গুচ্ছ কবিতা
নীলম সামন্ত
অ্যান্ড গো অন
খানিকটা সমুদ্র আমারও আছে।
বড় রাস্তা ছাড়ার সময় খানিকটা ধুলো ভরে ছিলাম;
এখন সূর্যাস্ত।
জলজ উদ্ভিদ আর মাছ হুইল কাটিয়ে যেতে শুরু হল
পোষ্ট-মর্ডান হাইড অ্যান্ড সিক।
এখন সন্ধের ভেতর রাত্রি।
তীব্র শ্বাসকষ্ট
হুইসেলের পর হুইসেল
সমবেত বিবর্তনবাদ
Oh my heart!
Should I release my cross finger?
Oh my heart!
Should I percel the coastal air?
Oh!
সামনের সারিতে ভীড়
দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ -
যুদ্ধক্ষেত্রে ছন্নছাড়া ডানা ঝাপটানো ফুসফুস
চোখ খোলো প্রিয়,
ভাগ্য বিশারদ তোমার দিকে এগিয়ে দিয়েছেন ফাগুন উপত্যকা;
শ্বাস নাও-
ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর, ফাইভ অ্যান্ড গো অন।
আবার অগ্নুৎপাত
আশ্চর্য!
ডিপ্রেসড ঘরের মেঝেতে বিন্দু আঁকার পর
কিভাবে যেন ফকির হয়ে উঠছি।
আগে ছিলাম
চলন্ত রেলগাড়ীর কামরা
মাঝের দিকে অসম্পূর্ণ স্টেশন
সাইকেল না জানা মানুষগুলো দু একবার মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঠিকই
ট্রেনের হুইসেল আর সবুজ পতাকার সাথে তাদেরও ক্ষতস্থানে
জ্বলেছিল তীব্র শীতের শিশির-
হ্যালো,
হ্যালো, কে বলছেন?
- সেই ফুলের গন্ধ,
প্রতি রাতের বিশৃঙ্খল মুজরা।
গালিবের হাভেলিতে নুপুর বালখিল্য দেখে
বালি চাপা আর্তনাদ মৃত্যু খোঁজে পাশের রাস্তায়
তবে কি আবার অগ্নুৎপাত হবে?
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
শেষ সিঁড়ি পেরিয়ে
পায়ে পায়ে ভ্যানিশ হয়ে গেল
মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়, সংলাপ -
এক সময় একচালা ঘরের একটুখানি ছিল ব্রেকফাস্ট টেবিল
পাখিরা আস্তে করে বসত
ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে বুঝিয়ে দিত
চাহিদায় মিনিমাম বলে কিছু হয় না৷
ধরুন, দোকানে আজ দেড় কেজি খাসির মাংস বাড়তি
শাটার টেনে বাড়ি গিয়ে দেখল শালা বিছানায়
সঙ্গে আরও চারজন ;
আজ্ঞে হ্যাঁ আমি সূর্যর কথাই বলতে চাইছি;
The mandatory happening with or without any notice.
ক্লান্ত বা অক্লান্ত
মেঘ ও মেদুর- একটি চক্র বর্ধিষ্ণু আত্মকাহিনী।
প্রজাপতি এখন আকাশ
শুঁয়োপোকার ওপর এক ফানেল নীল ঢেলে দিয়েছিলাম৷
প্রজাপতি এখন আকাশ।
যে সমস্ত নদীর কথা আমরা পড়িনি তাদের জল দিয়ে তিনি পূজো সারেন।
অঞ্জলিতে ঈশ্বর আমি।
আমার পায়ের ওপর আলতা,
তিনি দেখলেন বিশ্বামিত্রের ধ্যানমগ্ন উপবীত।
ভালবাসি একথা বলতেই
সমস্ত প্রেম বিষাক্ত ।
ঠোঁট ফাঁক করে
লোহিত সাগর ভরাতে উদ্যোগ নেয় পুরনো পৃথিবীর কমলালেবু৷
জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇
0 Comments