জ্বলদর্চি

ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতায় বড়দিনের উৎসব/মুক্তি দাশ


ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতায় বড়দিনের উৎসব


মুক্তি দাশ



সুদূর জেরুজালেমে কুমারী মেরিমাতার কোল আলো করে দিব্যজ্যোতি মহাপুরুষ যিশুখ্রীষ্টের আবির্ভাব হয়েছিল আজ থেকে দু’হাজারেরও বেশি বছর আগে। তাঁর আবির্ভাবের পুণ্যদিনটি বিশ্বের তাবৎ খ্রীশ্চান সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র উৎসবের দিন। সাহেবরা খুব জাঁকজমকের সংগে এই উৎসব পালন করতো। কলকাতা তখন ভারতবর্ষের রাজধানী। সারা ভারত তথা ইংল্যান্ড থেকেও সাহেবসুবোরা কলকাতায় আসতো বড়দিনের উৎসব-সমুদ্রে অবগাহন করর জন্যে। সাহেবদের কাছে ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখটি ছিল বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। পবিত্র দিনও বটে। এই পবিত্রদিনে উৎসব ও জৌলুষের প্রধান কেন্দ্রস্থল খোদ কলকাতা। ইংরেজরা নিজমুখেই তা স্বীকার করে নিয়েছিল যে, বড়দিনের উৎসবে কলকাতায় যা জাঁকজমকের বহর তাতে বলা যায়, ইংল্যান্ডের বড়দিন বড়ই স্তিমিত হয়ে পড়েছে।

   

বড়দিন উপলক্ষে খ্রীশ্চান পরিবারের ছেলেমেয়ে, যুবক-যুবতী ও বৃদ্ধবৃদ্ধা – সব বয়সের মানুষরাই নতুন জামাকাপড়ে সজ্জিত হতো। তারপর সেজেগুজে সকালে গির্জায় গিয়ে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দিতো। বাড়িতে কেক থেকে শুরু করে নানারকম মুখরোচক খাবার-দাবার তৈরি হতো। আর রাতে পোড়ানো হতো আতসবাজি।


অবশ্য এই বড়দিনে সাহেবসুবোরাই যে শুধু আনন্দফূর্তি করতো, তা কিন্তু নয়। এ-দেশের মানুষও খুব সহজেই এই আনন্দের ভাগীদার হয়ে যেতো। মোটামুটিভাবে ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে এই উৎসব সার্বজনীনরূপ পেয়েছিল। বিশেষত, কলকাতায়। সেকালের ‘বসন্তক’ পত্রিকা ১২৮০ বঙ্গাব্দের একটি সংখ্যায় লিখেছে : ‘হিন্দু, মুসলমান, সাহেব, ফিরিঙ্গি, সকলেরই পক্ষে ঐটি বড়দিন – কত বড়বড় হিন্দু-কুলোদ্ভব মুৎসুদ্দিবাবুরা বাদাম, পোস্তা, কমলালেবু, সেরি, স্যাম্পেন, ভেটকী, হাঁসদে সাহেববাড়ী সওগাদ পাঠাবার আয়োজনে ব্যস্ত।’  

হ্যাঁ, তখনকার দিনে সাহেব-বাড়িতে বেশ ঘটা করে ভেট পাঠাতেন কলকাতার নব্যবাবুরা। এ সম্পর্কে ঊনবিংশ শতকের জনপ্রিয় কবি ঈশ্বর গুপ্তর সেই অতি পরিচিত কবিতাটি আর একবার স্মরণ করে নেওয়া যেতে পারে -


‘খ্রীষ্টের জনমদিন বড়দিন নাম।

বহুসুখে পরিপূর্ণ কলিকাতা ধাম।।

কেরাণী, দেয়ান আদি বড় বড় মেট।

সাহেবের ঘরে ঘরে পাঠাতেছে ভেট।।

ভেটকী, কমলা আদি মিছরি, বাদাম।

ভাল দেখে কিনে লয়, দিয়ে ভাল দাম।।’ 


বেশ জাঁকজমক সহকারে সাহেবদের বড়দিন পালন করতে দেখেই সম্ভবত সেকালের কলকাতার নব্যবাবুদের মনেও বুঝি জেগে উঠেছিল বড়দিন পালনের শখ। সাহেবদের উৎবের জৌলুষে তখন ঝলমল করে উঠতো কলকাতার গ্রেটইস্টার্ণ হোটেল। আর তাই দেখে এই উৎসবের শরিক হওয়ার অদম্য বাসনা দাউদাউ করে জ্বলে উঠতো এ-দেশীয় বাবুসম্প্রদায়ের মনে আর সাহেবদের অনুকরণে তাঁরাও সামিল হয়ে যেতেন এই উৎসবে। কবি ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছেন –


‘যে সকল বাঙ্গালীর ইংলিশ ফ্যাসন।

বড়দিনে তাহাদের সাহেব ধারণ।।

পরস্পর নিমন্ত্রণে সুখের সঞ্চার।

ইচ্ছাধীন বাগানেতে, আহার-বিহার।।’


যাইহোক, সেকালের কলকাতায় বড়দিনের উৎসবে গ্রেটইস্টার্ন হোটেলের সাজসজ্জা সম্পর্কে ‘বসন্তক’ পত্রিকা লিখেছে : ‘বলবো কি, বড় বড় বাবুদের জুড়িগুলো পর্যন্ত গ্রেটইস্টার্ন-এর সজ্জা দেখে আর চলতে পারেনা, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নাল ফেলতে থাকে…’ আর এইসব দেখে ঈশ্বর গুপ্ত তৎকালীন বাঙালিবাবুদের মনের গোপন বাসনাটি একেবারে ফাঁস করে দিয়েছেন –


‘হোটেল-মন্দিরে ঢুকে দেখিয়া বাহার।

ইচ্ছা হয় হিঁদুয়ানি রাখিব না আর।।

জেতে আর কাজ নাই, ঈশু গুণ গাই।

খানাসহ নানা সুখে বিবি যদি পাই।।’

মোটকথা, সেকালের বাবুদের আমোদ ও উৎসবপ্রীতি এবং উৎকট সাহেবভক্তির কারণে বাংলার বারোমাসে তেরো পার্বনের সংগে অনিবার্যভাবে যুক্ত হয়ে গেল এই খ্রীষ্টোৎসব। পৌষপার্বনে পিঠেপুলির মতো বড়দিনে কেক না খেলে বাঙালিদের আজ আর মন ভরে না।


যিশুখ্রীষ্টের জন্মদিনের উৎসব তখনকার বাঙালি সমাজ ও মননকে এমনই আপ্লুত করেছিল যে, তারা যশোদানন্দন কৃষ্ণের জন্মদিন ‘জন্মা্টমী’র অনুকরণে মেরিপুত্র পরমাবতার যিশুখ্রীষ্টের জন্মদিনকে অভিহিত করতেন ‘খৃষ্টাষ্টমী’ বলে। শুধু তাই নয়। ১২৮০ বঙ্গাব্দের ‘বসন্তক’ পত্রিকার একটি সংখ্যায় উল্লেখ রয়েছে : ‘খৃষ্টমাস ডে সম্মুখে দেখে সহরের অধিকাংশ লোক আহ্লাদে আটখানা হতে লাগল। দুর্গোৎসবটা যেরূপ সাধারণ পরব হয়ে উঠেছে, এও সেইরূপ।’


ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতায় ক্রিসমাস পর্বের সূচনা হয়ে যেত পঁচিশে ডিসেম্বরের সপ্তাহখানেক আগে থেকে। আর সেই উৎসবের রেশ কাটতে পার হয়ে যেত নতুন বছরের জানুয়ারি মাস। ইংরেজ-ব্যারিস্টার অ্যান্টনি ফে কলকাতায় এসেছিলেন আইনব্যবসা করতে। সংগে তাঁর স্ত্রী এলিজা ফে। তিনি তো কলকাতায় বড়দিন উৎবের বহর দেখে তাজ্জব। ১৮৮১ সালের ২৭শে জানুয়ারি তিনি, অর্থাৎ মিসেস এলিজা ফে, তাঁর ভগিনীকে একটি চিঠিতে যা লিখেছিলেন, তার বাংলা তর্জমা হলো : ‘গত চিঠি লেখার পর থেকে আমরা এখানে ক্রিসমাসের ফূর্তিতে মশগুল হয়ে আছি। ইংল্যান্ডে বোধহয় ক্রিসমাসের এত সমারোহ হয়না। কিন্তু এখানে প্রাচীনকালের উৎসবের মতো বেশ ধূমধাম করে ক্রিসমাস পরব পালন করা হয়।’ 

বড়দিন উপলক্ষে তদানীন্তন কলকাতার নব্যবাবুদের হুজুগে-উল্লাসের জীবন্ত ছবি উপহার দিয়েছেন ভোলানাথ শর্মা তাঁর ‘আপনার মুখ আপুনি দেখ’ শীর্ষক নকশায়। সেকালের কলকাতার নব্যবাবুদের মধ্যে ‘চন্ননবিলাসবাবু’ একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। তিনি ইংরেজপ্রভুদের অন্ধভক্ত। তাঁর অঢেল টাকাপয়সা। কিন্তু খরচের তেমন সুযোগ বা উপায় নেই। শুয়ে-বসে, বিলাস-ব্যসনে তাঁর যেন আর সময় কাটতে চায় না। একটু আমোদ-প্রমোদ চাই। এমনসময় তাঁর এক মোসাহেব তাঁর কানে বড়দিন উপলক্ষে ইংরেজটোলার ধূমধামের খবরটা দিয়ে দিল। আর যায় কোথা! চন্ননবিলাসবাবুর সামনে যেন নিমেষে উন্মুক্ত হয়ে গেল আমোদ-প্রমোদের মাধ্যমে অর্থব্যয়ের নতুন রাস্তা।


‘চন্ননবিলাসবাবুর তখন বাবুয়ানার সময়, টাকাকে টাকা বোধ করেন না। আমোদ পেলেই হোল। অমনি বোলে উঠলেন – আমাদের বড়দিন কোরলে হয় না? অপর একজন মোসাহেব কহিল, মহাশয়, তার আটক কি? এতে আর তো নশো পঞ্চাশটাকা খরচ হবে না। আর একজন মোসাহেব কহিল, টাকার তরেই তো আটকাছে। বাবু কহিল, মিছে গোল করে কাজ নাই, এখন একখানা ফর্দ্দ ধোরে সব উজ্জুগ কোরে ফেলো।’


অমনি লম্বা একখানা ফর্দ তৈরি করে ফেলল এক অত্যুৎসাহী মোসাহেব। এই যেমন – একটাকার গাঁদাফুল, দশবারো টাকার মদ ইত্যাদি নিয়ে প্রায় পঁচিশটাকার মতো ফর্দ হলো। কিন্তু তা বাবুর মনঃপুত হলো না। এমন কৃপণের মতো বড়দিন পালন করলে চন্ননবিলাসবাবুর আর মান-ইজ্জত থাকবে? নব্যবাবুসমাজে মুখ দেখানোই ভার হবে। অতএব আহাম্মক ওই মোসাহেবের তৈরি করা ফর্দ তিনি ছিঁড়ে কুচিকুচি করে ফেললেন। বললেন – ‘বড়দিন। দশজন মানুষকে নেমন্তন্ন কোরতে হবে, তাদের মেয়েমানুষ আছে এবং আমাদের আলাপীও মেয়েমানুষ সব রয়েচে, সকলকে না বলে চুপিচুপি ঘরে ঘরে বড়দিন কোল্লে শেষে আর কি লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারা যাবে?’


অতএব নিমন্ত্রিতদের নিয়ে আমোদ-আহ্লাদের বহরটাও জমকালো হওয়া চাই। বড়দিনের একসপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়ে যেতো তোড়জোড়। দশবারো মণ গাঁদাফুল দিয়ে সাজানো হতো বাবুর বাগানবাড়ি। ঝাড়লন্ঠনের জমকালো আলোয় ঝলমল করে উঠতো রাতের অলকাপুরী।



খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও তেমনি জবরদস্ত। রাজকীয়। দশজনের দশরকম রুচি। সেদিকে নজর রেখেই সবরকম আয়োজন করতে হবে তো! নইলে যখন – ‘কেউ হোটেলের খানা চা’বে, কেউ মাছের ঝোলভাত চেয়ে বোসবে, কেউ তেঁতুল দে’ নোনা ইলিস, কেউ কাসন্দী দিয়ে কাঁকড়া দাও বোলবে’ – তখন?’ তখন কার গলা ধরে কাঁদবেন কলকাতার নব্যবাবুদের অন্যতম প্রতিভু চন্ননবিলাসবাবু? বদনাম হয়ে যাবে না? অতএব – ‘কেবল পোলাও খিচুড়ী লুচি-টুচি কোল্লে চলবে না। অধিক কি বোলবো, পান্তাভাত পর্যন্ত কোরে রাখতে হোবে।’  যার যেমন রুচি। তাতে হয়তো শ’পাঁচেক টাকা বেশি লাগতে পারে। লাগুক!


কিন্তু এহেন নির্দোষ নিরিমিষ আমোদ-প্রমোদে স্বভাবতই বাবুদের মন ভরতো না। যে-ধরণের উৎসবে কোনো উগ্রতা নেই, কোনো ঝাঁঝালো ভাব নেই, সে আবার একটা উৎসব নাকি? এ-ব্যাপারেও বাবু সম্প্রদায় মোটেই পিছপা নন – ‘স্যাম্পেন, লিকর, ব্রান্ডি ও বীয়ারই অধিক চাই, চেরি-মেরি না রাখলেও চলবে না, জিনও দু’বোতল রাখতে হবে, ধাড়ী পাড়বার জন্য নডেলাম প্রভৃতি রাখাও খুব কর্ত্তব্য। কত কত লোক মদ খেতে ঘৃণা করেন, কিন্তু এদিকে মছলমানের জল ভিস্তির নেশায় (তাড়ি) বাঁক খালি কোরে দেন, তাঁদের জালাপেট পোরাবার জন্য দু’চার জালা তাড়িও চাই। গাঁজা, গুলি, চন্ডু, চরস, মাজম, খাট্টা, ওলকন্দ ও টকপাত প্রভৃতিও রাখতে হবে। অম্বুরি, ভ্যালসা, মিঠে ও কড়া তামাক, নস্য পর্যন্ত আবগারীর বিষয় চাই।’


এইভাবে খানা ও পিনায় সেকালের কলকাতায় বাবুদের বড়দিনের আয়োজন সম্পূর্ণ। কিন্তু ষোলোকলা পূর্ণ হলো কি? মদের সংগে মেয়েমানুষের সমাগম না হলে সমগ্র আয়োজনটাই কেমন পানসে হয়ে যায় না? তখনকার দিনে বাবুদের একাধিক বাঁধা মেয়েমানুষ থাকতো। থাকতেই হবে। এটা সেসময়কার বাবুদের স্ট্যাটাস-সিম্বল। নিজেদের সেইসব মেয়েমানুষদের নিয়েই সারারাত্রি ব্যাপী সুরাসক্ত বাবুর দল ফুর্তির উদ্দাম স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতেন। তাছাড়া বাইরে থেকে খেমটাওয়ালী ও বাঈজিদের এনেও নাচানো হতো। এবং রাত যত গভীর হতে থাকতো, ততই এই হৈ-হুল্লোড় ক্রমে কখন যে শালীনতার শেষতম সীমা লঙ্ঘন করে উচ্ছৃংখল বেলেল্লাপনায় পর্যবসিত হয়ে যেতো, তা নেশাচ্ছন্ন বাবুদের ও তাঁদের মোসাহেবদের বা নিমন্ত্রিত অতিথি-অভ্যাগতদের কারোরই বোঝার কথা নয় – ‘কেউ নাচ্চে, কেউ গান গাচ্চে, এককালে যেন শিবের বিয়ের ব্যাপার হোয়ে পড়লো। খেমটাওয়ালী ও বাঈজিরাও নেশায় পেকে উঠে বাবু ও বিবিদিগের সংগে সমান নাচতে এবং গাইতে আরম্ভ করলে।… খেমটাওয়ালীদের ওড়না উড়ে যাচ্চে, বাঈজিদের পেশোয়াজের দড়ী ছিঁড়চে, কার যে কোথায় কী পোড়চে তার হুঁস নাই। কেহ কেহ জমী নিচ্চে, কেহ কেহ বমী কোচ্চে, কেহ কেহ বাগানের গাছতলাতেই পোড়ে আচে, চেতন নাই। কাহারও পা ধোরে শিয়াল এসে টানাটানি কোচ্চে, কাহারও কুকুরে মুখ শুঁকে দুটো তিনটে লাথি মেরে মুখে পেচ্ছাব কোরে দিয়ে চল্লো। কেহ ভারী নেশা হোতে গাছের উপরের ডালে গিয়ে শুয়ে আছেন, হোলো তো পাশ ফিরতে পোড়েই গেল। কেহ কেহ গাছতলাতে বোসে তোড়জোড় নিয়ে পাখী মাত্তে বোসেচেন। কোথাও কেহ কেহ গাড়োয়ানদের ভিস্তিদের মতন তাড়ির কলসী নিয়ে মছলমানের জলে পেট পোরাচ্চেন। কোথাও কোথাও কেহ কেহ গাঁজায় দম মেরে আড়ষ্ট হোয়ে বোসে ঝিমুচ্চেন।’



এইরকম বেলেল্লাপনার মধ্যই অতিবাহিত হয়ে যেত তৎকালীন বাবুসম্প্রদায়ের আনন্দ-আমোদে ভরা বড়দিনের রাত। অবশেষে একেবারে শেষরাতের দিকে – ‘দেখতে দেখতেই ফ্রেস মজলিস যা ইচ্ছা তাই হোয়ে গেল, গুয়ে মুতে ও বমীতে নরককুন্ডের সমান হোলো।’


এই হলো ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতায় নব্যবাবুসম্প্রদায়ের বড়দিন-বিলাসের চিত্র। কলকাতার সেইসব হুল্লোড়বাজ বাবুর দল আজ আর নেই। নেই বড়দিনের উৎসবের সেই চোখ ধাঁধানো জৌলুষও। দু’শো বছর আগে বাঙালিবাবুরা এই বিদেশী ধর্মীয় উৎসবকে আপন করে নিয়েছিলেন। যশোদা-তনয় কৃষ্ণে আর মেরি-তনয় খৃষ্টে কোনো ভেদ ছিল না তাঁদের কাছে। ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছেন –


‘দিশি কৃষ্ণ, রিসি কৃষ্ণ, এদেশ ওদেশ।

উভয়ের কার্য্য আছে বিশেষ বিশেষ।।

বিলাতের ব্রহ্ম যদি মেরিমার যাদু।

এদেশের ব্রহ্ম তবে যশোদার যাদু।।”


------------------------------

চিত্র- শ্রেয়সী ভট্টাচার্য্য


জ্বলদর্চি পেজ- এ লাইক দিন👇



Post a Comment

0 Comments