জ্বলদর্চি

ইলা ও একটি সাইকোপ্যাথ /শুভায়ু দে

ইলা ও একটি সাইকোপ্যাথ 

শুভায়ু দে

(১)

ইলা, তোমার জন্য মাধবী চাঁদ
ঠিক অমাবস্যার শেষের পরের দিন।
টসটসে দেহটাকে যেমন ফুলশয্যা অব্দি রেখে দিই।
আমার কবিতার কাগজে মহুয়া
আমার কবিতার কাগজে অবৈধ ধোঁয়া
আমার চোখে চোখ রেখে পান করে যাচ্ছ।
কখন তা মিশে গেছে বন্ধ এসি ঘরের গুডনাইটের সাথে।
লটপট করছে রক্তভুক মশার দল;
আমার কবিতা পড়ে  মারণ নেশা হয়েছে,কিন্তু মরছে না।
এ কী সর্বনাশ করছি পৃথিবীর!
রেসিস্ট্যান্ট করে দিচ্ছি আয়ুর্বিজ্ঞানের সকল চিকিৎসাপন্থা থেকে।

আমাদের এসি রুম
বন্ধ ঘর
পূর্ণিমার চাঁদ তোমার মুখ
মশারা নেশা করছে

ধুর কী আজেবাজে বকছি!
আমার নিজের প্রোডাক্টে আমারই নেশা হয়ে গেল নাকি!

(২)

ইলা, দোতলার বারান্দায় তোমার লালচে টপ।রাতে কত শিশ্নবাহিত অন্ধকার তাপ লাগে ওখানে,আরো গনগনে হয় তোমার লালচে টপের রঙ।ইলা,তুমি লক্ষ্য করোনি দিন দিন লালচে হয়েছে গাঢ়।ওটা উত্তাপ নয়,ওটা আমার  প্রতিদিনের বেড়ে যাওয়া ক্ষতের পরিমাণ। 
ওদিকে একটা আকাশভোগী সূর্য,হাঁ করে গিলছে।ওরা জানে না তুমিই তো আমার সূর্য আর আমি তোমার রঙমিস্ত্রি।ইলা,তোমায় খুন করার সময়েও ঠিক ওইরকম লাল ছিলো হাত।পুরো সিঁদুরগোলা...হাহাহাহাহা...

এই ইলা!
লাশটার ব্যাপারে কেউ জানে না।
বুদ্ধিই নেই কারো,ওরা দেখছেইনা বারান্দার রেলিঙে লাল রঙগুলো আর বাড়ছে না!

(৩)

ইলা, আপনার নামে একটি পার্সেল এসেছে আমার কাছেই।এসব তুমি জানো না,জানার কথাও না।ওই যে সেই ফেক প্রোফাইলটা গো! তোমার থেকে লুকিয়ে রেখেছি,যদি তুমি রিপোর্ট মেরে দাও।সেই প্রোফাইল থেকে লগ ইন করে অনলাইনে পার্সেল পাঠিয়েছি নিজেকেই।

কী আছে জানো!
অফ হোয়াইট কালারের একটা গরদের পাঞ্জাবি আর
একটা ময়ূরপুচ্ছ ধুতি।

ইলা বিয়ে আমি তোমাকে করবই।

এটা কী টু ফোর ফোর...

আরও পড়ুন 

Post a Comment

2 Comments

  1. বেশ অন‍্যরকম স্বাদের লেখা।সেরা..❤️❤️

    ReplyDelete