জ্বলদর্চি

কবি সিলভিয়া প্লাথের কবিতার অন্তরঙ্গ অনুবাদ/অনুবাদক : তপনজ্যোতি মাজি

আমেরিকান কবি সিলভিয়া প্লাথের কবিতার অন্তরঙ্গ
অনুবাদ

অনুবাদক :  তপনজ্যোতি মাজি

সিলভিয়া প্লাথের সংক্ষিপ্ত 
জীবনী :
জন্ম : ২৭ শে অক্টোবর ১৯৩২ 
প্রয়াণ : ১১ই  ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩

যাপন : কবিতা,  উপন্যাস, ছোট গল্প।
          স্বীকারোক্তি কবিতা আন্দোলন (Genre of Confessional Poetry)
ছদ্মনাম : ভিক্টোরিয়া লুকাস।
পুরস্কার : পুলিৎজার (মরণোত্তর) ১৯৮২
কবিতা :

একটি জীবন

স্পর্শ করো।
চোখের মণির  মতো চমকে যাবো না 
সূক্ষ্ম ছোঁয়ায়।
কিংবা নিঃশব্দে ঝরবে না স্বচ্ছ অশ্রুবিন্দুও।
মনে পড়ে বিগত বছরে তোমার স্পর্শ ছিল 
প্রকৃতির মতো পরম সান্নিধ্যময়।

তোমার আঙুলের নখ ছুঁয়ে আছে পানপাত্র।
কেউ নেই কাছাকাছি,
কেউ দেখছে না এই মুহূর্তকে।
সমস্ত দৃষ্টি ব্যস্ত 
স্পর্শ করো আমাকে।

এ কোনও অনধিকার নয়, 
বাতাসের মতো।
মেঘ যদি উড়ে আসে পাখির ডানায়,
এসো সমাদরে।
দ্যাখো, এই নির্জন প্রান্তর উন্মোচনময়।
দ্যাখো, এক নারীর শান্ত প্রকাশ।
যেন সাদা পাতা
যেন মুক্ত আকাশের মুখ।
সে ভালোবাসে ভালোবাসাময় শান্ত জীবন।

আর কোনও বন্ধন নেই কোথাও,
নেই কাছে দূরে সিগাল পাখির  কলরব।
তুমি হতে পারো ডুবরী প্রেমিক,
তুমি খুঁজে নাও গহীন সমুদ্রতল।


কাঙ্ক্ষিত পুরুষ

আমার মেধা নেই।
কোনও অমিত শব্দ নেই সংগ্রহে।
কোনও অশ্রুবিন্দু নেই অবশিষ্ট।

আমার হৃদয় পাথর হয়ে গেছে।
কোনও স্পন্দন নেই আশার অথবা
অশ্রুর।
যে কোনও দিকে তাকাও ,
ডান কিংবা বামে
আমি একা।

আমি কোনও সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি দেখছি না।
আমার জীবন একটি ঝরাপাতা।
হে জীবনদেবতা!
দ্রুত করো মহানিস্ক্রমণ।


আবির্ভাব

বরফের সাদা হাসি আমাকে বিচ্ছিন্ন করে।
নীল তড়িৎ প্রবাহ সঞ্চার করে শিরায় শিরায়।
আমার ওষ্ঠ থেকে নির্গত হয় পুষ্প সুবাস।
আহা! আজ সোমবার।

কেন এই বৈপরীত্য?
আমি পরেছি স্বচ্ছ শ্বেত পোষাক।
একি প্রেম?
পার্থিব?
শরীর কি প্রকাশিত?

হে হৃদয়!
এমন এলোমেলো হলো কেন সব কিছু ?
নক্ষত্রের মতো তার চোখ
কেন বর্ণমালা হয়ে যায়?

আরও পড়ুন 

Post a Comment

0 Comments