জ্বলদর্চি

প্রিয়মাস-মধুমাস /আবীর ভট্টাচার্য্য

প্রিয়মাস-মধুমাস

আবীর ভট্টাচার্য্য


পরবাস

যে পরবাসে বিরহ দোলে মাধবীলতা-শাখে
অঝোর শ্রাবণ ব্যতিরেকেও সুতীব্র বৈশাখে
বোধি কিংবা মনন ক্ষুধার পরিতৃপ্তি সুখ 
চিরভিখারী মনটি আমার, শুভাঙ্গী উৎসূক...

প্রাত্যহিকী দায়ে-অদায়ে বিব্রত যে ঘর
সেই খানেতেই নতজানু আমার এ অন্তর
তবুও কখন তোমার চিঠি আসে আমার মনে
বিনিসুতোর জলছবি-টান হৃদি বৃন্দাবনে...

যে শুভক্ষণ হেলায় হারায়, মুহুর্তেরই কাছে
ফেলে আসা স্মৃতির দানে মুখ ফিরিয়ে পিছে
কবেকার সে বকুল কথায়,বিলাবলের গতে
বিরহবাস মিলন-সুবাস সমান্তরাল পথে
যে পরবাস আঁধারে জ্বালে অন্তর্লীন আলো
ও বিরহী! চাতকমনে  সঙ্গসুধা ঢালো...


                         
কথার কথা

আমি যখন দিন পেরিয়ে বিকেল হয়ে যাই, 
কন্যে দেখা মেদুর-আলো পড়ে আমার মুখে, 
তুমি না হ'য় তোমার ঐ উজল সকাল-আলো
খুব গোপনে আলতো হেসে ফেলো খেয়াল-সুখে।

রাখতে গিয়ে দিন-প্রতিদিন অযুত হিসেব-পাতি
 তুমি বা আমি,কে যে কোথায় কেমনভাবে থাকি
ছেলেমানুষী দুজন-কুজন, সকাল-বিকেল খেলা
ও বিরহী!সেসব তুমি ভুলেই গেলে নাকি!

যুগ পেরিয়ে এসব কথা যুগান্তরেরও পরে
রয়েই যাবে; কারণ মন নিয়ত আশাবাদী
তোমার সকাল যদি না লেখে আমার সন্ধ্যা-কথা
হয়ত কোন অন্য কবি,রঙ ধরাবে তাতে।



আকাঙ্খা

সাতটি সাগর উথলে ওঠে সে কোন ভীষন ঝড়ে 
আখর জুড়ে বাসনা আমার পাখিডানায় ওড়ে,
ফুলটি যেমন শিশিরচুমে কোরক-জীবন ভোলে 
 অযুতপ্রহর যাপন আমার, ভালোবাসবো বলে…

তৃষার্ত মন কোন সাধনায় চাতক-আদর খোঁজে
কার মনের প্রিয়-আসনে কে বসে রাজসাজে
দোতারা আমার দূরগামিনী, আবিষ্ট হিন্দোলে
সুরক্লিষ্ট প্রহরযাপন, ভালোবাসবো বলে…

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments