গুচ্ছ কবিতা
অঞ্জন দাস
লিচু রং কাঁটা
গৃহস্থ কলতলা
লুকোচুরি গাছেদের ফাঁক কেট গরম থাপ্পড়
আমার তৃতীয় গালে পড়ে গেলে
অতীত আলোকিত করে
নদীর এন্টেনায় উড়ে বসে গ্রীষ্ম কাক
ফিরে যায় পিয়নের অভ্যাস বশত কিছু ডাক
দ্রৌপদীর ত্যাগ বস্ত্র পুড়ায় সমর্পণ
লিচু রং কাঁটা বয়স গড়িয়ে দেখে জলবর্ণনা
যুদ্ধ ভালোবাসি বলে প্রেম আর ফেরার সন্ধিক্ষণে
রথী ও ঘোড়ার আস্তাবল মৃত বলে ঘোষণা করছো রাধে
দায়ের অন্ধকারে কেটে দিলে বৃষ্টির গোড়া
সং- সারে মরশুম, বিছিয়ে রযেছে মরা খিদে।
মাল্টিপল চয়েস
রিক্সা মেশিনে গৃহ
ঝড়ঝড়ে বডি
মিলিত শষ্যের প্যানডামিক
সে মন্ত্রে একে একে লোপ পায় জীবীত সুন্দর
চক্র ঘুরছে হাতে
নীলকালো তুমি
বাঁশির পছন্দে মডেলিং ঘরে এসো, আছি
বলে দিও তপস্যা
চোখকোনে সীমিত জোয়ার সে ভূগোলে পাঠক্রম বাড়ে
নদী সভ্যতার দাগে তুমিও বাঁচাও কিছু আমি
ব্যতিক্রম লক্ষণ রেখা
দেখা হবে কথা ছিল সঠিক উত্তর
সতর্ক বানানে বেঁচে থেকো
পাড় দেয় ঢেঁকি
ফিল্টার জল মিক্সিং এ গুঁড়ো হলে
ভাঙা কাঠামোয় দেখি ভাতের কুয়াশা
উল্টানো পিরামিড ঠাণ্ডা বর্ণমালা নৌকা ভাসায়
রোদের চামড়া
বেজে ওঠে ঢাকে
শাঁখের আওয়াজ সতর্ক বানানে বেঁচে থেকো
এ সময় যমুনার
মথুরার ঘাস
পিঠুলি নিকালো হাঁড়ি হাই তোলে ঘাটে
একুশ শতক
ঘোলা বাড়ি
ডাকাত গাঁয়ে ত্রিশূল খেয়েছে চাঁদ
উদ্ধত মামুদ
লুন্ঠনের পর সম্ভ্রমে যেহাত বাড়ালে
মানত সিং এর গুঁতো সুতো কেটে দিতে পারে সমস্ত ঘুড়ির
ম্লেচ্ছ হাতের টিপ ঈশ্বর পরে,আলতা ও দেবী
আজানের শ্রদ্ধা ভাঙে পক্ষ বাড়ে ঘোলাবাড়
অবিশ্বাস বাহানায় জোকার খেলছে মাঠে
মনে মনে মহা সঙ্ঘ
মাঠ চায়, আসল সত্যি সব ফাঁস হয়ে গেছে
চিরকাল অবিশ্বাস করে
কলমেও কচু চাষ শুকরের সংখ্যা বাড়ালো যতটা
তারচেয়ে অযাচিত খুন,ভেতর সন্ত্রাস মুক্ত করো বীর
মাুনষও চিরকাল যুদ্ধ চেয়েছে।
মূল্যপ্রাপ্তি
মৃতের গন্ধ তোর নিজেকে সরিয়ে রাখে তাচ্ছিল্য চোখ
প্রহরের শেষ জিজ্ঞাসায় ভেঙে গেলো ত্যাগের উচ্চতা
বেকারি রুটির খিদে রাজপুরুষের ঠোঁটে তারুণ্য বেচে।
মগডালে নতুন ক্ষুদ্রতা বোধিজন্মে আমাকেই তুলে রাখো !
তাহাদের ঘরে!
তাহাদের ঘরে!
আগুন নির্ভরতা যে লতার তলায় বসেছিলি কল্পনীয় নয়
লজ্জায় ঘুরে আসি ভুলে গেছি বেমানান জগৎ ঝাঁকুনি
আড়ালের বাসি ভয় জং দুনিয়ার ভুয়ো প্রচলিত হায়া
কাল্পনিক জ্বরে দেখি মিথ্যা রচিত আমি ব্রহ্ম সত্য কাম
তাহাদের ঘরে!
তাহাদের ঘরে!
এবার ফিরতে হবে মূল্যবান মায়া যা কিছু অবশিষ্ট তোর
আইনত আত্মহত্যা স্পষ্ট হোক ফেরত আসেনা যারা
দুষ্প্রাপ্য ভোগী দেবতা কিনছি ওরা জাগে শিব লীলা
কিলার অক্সিজেন দুয়ার খুলে দিও বাগানের তাচ্ছিল্য চোখ
তাহাদের ঘরে!
তাহাদের ঘরে!
স্নাতক নদ আমি রেখা চিরে দেখো
ফিতাফুল জলটুকে এতটা এগুলো হয়
দিন হরিণের কিছু রং হীন ফ্রক
হিরো সাইকেল লিক, আয়না ফেটে কাঁচ গুঁড়ো ছড়ালো ও মেঘ
টবের হাতগুলো স্টোভের গরম আর গর্জনে ফিরছে গোড়ায়
স্পেস রাখলেই দেখো
লিপলেট বিলি হয়
মানে থাকে প্রতি শব্দের
আমি ও পুকুর কত অবোধ প্রজনন লিখি
জলের অহঙ্কারে জল ছোঁড়ে জলে
চার ফেলে তৃতীয় শিকারী
বর্ফী মাপের গিঁট ভেজে নিলে আশ্বিন মাঠ
ঘাট শিলা
শিল্পের তুলি যদি ঝর্ণা বানায় তোমার কচু ফুল আরো ওঠে ফুটে
জুটের সহজ মিলে
লকডাউন তারে বসে হেঁসে লুট জোড় শালিকের পা
ছায়া বসে পাক দেয় শহরের বাতি, ছাতিও শুকিয়ে দিই লন্ঠন পাড়ার
ফের টেলিফোনে এসো
দূরদর্শনে পাখি সাঁতার বানাও
শূন্যের দূরত্বে আমার মৃত্যু নিয়ে রেখা দাও
বিচিত্র পরির
স্নাতক নদ আমি রেখা চিরে দেখো।
কেন' র শরীর
পদ অধিকার বলে তুমি পথ রথ ও চূড়া
কেন 'র শরীর খুলে সাত ঋষি পড়ে গেলে
মানে কি রইলো বলো যে আকাশ জলডুবি হয়
পারদ চেপে থাকলে
ঠিকরা পড়ায় কতো শান্ত দেখি তাকে
গভীর অনেক অথবা
অনেকে গভীর যত মনে আসে
বাঁশি ছাড়া...
পদ হারালেও থাকে পদের সন্তান
বাঁশ মুড়ো কফল সাজায়
প্রাচিরে ড্রয়িং রোদ
পেতলের বুকে বাতি -কেরোসিন লুকিয়ে রেখেছে
বারোটি পুরোনো স্টেপ চুরি হলে, বাবা বলে
সিজিন ফ্লাওয়ার যত্ন করিস খোকা
প্রাচিরে ড্রয়িং রোদের কিছু পাল্টানো অভ্যাস রাখ
মায়ের চোখ থেকে গর্ব চলে গেলে ঠাট্টারা পুড়ে যায় জলে
বিনে পয়সার চোখে ছানিি কাটস চশমা দিস পুজ্য মানুষে
বাতি পরাবার আগে কেরেসিন হাতে কোন্
আঙুল তোমাকে ছোঁয়, অন্ধকারেও ঠিক বুঝে মুখ খোলো
যত গুলো ব্লগ আছে হার্টের অসুখে
ফুল অথবা মুখ
দেখবার আগে নিশ্চিত মুখস্হ ল্যাম্প কটনের বাতি প্রয়োজন।
ম্যাউ
তিলোত্তমা পুকুরে বোয়ালের কান্না শোনো বঙ্গ লিলিপুট
যাঁতার দাঁতে ঝোলে ষোলো লাখ বাঙালি ঘাতক
পরাশ্রয়ী সাঁতারে কলমের পান্না সেকি কাদা চিরকুট
হাইকোর্ট কানা দেখে কুমিরের প্রকৃত যাতক
কি আইন পড়েছো সখা প্রকাশ্যে গুলি খায় শ্রেষ্ঠ রুমাল
পরমানন্দ ছেলে জেলে গোনে নিহারিকা ক্রোধ
বোধের অট্টালিকা সাগরে বিদ্যা ডোবে আনন্দ বিবেক
বক্তব্য এখন যেন দারিদ্র্যের খনিজ বিরোধ
লুকিয়ে মজ্জা ছোটে কালো গলি চ্যাংড়া মধুবাস
টভিতে রেখোনা চোখ মনরোগী লোহার বাসর
আসর জমছে মাঠে কাটা মানুষের চুমু সাপে কাটা লাশ
তিলোত্তমা পুকুরে বোয়ালের কান্নায় কাঁসর
পুজে হবে পুজো দেবে কেউ ম্যাউ-ম্যাউ ! ম্যাউ ম্যাউ ম্যাউ
তুমি আমি অন্য কেউ জামবনে কটাশের লোভে বারোমাস
ডাক্তার
কলেজ ক্রিমের দমকা বর্ষ ভাঙে পুরোনো ক্যান্টিন
উড়ে আসি শুন্যস্থান ছত্রাক উনুনের বিধিভাঙা সিং
পুরনো ঠোঁটের কিছু আসবাব, চামচের জেলি রাখে মুখ
গল্পের দীর্ঘতায় ঠান্ডা হয় গেলাসে প্রিয় দার্জিলিং
ডাকাতির জঙ্গলে- ক্লাস ফাঁকি আসামের লিকার যুবতী
বুক পকেটের কোয়া রসিকতা ঢেলে দেয় উইংসান পেনে
স্পর্শ বিছিয়ে পড়ে প্রাথমিক সকাল সমুদ্রে জ্বলো
ঈর্ষা হুমড়ি খায় সিনেমা হলের কিছু নাটকীয় গানে
কানে কানে ফিরে এলে ঝাউ বাগানের সোঁ ওহে ডাক্তার
কোথাকার জলবায়ু তহবিলে জমা করো অনুপম খেয়া
প্রফেসর কলোনি ক্রিম দূরবীন সেকি সার্জারী শেখে
ডেকে নিও বিকেলের তাওয়া নদী ভেসে যাচ্ছে কেয়া
জিভ আর হাতের সমীক্ষা
অনুবাদ অন্ধকার পরপর চেপে এলে
তাকে বলো হাইপার আ্যসিড ও গ্যাস
সরল একাকিত্বে সামগ্রিক হয়
হসপিটালের কাক কু মন্ত্র দিলে...
কতটা পাওয়ার হলে গদি পাওয়া যায়
প্রতিশোধ ঔরসে নিঁখোজ মৃত্যু আসে,জমে
পরিষেবা মানে সেকি অমুলক ক্ষিদে
আপাদ মস্তক পুরোপুরি ক্ষিদে
পরিপন্থী খাদ্য অভ্যাস তোমাকেই মেরেছে স্বদেশ
জিভ আর হাতের সমীক্ষায় প্রজন্ম নষ্ট হল দেখি
সেপ্টিক রাস্তা
সাবধান খুলতে গিয়ে
অসম বিরক্তি সব হুড়মুড়ে পড়ে
কতটা আটকে রাখা যায়
এমনই খেয়াল নিয়ে ব্যতিক্রমী ন্যাস্টিক চলন
গলায় আটকে রই
কাঁটা কিংবা খই পেছনে রেখোনা
ফেলতে যেওনা অচল কয়েন
সেপ্টিক রাস্তার দেহ থেকে ফুল অথবা কঙ্কাল
যা ইচ্ছে কুড়াও তুমি
যাওয়া হোক দীর্ঘ জীবনে
বেতামের ঘর
খোলা নৌকার মনে তীর ডুবে গেলে
কাছ থেকে অনেকটা বেড়ে ওঠো মাঝি
চুড়ান্ত হাঁটা পথে
সন্ন্যাস গ্রহণ করি,সন্ধা পুড়ে সলতে এগোয়
বাঁধ ও বাঁধনের ঋণশোধ হাতে পায়রা খুঁটে খায়
অন্যায্য ভাঙাগ্রাম জলের কৌশল
পদার্থ বিদ্যায় যিশু পড়ে
ও পজিটিভ
দাতা গ্রহীতার বোকা মূলমধ্যরেখা
ময়দানে যেকোনো বাতাস মাখা কাটে
খোলা নৌকার পেটে ধাক্কা মারে ঢেউ
তোমারই কেউ তাকে রাধা নাম দাও
রাধে বিদ্রোহ
সে আলো কৃষ্ণ মনি বৃষ্টি আমার
তোমাকে ধুয়েছি বাঁশি সুর খুঁজি মনে
একান্ত গোপনে খুঁজি সর্বস্ব তোমার
আমি চোর ভরাডুবি যমুনা নয়নে
কাননে এসেছি প্রিয় ভুলে যাই পথ
জীবনের মায়ারথ গ্রাস করে মোহ
ডানা দিও শিষ দিও দিও জ্ঞান রথ
ধুলো পাহাড়ের নিচে রাধে বিদ্রোহ
একটি পুকুর পুকুর ছবি
১.
দু এক ফোঁটা গোলাপ গড়াতে এসে
সারা বাগান যখন বুকের দিকে এগুতে থাকে
এক কোটি চোখের অর্জন দিও আচার্য অন্ধকার
২.
মীরাগাঁয়ে পাতার ঈশ্বরী পা
খুলে রাখে চটি
হাত নামে পায়ের ভিতর
তুলে নেয় নেমতন্য কার্ড
মৌচাক জেগে থাক মনে
শ্রমিক বাতাসে ছিল শেকড়ের সমস্ত তরুণী
সদরে তেতুল কুঁড়ি- আচমকা বৃষ্টি হলেই
ঘুমভাঙে ত্রিপল ভূবনে - ঘাম ভর্তি পাঁচু মন্দির
চেয়ে দেখে ওপাড়ার হুইস্কি রঙের
পর পর দাপট বাতাসে দেব, দারুচেনা
ও বাড়ির পাতলা হিঁচড়ে পাকা যুবকের বাড়ি
বারুদ শহরে ওরা পালিয়ে মরেছে
৩.
(প্রধান মন্ত্রী দেবে গোপন রেখেছে আরো কথা
অযথা যুবক)
কাঁটা পঞ্চায়েত সেলাই সমিতির সমস্ত দিদিরা আমি
গতমাসে টাটকা খরায় শুকিয়েছি সমস্ত মজুরি
এ মাসে একটা ও প্রেমের কবিতা লেখা গেল না
সেলাই হলনা ডাঁই ফল্স বসাবার রকমারি মেঘডুরে বাড়ি
সারা বাগানের জল চোরা ঘোগে চোখের পুকুরে এলো
আঁকে জলহাঁস বুকের পরপর কিছু গোল ঢেউ
ভাঙা তছনছ কিছু পড়শী গানের অষ্ট আঙ্গিক
ডোম পাড়া
আমাকে সঙ্গী করে
তুই হারানো এইখানে
জল বিকেলে ধোয়াস তুলি
নষ্ট আলোর নীচের গানে
লেখ্য যত আবীর ওড়ে
শাখার বনে কবির চোখ
চশমা দাগের মিষ্টি শহর
হাঁটছে রেখা তোমার লোক
ঝোঁক ফুটেছে দশটা ফুলে
ব্যাস্ত সময় যাচ্ছি তার
বাদাম ছায়া বালির হাঁফ
স্কুল ডোবানো চোখের ধার
তিনহাত ছয়ের উনুন
জীবীত অন্ধকার চেপে আছে দেহ
বাবাও শয়তান হয় আজন্ম শুনিনি
গৃহস্থ সীমানায় কোকিল ও যুদ্ধ শেখে
তিলক পতাকা হয় ললাট ওড়েনি
খনিজ কেবল সত্য পরার্থ আগুনে
অলিন্দ ফোকরে শুধু শকুনির পাশা
সাদা পায়রার হাড়ে লিখেছে শাসন
জানালায় পশ্চিম রুটি বেলা চাকা
তুমি ও আমিষ হলে অখণ্ড দাও
আমার সরস্বতী দুজনার শ্রম
গান্ধারী অন্ধ নয় অন্ধকার দেহ
বিনাশায়চ তুমি আমি দুঃস্কৃতম
সেই তুমি একলব্য আঙুল কেটেছ
সেই তুমি দ্রোণাচার্য- মূর্তি ভেঙেছি
মাঝের শব্দভেদী জলের দেওয়াল
অভিমন্যু ঢেউরোদ উপচে নিয়েছি
তেমন ডানার কিছু রান্নাঘর থাকে
তাক্ সময়ের নিধি সন্ধি প্রণয়ন
তোমার ক্যালভাট গিটারে তুমুল
তাকে তুমি মিথ্যা বল সখি সমর্পণ
বেচে দিও নতি আলো পূর্বমুখি নদী
স্বর্ণলতা রোদ বাঁকে গাঁয়ের মন্দিরে
শিখিনি উচ্চ নিচ পুরোনো স্টিকার
পুনরায় ধসে যাই বাটি রঙে তার
ফ্রিজ
চাঁদ-ই রূপো সিসের পার্বত্য জলে
নাভিপুটে ঠায় রুদ্র ত্রিশূল ঘুমায়
কৈলাশ ভেঙে রাখি ফ্রিজের কেবিনে
কাল তুমি খুলে নেবে অলক্ষ্য জেতায়
খুলে নাও লেবু মিত্র চিপড়ে দিও ঠোঁট
একটু নিচের তাকে কুরুক্ষেত্র সূত
কিছুটা সব্জি ফল কটা আনা রস
আমি মাংস তুমি ষোলো ভূলবশত
তারও নিচে ময়রানি পকেটে অতিথি
রুচি সম্মত কাটে অন্দর শাঁখারী
নেমে দেখি খিড়কি লাগেনা সদর
হেরো চাঁদে রূপো কিছু সিসের পর্বতী
জলস্তর ময়ূর পালকে
জলের বাইরে মরা সবকিছু ভ্রম
বক চঞ্চু তাই ডোবে জলের ভেতর
ভুষো কালি মোছা গেলে স্পষ্ট প্রকৃতি
মরদেহে বেড়ে ওঠা আমি জলস্তর
বল্মিক গৃহে রত্ন সন্নাস শেখে
যুবক ঢেলে গেল বৃদ্ধ কলমে
শব্দ উল্টে গেলে পরাক্রম লীলা
সুর্পনখা কেসে মরে লঙ্কার আগুনে
পাতালের লাজবস্ত্রে আইনি পুরুষ
যোদ্ধার পাঁচ দিকে পাঞ্চালী একা
কুরু আখ্যান ভিজে ময়ূর পালক
চক্রে তুমি ঘুরে এসো বকচঞ্চু রেখা
চতুর আশ্রম
গান্ধারী ডুবে যায় জলের গোপনে
আগুনের মার্কশীটে গোল্লা দেয় সীতা
দেখার দূরত্ব ফিতে বসন্ত কুমার
অযোধ্যা হস্তিনায় দুরাচারী পিতা
বস্তির হাওয়া লিক কথা উল্টে ঢালা
অশিক্ষিত ক্রোধ পোষে অন্ধ শাসক
ন্যায় বর্ণে তুলারাশি মুড়কী পেষাই
উপাসক ঠোঁঙা ভরে জীবন নাশক
সূত্র পাল্টে গেলে সংস্কৃতি বদল
পায়ে পায়ে শূন্য হয় চরণ প্রণতি
মনে নেই কোন্ চোখে গুরুতর ওঁ
মাতৃজলে ভুল জন্ম নিম্নে মহাগতি
রাধারাণী ঘাট
সকালের কর্ণ দ্রোণ টর্চ মারে শীষে
বন্ধু- পুত্র সেকি অন্ধকার মায়া
ছায়া প্লাবনের জ্যোতি করেছে ইঙ্গিত
নিয়তি বরণ করি পুঁজি তার দয়া
বাঁশির কান্না রাখি ছিদ্র হাঁড়িতে
ন্যায় পর্বে বাঁকা রোদ চন্দ্র অভিযান
বিশ্বরূপ মিশে যায় রাত বাড়ে মনে
শিবের সংযমে লিখি মনশা আখ্যান
নীল পৃথিবীর গায়ে সাদা কালো গলি
বলির কুমড়ো সাজি হাওয়া টুকে কল
বিকল বিকল্পে ওঠে পারদের মমি
জমির কাগজে কাঁচা লেখিকার দল
অস্হির মাদলে মাইল লম্বা গদাধর
ঝুমুর আসরে নাচে আশ্বিনের মাঠ
কাঠফাটা হাসি রাখে গঞ্জ পায়েল
গোয়ালে দোয়েল পুষি রাধারাণী ঘাট
অশান্ত যোগ ও রাধারাণী দেহ
কিছুটা দূরত্ব দিও অবসর লিখি
অবসরে আঁকা কিছু মানুষের মুখ
মুখের প্রভাবতী নদীর গজলে
স্ব- জলে ভেজা ভেজা মেঘের অসুখ
লেপ্টে যেওনা রাধে নুপুর শোনাও
পরপর চলে যাও শব্দে ছুটি ধ্যান
আচ্ছা জ্ঞান তুলে রাখি বর্নের ঠেঁকিতে
কিছুটা মাখন মেয়ের শুদ্ধ প্রাণায়াম
ডায়েরী অনন্যা দেশ দিনের প্রস্হান
কাঁটামুখ ভর্তি করো সুগন্ধি বিনুনি
কিছুটা দূরত্ব দিও অবসর লিখি
রায় কিছু বাকি তার কিছুটা শুনানি
খাপে খাপছাড়া
নিজস্ব হাসির কাছে পরাজিত ক্ষত
ছুঁড়ে দিও রথী বাণ সপ্ত ব্যাঞ্জনে
ভোজন বিজ্ঞাপনে সরিষার ফুল
চোখে এসো জলকন্যা আগুন উজানে
গান থেকে তুলে আনো বুকের কড়াই
কিছুটা ভাজতে হবে মন খুলে আনো
বাগানের তাল ভেঙে ভোমরা ওড়াও
নিয়ে এসো গন্ধ তার মুগ্ধ পিয়ানো
বিপরীত ভ্রম চলে খেয়ালে মান্ধাতা
কচি পোশাকের কিছু নিচু ব্যালকনি
বনসাই বাতাসের টবে রং খেলা
বিনীত খড়ের গায়ে পাঁজর দুখানি
মগ্ন পরীখা
তাও তুমি পাশা হলে দধীচি মস্করা
আঙুল ছুঁয়ে রাখি মায়ের আঙ্গুলে
ভরসার গণ্ডী বাড়ে সীমানা পরীখা
কি করে ঢুকতে পারি কৃষ্ণ সফরে
ওপারে অনেক ছায়া গোলাপ বাগানে
চিত্রক বৃদ্ধে হাঁটা সিজিন পেরোতে
রাত মাঠে যত শব্দ প্রতি বর্ষা কাল
প্রযত্নে আর্যগণ ঠিকানা হারাতে
এ তো সব পূর্ব পাড়ে অসংখ্য তরাস
তারো পূর্বে ভাঙে ঢেউ প্রাচীর ডিঙালে
ভরসার মা -এ ভোর তোর মুখে জ্যোতি
কার্যকরী মায়া নীল বালক গোকুলে
চানা মশলা
এক ঠোঙা আমি তাঁর পাঁচ মেশালি
টুক করে খেয়ে নিও জয় ক্রোধ ভয়
ভাজা ছাল মোহ ওড়ে চাপো করতল
জমজ ভাই-বোন ঝাল অবক্ষয়
খালি করো ভরতত্ব শর্ত স্বাদ পুরী
আনন্দ উপমা সহ বন্ধু পরবাস
যাবতীয় দক্ষ নিও যক্ষ নগরী
শ্রম সাধনের সার্থ খেয়ো সর্বনাশ
আমিও উলঙ্গ বাঁশি ফু দিও খোসা
আদি অন্ত থাকে যদি দেহ দিলে কার
অন্য মনে হাঁটা পথ দাঁত চেপে দিও
পরার্থ সুখে শুধু ঠোঙা অধিকার
ডাক্তার
কলেজ ক্রিমের দমকা বর্ষ ভাঙে পুরোনো ক্যান্টিন
উড়ে আসি শুন্যস্থান ছত্রাক উনুনের বিধিভাঙা সিং
পুরনো ঠোঁটের কিছু আসবাব চামচের জেলি রাখে মুখ
গল্পের দীর্ঘতায় ঠান্ডা হয় গেলাসে প্রিয় দার্জিলিং
ডাকাতির জঙ্গলে- ক্লাস ফাঁকি আসামের লিকার যুবতী
বুক পকেটে কোয়া রসিকতা ঢেলে দেয় উইংসান পেন
স্পর্শ বিছিয়ে পড়ে প্রাথম সকালে কিছু সমুদ্রে জ্বলো
ঈর্ষা হুমড়ি খায় সিনেমা হলের কিছু নাটকীয় ক্লেম
কানে কানে ফিরে এলে ঝাউ বাগানের সোঁ ওহে ডাক্তার
কোথাকার জলবায়ু তহবিলে জমা করো অনুপম খেয়া
প্রফেসর কলোনি ক্রিম দূরবীন সেকি সার্জারী শেখে
ডেকে নিও বিকেলের তাওয়া নদী ভেসে যায় কেয়া
বেতামের ঘর.
খোলা নৌকার মনে তীর ডুবে গেলে
কাছ থেকে অনেকটা বেড়ে ওঠো মাঝি
চুড়ান্ত হাঁটা পথে
সন্ন্যাস গ্রহণ করি,সন্ধ্যাপুড়ে সলতে এগোয়
বাঁধ ও বাঁধনের ঋণশোধ হাতে পায়রা খুঁটে নেয়
অন্যায্য ভাঙাগ্রাম জলের কৌশল
পদার্থ বিদ্যায় যিশু পড়ে
ও পজিটিভ
দাতা গ্রহীতার বোকা মূলমধ্যরেখা
ময়দানে যেকোনো বাতাস মাথা কাটে
খোলা নৌকার পেটে ধাক্কা মারে ঢেউ
তোমারই কেউ তাকে রাধা নাম দাও
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন
0 Comments