জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা / শুভঙ্কর দাস

ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


গুচ্ছ কবিতা 

শু ভ ঙ্ক র  দা স


সূর্যাস্ত

সূর্যাস্ত যেন কোনো করুণ সুরের শেষাংশ
বাজতেই থাকে
অভেদ্য অন্ধকারের মধ্যে...     

চোখের জলের শব্দে নৌকা ভেসে যায়...

বিষাদের বারান্দায় সূর্যের শেষ আলোটুকু এসে দাঁড়ায়
নিরাভরণ। মিতবাক।
জলে জন্মেও চির তৃষ্ণা, এক জন্মে সহস্র জন্মের পরিত্রাণ চায়,নির্বাক...

স্নান সেরে হেঁটে যেতে হবে দিগন্তে
জাফরিকাটা রোদের মতো খড়
মুখে করে উড়ে যাচ্ছে জোনাকি...

নতুন ভোরের ডাক...

জন্মালে সূর্যোদয় হব...



মহামানব

এমন আবির্ভাবের কথা মাতৃবর্ণ জানে...

ছুঁয়েছে যে শরীর 

গুহা ও গৃহ রাখবে কোনখানে? 

পাথর ও প্রাণ,
মূ্র্তি ও মন্ত্র,
মন ও মুক্তি      

অযুত অন্ধকার শেষে, জানতে চায় মানে!

সেইটুকুর জন্য প্রতিটি জন্মকে শুনতে হয়ে রূপকথা

যাতে রাজপুত্র নাই-বা হল,কোটালপুত্র হলেও হবে
শুধু জেনে যাবে...  

রাক্ষসের জন্য কোনো প্রসববেদনা নেই!     



চমৎকার চাঁদের পাশে

দরজা ঠেললেই
সারি সারি শবদেহ দাঁড়িয়ে পড়ে
মৃত্যুর বহুবচন.... 

প্রত্যেকে একার অদেওয়াল ঘরে
নিজেকেই শোনায়
প্রবাদ-প্রবচন!

একটি শব্দের দীর্ঘ উচ্চারণ
বেঁচে আছি
বহুদূরে উড়ে যায় নীল নীল মাছি

একেবারে দেবতার গড়ন
নির্ভয়ে শ্বাস রাখে গোপনে
যদি কাজে লেগে যায়,কুরুক্ষেত্র রণে

চক্র ঘুরছে
থামার কোনো লক্ষণ নেই
কে কখন অমরত্বের নেশার মতো হাসে...

শুধু ছায়া দোল খায়
চমৎকার চাঁদের পাশে....

  
আয়ুর কথোপকথন

চোখের সামনে থেকে সরে যায় দৃশ্য
দৃশ্যের কী মোলায়েম ত্বক!

ছায়াছবি মতো কারা হেঁটে আসছে...
ক্ষুধা, ক্ষুধার অধিক ছল
অশ্রু, অশ্রুর অধিক অচল

নদী ভেঙে সেতু, সেতু ভেঙে ঋত্বিক ঘটক...

পর্দা পড়ে না
পেট থেকে লিঙ্গ
লিঙ্গ থেকে যোনীর যাত্রা
এত চিৎকার কীসের! গলার নানারকমের ছক

হাত তুলে সাবধানে
ঘষাকাচে ছবি তুলে নেবে,বুকের বাঁদিকে ভৌতিক আবহ,ধক্

ঋত্বিক ঘটক...




Post a Comment

2 Comments