তিনটি প্রেমের কবিতা/ সুপ্রভাত মেট্যা

তিনটি প্রেমের কবিতা 

সুপ্রভাত মেট্যা 


ধুলোকাব্যের প্রেমিকা 

এই বিকেলবেলায় 
হলুদ রোদের পাতায় তোমার মুখ, ধূসর ,
ধুলোকাব্যের প্রেমিকা হয়ে ওঠলে,আমি গোলাপ লিখি।
 তোমাকে দেখে,আমার বালক সকাল সব উঠে আসে খুশির ।
যৌবন দুপুর পেরিয়ে আলো ঝলমলে আকাশ ,
ও আমার ম্লান কথিকা-
 তুমি  ফুল ফুটিয়ে চকমকিয়ে তোলো।
 অঙ্কুর আবির্ভূত হোক মাটির।
 দেশে দেশে ,শিকড়ে আর শব্দে স্বাক্ষরায়িত হয়ে,
 পাতা নড়ে উঠুক নতুন কবিতার ।
 বৃষ্টির গন্ধ নিয়ে শরীর অন্ধকার ঢুকে পড়ুক ,
 মেঘপাহাড়,তারপর বজ্র-বিদ্যুৎ-রাতের ঝড়-ঝাপটায় 
 নিজেকে এলোমেলো সাজিয়ে , 
 কলঙ্ক শায়িত হোক, 
 না ,সে বৈধ নয় এমন বিছানায় । 



প্রেম :পরমভাষ্যে

পরমভাষ্যে 
ধর্মমহান প্রেম এসে ,বাতাসের সুড়সুড়ি দিলে,
আশরীরী ওম ,শিহরিত পাতার কম্পে
রাত্রি অন্ধ হয়ে যায়।
মন্দ আর আনন্দ মিশে 
আদি অনন্তের স্রোতে ভেসে যায় দূর ।
গোপন অন্ধকারে সুদর্শনশাস্ত্র রচিত হয় 
শ্রীঅঙ্গে অপরূপ জ্যোৎস্নায়।
সারাটা আলোয় আহা 
জমে থাকে যে কথা;
সেই কথাগুলি রাত্রি গভীর হয়ে এলে তবে, 
আলিঙ্গনবার্তায় 
মিলনস্বরের ঢেউ হয়ে আসে ক্ষীর!




খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে প্রেম 


কিছু ভালো না লাগলেই,
ভালোভাবেই বোঝা যায় তার আসা যাওয়া কতটা গভীর ছিল ,কতটা অসুখের। 
হাওয়ার অস্তিত্ব ,পাতা নড়ে উঠলে তবেই দৃশ্য হয়।
অনুভবে ভাব-ভালোবাসা লাল হয়ে ওঠে,হৃদয়ে গোলাপ ।মনখারাপ; সেও এক আনন্দের জটিল নীরবতা,
পাতা লেখে ,প্লুত অক্ষরে প্রেম,
আর কবিতা এসে বসে, দূর ....
কাছাকাছি নামের মুকুর ফুটে ওঠে,হিমমঞ্জরি....
যুগ্ম ওম পোয়ানোর গ্রামে ,
তখন ফোয়ারা বাসাবাসি জলের পুকুরে 
হাঁস চরে বেড়ায় ,
খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে প্রেম ।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇





Comments

Trending Posts

রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (NAAC) এর মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি: উদ্দেশ্য ও প্রস্তুতি - কলেজ ভিত্তিক অভিজ্ঞতা /সজল কুমার মাইতি

শমিত ভঞ্জ (অভিনেতা, তমলুক)/ ভাস্করব্রত পতি

বাগদি চরিত /পর্ব -১ /শ্রীজিৎ জানা

প্রাচীন বাংলার জনপদ /প্রসূন কাঞ্জিলাল

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২৬

বিস্মৃতপ্রায় কবি ফণিভূষণ আচার্য /নির্মল বর্মন

মহাভারতের কর্ণ - এক বিতর্কিত চরিত্র -১২/দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২৫