জ্বলদর্চি

বাঁদনা পরব /সূর্যকান্ত মাহাতো

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি

পর্ব - ৪৩

বাঁদনা পরব

সূর্যকান্ত মাহাতো


"জাগ মা লক্ষ্মীনি জাগ মা ভগবতী
জাগে ত আমাবস্যা রা'ত।
জাগে কা পতিফুল দেবে মা লছুমন
পাঁচ পুতায় দশ ধেনু গাই যে।।"

বন্ধু খুব যত্ন করে গানটি গাইল। এ গানের নাম "অহিরা গীত"। গানের শেষে বন্ধু 'গিজা গিজা গিজা গিড়িং, গিগিজা গিড়িং...' বলে বাজনার তালটিও বলে দিলেন। এইসব 'অহিরা' গান 'বাঁদনা' পরবের আনন্দকে আরও শতগুণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বন্ধু কিছুটা আক্ষেপও করল। বলল, 'বাঁদনার সেই পুরনো জৌলুস এখন যেন অনেকটাই ম্লান।"'

আমি বললাম, "'গো-ভক্তি' বা 'গো-পূজা' বা গোরুর পূজা উপলক্ষ্যে এত বড় একটা উৎসব সেই প্রাচীন কাল থেকে জঙ্গলমহলে পালিত হয়ে আসছে এটা বড় কম কথা নয়। 'গো-বন্দনা' থেকেই তো 'বাঁদনা' শব্দটি এসেছে।"

বন্ধু বললেন, "'গো-বন্দনা' থেকে 'বাঁদনা' শব্দটি এসেছে এটা ভুল নয়। আবার পুরোপুরি ঠিকও নয়। তাই 'বন্দনা' থেকে 'বাঁদনা' এসেছে এমনটা ধরে নিলে অনেকটা সরলীকরন হয়ে যাবে। 'বাঁদনা' মানে কেবল গো-বন্দনাই নয়। আরো অনেক কিছু। বাঁদনার অনুষ্ঠান অনেকগুলো পার্টে বা অংশে বিভক্ত। তার মধ্যে একটা পার্ট বা অংশ হল, 'গো-বন্দনা' বা 'গো-পূজা'।"

আমি বেশ অবাক। "অনেকগুলো পার্ট মানে কী! 'গো-পূজা' উপলক্ষ্যেই তো এই উৎসব! এর আবার অনেকগুলো অংশও আছে নাকি?"

বন্ধু হেসে বলল, "আছে। 'ঘাওয়া', 'জাগরণ', 'গরয়া', 'বুড়ি বাঁদনা', 'খুঁটান', প্রভৃতি। একমাত্র অমাবস্যা ও প্রতিপদে 'গো-বন্দনা' বা 'গো-পূজা'র অনুষ্ঠান হয়। বাকি দিনগুলোতে হয় না। দ্বিতীয়া বা তৃতীয়ায় কেবলমাত্র 'খুঁটান' অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন গরুকে শক্ত খুঁটিতে বেঁধে খেলানো হয়। এই শক্ত খুটিতে বেঁধে রাখা বা বন্ধন থেকেও 'বাঁদনা' শব্দটি আসা অসম্ভব কিছু নয় (ঝাড়খণ্ডের লোক সাহিত্য/ বঙ্কিমচন্দ্র মাহাতো)। এই গ্রন্থেই আরো এক জায়গায় বলা আছে, এই অনুষ্ঠান(বাঁদনা) গরুর 'বিবাহ' অনুষ্ঠান। গো-দম্পতি যে দড়ির বন্ধনে আবদ্ধ সেখান থেকেও 'বাঁধনা' বা 'বাঁদনা' নামকরণটি এসেছে বললে, সেটাও অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত।"

"বলিস কি! 'বাঁদনা' গোরুর বৈবাহিক অনুষ্ঠান? 'গো-বন্দনা' থেকে কীভাবে গোরুর 'বিবাহ' অনুষ্ঠান হতে পারে?" আমি বেশ জোর দিয়েই বললাম।

"'বাঁধনা' পরবের উদ্দেশ্যই হল, গো-মহিষের বংশবৃদ্ধির জন্য প্রজননের জাদু অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষ্যে ষাঁড় ও গাভীর বিবাহ অনুষ্ঠান 'বাঁদনা' পরবের সব থেকে বড় অনুষ্ঠান। মনুষ্য সমাজের বৈবাহিক অনুষ্ঠানের মতোই গোরুদেরও 'নিমছানো' ও 'চুমান' হয়ে থাকে। (ঝাড়খণ্ডের লোকসাহিত্য/ বঙ্কিমচন্দ্র মাহাতো।) তবে এই 'বাঁদনা' নামকরণটি সম্পর্কে অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় তার "কপিলামঙ্গল" গ্রন্থে একেবারে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, 'বন্দনা' থেকে  'বাঁদনা' শব্দটির উৎপত্তি কোনোভাবেই হয়নি। অস্ট্রিক শব্দ 'বান্দা' থেকে বরং 'বাঁদনা' শব্দটি এসেছে। 'বান্দা' শব্দের অর্থ হল, 'বরণ'। কুড়মি, মাহাতো ও ভুমিজদের বিয়েতে "বাঁদানি পণ" বলে একটা রীতি আছে। যার অর্থ বর কনেকে কিছু পণ বা কড়ি দিয়ে বরণ করা হয়। 'বান্দা' শব্দের অর্থ 'বরণ' এ কারণেই। তাছাড়া 'বাঁদনা' পরবের মধ্যেই মানভুম অঞ্চলে "জামাই বাঁদনা"র অনুষ্ঠানও পালিত হয়। শাশুড়ি জামাইকে ধান ও দূর্বা দিয়ে বরণ করেন। সুতরাং শাশুড়ি কখনোই জামাইকে 'বন্দনা' করতে পারেন না। বরং 'বরণ' করেন। তাই 'বরণ' অর্থেই 'বাঁদনা' শব্দটি এসেছে। তবে আমার মতে 'বাঁদনা' নামটি কোন একক অনুষ্ঠান থেকে নয়, বরং উৎসবের সার্বিক ঘটনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই নামকরণটি হয়েছে বলে মনে করি। বাঁদনার দিনগুলোতে বিশেষ ভাবে গোরুর সেবা ও পরিচর্যা অনুষ্ঠিত হয়। সুতরাং একে 'গো-সেবা' বা গো-পরিচর্যার অনুষ্ঠানও বলা যেতে পারে।"

জিজ্ঞাসা করলাম, "কত প্রাচীন হতে পারে, এই 'বাঁদনা' উৎসব?"

বন্ধু বলল, "একেবারে প্রাক আর্য যুগ থেকে এই 'গো-ভক্তি' বা গোরুর সেবা ও পরিচর্যা চলে আসছে। বঙ্কিমবাবু তার "ঝাড়খন্ডের লোকসাহিত্য" গ্রন্থে একে চার থেকে পাঁচ হাজার বছরের পুরানো বলে উল্লেখ করেছেন। তবে কৃষি কাজের সূচনা লগ্ন থেকেই যে এর উৎপত্তি সে কথা একরকম জোর দিয়েই বলা যায়। কারণ কৃষির সঙ্গে এই প্রাণী অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত। অনার্যদের থেকেই এই 'গো-ভক্তি' পরবর্তী কালে আর্যরা গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও "কপিলামঙ্গল" কাব্যের কথা যদি ধরা যায়, তাহলে এই কাব্যের রচনাকাল সম্পর্কে যেটুকু জানা গেছে তা হল, ১৭০০ থেকে ১৭৩৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই কাব্য রচিত হয়েছিল। কারণ রবীন্দ্রভারতীতে 'কপিলামঙ্গল' কাব্যের যে পুঁথিটি আছে তাতে ১০৪৪ 'মল্ল' সন বলে উল্লেখ করা আছে। ১০৪৪ মল্ল সন হল ১৭৩৮ খ্রিস্টাব্দ। 'কপিলামঙ্গল' কাব্যের জন্ম হয়েছে মূলত 'বাঁদনা' ও খুঁটানের গানগুলো থেকেই। তার মানে বাঁদনার গানগুলো ছিল আরো প্রাচীন।"

আমি অবাক হয়ে বললাম, "বাঁদনার 'অহিরা' গান থেকেই 'কপিলামঙ্গল' কাব্যের জন্ম! তাই তো একটি 'অহিরা' গানে শুনতে পাই---
"দুঃখ বিনাশিনী মাতা কোপিলারে বাবুহো
তোঁহি মাঞ গঙ্গাকে সমান।
জীবকে উদ্ধার লাগি তোঁহি মাই কোপিলা গো
মরতভূমেতে করহ পয়ান।।"(কপিলামঙ্গল)

বন্ধু সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি গান ধরল,
"গিরি পর্বতে চঢ়ি, নামহি গেল কপিলা ঠেসি গেল গঙ্গাকী কিমায়
হা হা রে কপিলা মতি পানী জুটবে তুহে কপিলা বড়ই অপরাধী।"

'অহিরা' গানের একটি দারুণ বৈশিষ্ট্য আছে। খুবই সংক্রামক এই 'অহিরা' গান। কেউ একবার এই গান গেয়ে উঠলে অন্যরা আর চুপ থাকতে পারে না। একটার পর একটা গান কেউ না কেউ গেয়ে ফেলেই। যেন শেষই হতে চায় না। বন্ধুকে বললাম, "'কপিলামঙ্গল' গান তো শুনেছি। কিন্তু সেখানে তো 'বাঁদনা' বা খুঁটানের এই গানগুলো নেই।"

বন্ধু বলল, "গো-ভক্তিকে কেন্দ্র করে যে গানগুলোর জন্ম হয়েছিল, তার দুটো ধারা। একটি হল 'মৌখিক'। অন্যটি হল 'শিষ্ট'। 'মৌখিক' গানের ধারাটি হল 'বাঁদনা' ও খুঁটানের গানগুলো। এই গানগুলোর কোন নির্দিষ্ট রচয়িতা নেই। তাদের নামও উল্লেখ নেই। অন্যদিকে ভগবতী বন্দনার লিখিত ধারাটি হল 'শিষ্ট' সাহিত্য। এটাই 'কপিলামঙ্গল' কাব্য। 'কবি দ্বিজচন্দ্র' ছিলেন এই ধারার একজন শ্রেষ্ঠ কবি। 'কপিলামঙ্গল' গানের যে ক'জন নাম করা গায়েন  তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে নাম করেছিলেন পুরুলিয়া জেলার ধাদকি গ্রামের দশরথ মাহাতো (কপিলা মঙ্গল/অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়)। এখনো বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় বাঁদনার সময় 'কপিলামঙ্গল' গানের জমাটি আসর বসে।

"কার্তিকী অমাবস্যাকেই এই উৎসবের সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হল কেন?" আমি জানতে চাইলাম।

বন্ধু বলল, "কারণ 'বাঁদনা'-কে কিছুটা নববর্ষেরও অনুষ্ঠান বলে মনে করা হয়।"

"নববর্ষের অনুষ্ঠান! মুখে যা কিছু আসে বলে দিলেই হল! কার্তিক মাসে কোন বছরের শুভারম্ভ হয়? না ইংরেজি, না বাংলা!" আমি জোর দিয়ে কথাগুলো বললাম।

বন্ধু বলল, "শ্রীযোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি তার "পূজা পার্বণ" গ্রন্থে বলেছেন, আগে এই দিনে শরৎ বৎসর আরম্ভ হত। যজুর্বেদ ও অথর্ববেদে উল্লেখ করা আছে মাঘ মাসের কৃষ্ণাষ্টমীতে উত্তরায়ণ হত। সেই মতো আশ্বিন কৃষ্ণাষ্টমীতে আট মাস ও আট দিন পর কার্তিক শুক্ল প্রতিপদে শরৎ ঋতু আরম্ভ হত। ওই দিনটি 'দ্যুত-প্রতিপদ' নামেও পরিচিত। এই কার্তিক শুক্ল প্রতিপদ ছিল শরৎ বৎসরের প্রথম দিন। বিদ্যানিধি মহাশয়ের উল্লিখিত  শরৎ বৎসরের ওই প্রথম দিন 'বাঁদনা' পরবেরও একটি মুখ্য ও শ্রেষ্ঠ দিন। "গরয়া" পূজা হয় সেদিন। বাড়ির আঙিনা আল্পনায় আল্পনায় ভরে ওঠে। তাই একে অনেকটা নববর্ষ পালনও বলা যেতে পারে। তাছাড়া বাঁদনার অনেক লক্ষ্মণ নববর্ষ পালনের মতোই। (ঝাড়খণ্ডের লোকসাহিত্য/ বঙ্কিমচন্দ্র মাহাতো)। তবে বিদ্যানিধি মহাশয় এই অমাবস্যায় পালিত দীপাবলি উৎসবের সঙ্গে নববর্ষের কোন সম্বন্ধ নেই বলেই মনে করেন।"

"তাছাড়া কার্তিকী অমাবস্যায় 'গো-পূজা' সম্পর্কে একটি পুরা কাহিনী প্রচলিত আছে। সেটাও একটা কারণ হতে পারে।" বন্ধু একথাও বললেন।

আমি জানার জন্য উৎসাহিত হয়ে উঠলাম। "কী সেই পুরা কাহিনী?"

বন্ধু বলা শুরু করল, "একবার গোরু ও মোষের দল সিদ্ধান্ত নিলেন তারা কর্ম বিরতি করবে। কারণ যে মানুষের জন্য তারা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছে, সেই মনুষ্য সমাজ বড় অকৃতজ্ঞ। উল্টে তাদের দৈহিক পীড়ন করে। খাবার দাবারেও অত্যাচার করে। গোরু মহিষের দল তাই মহাদেবের কাছে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। মহাদেব এই অভিযোগের সত্যতা বিচার করার জন্য সশরীরে কার্তিকী অমাবস্যার অন্ধকারে দেখতে আসবেন বলে জানান। কিন্তু মানুষেরা সে কথা কোনভাবে জেনে যায়। অমাবস্যার দিন তারা গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলে। গোরু বাছুরের জন্য খাবার দাবারও মজুত করে রাখে। জ্বালিয়ে রাখা হয় আলো। মহাদেব ঐদিন রাত্রিতে এসে দেখলেন গোরু বাছুরের সব অভিযোগ মিথ্যে। মহাদেব তখন অভিশাপ দেন, চিরকাল গোরু মহিষকে মানুষের ঘরেই খেটে খেতে হবে।" (ঝাড়খণ্ডের লোকসাহিত্য/ বঙ্কিমচন্দ্র মাহাতো)

"'কপিলামঙ্গল' কাব্যের কাহিনীতে দুটি ভাগ। দেবখণ্ড ও মর্ত্যখণ্ড। 'দেবখণ্ডে' কী বলা আছে দেখা যাক। স্বর্গে কল্পতরুর কাছে কপিলা গায় বেশ সুখেই চরে বেড়ায়। দেবতারা দেখলেন মর্ত্যে তাদের পুজোয় যজ্ঞের জন্য যে ঘি এর প্রয়োজন সেই ঘি নেই। কোথায় পাওয়া যাবে সেই ঘি? তাই নিয়ে চিন্তায় পড়লেন দেবতারা। তখন দেবতারা শিবকে সেই সমাধানের দায়িত্ব দিলেন। শিব তখন কপিলার স্মরণাপন্ন হলেন। কিন্তু কপিলা কিছুতেই স্বর্গ সুখ ছেড়ে মর্ত্যে যেতে রাজি নয়। কারণ সে সুধা রস ছেড়ে মর্তে খড় খেতে যাবে না। মর্ত্যে দুঃখ আছে। রাখাল ও কৃষকদের হাতে লাঞ্ছনা ও পীড়ন সহ্য করতে হবে। তার দুধ দুয়ে বাছুরকে উপোস করে রাখবে। সর্বদাই ঘরে মশা, মাছি, দাঁসের আক্রমণ এবং বাইরে বাঘের ভযে দিনযাপন করতে হবে। কেউ অলস বলে মারধোর করবে। কেউ ছাগলের মতো দরদাম করবে। কেউ নাকে দড়ি বেঁধে ঘোরাবে। কেউ বা চোখ বেঁধে ঘানি ঘোরাবে। তাই কপিলা কিছুতেই মর্ত্যে যেতে রাজি নয়। মহাদেব তখন কপিলাকে আশ্বস্ত করলেন। কপিলার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত দেবতারা থাকবেন। তাকে কেউ প্রহার করলে দেবতারাই সেই মার গায়ে মাখবেন। এমন কি কেউ তাকে পদাঘাত করলে তার নরক বাস পর্যন্ত হবে।

"এই কাহিনী দুটো থেকে এটা পরিষ্কার যে মনুষ্য দ্বারা গরুগুলো অত্যাচারিত হয়। কিংবা সরাসরি বললে, মানুষ গোরুগুলোর উপর নিষ্ঠুর ব্যবহার করে। তাই যাতে নিষ্ঠুরতা পরিহার করে নিঃস্বার্থ উপকারী এই প্রাণীগুলোকে যথার্থ সেবা ও পরিচর্যা করে কিংবা পূজা বা ভক্তি করে, সেই বার্তায় দেওয়া হয়েছে এই পুরা কাহিনী দুটি থেকে।"

সত্যিই তো, আমাদের জীবন জীবিকায় সব থেকে বড় উপকারী প্রাণী তো এরাই। এদের উপর নির্দয় হওয়াটা কোনোভাবেই উচিত নয়। সেটা বড় অকৃতজ্ঞের কাজ হবে। তাই তো মাহাতো ও ভুমিজ সহ জঙ্গলমহলের অনেকেই এদের  দেবতা সমান মান্য করে আসছে প্রাচীন কাল থেকেই। তাদের ভক্তি গীতে ও বন্দনায় তিন চার দিন ধরে "বাঁদনার" বিশাল অনুষ্ঠানে মেতে উঠে সকলে। জঙ্গলমহলের সব থেকে বড় উৎসব বললেও কম বলা হবে।

চলবে...

পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

1 Comments