জ্বলদর্চি

দোলন গোস্বামী-র কবিতা গুচ্ছ

দোলন গোস্বামী কবিতা গুচ্ছ


আধার

কতটুকু অঞ্জলী পেতে ধারণ করেছি,
আর কতটুকু ই  বা আছে আধার!
প্রেমের পারাবতী নই অসীম অপার।
দিগন্তে হারাবে রঙ ঘোলাটে পদ্মায় ,
ধূসর ছায়াছবি আঁকা দুর্গম তিস্তায়।
গোপন পথের প্রান্তে পাহাড়ী পলাশ
অনিমিখ চেয়ে থাকে আগুনের দাবিদার।


ইচ্ছে করে

মাঝ দুপুরে একলা পথে
হঠাৎ বৃষ্টি এলে,
ভয় কি, আকাশ কালো মেঘে
ছড়িয়ে এলো চুলে।
কার দুটি চোখ কোন জন্মের
এমন মায়ার টানে।
ভিজতে ভিজতে সন্ধ্যা এলো
লাল মাটির গানে।
যে জন্মে একটি বারও
 সঙ্গে ছিলে তুমি।
সেখান থেকেই দেখব আমার
সম্ভাবনার ভূমি।
এখন আমি সহজ অনেক
ভাঙ্গি আবার গড়ি।
দুঃখ সুখের দোদুল দোলায় 
পাহাড় বাষ্প ভরে,
তোমার কাছে আসব আবার 
ভিজতে ইচ্ছে হলে।
 বুকের ভেতর পাথর জমে 
শরীর জুড়ে ঢেউ।
দ্বিধা র দেওয়াল আঁকিবুঁকি
বুঝলো না তো কেউ।
মেঘ বালকের সাদা পালক
আড়াল করে রাখি।
ইচ্ছে করে একটিবার
প্রেমিক বলে ডাকি।


ঘুরপথে মেঘ

আর কত দূর গেলে ফিরে আসা যায়!
এ জন্মের অপারগ প্রেমময় পথিকের
জন্মান্তরে মিলবে কি ঠিকানা সঠিক?
কোনো এক পূর্ণিমায় দোলন চাঁপার
আগ্রানে খুঁজে পাবে কৃষ্ণভ্রমর ।
সুর তাল লয় দিয়ে বাঁধানো সে ঘাট
কোনোদিন আলতায় বাজবে নূপুর?
চমকের চুমকি  এঁকে দিতে কে পারে
তোমারই চন্দন শুভ্র মেঘ মাল্লায়!


বকুল বাতাস

প্রবাহী বন্যায় ভেসে  যায় অন্দরমহল
বিষন্নতার মাটি নরম হয় আরও।
ফাল্গুন কথাটিও হয়তো অন্ধকারের সহোদর।
ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসে পৃথিবী।
অধিকারের জমিন খুঁড়ে
মায়া বৃক্ষ রোপন করতে গিয়ে,
এক কুণ্ডলী পাকানো বারুদ খুঁজে পেলাম।
সীমান্তের ধার ঘেঁষে বসে থাকে হাহাকার,
আর অন্যদিকে ছুঁয়ে যায়
বকুল বাতাস।

🍂

Post a Comment

0 Comments