গুচ্ছ কবিতা
সন্দীপ কাঞ্জিলাল
ভয়ের পরিমাপ
বক্তব্যের উন্মাদনা নিজের ব্যর্থতা ঢাকার
সবচেয়ে উপযুক্ত কৌশল।
আর তাই করতে গিয়ে অনেক বক্তা
হারিয়ে যায় এমন এক জায়গায়
যেখানে বাধা বন্ধনহীন উপযুক্ত প্রান্তর।
সেখানে এলোমেলো দৌড়াতে দৌড়াতে
পা হড়কে যায় কুৎসিত বাক্যের গর্তে।
তখন অত্যন্ত হাল্কা চালে সপ্রতিভ ভঙ্গিতে
বেরিয়ে আসে কালো কুৎসিত অঙ্গীকার।
যা জাগিয়ে তোলে
নষ্ট চরিত্র শ্রোতাদের রিরংসা।
কারণ, সে পরিমাপ করে নিতে চায়
সাধারণ মানুষের ভয় সহ্য করার ক্ষমতা।
যেহেতু, সে নৈতিকতার ব্যাপারে উদাসীন
এক প্রকৃত শিল্পী।
দুয়ারে দুয়ারে সরকার
দুয়ারে দুয়ারে সরকার বলছে, এসো
তোমার যা কিছু সমস্যা
সব সমাধান চেয়ে নাও।
প্রত্যেকদিন সকালে ছাদে নানানরকম
পাখি আসে
বিস্কিটের গুঁড়ার আশায়।
তারা আর খাবার খোঁজে দূরে যায় না
তাদের ডানা খুব সুন্দর আর ভারী।
তাই এখন আর বেশি নাড়াচাড়া করতেও পারে না।
তাদের আমার উপর এই নির্ভরশীলতা
আমাকে বেশ আনন্দ দিচ্ছে।
দুপুরের সময়
আবার গমগম করবে ছাদ
এবার বিস্কিটের গুঁড়া ছড়িয়ে দিতে হবে।
ইত্যবকাশে,
যে কাচে জীবন সুন্দর দেখায়
তা না পেয়ে
দুয়ারে দুয়ারে সরকার থেকে
বিফল মনোরথে ফিরে এসেছি।
নেতা
জনসভায় কোনো নেতার বক্তব্য শুনলে
ভাবি, নিশ্চয় এর প্রচুর টাকাকড়ি,
গ্যারেজে নিদেনপক্ষে দু একটা গাড়ি।
পরক্ষণেই ভাবি যদি আজ নেই
তবে একদিন হবে তা নিশ্চিত।
যে কোনও নেতাকে দেখলেই
মনে ভাসে দু চারটা কেলেঙ্কারি।
তবু্ও ভালো,
এখানে বৃষ্টি হলে অন্য কোথাও
আকাশের নীল।
অস্তগামী সূর্য
অস্তগামী সূর্যের অভিপ্রায় বুঝে নিতে
যেই ছুঁড়েছি এক টুকরো কাগজ সূর্যের দিকে
অমনি সেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়তেই
নিজের দ্বন্দ্বে নিজেই বিদ্ধ হয়ে
তোমার পদ্ম বনে ঢেউ তুলতেই
অমনি তুমি বলে উঠলে
পোড়া শেষে নিভন্ত চিতায়
শিখা নেই তাপটুকু আছে।
পেজ-এ লাইক দিন👇
0 Comments