জ্বলদর্চি

প্রথম মহিলা বাঙালি-বৈজ্ঞানিক ড: অসীমা চট্টোপাধ্যায় ― ০৬/পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

বিজ্ঞানের অন্তরালে বিজ্ঞানী ।। পর্ব ― ৬১


প্রথম মহিলা বাঙালি-বৈজ্ঞানিক ড: অসীমা চট্টোপাধ্যায় ― ০৬

পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

(১)
পঞ্চাশের দশকের প্রথম দিকের ঘটনা। বছর তিনেক পূর্বে মিলেছে মুক্তির স্বাদ। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতবর্ষ মুক্ত। বহুকাক্ষিত স্বাধীনতা এসেছে। তার মাঝে ঘটে গেছে দেশভাগ, একগুচ্ছ দাঙ্গা আর স্বাধীন ভারতের প্রথম সংবিধান। সেটা ১৯৫০ সাল। পাশ্চাত্য ভ্রমণ শেষে চার বছর পার করে স্বাধীন দেশের মাটিতে প্রথম পা রাখলেন ড. অসীমা চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গী একমাত্র শিশুকণ্যা জুলি আর তার গভর্নেস। 

দেশে ফেরা অব্দি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স-এ পিওর কেমিস্ট্রির রিডার পদে জয়েন করলেন অসীমা দেবী। দেশে শুরু হল ইনডোল অ্যালকালয়েড নিয়ে তাঁর উচ্চতর গবেষণা। যদিও তাঁর গবেষণার পথে বিস্তর অন্তরায়। প্রধান সমস্যা আর্থিক যোগান। রিসার্চ গবেষণা চালু রাখতে ন্যূনতম যে আর্থিক স্বচ্ছলতার দরকার, তার ছিটেফোঁটা সেসময় ছিল না। অর্থনৈতিক যে সমস্যায় দিশেহারা তিনি, সেই একই সমস্যায় জর্জরিত ভারতবর্ষ। এক তীব্র সংকট কালের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে গোটা দেশ। অথচ, উন্নত ভারত গড়ার স্বপ্নে বুঁদ প্রশাসক থেকে বৈজ্ঞানিক সকলে। তাঁদের সে-লক্ষ্যে পৌঁছতে আপাতত একটাই বাধা। অর্থনৈতিক অপ্রতুলতা। সুতরাং গবেষণার অর্থে ঘাটতি অস্বাভাবিক নয় সেসময়। তবুও যৎসামান্য টাকাপয়সা আর অদম্য ইচ্ছা শক্তি সম্বল করে দেশ গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন অসীমা দেবী। স্বল্প অর্থ ব্যয়ে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লাগলেন তিনি। 
       

গবেষণার স্বার্থে ভেষজ স্যাম্পল বিদেশে পাঠানো আশু প্রয়োজন হয়ে পড়ল। অথচ হাতে যথেষ্ট ফান্ড নেই। তাহলে কী করণীয়? নিজের পকেট কেটে স্যাম্পল বিদেশে পাঠানোর যাবতীয় বন্দোবস্ত করলেন তিনি। এমনকি; তাঁর আন্ডারে গবেষণারত স্টুডেন্টদের স্যালারি মেটাতেন টেনেটুনে। দরকারি একগুচ্ছ কেমিক্যালস কিনবার পয়সা পকেটে নেই। এমনই দুরাবস্থা তাঁর। তীব্র প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কখনও থেমে থাকেনি তাঁর গবেষণা। নিরবচ্ছিন্ন এগিয়ে চলেছে তাঁর বিজয় রথের ঘোড়া। নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করতেন তিনি। তেমনই একটা চ্যালেঞ্জ এসে হাজির অযাচিতভাবে।

