জ্বলদর্চি

৩০ মে ২০২১

Today is the 30 May, 2021
আজকের দিন 
বাংলায় --১৪ জ্যৈষ্ঠ রবিবার ১৪২৮

বাঙালি অভিনেতা ধৃতিমান চ্যাটার্জি ১৯৪৫ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন। প্রকৃত নাম সুন্দর চ্যাটার্জী। ১৯৭০ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু। এ ছবিতে  চাকরির পেছনে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ানো,হতাশার সাথে নিত্য অভ্যস্ত এক তরুণ যুবার কাহিনি অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর অভিনয়ের বেশিরভাগ কাজ সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন এবং অপর্ণা সেন প্রমুখ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে।জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

বিশিষ্ট ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসক জগমোহন ডালমিয়া ১৯৪০ সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন।তিনি দীর্ঘকাল ধরে ভারত ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও বঙ্গীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। একসময়  তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মিডিয়া জগতে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ম্যাকিওভেলী, বাস্তববাদী রাজনীতির গুরু, প্রত্যাবর্তনের গুরু প্রভৃতি সম্মানসূচক বিশেষণে ভূষিত ছিলেন।

  চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ ২০১৩ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। হীরের আংটি'-র হাত ধরে পথ চলা শুরু। শেষ হয়েছিল চিত্রাঙ্গদায়-য় এসে। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩--- মাত্র ১৯ বছরের মধ্যেই তাঁর মেধা এবং প্রতিভার ফসল মোট ১৯টি ছবি। স্বতন্ত্র এবং অনবদ্য প্রত্যেকটি ছবিই। ১৯টি ছবির মধ্যে ১২টি জাতীয় পুরষ্কার জয় করেছিল। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক পরবর্তী বাংলা সিনেমার নতুন এক ধারা তৈরি করেছিলেন তিনি।

 হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা পরেশ রাওয়াল ১৯৫০সালে আজকের দিনে জন্মেছিলেন।১৯৮৪ সালে হোলি নামক ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। তারপর ১৯৮৬ তে নাম ছবিতে তাঁর অভিনয়শক্তি সবার নজরে আসে। ১৯৯৪ সালে তাঁকে সহায়ক চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। কেতন মেহতা নির্দেশিত ছবি সরদার-এ স্বাধীনতা সংগ্রামী বল্লভভাই প্যাটেল চরিত্রে অভিনয় করে সবার মন কেড়েছেন।জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

  উনবিংশ শতকের প্রথমার্ধের বাঙালি লেখিকা শান্তা দেবী  ১৯৮৪ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়  তাঁর পিতা।তাঁর গল্প উপন্যাসে বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের, বিশেষ করে নারীজীবনের অন্তরঙ্গ অভিজ্ঞতা ও আধুনিক চিন্তার ইতিহাসের উন্মেষ পর্বের নানা চিহ্ন দেখা যায়।তিনি ও তাঁর ছোট বোন সীতা দেবীর রচনা এককালে বাংলায় সাহিত্যক্ষেত্রে আলোড়ন তুলেছিল।

  পঞ্চম শিখগুরু গুরু অর্জুন ১৬০৬ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। প্রায় পঁচিশ বছর শিখগুরুর পদে তিনি  আসীন ছিলেন। তিনি গুরু গ্রন্থসাহিবের রচনা সম্পাদনা করেছিলেন।মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির গুরু অর্জুনকে গ্রেফতার করে তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলেন। কিন্তু গুরু অর্জুন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অসম্মত হলে ১৬০৬ সালে তাঁকে হত্যা করা হয়।তিনি ছিলেন শিখধর্মের প্রথম শহীদ।

  পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা জোন অফ আর্ক (Joan Of Arc) ১৪৩১ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। রূপকথাতুল্য এই নেত্রী ইংরেজদের সঙ্গে শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ-এর(১৩৩৭-১৪৫৩) সময় ফ্রান্সের সৈন্যবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর মাধ্যমে ফ্রান্স ইংল্যান্ডের মধ্যকার শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ অবসান ঘটে। তাঁর স্মরণে ফ্রান্সে অনেক স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।

  অষ্টাদশ শতকের একজন ইংরেজ কবি আলেকজেন্ডার পোপ ১৭৪৪ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের তীক্ষ্ম আঘাতে সমাজকে পরিশুদ্ধ করার মানসে  কলম ধরেছিলেন  তিনি। সারা জীবন  হাঁপানির কষ্টে ভোগার পরও দীর্ঘ পাঁচ বছর সাধনা করে অনুবাদ করেন হোমারের ইলিয়ড। পরে আরো চার বছর সময় নিয়ে তিনি অনুবাদ করেন ওডিসির।  তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে বিখ্যাত ব্যঙ্গ মহাকাব্য ‘দ্য রেপ অব দ্য লক’, ‘অ্যান এসে অন ম্যান’।  এ ছাড়া তিনি রচনা করেছেন, ‘প্যাস্টোরালস’, ‘উইন্ডসোর ফরেস্ট’, ‘প্রোলোগ টু দ্য স্যাটায়ার্স’।

  ইংরেজ নাট্যকার, কবি ও অনুবাদক ক্রিস্টোফার মার্লো (Christopher Marlowe)  ১৫৯৩ সালে আজকের দিনে ছুরিকাঘাতে প্রয়াত হয়েছিলেন।  এলিজাবেথীয় যুগের এই লেখক উইলিয়াম শেকসপিয়রের সমবয়সী। মাত্র ২৯ বছর বেঁচেছিলেন।  তাঁর নাটকের বৈশিষ্ট্য হল অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার ও অতি-আত্মবিশ্বাসী নায়কে চরিত্রায়ন।কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হিরো অ্যান্ড লিয়েন্ডার, এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড, ডক্টর ফস্টাস ইত্যাদি। তাঁর  মৃত্যুর কারণ এখনও রহস্যাবৃত।

  রুশীয় কবি ও ঔপন্যাসিক বরিস লেয়োনিদভিচ পাস্তের্নাক ১৯৬০ সালে আজকের দিনে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর লেখা কাব্য মাই সিস্টার, লাইফ, দ্য সেকেন্ড বার্থ হচ্ছে রুশ ভাষায় সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ও অন্যতম জনপ্রিয় রচনা। গ্যেটে, পেদ্রো  এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বহু মঞ্চনাটক তিনি অনুবাদ করেন আর সেসব মঞ্চনাটক এখনও রুশ জনগণের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।তবে রাশিয়ার বাইরে তাঁর  পরিচিতি ডক্টর জিভাগো উপন্যাসের জন্য।

  ফরাসি আলোকময় যুগের লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক ফ্রঁসোয়া-মারি আরুয়ে (François-Marie Arouet)১৭৭৮ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন। ইনি ইতিহাসে ছদ্মনাম ভলতেয়ার (Voltaire) নামেই বেশি পরিচিত। বাকচাতুর্য ও দার্শনিক ছলাকলার জন্য সুবিদিত এই ব্যক্তি নাগরিক স্বাধীনতার স্বপক্ষে, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। খ্রিস্টান গির্জা ও তৎকালীন ফরাসি সামাজিক আচার ছিল তাঁর ব্যঙ্গ বিদ্রুপের লক্ষ্য।
   
মনীষী উবাচ :
প্রেম যাহা দান করে, সেই দান যতই কঠিন হয়, ততই তাহার সার্থকতার আনন্দ নিবিড় হয়।(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
----------------------------
সংকলক- রুম্পা প্রতিহার
----------------------------
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন

Post a Comment

0 Comments