জ্বলদর্চি

Z-generation poem-2~ Arun Das

Z-generation poempoem-2

               Arun Das


এগারো.

চাঁদহীন রাতে
হারানো সুরে আঁকি
প্রয়াগ ৷
নিঝুম, নিসর্গ ঘুম
সঙ্গম ছুঁয়ে থাকা ঈশ্বরীর পা
সৌম্য শিবের জটা ছুঁয়ে 
                     আদুরে গঙ্গায়
যমুনা যেন আদিবাসী সন্ধ্যায়
            পথ হারানো কিশোরী
পর্ণমোচী ভোরে,
       বর্ণ লেখা সরস্বতী শীত ৷

..... আরাধ্য জীবন
এ মুগ্ধ শরীরে লিখে রাখি 
                          দৈব জীবন ৷


বারো.

ছবির শহর নেই
অচেনা এয়ারপোর্ট, নি:সঙ্গ
শূন্য ফ্লাইট
অবাধ তারাদের ম্লান রানওয়ে 
মুছে যায় তৃপ্ত চাঁদ
মেঘের ছায়া ঘুমে,
      পথ ভুলে যাওয়া পাখিরা ৷


তেরো.

জন্ম যেন খাঁচা ভাঙা পাখির ছল৷ ভেজা মাটির গন্ধে থেমে যায় দামাল পা ৷
এই যে ,ভুল রাস্তা বেয়ে মুগ্ধ হেঁটে যাওয়া....
এই যে ,সাহসহীন সতর্ক পথচলা....
পাথর হৃদয়ে চুঁইয়ে আসা আলোয়, মেখে নেওয়া রামধনু রং ?
..... হিমেল হাওয়ায় ভেসে আসে বাঁশির ধুন ৷ মন মাতিয়ে যাওয়া শরীরের ভাঁজে৷



চৌদ্দ.


...... ঝলসে যাবো বলেই
      সাজিয়ে রাখি বাগান
সরু পথ হেঁটে যায় 
                   বনের ভেতর
শুকনো পাতার মর্মরে,
         জেগে ওঠে ভূত রাত
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,
ভেসে যায় ডাকিনী অন্ধকারে 
গন্তব্য যেন 
          হালকা মেঘ ছুঁয়ে ফেলা
রোদের ঝিলিকে 
               ঝলসে যাওয়া 
                           পাতার ঘুম ৷


পনেরো .

'ঞ' ফেলে যায় কৃষ্ণরাত ৷
রেশমি গল্পে তৃপ্ত হয়ে ওঠে ভ্রমন ৷ মোহনা মাখা উজ্জ্বল শীত সন্ধ্যা ৷ পায়ে পায়ে পথ চলা ৷
ছুঁয়ে ফেলি জোয়ারের জল ৷
বিচিত্র বিকেলে লিখে রাখি তোর রূপের ইতিহাস ৷ ভূগোলও। আদর সন্ধ্যায় ব্রহ্মান্ড আঁকা , তোর চাঁদ শরীরে ৷



ষোলো.

টিয়ারঙা অবসন্ন আদরে
মুগ্ধ ফুল ঝরে পড়ে ৷
তৃপ্তি ফেলে , অন্ধ অন্ধকার চেনা ভোরে ৷
..................

রেশমী হৃদয় উড়ে যায়
কার্পেট রঙ কুয়াসায় ৷
দমকা হাওয়ায় ভেসে যাওয়া রোদ, নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকে উৎসাহী ডাঙায় ৷


সতেরো.

ঠোঁট খুলে রাখি,
অল্পচেনা বুকের প্রতিটি বাঁকে
সুগন্ধী এলাচের গন্ধ ৷ ম-ম রাত৷ মৃত্যু যেন পাতায় লেখা বুনো অহংকার ৷এ পথে একদিন চিনে ফেলি আগন্তুক রোদের ডাক৷ হাওয়ার গল্পে ভেসে যাওয়া গ্রাম ৷
অনায়াসে শিখি
অনায়াসে মাখি
সনাতনী সোহাগ ৷
ইতিহাস লিখে ফেলা বুকে, উদ্বাস্তু জীবনের দিনলিপি।


আঠারো .

ডানার ডাকে জেগে ওঠে, সে সব বর্ণময় বিকেল ৷ পাহাড়ের ঢেউ ভাঙি, অনায়াসে ৷ গাছেদের ছায়ামাখা পথ৷ ঝুলন্ত নদী মাখি হাঁটাপথে ৷ কেউ নেই জেনেও নিশ্চিন্তে শোনাই ভুল ছায়ার গল্প ৷
সুস্বাদু সোহাগে কেঁপে ওঠে খোলা জানালা ৷ গল্পমাখা উধাও দুপুর৷
নিশ্চুপ দেখি, বুকের অঙ্কুর একদিন অন্তহীন গাছ হয়ে যায় ৷



উনিশ

. . . . স্তব্ধতা ঢলে পড়ে তোর গোপন বুকে....


দেখতে                         দেখতে
                 একদিন
চোখ রেখে আসি চৌচির অতীতে ৷
স্বপ্নহীন                          সন্ধ্যে
                তুলে রাখে
              অবাধ আকাশ
... আজ
অনায়াসে
উড়ে যাই
নাভির গন্ধে                  উত্তাল
                       তোর
                শরীরী বন্দরে ৷


কুড়ি.

ণ-ত্ব বিধান শেখা অরণ্য, তার বাউল কন্ঠে নিভৃতে আঁকে কণ্টক রাত....


আজ
গভীরতা না জেনেও
অনায়াসে সাঁতরে যাই
জলমগ্ন সোহাগে ৷
নৌকোঘুমে এঁকে রাখি 
                    সূর্যোদয় ৷
বৃষ্টিভেজা পাখিরা এক পলকে ছুঁয়ে ফেলে নর্তকী নদী৷
সহজেই শিখি
আল্পনা আনন্দ মাখা
                  বাউন্ডুলে বাতাস ৷
রামধনু রং লিখি বিশ্বস্থ হাতে ৷


আরও পড়ুন 

Post a Comment

1 Comments

  1. MY FRIEND WHAT U HAVE WRITTEN IS SENS I THINK, BUT I CAN'T UNDERSTAND, SO TRANSLATE IN ENGLISH, FOR WORLD TO NOW,THE INDIAN POEM ,WHICH U HAVE WROTE. JAI HIND.BHAI.

    ReplyDelete