  সময়টা ১৯৫১ সাল। একটি নামকরা শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে 'এমেটিন বিসমাথ আয়োডাইড' তৈরির অনুরোধ আসে। এ হেন রাসায়নিক দ্রব্যের মূল্য তখন আকাশছোঁয়া। এক পাউন্ডের দাম হাজার টাকা মাত্র! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন একঝাঁক গুণী অধ্যাপক। অথচ কেউ এগিয়ে এলেন না! এমেটিন তৈরিতে কারও আগ্রহ নেই! মহাফাঁপ‍রে বিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন ডিন আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু। আচার্যের গোচরে খবরটি আসতেই উঠে পড়ে লাগলেন তিনি। তাঁর তৎপরতা বহুগুণ বেড়ে গেল। নিজে দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন অধ্যাপকের দরজায় কড়া নাড়লেন তিনি। নাহ! স্বেচ্ছায় কেউ রাজি নয়। চ্যালেঞ্জ নিতে অপারগ সবাই। শেষমেশ এগিয়ে এলেন অধ্যাপিকা অসীমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাজি হয়ে গেলেন এমেটিন বিসমাথ আয়োডাইড যৌগ পদার্থ নিষ্কাশন করতে। হাঁফ ছেড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অবস্থা আচার্য-এর। 
তিনি বললেন― 'ঠিক আছে, মাঠে একটা শেড করে দিচ্ছি। সেখানে অসীমা কাজ করবে।'
আচার্য-এর মান রাখতে দিনরাত এক করে গবেষণায় মনোনিবেশ করলেন বিজ্ঞানী-অধ্যাপিকা। পঞ্চাশ পাউন্ড এমেটিন তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। সে-যাত্রায় অক্ষত রইল আচার্যের সম্মান। খুশি হয়েছিলেন আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু। 

 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের রিডার পদ তখন ফাঁকা। ১৯৫৪ সালে রসায়নের সেই শূন্য পদে যোগ দিলেন ড. অসীমা চট্টোপাধ্যায়। এতদিনে স্থায়ী পদ পেলেন তিনি। পার্মানেন্ট হল তাঁর পোস্ট। স্থায়ী পদে যোগ দিয়ে অধ্যাপনা আর গবেষণাকে পাখির চোখ বানালেন তিনি। গভীর তাঁর কনসেনট্রেশান! নিজের লক্ষ্য থেকে একফোঁটা দিকভ্রষ্ট হননি কখনও। লেখাপড়ায় ঘাটতি তিনি বরদাস্ত করতেন না কখনও। ক্লাসে পড়াতে যাবেন। যাওয়ার আগে বিষয়বস্তুর নোটপত্তর প্রস্তুত থাকত তাঁর। আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে চলত ক্লাস। সহজ ও সাবলীল ভাষায় চলে তাঁর পাঠদান। অল্প ক'দিনে একাধারে বিশিষ্ট শিক্ষক এবং রিসার্চ গাইড হিসাবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি।

  গবেষণার সুবিধার্থে অনেক গুলো শক্ত লম্বা হাত সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছিল তাঁর দিকে। যেমন বিজ্ঞানী জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ। প্রফেসর ঘোষ তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য। গবেষণার কাজে সহযোগিতার লম্বা হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মনোবল জুগিয়েছিলেন, উৎসাহ বাড়িয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার খয়রা অধ্যাপক আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, পালিত অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা, ঘোষ অধ্যাপক শিশির কুমার মিত্র প্রমুখ বিশিষ্ট পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ।
        

সালটা ১৯৫৫। সে-বার ইন্টারন্যাশনাল য়্যুনিয়ন অব পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি (IUPAC)-এর বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল―প্রকৃতিতে প্রাপ্ত উদ্ভিজ্জ যৌগের রাসায়নিক বিশ্লেষণ (Chemistry of Natural Products)। সেমিনারে অংশগ্রহণ করলেন বিজ্ঞানী অসীমা চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫৭ সালের ইউনেস্কো সেমিনারে চেয়ারপারসন পদে আসীন ছিলেন তিনি। ফাইটোকেমিস্ট্রি (Phytochemistry) বিষয়ে বিশদে বক্তব্য রেখেছিলেন সেমিনারে। ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ১৯৬১ সালে হংকং সফর করেন তিনি। ১৯৬২-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের 'কুমার গুরুপ্রসাদ সিংহ খয়রা অধ্যাপক' ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত একই পদে আসীন ছিলেন। 

