জ্বলদর্চি

ক্রিপ্টোকারেন্সী ও তার অভিঘাতব-২/ বাসুদেব গুপ্ত

ক্রিপ্টোকারেন্সী ও তার অভিঘাত
বাসুদেব গুপ্ত
পর্ব ২

টেকনিকাল তথ্যঃ- ব্লকচেইন কি?
যারা টেকনিকাল ব্যাপারে অনুৎসাহী, তাঁরা এই অনুচ্ছেদটা বাদ দিয়ে সোজা আলোচনা বিভাগে চেলে যেতে পারেন। তাতে মূল লেখার বক্তব্য বুঝতে কোন অসুবিধে হবে না। 
আপনার প্রেক্ষিত থেকে দেখলে, যেমন ব্যাঙ্কের লেজারে সব একাউন্টের হিসেব লেখা থাকে, তেমনই ব্লকচেইন বিটকয়েনের একটা পৃথিবী ব্যাপী লেজার বা খাতা যেখানে প্রতিটি লেনদেনের হিসাব খুব সতর্ক পরীক্ষা করে লিখে রাখা আছে। কিন্তু আদতে ব্লকচেইন হল ব্লকের চেন বা শৃঙ্খল। এক একটি ব্লকে লিখে রাখা এক একটি লেনদেনের হিসাব। আর প্রতিটি ব্লক তার আগের ব্লকের সঙ্গে এক নিবিড় আংকিক বন্ধনে আবদ্ধ যা খোলার ক্ষমতা কারো নেই। একটি ব্লকের আকার প্রায় এক মেগাবাইট(MB)। এইগুলো জুড়ে জুড়ে তৈরী ব্লক চেইন। বিটকয়েনের (ক্রিপ্টো কয়েনের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত) ব্লকচেইনের আকার এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় 350 গিগাবাইট (GB)। 
মজার কথা হছে ব্লকচেইন রাখার কোন কেন্দ্রীয় অফিস বা স্ট্রং রুম নেই, বা কোন একটা কম্পিউটার বা ডেটা বেসে নেই। প্রতি মাইনার (যারা ব্লক চেনে লেখাপড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন) তাঁরা এই শৃঙ্খলের এক একটি গ্রন্থি বা নোড। প্রতিটি নোডের ক্ষমতা আছে এই লেজার বা ব্লক চেনে নতুন ব্লক যোগ করার। আর এসবই করার জন্য আছে নানারকম মাইনিং সফ্টওয়্যার যেমন, CGMiner(Windows, macOS, এবং Linux), EasyMiner(ওপেন সোর্স), BFGMiner(মডুলার ASIC/FPGA মাইনার), Awesome Miner(শত হাজারের জন্য ASIC মাইনার), মাল্টিমাইনার (উইন্ডোজে ডেস্কটপ অ্যাপ) 
ক্রিপ্টোর লেনদেনে কত সময় লাগে?
লেনদেনের গতি একটি লেনদেন পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। উদাহরণস্বরূপ SWIFT, যা বেশির ভাগ Transactionএ ব্যবহার করা হয় ( যুদ্ধের কারণে এখন অনেকেই এর নাম শুনেছেন) তার প্রায় 50% জিপিআই পেমেন্ট 30 মিনিটের মধ্যে শেষ সুবিধাভোগীদের কাছে চলে যায়, 40% 5 মিনিটের মধ্যে এবং প্রায় 100% জিপিআই পেমেন্ট 24 ঘন্টার মধ্যে জমা হয়। ক্রিপ্টো কারেন্সির লেনদেনের গতি ব্লকচেইনের আকার এবং সংশ্লিষ্ট সফ্টওয়্যারের গতির উপর অনেকটাই নির্ভর করে। তার ওপর মাইনিং করার বিলম্বটাও যোগ হয়। আর সেটা নির্ভর করে মাইনিং করার জন্য ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের উপর। একটি একক ল্যাপ্টপ থেকে মাইনিং করতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগতে পারে। সাধারণতঃ আজকে উপলব্ধ সর্বোচ্চ কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করেএকটি বিট কয়েন গড়ে 20 মিনিটের মধ্যে মাইনিং হয় যা। কিন্তু তা করতে খরচও অনেক বেশি যায়। এটি নিয়ে নীচে পারিতোষিক বিভাগে বিশদ লিখেছি।
 


ক্রিপ্টো টেকনলজি 
ক্রিপ্টোর আসল অর্থ বোঝার জন্য এর ভিতরের প্রযুক্তি বোঝা দরকার। যারা নীচের আলোচনা কঠিন বা অপ্রয়োজনীয় মনে করেন তারা অনুগ্রহ করে আলোচনা বিভাগে চলে যেতে পারেন। 
ক্রিপ্টো টেকনলজি(১) ব্লকচেইন কি?
শুরুতে আবার মনে করিয়ে দিই যে ক্রিপ্টো মুদ্রার কোন ব্যাঙ্ক নেই। তার বদলে আছে যাকে বলা হয় ব্লকচেইন। এবং অ্যাকাউন্টে তথ্য যোগ বা অপসারণ করতে একই ব্লকচেইন ব্যবহার করতে পারে মাইনাররা যারা এই সিস্টেমে লগইন করে মাইনিং সফট ওয়ার চালাবে।। বিটকয়েনের ব্লকচেইনে সর্বোচ্চ ব্লকের সংখ্যা হতে পারে 21 মিলিয়ন। বিটকয়েনের ব্লকচেইনের আকার এখন পর্যন্ত 350 গিগাবাইট। কিন্তু ইথেরিয়াম ব্লকচেইনের আকার ইতিমধ্যে 1 টিবি (TB=1000GB) অতিক্রম করেছে।
 ক্রিপ্টো টেকনলজি(২) - কারা পায় সেই খনিজ রতন 
বিটকয়েন মাইনাররা টেলিফোন অপারেটরের মতো বিটকয়েন নেটওয়ার্কের সাথে প্রথমে সংযোগ স্থাপন করে। যেন একটা বিশাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ যেখানে হাজার হাজার অপারেটর বসে আছে কানেকশন দেবার জন্য। যখনই কেউ কানেকশন চাইছে, সব অপারেটরের নোড একই সঙ্গে চেষ্টা করে যাচ্ছে সেই কানেকশন করার জন্য। অবশ্যই সেটা সম্ভব নয় এবং একজনই মাত্র পারবে সেটা দিতে। এই জন্য সিস্টেম সবাইকে একটি পাজল বা ধাঁধাঁ সমাধান করতে দেয়। এই ধাঁধাঁ সমাধান করা সহজ নয়। এবং বুদ্ধি দিয়ে এর সমাধান হয় না। এর জন্য চাই প্রচুর গণনা করার ক্ষমতা ও অনেক সময়। যে নোড সেটি সবচেয়ে আগে করতে পারবে, সেই হবে সফল মাইনার। তার উপরেই ভার পড়বে নতুন লেনদেনটি ব্লক চেনের লেজার খাতায় লিখে দেবার। এবং এত কষ্ট করে কম্পিউটার চালিয়ে এটা করার জন্য সে পাবে একটি পারিতোষিক। এব্যাপারে পরে আরো বিশদ লেখা আছে। 
 ক্রিপ্টো টেকনলজি(৩) সহজ কিন্তু শক্ত ধাঁধা
 
উপরের ছবিটি ভাল করে দেখুন। এটি একটি ব্লকচেনের অংশ। উপরের সারিতে সার সার ব্লক চলে গেছে। ব্লক ১০০ শেষ ব্লক যা আগেই লেখা হয়ে গেছে ব্লক চেনে। ১০১ নম্বর ব্লক লেখার অনুরোধ এসেছে সিস্টেম থেকে। আর নীচের সারিতে বসে আছে সারি সারি মাইনার। ১০১ নম্বর ব্লকে রয়েছে (1) পূর্বসূরীর (১০০) ব্লকের স্বাক্ষর, (2) নতুন লেনদেনের একটি তালিকা এবং (3) একটি সংখ্যা, যাকে নন্স (Nonce Number used ony once) বলা হয়। 
এবারে ধাঁধাটি হল সব মাইনারকে এই নন্স সংখ্যাটি বার করতে হবে যার সঙ্গে (১) এবং (২) মিলিয়ে ডিজিটাল স্বাক্ষর (বা হ্যাশ) করলে একটা সংখ্যা হবে যা সিস্টেমের দেওয়া ডিজিটাল স্বাক্ষরের সঙ্গে মিলে যাবে। 
ক্রিপ্টো টেকনলজি(৪) ডিজিটাল স্বাক্ষর 
ডিজিটাল স্বাক্ষর নামে একটি সহজ কৌশল ইন্টারনেটে ডাটা আদানপ্রদান করে মিলিয়ে দেখার জন্য প্রায়ই ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেটে দৈনন্দিন লেনদেনে ব্যবহৃত অনেক ডিজিটাল স্বাক্ষর নির্মাণ করার পদ্ধতি বা অ্যালগরিদম (MD5, SHA1, SHA-2, SHA256) রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং SHA256 ব্যবহার করে। 
SHA256 হল একটি অ্যালগরিদম যা যে কোন দৈর্ঘ্যের ডেটা বাইট নেয় এবং এটিকে 32 বাইট বা 256 বিট ভ্যালুতে রূপান্তর করে। এই ডাটা স্ক্যাম্বলিং করে (উল্টেপাল্টে মিশিয়ে) , অন্য কিছু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে এবং কিছু স্ট্যান্ডার্ড সংখ্যা যোগ করে। তারপর সেই যোগফলের Mod নেওয়া হয়। ( Mod মূলত একট ভাগশেষ। উদাহরণস্বরূপ 13 mod 4 = 3)। শেষ ফলাফলটিকে বলা হয় প্রদত্ত ডেটা বাইটের একটি হ্যাশ মান। সবসময় একই ডেটার জন্য হ্যাশ মান একই হবে। কিন্তু হ্যাশ ভ্যালু জেনেও আসল ডেটা কী ছিল তা জানার কোনো উপায় নেই। উদাহরণস্বরূপ SHA256 ব্যবহার করে: " This is a hash!” সর্বদা এই হ্যাশ দেবেঃ 
 "dcc67309a9c5c4a6d5434de87dbd4162f745f32b2a6aedf89c89d31d863b022b"
কিন্তু এই হ্যাশটি দিলে সেখান থেকে “This is a hash” লেখাটি পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। 
 আপনি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, আগের লিঙ্কটিতে ১০০ নম্বর ব্লকের হ্যাশ মান রয়েছে (Previous link)। টাইমস্ট্যাম্প হল নতুন লেনদেনের সময় (যেমন 25/2/2022 তারিখে 10:20:30 pm এ B X BTC-এ স্থানান্তর করা) এবং লেনদেনের বিবরণ। 
সমস্ত মাইনার এবারে, তাদের শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করে খুব দ্রুত পূর্ববর্তী ব্লকের স্বাক্ষর এবং নতুন লেনদেনের তালিকার সমন্বয়ে একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর লিখতে পারে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমরা কীভাবে নিয়মিত বিরতিতে একজন বিজয়ী বাছাই করব? সমাধান হল এমন একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর চাওয়া যা দ্রুত তৈরি করা কঠিন হবে, একটি নির্দিষ্ট ধরণের সংখ্যার মালা বা স্ট্রিং, যেটি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শূন্য দিয়ে শুরু হয়, যেমন: "0000000000000xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx" হ্যাশের শুরুতে শূন্যের সেই দীর্ঘ লাইনটি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। যেমন ধরুন একটি মুদ্রা টস করে পর পর তেরো বার হেড পাওয়া। তবুও, কোন একটি নন্সের মানের জন্য একটি হ্যাশ হবে যা ঠিক এই সমস্ত শূন্য দিয়ে শুরু হবে। মাইনাররা বারবার বিভিন্ন নন্স অনুমান করবে আর হ্যাশ করে যাবে। অবশেষে, একজন মাইনার এতে সফল হবে। তখন এটি পুরো নেটওয়ারকে সম্প্রচার করা হয় এবং সবাই সমাধানটি যাচাই করে বৈধ বলে ঘোষণা করবে। যদি সব ব্যাপারটা সফল হয় তখন একটি নতুন ব্লক তৈরি হয় এবং সেটি ১০১ নাম্বার ব্লক হিসাবে, চেইনে যুক্ত হবে। আবার যখন নতুন লেনদেনের অনুরোধ আসবে, ঠিক একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ১০২ নাম্বার ব্লকও লেখা হবে। 
ক্রিপ্টো টেকনলজি(৫) পারিতোষিক
 মাইনাররা মাইনিং করবে কিন্তু কেন? কিসের আশায়, কি তাদের লাভ এ থেকে? এই প্রশ্নটা নিশ্চয় আপনাদের মাথায় এসে নক করেছে ইতিমধ্যে। মনে করুন এই মাইনাররা সবাই এক একটি ব্যাঙ্ক এবং যেমন আমাদের সারাক্ষণ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মেসেজ পাঠাতে থাকে, একাউন্ট খোলার জন্য, তেমনই এরাও সারাক্ষণ লড়ে যাচ্ছে কাস্টমার ধরতে। অনেক খাটুনির পরে যদি তারা সেই দৌড়ে ফার্স্ট হয় তবেই তাঁদের নন্স গ্রহণযোগ্য হবে ও তারা একটি লেখা লিখতে পারবে ব্লক চেনের লেজারে। কি লাভ তাতে? 
একটু হিসেব নেওয়া যাক একটা লড়াই করতে কত খরচ হয়?
বিটকয়েন খনিতে উৎপাদন করতে কত খরচ হয়? Antminer S17 Pro ব্যবহার করে এপ্রিল 2020 এর কাছাকাছি 1 বিটকয়েন উৎপাদন করতে খরচ হয় প্রায় $7,474।
এইখানেই আসে পারিতোষিকের প্রশ্ন। প্রতিটি সফল নন্স পেলে একজন মাইনার পান পারিতোষিক, বিটকয়েনের হিসেবে। প্রতি ব্লকে 50 বিটকয়েন থেকে শুরু হয়েছিল। যেমন যেমন কয়েনের দাম বাড়তে থাকে, প্রতি চার বছরে সেটা কমানো হয়। এখন পর্যন্ত BitCoin(BTC) প্রতিটি সফল উৎপাদনের জন্য 6.25 BTC পুরষ্কার দেয়। আর প্রতি 210000 ব্লকের পরে পরে এটা অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
এইবারে হয়ত বোঝা যাচ্ছে মাইনিং কথাটার মানে। অর্থাৎ মাইনাররা আসলে বিট কয়েন তৈরী করা বা খনি থেকে উত্তোলনের জন্যই কাজ করা। লেজারে লেখাট অনেকটা যেন পাবলিক সারভিস। যেমন ব্যাংক টাকা খাটিয়ে লাভ করার জন্যই ব্যবসা করে থাকে। আপনার একাউণ্ট রাখা এবং টাকা পয়সার হিসাব রাখা, এগুলো নেহাতই পাব্লিক সারভিস। 
 ক্রিপ্টো টেকনলজি(৬) নানা রকম মাইনিং
আমরা উপরে যেমন দেখলাম, মাইনিং করতে গিয়ে SHA256 অ্যালগরিদমকে ট্রিলিয়ন এবং ট্রিলিয়ন বার কম্পিউটারে চালাতে হয়। যতক্ষণ না কেউ হ্যাশের সাথে মেলে এমন একটি "নোন্স" পায়। এটি একটি সাধারণ পিসিতে করা যেতে পারে। তাতে হয়ত লাগবে ১০০ বছর। কিন্তু দ্রুত উৎপাদনের জন্য দ্রুত থেকে দ্রুততর হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হওয়ায় বিভিন্ন কম্পানী শুধু মাইনিঙ্গের জন্য নতুন হার্ডওয়্যার তৈরি করতে শুরু করে। সুতরাং, আমরা GPU FPGA ASIC বিভিন্ন ধরণের মাইনিং কম্পিউটার পাই। কিন্তু আরও দ্রুত উৎপাদনের জন্য তৈরী হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মেশিন জুড়ে মাইনিং করার খামার। এগুলো সবই কোন বিরাট ধনী কম্পানি বা দেশের সরকার ব্যবহার করে থাকে। 
 মোবাইল মাইনিং: কিছু কিছু মোবাইল অ্যাপ আপনার ফোনে বসেই বিটকয়েন মাইন করতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে, এটি সম্ভব, ASIC মাইনারদের তুলনায় কম প্রসেসিং পাওয়ার ফোনগুলির কারণে, আপনি সম্ভবত আপনার ফোনের ব্যাটারি অনেক দ্রুত শেষ করে ফেলবেন এবং বিনিময়ে বিটকয়েনের একটি খুব ছোট ভগ্নাংশ তৈরি করবেন। 
ওয়েব মাইনিং: 2017 সালের কাছাকাছি সময়, ওয়েব মাইনিং বা 'ক্রিপ্টোজ্যাকিং' ধারণাটি চালু করা হয়েছিল। সহজ কথায়, ওয়েব মাইনিং ওয়েবসাইটের মালিকদের ভিজিটরদের সিপিইউ পাওয়ার "হাইজ্যাক" করতে এবং বিটকয়েন মাইন করতে তাদের ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। এর মানে হল যে একটি ওয়েবসাইটের মালিক লাভ অর্জনের জন্য হাজার হাজার "নিরীহ" CPU ব্যবহার করতে পারেন৷ তাই এটা সম্ভব যে আপনার কম্পিউটার বা ফোন গোপনে বিটকয়েন খননের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং আপনার ফোনকে গরম করে দিচ্ছে, আপনার চার্জ নষ্ট করছে এবং কিছুটা হলেও আপনার ইন্টারনেট ব্যালেন্স নষ্ট করছে।

পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments