কিছু ছন্দ, নিরানন্দ
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
(এক)
হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছেগুলো যবে,
পথের ধুলোর সঙ্গে মিশে থেকে,
স্বপ্নে দেখে ইচ্ছে মেটার সাধ্য।
জয়ীর বেশে তিলক টিকায়,
জলের দরে ইচ্ছে বিকায়,
ঠিক তখনই সাধগুলো সব
যেই হয়ে যায় বাধ্য-
এ মন আমার হারার শেষের
অন্ধপথে দাঁড়িয়ে থেকে বলে।
যুদ্ধে, প্রেমে সকল দখল চলে।
(দুই)
সে রামের সে অযোধ্যা নেই,
সে রাবণের সীতা।
উপেক্ষা যার তুষের মত,
জ্বালায় পোড়া বুকের ক্ষত,
ক্রুদ্ধ দুটো চোখের জলে
ইন্দ্রজিতের পিতা,
হেরে যাওয়ার দুঃখে ক'রে জয়।
বলে, তাদের হারা'ই ভালো,
যাদের বোধে এ'ও মৃতপ্রায়
অধিকারের অর্থ জানতে হয়।
(৩)
কেউ কেউ হতাশায় গুটায় ভিতরে।
কিছু ভালো, মন্দ, কিছু ভদ্র ইতরে।
সামান্য কয়েকজন
দাঁড়িয়ে পড়ে রুখে।
কেউ বেঁচে থাকাটাকে,
মিনমিনে বলে থাকে,
কেউ রুখে দাঁড়ানোটা
পোষে মনের সুখে।
(৪)
কাগজের নৌকার মত
মাঝিমাল্লা হীন।
বয়ে চলি নিরুদ্দেশে
সারা রাত্রি দিন।
পরোয়া করি না ভয়ে
নেই তাতে সায়।
এভাবে নিজের ছাঁচে
বেঁচে থাকা যায়।
(৫)
পাইকারি দরে কিনে
চড়া দরে বেচি।
যাবতীয় অহং বোধ
রাগ, চ্যাঁচামেচি।
মাথা উঁচু করে বলি
পাষণ্ড, সঘোষে।
এভাবেই বাঁচে লোকে
নিজ গুণে দোষে।
(৬)
নাগরিক তার নাগরিকত্ব
রক্ষার শেষে, সর্বসত্ত্ব,
তারপর যদি স্বাধীনতা মেনে
বুক পেতে নেয় বিষ।
মুখ কেন নিশ-পিশ?
হিসেবীরা যার হিসেবিয়ানায়,
তুচ্ছ জীবন পার করে যায়,
তাদের ইচ্ছে! তাতেই বা কেন
যা ইচ্ছে তাই লেখা।
এখনো হয়নি
সভ্যতা নামে নিয়মকানুন শেখা?
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন
0 Comments