম্য ঘটে তবে তা প্রবল ক্ষতিকর। যেমন একটা শরীর সুস্থ রাখতে, যেমন গ্লুকোজের কিংবা রক্তের চাপের একটা মাত্রা থাকে, সেই মাত্রার হেরফের ঘটলে, শরীর দূষিত হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। পরিবেশের উপর মানুষের প্রবৃত্তি হচ্ছে নিজের বিস্তার এবং ক্ষমতার প্রতিষ্ঠা। তার ফলে মানুষ অন্য মানুষদের নিজের আয়ত্তে আনতে চায়। তখন তার জ্ঞান ও ঔচিত্যবোধ ভুল পথে পরিচালিত হয়। তখন তা হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। আর এই ক্ষমতাবৃত্তিকে মনুষ্যত্ব বিরোধিতার অভিমুখ থেকে মুক্ত করার জন্য দরকার উপযুক্ত শিক্ষা ও বুদ্ধি। কিন্তু এগুলি কোনো কল্পিত ঈশ্বর সরবরাহ করেনা। মানুষকেই নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে সাফল্য অসাফল্যের ভিতর থেকে তা উদ্ভাবন করতে হয়। কিন্তু কামনার তাগিদে মানুষ যখন অপরকে শুধুমাত্র ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে, তখন সেই মানুষের মধ্যে প্রেম- প্রীতি- শ্রদ্ধা- বন্ধুত্ব- সহমর্মিতা থাকে না।
বাংলায় যে আমরা বিদ্যা ও বুদ্ধিকে একত্র করে বিদ্যাবুদ্ধি বলি, বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধিজীবী হয় নিজেদের ওই বিদ্যাবুদ্ধির কারণেই। তাদের বিদ্যা থাকে, থাকতেই হবে, নইলে বুদ্ধিজীবী কিভাবে? বিদ্যা গ্রন্থ পাঠ থেকে আসে, আসে জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেও। এ বিদ্যারই অপর নাম জ্ঞান। কিন্তু শুধু বিদ্যাই যে মানুষকে বুদ্ধিজীবী করে তা নয়। বিদ্বান মাত্রেই বুদ্ধিজীবী নন, যদিও বুদ্ধিজীবী মাত্রেই বিদ্বান। বিদ্বানরা পণ্ডিত হন, দক্ষ হন, পেশাজীবি হন, বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন, কিন্তু এসব হওয়া আর বুদ্ধিজীবী হওয়াটা এক ব্যাপার। বুদ্ধিজীবী হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক হলো আরো কিছু করা, আর সেটা হচ্ছে বুদ্ধির প্রয়োগ। বিদ্যা ও বুদ্ধি দুটিরই প্রয়োগ থাকা চাই, এই দুই শক্তি একে অপরের পরিপূরক হতে পারে; কিন্তু বুদ্ধিজীবীর ক্ষেত্রে তাদের সম্পর্কটা দাঁড়ায় দ্বান্দ্বিক। এ ক্ষেত্রে যা প্রত্যাশিত তা হলো বিদ্যা ও বুদ্ধি একটি দ্বন্দ্বে যুক্ত থাকবে, তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বে, কিন্তু কেউ কাউকে ধ্বংস করবে না, এমনকি তাড়িয়েও দেবে না, লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে উভয়ের সৃষ্টিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
বুদ্ধিজীবীর জন্য বুদ্ধির প্রয়োগটাই প্রধান কাজ হওয়ার কথা। বুদ্ধির সাহায্যে পৃথিবীকে তাঁরা ব্যাখ্যা করবেন এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু সেটাই তাদের একমাত্র কাজ নয়। অপরিহার্যরুপে যুক্ত থাকে আরেকটি কাজ, সেটা হলো পৃথিবীটাকে বদলানো। বিদ্যমান ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করা, তার অসম্পূর্ণতাকে মেনে না নেওয়া এবং তাকে বদলানো বুদ্ধিজীবীর কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। এসব কাজ একা করা যায় না, বুদ্ধিজীবী সেটা নিজের ভেতর থেকেই জানেন এবং জানেন বলেই বুদ্ধিজীবী হন। বুদ্ধিজীবী সংগ্রহ করেন, তিনি বিজ্ঞ; কিন্তু যা সংগ্রহ করেন তাকে তাঁর নিজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন ও অভিভাবকত্বে নতুন করে তোলেন। ইংরেজি ভাষার কবি সমালোচক কোলেরিজের ভাষা ব্যবহার করে বলা চলে, তিনি ফ্যানসিফুল নন, তিনি ইমাজিনেটিভ। এবং তিনি হৃদয়বান ও। হৃদয়বান না হলে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এবং যুক্ত হয়ে পৃথিবীটাকে বদলানোর প্রেরণাটা পাবেন কোথা থেকে? আসলে কোনো বুদ্ধিজীবীই বুদ্ধিজীবী নন, যদি তিনি হৃদয়বান না হন। দ্বন্দ থাকে বুদ্ধি ও হৃদয়ের ভেতরও। 
একসময় ছিল যখন বুদ্ধিজীবীদের কাজটা দার্শনিকরাই করতেন। তারা প্রশ্ন করতেন, ব্যাখ্যা করতেন, লক্ষ্য থাকত প্রতিষ্ঠিতকে বদলানোর। দার্শনিকরা তখন বৈজ্ঞানিকের দায়ভারটাও নিতেন। তারপর বিভাজন এসেছে। দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিকের অভিন্নতাটা ভেঙে গেছে; বৈজ্ঞানিকরা শক্তিশালী হয়েছেন, দার্শনিকরা কিছুটা পিছু হটেছেন। দর্শন ও বিজ্ঞানের বিচ্ছিন্নতার এই জায়গাটায় ডাক পড়েছে বুদ্ধিজীবীর, তাঁরা বিজ্ঞানমনস্ক, কিন্তু বিশেষজ্ঞ নন এবং তারা প্রশ্ন করেন। সেটা ভাববিলাসের জন্য নয়, দার্শনিকভাবে বোঝার ও বিদ্যমান ব্যবস্থাটাকে বদলানোর জন্য। যেমন ধরা যাক ফ্রান্সিস বেকনের কথা। তাঁর একটা দার্শনিক অবস্থান ছিল, সেটি ইহজাগতিকতার। সেই সঙ্গে ছিল তার বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা। জ্ঞানকেই তিনি ক্ষমতা বলে জেনেছেন, তবে সে জ্ঞানটা মানুষের জন্য উপকারী হওয়া চাই। অর্জিত বিদ্যা, সক্রিয় বুদ্ধি ও পরোপকারী হৃদয় এই তিনকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীকে বদলাতে চেয়েছেন তিনি।তাই এককথায় বলা যায় বিদ্যা আর বুদ্ধি থাকলেই বুদ্ধিজীবী হওয়া যায় না।

Post a Comment

0 Comments