জ্বলদর্চি

তিনটি প্রেমের কবিতা /অনিন্দ্য পাল

তিনটি  প্রেমের কবিতা 
অনিন্দ্য পাল 

মুক্তি চাইনা কোন শর্তেই

ফিরে আসার কোন প্রশ্নই নেই 
যদিও দূরত্ব পরিবর্তনশীল 
দূর থেকে ছুঁয়ে থাকা তোমার উল্লম্ব ছায়ার 
গাঢ়ত্বে লুকিয়েছি ইচ্ছারেণু 
তুমি বাঁধন দাও অথবা খুলে দাও সীমানাসদর 
আমি বন্দীই হতে চাই 
আমি রয়ে যেতে চাই ঠিক ওই ছোট্ট টিপটার মত 
তোমার কৃত্তিবাস কপালে 
আমি রয়ে যেতে চাই আশ্চর্য সেই পাথর হয়ে 
যার ছোঁয়ায় তুমি আবার গোলাপ হয়ে উঠবে 
তোমার এলিয়ে পড়া সুগন্ধে ডুব দিয়ে অতঃপর 
আমি খুঁজে নেব আমার পর্ণমোচী ভবিষ্যৎ... 



প্রেমিকা 

একটা দুটো কবিতার বই এবং খুঁজে পাওয়া 
একটা দুটো কবিতার লাইন 
তোমার শত্রু হয়ে উঠেছিল কবে, লক্ষ্য করিনি 
যদিও তোমার চোখেই পেতে রেখেছিলাম 
স্বপ্নের শীতলপাটি 
যদিও তোমার সুগন্ধী স্থাবর জংঘায় বসেছিলাম 
অলীক আসন পেতে 
নিজের চারধারে পুঁতেছিলাম বিষ ক্যাকটাসের বীজ 
তবু সব কাঁটাবেড়া ডিঙিয়ে এলে তুমি 
আর কেটে দিয়ে গেলে আমার নামটুকুও 
ক্রমিক সংখ্যা সমেত-- লক্ষ্য করিনি 
অথবা অলস অন্ধত্বের সুখে ক্লান্ত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম 
রাতের টিউলিপের মত... 


 
ভালোবাসার কাচখণ্ড 

ভালোবাসা কখনো একমাত্রিক হয় না 
জ্যামিতিক অথবা গাণিতিক নিয়ম কি খাটে 
ভালোবাসার অয়েলপেন্টিং-এ? 
মীরা কি ছুঁতে পেরেছিল কৃষ্ণকে, অথবা 
মেঘ কি পেরেছে কখনও শেষ চুম্বন এঁকে দিতে 
প্রিয়তমা পৃথিবীর ঠোঁটে, 
প্রতিবার তার ভালোবাসা ঝরে পড়ে স্বচ্ছ 
বৃষ্টি হয়ে... 

ভালোবাসি কিনা দেখতে চেয়েছি যতবার ভেঙ্গে গেছে  
নৈশব্দের জায়যান আয়না 
প্রতি কাচখণ্ডে তবু লেখা আছে দেখি তোমার নাম 
মাত্রাহীন মৃন্ময় কালিতে ... 

কাচখণ্ডে রয়ে যায় ভালোবাসার বাস্প 
কাচখণ্ড রাখে না কেউ দেরাজ আলমারিতে 
সময়ের সুইপার নিয়ে গেছে সমস্ত টুকরো খুঁজেপেতে 
শুধু  জানতে পারেনি কেউ, বিঁধে আছে বুকে 
তোমার মুখ ভেসে থাকা শেষ টুকরোটা ...

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments