জ্বলদর্চি

দূরদেশের লোকগল্প—ওয়েষ্ট ইন্ডিজ/মাকড়সা কেন ঘরেই থাকে/চিন্ময় দাশ

দূরদেশের লোকগল্প—ওয়েষ্ট ইন্ডিজ

মাকড়সা কেন ঘরেই থাকে

চিন্ময় দাশ


অনেক অনেক কাল আগের কথা। সেসময় বিশাল এক পাখি এসে হাজির হয়েছিল দেশে। দেশ মানে,  এই দ্বীপের দেশগুলো। জ্যামাইকা, কেইম্যান, বাহামা, পুয়ের্তোরিকো, হাইতি--  এইসব ।একদিকে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর। অন্যদিকে মেক্সিকো উপসাগর আর ক্যারিবিয়ান সাগর। মাঝখানে ছোটবড় কত না দ্বীপ । শত শত মাইল অতল সাগর। তার বুকে ভেসে থাকা বুদ্বুদের মত এই দ্বীপসব।

বেশ সুখেই দিন কাটতো মানুষজনের। এক বার হঠাৎ এক উৎপাত দেখা দিয়েছে। কোথা থেকে এসে উদয় হয়েছে এক ঈগল পাখি। আর, পাখি বলে পাখি। কতটা বড় পাখিটা,  বলে বোঝানো যাবে না সেকথা। ডানা জোড়া এতখানি বড়,  সারা আকাশ ঢেকে যায় তার ডানার আড়ালে। যখনই সে আকাশে উঠে চক্কর মারত,  সূর্য আর দেখাই যেত না। একেবারে রাতের মত ঘন অন্ধকার নেমে আসত দেশ জুড়ে। পশু-পাখি, মানুষজন ঘরে ঢুকে পড়ত সবাই। 

কাজকর্মের ক্ষতি হতে লাগল খুব। খেত-খামারে কাজ বন্ধ। খাবার-দাবার জোগাড় করা যাচ্ছে না।  মহা মুশকিল। বিপদে পড়ে গেল লোকেরা। একদিন সবাই দল বেঁধে রাজার কাছে গিয়ে পড়ল—কিছু একটা বিহিত করুন আপনি। এভাবে বাঁচবো কী করে আমরা?
অসুবিধা তো শুধু সাধারণ প্রজাদেরই হয়নি। রাজারও হয়েছে। রাজা বলল--  ঠিক আছে। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। 
সারা দেশে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে ঘোষণা করে দেওয়া হোল, যে পাখিটাকে মারতে পারবে, পুরস্কার দেওয়া হবে তাকে। ঢ্যাঁড়াদার বলল—পুরস্কারটাও শুনে রাখো সবাই। পাখিটাকে মারতে পারলে, রাজ্যের আধখানা দেবে রাজামশাই। যা সোনাদানা আছে রাজার ঘরে, দেওয়া হবে তার অর্ধেকও। এর সাথে আছে আরও বড় পুরস্কার। যে বিজয়ী হবে, রাজকন্যা জুটবে তার কপালে। তিন জন  সুন্দরী কন্যা আছে রাজার ঘরে। যাকে পছন্দ হবে, বেছে নিতে পারা যাবে।
এমন মওকা সহজে আসে  না। কাতারে কাতারে মানুষ বেরিয়ে পড়ল তীর-ধনুক নিয়ে। ঈগল আকাশ ঢাকবে কী? শত-শত হাজার-হাজার  তীরেই আকাশ ঢাকা পড়ে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। একটা পালকও খসাতে পারল না কেউ। পাখিকে বধ করা, সে তো অনেক দূরের কথা।

হয়েছে কী, সেই দেশে এক বুড়ি বাস করত, তার ছেলেকে নিয়ে। একেবারে সাগরের কিনারা ঘেঁষে  তার ঝুপড়ি ঘর। গাঁয়ের এক কিনারায়। অভাবের সংসার। কোন মতে দিন চালিয়ে নেয় মায়ে-পোয়ে। ছেলে একদিন মাকে বলল—আমিও যাব পাখিটাকে মারতে। 
তার মা তো পড়ল আকাশ থেকে—বলিস কী তুই?  দেশশুদ্ধ লোক হার মেরে গেল। ছুঁয়েও দেখতে পারল না হারামজাদা পাখিটাকে। তুই মারবি তাকে? 
ছেলেটা পিছাবার নয়। হেসে বলল—চেষ্টা করতে দোষ কী, মা? চেষ্টা না করলে, কোনও কাজে সফল হওয়া যায়  না।

জবাব না দিয়ে, ছেলের দিকে চেয়ে রইল মা। গরীবের ঘর হলে, কিহবে? ছেলেটার শরীর-স্বাস্থ্য বেশ মজবুত। বনে জঙ্গলে যায়। কাঠ-কুটো কেটে, হাটে গিয়ে বেচে আসে। তাতেই পেট চলে দুজনের। খাটা-খাটুনি করা চেহারা তার ছেলের, বেশ শক্ত পোক্ত। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
মা বলল—অতবড় একটা জীব। অস্ত্র কোথায় তোর, তাকে মারবি? 
ছেলে বলল—কিছু পয়সা দিতে পারবে, মা? হাটে গিয়ে তীর-ধনুক কিনে আনব ভালো দেখে।
কৌটা-কাটি ঘেঁটে, পাওয়া গেল কয়েকটা খুচরো টাকা। নাড়াচাড়া করে,  তাই নিয়ে হাটে গেল ছেলেটা। মজবুত একটা ধনুক আর ছ'খানা তীর কিনে বাড়ি ফিরে এল।
পরদিন সকাল। আকাশ পরিষ্কার। তার মানে হল, পাখিটা এখনও ডানা মেলেনি আকাশে। ছেলেটার বাড়ির একদিকে সমুদ্র। আর, পিছন থেকেই শুরু হয়েছে গভীর বন। বনে ঢুকে পড়ল ছেলেটা। খুঁজতে খুঁজতে কতটা ভিতরে চলে এল যখন,  পাখিটাকে দেখতে পেল সে। একটা গাছের মগডালে বসে আছে পাখি।

চুপিচুপি গাছটার নিচে পৌঁছে, পাখিকে নিশানা করে তীর ছুঁড়ল ছেলেটা। তীরটা বিঁধেও গিয়েছে পাখিকে। চমকে উঠে, পা ফসকালো বোধহয়। পড়ে যেতে যেতে,  ডানা ঝটপটিয়ে কোনও রকমে নীচের একটা ডাল আঁকড়ে বসে পড়ল পাখিটা। তার ডানা থেকে ইয়াব্বড় দুটো পালক খসে পড়ল মাটিতে।

এক নাগাড়ে,  পরপর আরও চারটা তীর ছুঁড়ে গেল ছেলেটা। প্রত্যেক বারেই একটু করে নীচের দিকে নেমে আসতে লাগল পাখিটা। আর, দুটো করে পালক খসে পড়তে লাগল মাটিতে।
পাখি তখন অনেকটাই নীচে। শেষ তীরটা গিয়ে বিঁধেছে পাখির একেবারে বুকটাতে। এবার আর পালক নয়, পাখিটাই মাটিতে আছড়ে পড়ল ধপাস করে।
পাখির সাথে যখন তীরের খেলা চলছে ছেলেটার, অন্য কোন পাখি ছিল না ত্রিসীমানায়। আসলে ভয়ে কেউ আসে না ঈগলের কাছাকাছি। আর,  নীচেও ছিল না বনের কোন জীবজন্তু। অন্তত ছেলেটার কাউকে চোখে পড়েনি।

তবে, ছিল একজন। বড়সড় একটা মাকড়সা। মাকড়সা হল বনের একেবারে আলসে জীব। যাকে বলে, অকর্মার ধাড়ি একেবারে। কাজের মধ্যে যা করে, সেটা হল একটা জাল বোনা। সেই জালের ফাঁদ পেতে, চুপটি করে বসে থাকে। বসে থাকতে থাকতে, ঘুমিয়েও পড়ে। ফাঁদে পড়ে কোন পোকামাকড়, বা মশা-মাছি যখন ছটফট করতে থাকে বাঁচার আশায়,  সেই নড়াচড়ায় ঘুম ভাঙে হতচ্ছাড়ার। দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে শিকারকে। আর তার রক্ত চুষে খায়। খাওয়া শেষ হল, তো আবার ঘাপটি মেরে বসে থাকা। না হয় ঘুম।

ছেলেটা যখন ঈগলকে তীর ছুঁড়ছিল,  নিজের জালে বসে দেখে যাচ্ছিল মাকড়সা। রাজার ঘোষণা সেও শুনেছে। দেশশুদ্ধ লোক যে পাখিটাকে মারতে উঠে পড়ে লেগেছে,সেটাও  জানে সে।

মাকড়সা বুঝল, বেশ করিৎকর্মা বলতে হবে এই ছেলেকে। তেমন কোনও কসরৎ না করেই, সাবাড় করে দিল অতবড় পাখিটাকে। মাকড়সা দেখল—পাখিটা যখন মাটিতে পড়ে গেল, তখনও একটা তীর ছিল ছেলেটার হাতে। তীরের ফলা দিয়ে, প্রথমে পাখির জিভটা কেটে নিল সে। টকটকে লাল আর বড়সড় একখানা জিভ। তারপর কাটল ঈগলের মাথার একগোছা চুল। বরফের মত সাদা, ধবধবে চুলগুলো। মাকড়সা অবাক হয়ে দেখল, হাতে তীর-ধনুক। জিভ আর চুলগুলো নিয়ে, খুশিখুশি মুখ করে, চলে গেল ছেলেটা। পাখিটা পড়ে রইল গাছের তলাতেই।
কী বোকা ছেলেরে, বাবা! গায়ে শক্তি থাকলেই হয় না, বাছা। মগজে বুদ্ধিও থাকতে হয়। তবেই তুমি বড় হতে পারবে। উন্নতি করতে পারবে জীবনে। নিজের মনে এইসব উপদেশের কথা আওড়াতে আওড়াতে, তরতর করে গাছ থেকে নেমে এল মাকড়সা। পাখিটাকে টানতে টানতে চলল রাজবাড়ীর দিকে।

মাকড়সার তো ঐ ল্যাকপেকে শরীর। কিন্তু ভাগ্যিস বিধাতা তাকে দশ-দশটা হাত বা পা দিয়েছেন। তাই রক্ষে! অতবড় পাখিটাকে নিয়ে রাজার বাড়িতে আসতে পারল তাই। রাজাকে বলল—দেশশুদ্ধ সবাই তো হার মেনে গেল। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। হাল ছেড়ে দিলে, সফল হওয়া যায় না। শেষমেশ অনেক চেষ্টায় খতম করেছি শয়তানটাকে। এবার আপনি আপনার কথা রাখুন।

একটা কথাও কানে ঢুকছে না রাজার। পাখিটা মারা পড়েছে, এই দেখেই, রাজা খুশিতে ডগমগ। আহ্লাদে গুণে গুণে আট-খানা হয়ে বলল--  অবশ্যই। রাজা কখনও কথার খেলাপ করে না। সবই হবে। আগে তোমার খাওয়া-দাওয়া, আদর-যত্নের ব্যবস্থা করি। পাহাড়ের মত একটা পাখি। টেনে আনতে নিশ্চয় খুব ধকল হয়েছে তোমার।