  ১৯৬৪ সালে শুরু তাঁর জাপান সফর। পরের বছর, ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে "ইন্দো-সোভিয়েত কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম"-এ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ১৯৬৭-তে শ্রদ্ধেয় বৈজ্ঞানিকের বয়স যখন সবেমাত্র পঞ্চাশ বছর, মাথার'পর নেমে এল এক কঠিন দুঃসংবাদ। তাঁর স্বামী বৈজ্ঞানিক-প্রফেসর বরদানন্দ চট্টোপাধ্যায় আচমকা গত হলেন। গভীর শোকে ভেঙে পড়লেন অধ্যাপিকা। সাময়িক শোক কাটিয়ে পুনরায় ফিরে গেলেন কাজের জগতে।

(২)
সেটা ১৯৬১ সালের ৫ই জুলাই। ইউনাইটেড স্টেট পাবলিক হেল্থ স্কিম (United State Public Health Scheme অথবা সংক্ষেপে, USPHS)-এ একটি প্রকল্প জমা করেন অসীমা দেবী। প্রকল্প জমা করেই ক্ষান্ত হননি। একটি চিঠি মারফত অধ্যাপক পাউলিং-কে জানাচ্ছেন সে-কথা। তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন এ ব্যাপারে সচেষ্ট হতে। প্রকল্প পাশের জন্য তদ্বির করতে। ১৯৬১ সালের ১৪ই জুলাই ফিরতি চিঠি লিখলেন প্রফেসর পাউলিং। নিজের যথাসাধ্য চেষ্টার ত্রুটি করবেন না জানিয়ে সে-চিঠি ভারতে পৌঁছয় অসীমা দেবীর কাছে। পরে অধ্যাপিকা অসীমা চট্টোপাধ্যায়ের প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছিল। আমেরিকায় থাকা কালে পাউলিং পরিবারের সঙ্গে হৃদ্যতার যে-সম্পর্কের হাতেখড়ি হয়, পরবর্তী কালে চিঠির মাধ্যমে তা আরও শক্ত পোক্ত বন্ধনে আবদ্ধ হয়। 

 ১৯৬৭ সালে জানুয়ারিতে ছয় সপ্তাহের জন্য ভারতবর্ষে আসেন পাউলিং দম্পতি― মি. লিনাস পাউলিং আর মিসেস এভা হেলেন পাউলিং। মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটির ফিজিক্যাল কেমিস্ট ড. জি এন রামাচন্দ্রন-এর আমন্ত্রণে। ভারতে পা রেখে ভারতবাসীর উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভাসলেন পাউলিং দম্পতি। দারুণ আপ্লুত তাঁরা। এর মাঝে পাউলিং পত্নী এভা হেলেন ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন বৈজ্ঞানিক অসীমা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেটা ফেব্রুয়ারির শেষ দিককার ঘটনা। নিজেদের ব্যস্ত সিডিউল থেকে সময় বের করে কলকাতায় এলেন তাঁরা। মাত্র ষোল ঘণ্টার ঝটিকা সফরে দুই পরিবারে অনেক উপহার আদানপ্রদান হয়। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে অসীমা দেবীর ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখেন পাউলিং দম্পতি। অসীমা দেবীর স্টুডেন্টদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান তাঁরা। কলকাতা ত্যাগের অব্যাহত পূর্বে উপহার হিসেবে তাঁরা কিছু অর্থ তুলে দেন অসীমা দেবীর হাতে। হতচকিত অসীমা দেবী। তাঁর মেয়ে জুলিকে খুব ভালোবাসতেন পাউলিং দম্পতি। স্নেহের জুলি'র ওয়েডিং গিফট হিসাবে আগাম নগদ অর্থ প্রদান করেন তাঁরা। এভাবে দুই পরিবারের সম্পর্ক গাঢ় হয়। প্রায়শই মিসেস পাউলিংকে লেখা অসীমা দেবীর চিঠিতে সমসাময়িক সামাজিক পরিস্থিতির কথা উঠে আসত। কারণ সেসময় অস্থির বাংলায় নকশালবাড়ির ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চারপাশে নকশাল আন্দোলনের উত্তাপ। কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়া শত শত মেধাবী ছাত্র নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিয়ে কিসের টানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আন্দোলনে! সমসাময়িক সমাজ-ভাবনায় বেশ চিন্তিত দুই মহিয়সী মহিলা।
         
  
১৯৭৩ সালের ঘটনা। এশিয়াটিক সোসাইটি অধ্যাপক পাউলিং'কে 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শতবার্ষিকী পদক' প্রদানের প্রস্তাব গ্রহণ করে। বৈজ্ঞানিকের সম্মতি চায়। উত্তরে অধ্যাপক পাউলিং ব্যক্তিগতভাবে নিজে উপস্থিত থেকে এই পদক গ্রহণে অপারগতার কথা জানান। উপরন্তু তাঁর তরফে বৈজ্ঞানিক অসীমা চট্টোপাধ্যায়-এর নাম প্রস্তাব করলেন তিনি।

  ১৯০১ সালের ১২ই এপ্রিল আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যালস। ১৯৬৮ সালে এ হেন কারখানা-কর্তৃপক্ষ অহেতুক এক মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সমস্যা কী? বিদেশের ধনী ঔষধ কোম্পানি 'হেক্সট'। এই হেক্সট-এর সঙ্গে বেঙ্গল কেমিক্যালস-এর অযৌক্তিক আইনের লড়াই শুরু হয়ে গেল। লড়াইটা মূলত একটি পেটেন্ট চুক্তিকে ঘিরে। 'সালফোনামাইড' ঘটিত যৌগের পেটেন্ট চুক্তি লঙ্ঘন সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা। মামলায় হারলে প্রচুর টাকার আর্থিক জরিমানার ভ্রুকুটি ভারতীয় কারখানাটির কাঁধে। এ হেন মামলায় বেঙ্গল কেমিক্যালস-এর হয়ে আইনি লড়াই লড়েছিলেন বিজ্ঞানী অসীমা চট্টোপাধ্যায়। সে-যাত্রায় মামলা জিতে বিশাল আর্থিক হেনস্থার বিপদ থেকে কারখানার রক্ষাকবচ হয়ে ওঠেন তিনি। মামলা লড়ার জন্য এক নয়া পয়সা পারিশ্রমিক দাবি করেননি তিনি। আসলে প্রিয় শিক্ষক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়-এর উদ্দেশ্যে স্বনামধন্য ছাত্রীর সাহায্যের হাত সর্বদা বাড়ানো থাকত নিজের সমগ্র কর্মজীবনে। এ ছিল তাঁর সামান্য গুরুদক্ষিণা‌। 
         
  ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৯ সাল। দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময় বিজ্ঞান কলেজে রসায়ন বিভাগের 'হেড অব দি ডিপার্টমেন্ট'-এর গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত ছিল তাঁর কাঁধে। তাঁর অনলস প্রচেষ্টা, দূরদর্শিতা আর ডিপার্টমেন্টের অন্যান্য শিক্ষকগণের সৌজন্যে সায়েন্স কলেজের রসায়ন বিভাগ― কী শিক্ষা-দীক্ষায়, কী গবেষণায়― দেশের মধ্যে নজির তৈরি করে। কেবলমাত্র নজির তৈরি করে ক্ষান্ত থাকেনি; আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। 

  ১৯৭১ সালে রিগা, ১৯৭৩ সালে তাসখন্দ পরিদর্শনে যান অসীমা দেবী। ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের ৬২-তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে; দিল্লিতে। এই অধিবেশনে মূল সভাপতিত্ব করেন বৈজ্ঞানিক অসীমা চট্টোপাধ্যায়। সভাপতির ভাষণে তিনি আশার আলো জ্বাললেন ―
'সায়েন্টিফিক ও প্রযুক্তিগত ট্রেনিংয়ের মেরুদণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ইউনিভার্সিটি স্তরের গবেষণাই বিজ্ঞানের সাফল্য বা উন্নতির একমাত্র চালিকাশক্তি। ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতা নির্ণায়ক উৎকৃষ্ট ব্যারোমিটার জোগায়। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দেশের সেরা প্রায়োরিটি।'

তথ্যসূত্র :
●'বারোজন বাঙালি রসায়নবিজ্ঞানী'―ড. রবীন্দ্রনাথ পাত্র
●'অর্ধশত বিজ্ঞানী-কথা'― ড. সন্তোষকুমার ঘোড়ই
●'জৈবরসায়নবিজ্ঞানী অসীমা চট্টোপাধ্যায়'― দীপককুমার দাঁ
●বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, দৈনিক সংবাদপত্র
●উইকিপিডিয়া, সায়েন্টিফিক উইমেন পেজ

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments