তিনটি প্রেমের কবিতা /অর্জুন প্রামানিক
তিনটি প্রেমের কবিতা
অর্জুন প্রামানিক
অন্যরকম প্রেম
সেদিন যখন,
বুকের কাছে নেমে যাওয়া পাড়টা করছিলে ঠিক,
আমার ফ্যালফ্যালে চোখে চোখ পড়তেই
কেন মুখ ফিরিয়ে ঠিক মিনিট দুই পরে
একবার খুঁজেছিলে আমায়?
সেদিন যখন,
নতুন হিলে পা মচকে টলে গিয়েছিলে,
পড়তে পড়তে গিয়েছিলে বেঁচে
আমারই বুকের আগলে,
কেন তাড়াহুড়ো করে লাজুক ঠোঁটে কানের পাশে
সরিয়েছিলে চুল?
সেদিন যখন,
লক খুলে নূপুরখানা ধুলোয় গেছিল মিশে,
আমি আড়ালে ডেকে, কাঁপা হাতে
ফিরিয়ে দিয়েছিলাম তোমার হাতে,
কেন ধন্যবাদ টা বলে পালিয়ে যাওনি চলে?
আজ যখন,
আমি ওকে নূপুর পড়াতে যাই,
নতুন হিল পরিয়ে দিই পায়,
ঠিক করে দিই শাড়ির আঁচলটা,
কেন বারবার তোমার সেদিনের লজ্জা
আজও আমায় হাসায় ঠোঁটের কোণে?
রহস্যময়ী
যখনই কাঁধের ওপর কাপড়খানা সরিয়ে করেছি
খালি,আপনা থেকেই বন্ধ হয়েছে চোখের পাতা,
মৃদু-মৃদু কাঁপছে অধরখানা।
পেটের উপর কাপড়খানা ফাঁক করেছি যেই,
কাঁটায় কাঁটায় মুড়েছে শরীর,
ঠোঁট ছোঁয়ানোর আগেই।
জড়িয়ে কোমর নিজের দিকে টান দিয়েছি যেই,
ঠোঁট কোণেতে ফুটেছে লাজুক হাসি,
মাটির গায়ে পড়েছে আঙুল ছাপ।
এবার যেন আষাঢ় হয়ে ঝরলো আদর ঝরঝরিয়ে,
আমার ঠোঁটে তার ঠোঁটের চাবুক চলে,
চুলের টান হেঁচকা জিনের সমান,
আমায় ছোটায় পাগলা ঘোড়ার মতন।
শেষ নিবেদন!
বহুবার করেছি জ্বালাতন
হয়তো হয়েছো ক্ষুণ্ণ মনে মনে,
অকারণ কথা বলেছি ক্ষণে ক্ষণে
হয়তো দূর থেকে করেছি নির্যাতন।
ক্ষমা করে দিও,
ঝেড়ে ফেলো রাগ, যত বিরক্তি,
আমায় মাফ করে দিয়ো,
না বুঝে হয়তো অনেক করেছি 'কটূক্তি'!
আরও একবার শেষ জ্বালাতনটুকু
রেখে গেলাম তোমার কাছে,
তোমার যত ভালো গুণ আছে
তা দিয়ে ভুলে যেও এ শেষ বিরক্তিটুকু।
(তৃতীয় কবিতার সূত্র ধরে, ধরুন,সোশ্যাল মিডিয়ায় বা যেকোনো ভাবে (পথ চলতে চলতে কোনো বাস বা অটোস্ট্যান্ডে বা কোনো ছোট রেস্তোরায়) অল্প দিনের আলাপ হওয়া দুটি ছেলেমেয়ে। কেউ কারোর সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানেনা। তাদের কোনো একজন অন্য একজনকে পাত্তা দেয়না অতটা। স্বাভাবিকভাবেই। জাস্ট যেটুকু প্রশ্ন আসে তারি উত্তর দেয়, এমন। নতুন পরিচিতি, বেশি কথা বলতে যাবেই বা কেন? কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো একজন অন্যজনের আটটেনশন চায়। কিন্তু পায়না। অনেক কথা বলে, হয়তো সেই কথা নতুন পরিচিত মানুষটাকে বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই হয়তো প্রত্তুত্তরে সেভাবে বিশেষত্ব কিছু থাকেনা। কোনো কৌতূহল থাকেনা, প্রশ্ন থাকেনা সেভাবে। শুধু প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় সে। তাই কিছদিন পর সে হয়তো একটু আপসেট হয়ে পড়ে। সেখান থেকে যদি এমন ভাবে (এই কবিতার মাধ্যমে ) অভিমান জানায় সে..?
একে কি প্রেম বলা যায় ??
বা আদৌ কি এটা অভিমান ??
ভালোবাসা যেখানে এখনো কুঁড়ি বা সেটুকুও হয়তো নয়, যেখানে ভালোবাসা ফুল হয়ে ফোটেইনি.. সেখানে কি এমন অভিমান হতে পারে??
আপনি কি মনে করেন?)
খুব সুন্দর হয়েছে অর্জুন দা 🤩
ReplyDeleteমন ছুঁয়েছে 🥰
খুব সুন্দর হয়েছে অর্জুন দা🤩
ReplyDeleteমন ছুঁয়েছে 🥰
Khub sundor .. arjun da
ReplyDeleteধন্যবাদ সবাইকে ।��
ReplyDelete