মাকড়সার জন্য ভুরিভোজের হুকুম করে দিল রাজা। এমনই খুশি যে, তুচ্ছ একটা মাকড়সার সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে, সেকথাও মাথাতেই এল না রাজার।
কিন্তু হুলুস্থূল বেধে গেছে রাজবাড়ির অন্দর মহলে। তিন রাজকন্যারই মাথায় হাত। কার কপালে যে এই মাকড়সা ঝুলছে, কে জানে! আরও ভয়, রাজা তার তিন মেয়েকেই না মাকড়সার গলায় ঝুলিয়ে দেয়! রাজার মেয়ে হয়ে, শেষে কিনা, একটা মাকড়সাকে বিয়ে করতে হবে? ভেবেভেবেতিনমেয়েরপাগলহবারজোগাড়।
আর, রানীমা? শুনেই অগ্নিশর্মা তিনি। চেঁচাচ্ছেন—বললেই হল? আমার মেয়ের বিয়ে হবে একটা নচ্ছার মাকড়সার সাথে? রাখো তোমার ঢেঁড়া দেওয়া। যাচ্ছি আমি. আগে শেষ খাওয়াটা খেয়ে নিক হতচ্ছাড়াটা। তারপর এক ঝাড়ুর ঘায়ে বিয়ের সাধ ঘুচিয়ে দেব জীবনের মত।

সামনে চাকর-বাকর, দাস-দাসীরা সব ভিড় করে এসে দাঁড়িয়েছিল। সামনের দাসীটাকে ধমকে বলল—দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিসটা কী, হতভাগী? একটা ঝাড়ু এনে দে আমাকে। ভবলীলা সাঙ্গ করে দিয়ে আসি গিয়ে।
রাজা ছিল তার দরবার ঘরে। কোমরে আঁচল জড়িয়ে, রানি এগোল সেই দিকে। পিছনে বিরাট বাহিনী। সাত-সাতটা মহল পেরিয়ে দরবারের কাছাকাছি হয়েছে, অমনি কিসের একটা কোলাহল কানে গেল রানির। শব্দটা আসছে সদর দেউড়ির দিক থেকে। ওখানে আবার কী হোল? রাজসভা ছেড়ে, এবার রানীর অভিযান দেউড়িমুখী।

দেউড়িতে এসে দেখে, এক যুবকের সাথে বিবাদ চলছে সেপাইদের। রানি গিয়ে পড়ল সেই বিবাদের মাঝে—কী হোল? হয়েছেটা কী? 
রানিমাকে দেখে সেপাইরা চুপ। হম্বিতম্বি শেষ। যুবকটিই বলল—রাজামশাইর ঢ্যাঁড়া শুনে, আমি পাখিটাকে মেরে, রাজামশাইকে বলতে এসেছি। এরা বলছে, আমি নাকি ধাপ্পাবাজ! পাখিকে মেরে, একটা মাকড়সা নাকি রাজামশাইর কাছে আগেই হাজির হয়ে গেছে।
রানি বলল-- কিন্তু বাপু, মাকড়সা তো প্রমাণ সাথে নিয়েই এসেছে। তুমিই যে পাখি মেরেছ, তার প্রমাণটা কী?
যুবক ছেলেটির বাম হাতে তীর-ধনুক। ডান হাতের মুঠো খুলে ধরল রানির সামনে। বলল—এই দেখুন, পাখির ঠোঁট আর ঝুঁটি। অতবড় পাখি, শুধুমুধু ঘাড়ে বয়ে আনতে যাব কেন? এই তো আমার প্রমাণ! 
বুঝতে কিছু বাকি রইল না রানির। 

ছেলেটিকে দেখে লেগেছেও বেশ ভালোই। কোথায় এই ছেলে, আর কোথায় একটা মাকড়সা? 
-- এসো তো, আমার সাথে। কে ধাপ্পাবাজ, এখুনি বিচার হয়ে যাবে। যুবক ছেলেকে সাথে নিয়ে, রাজসভায় এসে হাজির হল রানি। পিছনে তখন রাজবাড়িশুদ্ধ সবাই।
রাজাকে গিয়েই এক ধমক—এই বুদ্ধি নিয়ে রাজ্য চালাও তুমি? একটা ধাপ্পাবাজকে চিনতে পারো না?
পুরো ভীড়টা এমন হুড়মুড় করে রাজসভায় ঢুকে পড়েছে যে রাজা হকচকিয়ে গিয়েছে। তার উপর সবার সামনে রানির এই ধমক। বেজায় ভড়কে গিয়ে, রাজা কোন রকমে বলল-- মানে?
রাজাকে তোতলাতে দেখে, একটু ঠান্ডা হল রানির মাথা। পুরোটা খুলে বলল রাজাকে। রাজা চেয়ে দেখল, সত্যিই তো! পাখিটার মাথায় এক খাবলা পালক নাই। ঠোঁট দুটো ফাঁক করে দেখা গেল, জিভখানাও নাই মুখের ভিতর।
রাজারও কিছু বাকি রইল না বুঝতে। আর একটু হলেই,  জলে পড়ে যাচ্ছিল একটা মেয়ে। রাজা হুঙ্কার দিয়ে উঠল—তবেরে হতভাগা!  শূলে চড়াব আজ তোকে।রাজার সাথে চালাকি করতে এসেছিস? 
রাজা চেঁচিয়ে বলল—কে আছিস, ধরে নিয়ে আয় মাকড়সাটাকে। 
হুকুম শুনে, পেয়াদার দল ছুট ল্গাল অতিথিশালার দিকে। 

কিন্তু কাকে ধরবে, কাকেই বা চড়াবে শূলে? ভীড় আর ভীড়ের ভিতর যুবক ছেলেটাকে দেখেই, মাকড়সা বুঝে গেছে, তার চালাকি শেষ। কেটে না পড়লে, দুর্ভোগ আছে কপালে। চুলোয় যাক রাজকন্যা বউ. প্রাণটা বাঁচাতে পারলে হয় এখন।

সবাই পাখি পরখ করতে ব্যস্ত। সেই ফাঁকে, সুড়ুৎ করে সরে পড়েছে মাকড়সা।

রানিমা ঝাঁটা তুলে দেখে, মাকড়সা হাওয়া। তার চিহ্নটাও নাই সেখানে। তন্ন তন্ন করে খুঞ্জেও পাওয়া গেল না তাকে।

তারপর কতদিন কেটে গিয়েছে। হাজার হাজার বছরও বলা যায়। বলা যায় না কেবল, সেদিন তারপরে রাজসভায় ঠিক কী কী ঘটেছিল। রাজা খুশি হয়ে কী বলেছিলেন, বা আহ্লাদে ডগমগ হয়ে রানিমাই বা কী চেয়েছিলেন, ভালো মতন জানা যায়নি। 
তবে, এটুকু জানা যায়,  সবচেয়ে খুশি হয়েছিল তিন রাজকন্যা। আনন্দ যেন ধরে না তাদের। বাবার গলা জড়িয়ে তিনজনেরই আবদার—আমি বিয়ে করব এই ছেলেকে। এত বড় বীর তো এই দেশে আর কেউ নাই।
যুবকটির সাথে তিন মেয়েরই বিয়ে দিয়েছিল রাজা। এক বর আর এক শাশুড়ি নিয়ে বেশ সুখেই দিন কেটেছে তিন রাজকন্যার। তবে, তারাও সেই হতভাগা মাকড়সার খোঁজ পেয়ে ওঠেনি। সেই যে ঘরের ভিতর গিয়ে সেঁধিয়েছে পুঁচকে গা-ঘিনঘিনে প্রাণীটা, বাইরে বেরোয়নি আর।

Post a Comment

0 Comments